আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর
শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাব
প্রতি বস্তা সিমেন্টের দাম বাড়বে ৮ থেকে ২৫ টাকা
আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সিমেন্টের প্রধান কাঁচামাল ক্লিংকার আমদানিতে প্রতি টনে শুল্ক ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭০০ টাকা করা হয়েছে। তাতে বাজারে দুই ধরনের সিমেন্টের দাম বস্তাপ্রতি ৮ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত বাড়বে। ফলে বাড়বে অবকাঠামোর নির্মাণ ব্যয়। সিমেন্ট খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমএ) নেতারা বাজেট–পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন। তাঁরা জানান, ডলার–সংকটের কারণে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে সমস্যায় পড়ছেন উদ্যোক্তারা। ফলে সিমেন্টের কাঁচামাল আমদানিতে বিঘ্ন ঘটছে। আবার গ্যাস-বিদ্যুতের সংকটে সিমেন্টের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এতে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে।রাজধানীর দিলকুশায় হোটেল পূর্বাণীতে গতকাল সোমবার আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিসিএমএ সভাপতি ও ক্রাউন সিমেন্টের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আলমগীর কবির। তিনি বলেন, ‘আমরা ক্লিংকার আমদানিতে শুল্ক কমিয়ে টনপ্রতি ২০০ টাকা করার অনুরোধ করেছিলাম। বাজেটে উল্টো আরও ২০০ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’ এই শিল্পের বর্তমান নানা সংকট বিবেচনায় শুল্ক কমানোর আহ্বান জানান তিনি।প্রতি ডলার ১০৮ টাকা থেকে শুরু করে ১১৫-১১৬ টাকায় কিনতে হচ্ছে। আগে ব্যাংকগুলো শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ নিত। এখন ব্যাংকগুলো ক্ষেত্রবিশেষে ১ শতাংশ থেকে দেড় শতাংশ পর্যন্ত কমিশন নিচ্ছে। কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। শুধু ডলার বিক্রির মুনাফা দিয়েই ব্যাংক ভালো ব্যবসা করছে। সূত্র: প্রথম আলো


বরিশাল সিটি নির্বাচন
হাতপাখার বাতাস নৌকায় লাগেনি
খোকন সেরনিয়াবাত মেয়র নির্বাচিত
বরিশালে জয়ের মালা পরলেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত। রিটার্নিং অফিসার ঘোষিত ১২৬টি কেন্দ্রের সব কটির বেসরকারি ফলাফলে তিনি পেয়েছেন ৮৭ হাজার ৮০৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করীম পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮২৮ ভোট। মেয়র পদে ভোট হাতপাখার বাতাস নৌকায় লাগেনিদিয়েছেন ৫১.৩০ শতাংশ ভোটার। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে হঠাৎ অপ্রীতিকর ঘটনা, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিটি নির্বাচন বর্জনের মধ্য দিয়ে গতকাল সম্পন্ন হয়েছে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন। ইভিএমে আঙুলের ছাপ না মেলা এবং কিছু কেন্দ্রে এই মেশিনের ত্রুটির কারণে ভোটের গতিও ছিল ধীর। সকালে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটারের উপস্থিতি অনেকটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়তে থাকে। তবে বিকেল পৌনে ৩টার পর থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি কমিয়ে আনে। সূত্র: কালের কণ্ঠ
চলমান ঋণেও বাড়বে সুদহার
জুলাই থেকে ৯ শতাংশের সীমা থাকছে না
ব্যাংক ঋণে বিদ্যমান ৯ শতাংশ সুদহারের সীমা তুলে দিয়ে নতুন ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী ১ জুলাই থেকে যা কার্যকর হবে। এর ফলে সুদহার কিছুটা বাড়বে। নতুন সুদহার শুধু নতুন ঋণে কার্যকর হবে তেমন নয়, চলমান ঋণেও গুনতে হবে বাড়তি সুদ। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরবর্তী মুদ্রানীতিতে নতুন সুদহার ব্যবস্থার কথা জানানো হবে।আগামী রোববার নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করার তারিখ নির্ধারিত রয়েছে। এবার মুদ্রানীতির কাঠামোতে বেশ পরিবর্তন আনা হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি কমাতে ঋণ সংকোচনমূলক নীতির দিকে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ঋণ প্রবাহে বাড়তি সতর্কতা থাকবে এবং সুদহার বাড়ানোর কৌশল থাকবে নতুন মুদ্রানীতিতে।