আজকের দিনের আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর
গুজরাটে আঘাত হেনে রাজস্থানের দিকে ‘বিপর্যয়’, করাচিতে ভারী বৃষ্টি
ভারতের গুজরাট উপকূলে আঘাত হানার পর এখন রাজস্থানের দিকে ক্রমে এগিয়ে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। তবে আজ শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে যেতে পারে। বিপর্যয়ের আঘাতে ভারতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ২২ জন আহত হয়েছেন। প্রচুর গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে। কয়েক দিন আরব সাগরে অবস্থানের পর ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গুজরাটের জাখু বন্দরসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২৫ থেকে ১৪০ কিলোমিটার। তবে রাতের দিকে ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হতে শুরু করে। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটারে নেমে আসে। ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের (আইএমডি) পরিচালক মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেছেন, ভূখণ্ডে আঘাত হানার পর বিপর্যয়ের ক্যাটাগরি ‘অতি তীব্র’ থেকে ‘তীব্র’-তে নামিয়ে আনা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টির গতিবেগ ঘণ্টায় ১০৫-১১৫ কিলোমিটারে নেমে এসেছে। এ ঘূর্ণিঝড়ের সময় গুজরাটের ভাবনগর জেলায় একজন পশু পালনকারী ও তাঁর ছেলের প্রাণ গেছে। এ সময় ঝড়ের কবল থেকে নিজেদের ছাগল বাঁচানোর চেষ্টা করছিলেন বাবা-ছেলে। সরকারি সূত্রের বরাতে পিটিআইয়ের খবর, গুজরাটের বিভিন্ন এলাকায় ৫২৪টির বেশি গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়েছে। প্রায় ৯৪০টি গ্রাম বিদ্যুৎ–বিচ্ছিন্ন হয়েছে। সূত্র: প্রথম আলো


বেলারুশের মাটিতে ফিরল পরমাণু অস্ত্র
ইউক্রেনের প্রতিবেশী বেলারুশিয়ায় রাশিয়ার কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র (টিএনডাব্লিউ) আসা শুরু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বেলারুশ প্রেসিডেন্ট আলেকজান্দার লুকাশেংকো এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন। এ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশটির নির্বাসিত বিরোধী নেত্রী সভেতলানা তিখানোভস্কায়া। টিএনডাব্লিউ বলতে কম পাল্লার ও তুলনামূলক কম ক্ষমতার পরমাণু অস্ত্রকে বোঝানো হয়। বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্দার লুকাশেংকো রাশিয়ার এক টিভি উপস্থাপকের প্রশ্নের জবাবে জানান, তাঁর দেশের মাটিতে রুশ টিএনডাব্লিউ এরই মধ্যে আসা শুরু হয়েছে। তবে এ নিয়ে রাশিয়ার কোনো বক্তব্য আসেনি। সূত্র: কালের কণ্ঠ
অনাহারে মরছে উত্তর কোরিয়ার মানুষ
খাদ্য নেই, পালানোর পথও নেই
ক্ষুধার জ্বালায় খাচ্ছে ঘাসপাতা
নব্বইয়ের দশকের পর ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ খাদ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে উত্তর কোরিয়ার। বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন দেশটিতে প্রায় প্রতিদিনই অনাহারে মরছে মানুষ। খাবারের অভাবে খাচ্ছে ঘাসপাতা। তবুও দাঁতের ওপর দাঁত এঁটে পড়ে আছে নিঃশব্দে। কারণ সীমানা বন্ধ। দেশ ছেড়ে পালানোর সুযোগটুকুও আর নেই। ২০২০ সালে সীমানা সিল করা। একই সঙ্গে বাসিন্দাদের ওপর সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণ চলতি এ খাদ্য সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।তিন বছরেরও বেশি সময় আগে দেশটির সরকার সীমান্ত সিল করার পর থেকে খাদ্য সংকটের ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসে। গত কয়েক মাস ধরে বিবিসি দেশটিতে বসবাসরত তিন বাসিন্দার সাথে গোপনে কথা বলে তথ্যগুলো সংগ্রহ করে। বাসিন্দাদের নিরাপদের স্বার্থে প্রতিবেদনে ভিন্ন নামে উপস্থাপন করা হয়েছে। তিনজনের মধ্যে একজন নারী। মায়ং সুক। একসময় জমজমাট ওষুধের ব্যবসা ছিল তার। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন। সীমান্ত বন্ধের আগে তিনি চীন থেকে অ্যান্টিবায়োটিকসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ নিয়ে আসতেন। পরে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে তার জীবনে নেমে আসে কুগ্রহ। কারণ সেই বছরে করোনা মহামারির প্রতিক্রিয়া হিসাবে দেশটির সীমানা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে মানুষসহ খাদ্য ও পণ্যসামগ্রী দেশে আসা বন্ধ হয়ে যায়। নেমে আসে খাদ্য সংকটের মহামারি। সীমানা বন্ধের নিয়ম তার জীবন ও জীবিকাকে গ্রাস করে ফেলে। মায়ং সুক জানান, ‘আমাদের খাদ্য পরিস্থিতি এতটা খারাপ কখনো ছিল না।’ ভাতের বদলে এখন তারা ভুট্টা খেয়ে দিন কাটায়। প্রতিবেশীরা খাবারের জন্য দরজায় কড়া নাড়ে, কিন্তু দেবার কিছু নেই। সূত্র; যুগান্তর
পার্লামেন্টকে বিভ্রান্ত করেছিলেন বরিস জনসন
‘কভিড পার্টি’ নিয়ে প্রতিবেদন
‘পার্টিগেট মামলা’য় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের কড়া সমালোচনা করে প্রতিবেদন পেশ করেছে দেশটির সংসদীয় কমিটি। প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়েছে, কভিডের সময় লকডাউন চলাকালীন পার্টি করা প্রসঙ্গে দলীয় সাংসদদের বিভ্রান্ত করেছেন ব্রিটেনের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী। এ আচরণের শাস্তি হিসেবে এমপি পদ থেকে সাসপেন্ড করা উচিত জনসনকে। তবে এ সুপারিশ কার্যকর হবে না, কারণ কয়েকদিন আগেই এমপি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। মহামারির সময়ে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে হওয়া পার্টিগুলো লকডাউনের নির্দেশনা ভেঙেছিল; এ ব্যাপারে জনসন ইচ্ছাকৃতভাবে পার্লামেন্টকে বিভ্রান্ত করেছিলেন কি না তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব ছিল এ প্রিভিলেজেস কমিটির। আইনপ্রণেতাদের কর্মকা খতিয়ে দেখার দায়িত্বে থাকা মূল পর্ষদ প্রিভিলেজেস কমিটি গতকাল এ বিষয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। যুক্তরাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় ও বিতর্কিত রাজনীতিক, বহির্বিশ্বে সুপরিচিত জনসন আগেই এ প্রতিবেদনকে ‘প্রহসন’ অ্যাখ্যা দিয়ে বলেছিলেন, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে পার্লামেন্টকে বিভ্রান্ত করেছেন, এ ভাষ্য সত্য নয়।করোনা রুখতে দীর্ঘ দুই বছর লকডাউন বিধি জারি ছিল গোটা ব্রিটেনে। কিন্তু সেই লকডাউন চলাকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে অজস্র পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। যার মধ্যে অন্তত তিনটিতে প্রধানমন্ত্রী নিজে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছিল। সূত্র; বিডি প্রতিদিন ।
পার্লামেন্টে যৌন হেনস্তার শিকার অস্ট্রেলীয় আইনপ্রণেতা
অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছেন একজন নারী আইনপ্রণেতা। বৃহস্পতিবার আইনপ্রণেতা লিডিয়া থর্প এ বিষয়ে বিস্তারিত অভিযোগ সামনে এনেছেন। নারীদের কাজ করার জন্য অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট ‘নিরাপদ জায়গা নয়’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। খবর দ্য গার্ডিয়ানের -সিনেটে কান্নাজড়িত কণ্ঠে এক ভাষণে লিডিয়া বলেছেন, তিনি ‘যৌন মন্তব্যর’ শিকার হয়েছেন। তাকে সিঁড়িতে কোণঠাসা করা হয়েছিল এবং ‘প্রভাবশালী পুরুষ আইনপ্রণেতারা’ তাকে ‘অন্যায্যভাবে শারীরিক স্পর্শ করেছিল’। লিডিয়া থর্প বুধবার তার সহকর্মী এক সিনেটরের বিরুদ্ধে ‘যৌন নিপীড়ন’ করার অভিযোগ করেন। পরে পার্লামেন্টের নিষেধাজ্ঞার হুমকির মুখে অভিযোগ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন লিডিয়া। সূত্র: সমকাল