সংশ্লিষ্টরা জানান, নতুন সুদহার ব্যবস্থা হলো ‘স্মার্ট’ তথা শর্ট টার্ম মুভিং এভারেজ রেট। ১৮২ দিন মেয়াদি সরকারি ট্রেজারি বিলের ৬ মাসের গড় সুদের সঙ্গে আপাতত সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ করিডোর বা সীমা দেওয়া থাকবে। বর্তমানে ট্রেজারি বিলের গড় সুদহার ৭ শতাংশের নিচে রয়েছে। এর মানে গ্রাহক পর্যায়ে ঋণের সুদহার হবে ১০ শতাংশের মতো। আর ট্রেজারি বিলের সুদহার বাড়লেই গ্রাহক পর্যায়ে সুদ বেড়ে যাবে তেমন না। আবার কমলেই কমবে না। কেননা আপাতত ৩ শতাংশ করিডোর দেওয়া হলেও এটা বাড়বে বা কমবে। জানা গেছে, সুদহার ১০ শতাংশের আশপাশে রাখতে চায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঋণের সুদহার পুরোপুরি বাজারভিত্তিক হচ্ছে না। একটা নতুন পদ্ধতি চালু হচ্ছে। বাংলাদেশের বাস্তবতায় সুদহার পুরো বাজারভিত্তিক করলে তার সম্ভাব্য চাপের বিষয়টি আইএমএফকে বলা হয়েছে। সূত্র: সমকাল
জুলাই থেকে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা, মাসে দিতে হবে ৫০০-৫,০০০ টাকা
আগামী জুলাই থেকে দেশব্যাপী সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা শুরু করতে চলেছে সরকার। এতে ব্যক্তিপ্রতি চাঁদার অঙ্ক সর্বনিম্ন ৫০০ থেকে সর্বোচ্চ ৫,০০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মতে, ৫০ বছরের অধিক বয়সীরাও সর্বজনীন পেনশন সুবিধায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। তবে ১০ বছর চাঁদা পরিশোধের পর তারা আজীবন পেনশন পাওয়া শুরু করবেন।প্রাথমিকভাবে এই স্কিমের আওতায় চারটি শ্রেণিকে টার্গেট করা হচ্ছে: বেসরকারিখাতের চাকরিজীবী, প্রবাসী বাংলাদেশি, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের কর্মী এবং অস্বচ্ছল ব্যক্তিসমূহ। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
মোমেন-জয়শংকর বৈঠক বেনারসে
দুই দেশের সম্পর্কে সন্তোষ
ভারতের ঐতিহাসিক শহর বেনারসে অনুষ্ঠিত জি২০ উন্নয়ন মন্ত্রীদের সম্মেলনে (ডিএমএম) যোগ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। গতকাল সকালে সম্মেলনের সাইডলাইনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. জয়শংকরের সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মন্ত্রী মোহাম্মদ মালিকি বিন ওসমান এবং ইউএসএআইডির উপ-প্রশাসক ইসোবেল কোলম্যানের সঙ্গেও বৈঠক করেন। গতকাল নয়াদিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। হাইকমিশন জানায়, উত্তরপ্রদেশের বেনারস শহরে জি২০ উন্নয়ন মন্ত্রীদের বৈঠকের সাইডলাইনে তার ভারতীয় প্রতিপক্ষ জয়শংকরের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন এবং পারস্পরিক স্বার্থের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা দ্বিপক্ষীয় স্বার্থের বিষয় এবং আগামী দিনে ঘটতে পারে এমন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা নিয়ে আলোচনা করেন। ড. মোমেন জি২০ মিটিং সফলভাবে পরিচালনা করার জন্য এবং জি-২০ তে ভারতের নেতৃত্বে বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভূমিকার জন্য ভারতের প্রশংসা করেন। উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাম্প্রতিক সময়ে গৃহীত বিভিন্ন অর্জনে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মন্ত্রী মোহাম্মদ মালিকি বিন ওসমানের সঙ্গে বৈঠকে ড. মোমেন সিঙ্গাপুরের সঙ্গে সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ এবং বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি লোক নিয়োগের আহ্বান জানান। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।
বেসিক ব্যাংকে ভয়াবহ ঋণ কেলেঙ্কারি
সেই বাচ্চু অবশেষে ধরা পড়ল দুদক জালে
গ্রেফতারে বাধা নেই, অবস্থান জানে না দুদক * ১৪৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট, ২ হাজার কোটি টাকার বেশি আত্মসাতের অভিযোগ
অবশেষে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জালে আটকা পড়লেন দোর্দণ্ড প্রতাপশালী আবদুল হাই বাচ্চু। তিনি বেসিক ব্যংকের ভয়াবহ ঋণ কেলেঙ্কারির হোতা এবং প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান। মামলা দায়েরের আট বছর পর শেষ পর্যন্ত ফেঁসে গেলেন বাচ্চুসহ ১৪৭ জন। তাদের অভিযুক্ত করে একযোগে ৫৯ মামলার চার্জশিট দিয়েছে সংস্থাটি। আসামিদের বিরুদ্ধে ২ হাজার ২৬৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। সোমবার কমিশন বৈঠকে এই চার্জশিট অনুমোদনের পর তা আদালতে দাখিল করা হয়। দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।এদিকে সংশ্লিষ্টরা জানান, চার্জশিটে নাম যুক্ত হওয়ার পর আইন অনুযায়ী তাকে গ্রেফতারে আর কোনো বাধা নেই। দুদক ছাড়াও আদালতের নির্দেশে পুলিশও তাকে গ্রেফতার করতে পারে। তবে তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত করে কোনো তথ্য দিতে পারেনি কেউ। জানা গেছে, ২০০৯ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকের গুলশান, দিলকুশা ও শান্তিনগর শাখা থেকে মোট সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়। ঋণ বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠলে তা অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। অনুসন্ধানকালে দুদক কর্মকর্তারা জানতে পারেন ব্যাংকটির পরিচালনা পর্যদ ঋণপত্র যাচাই না করে ভুয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে কয়েক হাজার কোটি টাকা ঋণ দেয়। সূত্র: যুগান্তর
২০ বছর অগ্রগতি, চার বছরে ধ্বংস
শেখ আবদুল হাই বাচ্চুকে চেয়ারম্যান নিয়োগের রহস্য আজও উন্মোচিত হয়নি
ছাত্রজীবনে বা তৃণমূলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। তবু সাবেক সেনাশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সুনজরে পড়ে বাগেরহাটের রাজনীতিতে ব্যাপক প্রভাবশালী হয়ে উঠেছিলেন সাব-ইন্সপেক্টর পিতার ছেলে আবদুল হাই বাচ্চু। ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মোল্লাহাট উপজেলায় জন্মগ্রহণকারী আবদুল হাই বাচ্চু। দুই বছর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর দীর্ঘদিন রাজনীতির ময়দানে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। তাকে নিয়ে আর কোথাও তেমন একটা আলোচনাও হয়নি। এ আবদুল হাই বাচ্চুই আবার দীর্ঘদিন পর আলোচনায় আসেন ২০০৯ সালে। রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ স্মল ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যান্ড কমার্স (বেসিক) ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে তার নিয়োগ সে সময় ব্যাংক খাতসংশ্লিষ্টদের অবাক করেছিল। ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর দুই দশক পদাধিকার বলে ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন শিল্প সচিব। পরিচালনা পর্ষদের অন্যান্য সদস্যও ছিলেন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা। কিন্তু সে ধারা ভঙ্গ করে বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পেয়ে যান আবদুল হাই বাচ্চু। তার এ নিয়োগের বিষয়টি কম রহস্যাবৃত নয়। সরকারি দল আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে আবদুল হাই বাচ্চুর কোনো সম্পর্ক পাওয়া যায় না। জাতীয় পার্টির তৎকালীন চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদও তার জন্য কোনো তদবির বা সুপারিশ করেননি বলে দলটির সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বণিক বার্তাকে নিশ্চিত করেছে। আবার আবদুল হাই বাচ্চুর সময়ে বেসিক ব্যাংকের লুট হওয়া অর্থে জাতীয় পার্টি বা দলটির অন্য কারো লাভবান হওয়ারও কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। সূত্র: বণিক বার্তা।
১০ নির্বাচনে অংশ নিয়ে ৯টিতেই জিতেছেন খালেক
‘খালেক মানেই বিজয়’- তিনি যে এলাকা থেকেই নির্বাচন করেন, সেখান থেকেই বিজয়ী হন। এমন একটি তকমা লেগেই আছে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেকের সঙ্গে। স্বাধীনতা পরবর্তী সব সরকারের আমলেই নির্বাচন করে সাফল্য পেয়েছেন। এ পর্যন্ত জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে ১০ বার প্রার্থী হয়েছেন। এর মধ্যে পরাজিত হয়েছেন মাত্র একবার। তার নামের সঙ্গে কমিশনার, মেয়র, সংসদ সদস্য, প্রতিমন্ত্রী সবই জড়িয়ে রয়েছে। এই বছরে জীবনের দশম নির্বাচনে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন।নির্বাচিত হওয়ার পরে তিনি বলেন, ‘দলমত নির্বিশেষে সকলে আমাকে ভোট দিয়েছেন। জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও এই শহরের উন্নয়ন করব।’