গ্রিস উপকূলে ডুবে যাওয়া নৌকায় ১০০ শিশু ছিল
গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলে অভিবাসনপ্রত্যাশীবোঝাই যে নৌকাটি ডুবে গেছে, তাতে প্রায় ১০০ শিশু ছিল বলে জানিয়েছেন বেঁচে ফেরা লোকজন। এই নৌকাডুবির ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৮ জনে দাঁড়িয়েছে। ১০০-এর বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। বিবিসি জানায়, এখনো অনেক মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ কিছু কিছু প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দুর্ঘটনাকবলিত নৌকাটিতে ৭৫০ জন ছিলেন। দেশটির সরকার বলছে, গ্রিসে সবচেয়ে বড় অভিবাসী ট্র্যাজেডিগুলোর একটি এটি। এ ঘটনায় তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছে গ্রিস। সূত্র; দৈনিক বাংলা।
বধির দম্পতির এভারেস্ট জয়
বধির ব্যক্তিরা কীভাবে এভারেস্ট জয় করেন; সাধারণ মানুষের কাছে আসলেই একটা রহস্য। তাদের প্রধান সমস্যা যোগাযোগ সম্পর্কিত। আপনার হাতে যদি বরফ কাটার কুড়াল থাকে, তবে সঙ্গীর সঙ্গে সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ কীভাবে ব্যবহার করবেন? অথবা রাতের অন্ধকারে কীভাবে আলোচনা করবেন? গাইডও আপনার সঙ্গে যেতে রাজি না হতে পারে। সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানায়, আমেরিকান অভিযাত্রী স্কট লেহম্যান ও শায়না উঙ্গার সে সব অসাধ্য সাধন করেছেন। প্রথম বধির দম্পতি হিসেবে জয় করেছেন বিশ্বের উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ। গত ২২ মে তৃতীয় ও চতুর্থ বধির ব্যক্তি হিসেবে এভারেস্টের চূড়ায় উঠেন উঙ্গার ও লেহম্যান। কাকতালীয়ভাবে একই সফরে তাদের সঙ্গে দেখা হয় শীর্ষে পৌঁছানো দ্বিতীয় বধির ব্যক্তির সঙ্গে। মালয়েশিয়ার নাগরিক মুহাম্মদ হাওয়ারী হাশিম গত ১৮ মে পৃথিবীর এভারেস্ট জয় করেন। নেপালের সর্বোচ্চ আদালত থেকে অক্ষম পর্বতারোহীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা বাতিলের কয়েক বছর পর কাছাকাছি সময়ে এই তিন বধির ব্যক্তি এভারেস্টে আরোহন করলেন। সুত্র: বনিক বার্তা
কুকুরের মস্তিষ্ক অদ্ভুতভাবে বড় হচ্ছে: গবেষণা
প্রাচীন জাতের তুলনায় আধুনিক কুকুরের মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে বলে জানা গেছে সাম্প্রতিক এক গবেষণায়। মানুষের সাথে প্রাণীটির মিথস্ক্রিয়ার কারণে এমনটা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইভল্যুশন জার্নালে প্রকাশিত ওই গবেষণায় আধুনিক ও প্রাচীন উভয় কুকুরের মস্তিষ্কের আকার পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, কুকুরের মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে। কুকুর নেকড়ে বা এ জাতীয় প্রাণী থেকে বিবর্তিত হয়ে এসেছে বলে মনে করা হয়। তাই গবেষকেরা নেকড়ের মস্তিষ্কের সঙ্গে কুকুরের মস্তিষ্কের তুলনাও করেছেন। ইএলটিই ইনস্টিটিউট অব বায়োলজি-এর ইথোলজি বিভাগের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো এনিকো কুবিনি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, ‘প্রাচীন কুকুরের জাত থেকে আধুনিক কুকুর পর্যন্ত বংশবৃদ্ধির সময়ে ধীরে ধীরে প্রাণীটির মস্তিষ্ক বড় হচ্ছে।’ এই গবেষক বলেন, ‘আমরা কুকুরের প্রজাতির ধরন কিংবা বংশবৃদ্ধির ইতিহাসের ওপর ভিত্তি করে এটাকে ব্যাখ্যা করতে পারি না। আমরা কেবল কারণগুলো সম্পর্কে অনুমান করতে পারি।’ অর্থাৎ মস্তিষ্ক বড় হওয়া নিয়ে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা এখনো গবেষকদের কাছে নেই। কিছু অনুমানের ভিত্তিতে এই পরিবর্তনকে ব্যাখ্যা করেছেন তারা। সূত্র; বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
চীনে লিওনেল মেসির খেলা দেখতে শতশত ডলার দিয়ে টিকেট কিনেছে দর্শকরা
বেইজিং-এ গ্রীষ্মের এক তপ্ত রাতে, লিওনেল মেসি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলার মাত্র ৯০ সেকেন্ডের মধ্যে গোল করলেন। আর এটিই হাজার হাজার চীনা সমর্থককে মুগ্ধ করে তোলে।বৃহস্পতিবার রাতে চীনের রাজধানীতে যেন নীল আর সাদা রঙের আর্জেন্টিনার জার্সির সাগর তৈরি হয়, যার প্রত্যেকটির পেছনের অংশে লেখা ছিল একটি নাম- মেসি।প্রতি গ্রীষ্মেই বেইজিং সাধারণত একটি আমন্ত্রণমূলক বন্ধুত্বপূর্ণ ফুটবল খেলার আয়োজন করে। এবার আয়োজকরা এমন একজন খেলোয়াড়ের নেতৃত্বে একটি দল বেছে নিয়েছেন, যিনি অন্য যে কারো চেয়ে বেশি মনোযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম। দলে দলে সমর্থকরা বেরিয়ে আসলো, এই বিখ্যাত দলটির জন্য খুব বেশি একটা সমর্থন দেখানোর জন্য নয় বরং একজন মাত্র মানুষকে অভিবাদন জানানোর জন্য যার ছবি দীর্ঘদিন ধরে বিলবোর্ডে প্রদর্শন করে প্রায় সব ধরণের পণ্য বিক্রিরই ব্যবসা করা হচ্ছিলো।এটা ছিল এমন একটি দেশে স্টার পাওয়ার মার্কেটিং বা তারকার মাধ্যমে ব্যবসার একটি উপায় যে দেশে উচ্চমানের কোন খেলোধুলা খুব একটা হয় না।স্ট্যান্ডের চারপাশে উল্লাস প্রতিধ্বনিত হয়- মেসিইইই মেসিইইই- আর মাঝে মাঝে আহহ-জেন-টিং! (চীনা ভাষায় আর্জেন্টিনা)। সূত্র: বিবিসি বাংলা
ইউক্রেইনের পাল্টা আক্রমণ ‘আকার নিলেও আসল পরীক্ষা বাকি’
সপ্তাহখানেক ধরে তুমুল লড়াই চালালেও কিইভের পাল্টা আক্রমণের আসল পরীক্ষা আদতে সামনে; ইউক্রেইনের সেনারা রাশিয়ার আসল প্রতিরক্ষা ব্যুহ থেকে এখনও খানিকটা দূরে, সংঘাতে জড়াতে বিপুল পরিমাণ সেন্য এখনও অপেক্ষমান। দীর্ঘ প্রতীক্ষিত পাল্টা আক্রমণ শুরুর পর গত সপ্তাহে ইউক্রেইন দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় যুদ্ধক্ষেত্রের দুটি এলাকায় আক্রমণ শানিয়ে ৭টি গ্রাম পুনর্দখলের কথা জানালেও এই অল্প সময়েই তাদেরকে পশ্চিমাদের দেওয়া অনেক সাঁজোয়া যান ও ট্যাংক হারাতে হয়েছে।“উভয় পক্ষের জন্যই, কার কত ক্ষতি হচ্ছে, তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে,” বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এমনটাই বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিঙ্কট্যাঙ্ক ফরেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ ফেলো রব লি।তার মতো অনেক বিশ্লেষকই উপগ্রহের ছবি ও অন্যান্য সূত্রে প্রাপ্ত আলোকচিত্রের ভিত্তিতে ইউক্রেইনের পাল্টা আক্রমণে দুই পক্ষেরই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানাচ্ছেন। “ইউক্রেইনীয়দের জন্য ঝুঁকি হচ্ছে, যদি তারা রাশিয়ার মূল প্রতিরক্ষা লাইনের কাছে পৌঁছানোর আগেই বিপুল ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়, তাহলে সেই লাইনটি ভাঙা এবং তাকে কাজে লাগানো তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে,” বলেছেন লি।ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, পশ্চিমাদের দেওয়া যুদ্ধ ট্যাংক ও সাঁজোয়া যানের মতো যুদ্ধ সরঞ্জাম ইউক্রেইনীয় সেনাদের জীবন রক্ষায় সহায়ক হবে।ইউক্রেইনের পাল্টা আক্রমণ মোকাবেলায় মস্কো পশ্চিম রাশিয়ার পাশ থেকে শুরু করে দখলকৃত ক্রাইমিয়া পর্যন্ত মাইন, ট্যাংক বিধ্বংসী খাদ, সারি সারি কংক্রিটের ‘ড্রাগন দাঁত’ ব্যারিকেড ও পরিখাসহ হাজার হাজার প্রতিরক্ষা স্থান প্রস্তুত করেছে রেখেছে। এসব স্থানের মধ্যে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ দক্ষিণের স্থানগুলোতে মস্কো বিপুল পরিমাণ সৈন্য ও সরঞ্জাম জড়ো করে রেখেছে বলে এপ্রিলে দেখা উপগ্রহের ছবি পর্যালোচনা করে বলছে রয়টার্স। সূত্র্র: বিডি নিউজ