ভোটে বারবার বিজয়ী হওয়ার এই সাফল্যের কারণ হিসেবে তিনি মনে করেন, ‘মানুষের সঙ্গে প্রতারণা না করা, সুখে-দুঃখে মানুষের পাশে থাকা, অনৈতিক কাজকে প্রশ্রয় না দেয়া ও সর্বোপরি এলাকার মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করা। এসব কারণে মানুষ তাকে ভালোবাসেন, বারবার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন। তালুকদার আবদুল খালেকের রয়েছে বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন। মুক্তিযুদ্ধেও অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। জন্ম ১৯৫২ সালে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায়। তবে ছোট থেকেই তিনি পরিবারের সঙ্গে খুলনায় থাকতেন। ১৪ বছর বয়সেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে নাম লেখান। ১৫ বছর বয়সে ১৯৬৭ সালে খুলনা মডেল স্কুল শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও ১৯৭৩ সালে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তালুকদার আবদুল খালেক। এরপর আর তাকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। জাতীয় শ্রমিক লীগের খুলনা আঞ্চলিক সভাপতি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কাযনির্বাহী সদস্য ও খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন তিনি। বর্তমানে তৃতীয় মেয়াদে মহানগরের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সূত্র: দৈনিক বাংলা।
পচে যাচ্ছে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ
ভারত থেকে আমদানি করা ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ পেঁয়াজ তীব্র তাপদাহে পচে নষ্ট হয়ে যাবার অভিযোগ করেছেন আমদানিকারক ও আড়তদাররা। পেঁয়াজ ভর্তি ট্রাক দীর্ঘদিন সীমান্তে আটকে থাকার কারণে এমনটা হয়েছে বলে তারা দাবি করেন। দিনাজপুরে হিলি স্থল বন্দরের আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সহ-সভাপতি শাহিনুর রেজা বলেছেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিলেও কৃষি মন্ত্রণালয় আমদানির অনুমোদন বা আইপি দিতে ১৫ থেকে ২০ দিনের মত দেরি করে। এই দীর্ঘদিন অপেক্ষায় থাকার কারণে ট্রাকে পড়ে থেকে পেঁয়াজগুলো পচে গেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। মি. রেজা বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী পেঁয়াজ আমদানির কথা বলার পরপরই বন্দরের আমদানিকারকরা ভারতীয় রপ্তানিকারকদের ট্রাকে পেঁয়াজ বোঝাই করতে বলেছিলেন। কিন্তু কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেতে বিলম্বের কারণে এই ট্রাক বোঝাই বস্তাবন্দি পেঁয়াজগুলো বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় ভারতের ভেতরে দীর্ঘ দিন ধরে আটকে পড়ে ছিল।তীব্র গরমের মধ্যে এতো লম্বা সময় ধরে আটকে থাকায় পেঁয়াজের চালানের বড় অংশ পচে নষ্ট হয়ে যায়।আমদানিকারকদের এই দাবি কোন অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়েছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রবিন্দ্রশ্রী বড়ুয়া।তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আমদানির অনুরোধ জানানো মানে এই নয় যে আমদানিকারকরা ট্রাক বোঝাই করতে শুরু করবেন।”কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে আইপি ইস্যু করা হলেই ব্যবসায়ীরা এলসি (ঋণপত্র) খুলতে পারবেন। এরপর ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে। আমদারিকারকরা আমাদের কিছু অবহিত করেনি,” বলেন মি. বড়ুয়া। সূত্র: বিবিসি বাংলা।
শুল্ক আরোপে ২১১ খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে
আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সিমেন্ট, পাথর, টাইলস, লিফট, সিরামিক, গ্লাস, সুইচ-সকেট, কেব্ল, কিচেনওয়্যারসহ আবাসন খাতে ব্যবহার হয় এমন ১২ ধরনের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ফলে আবাসন খাতে খরচ বাড়বে। এতে আবাসন খাতের সঙ্গে জড়িত আরও ২১১ শিল্প খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। আবাসন খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়লে সমগ্র অর্থনীতিতে গতি কমবে বলে মনে করেন আবাসন খাতের ব্যবসায়ীরা। অর্থনীতির বিশ্লেষকরা বলেছেন, আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে নেওয়া পদক্ষেপ বাস্তবায়ন হলে আবাসন খাতে খরচ বাড়বে। যা শেষ পর্যন্ত ক্রেতার ওপর পড়বে। প্লট, ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্টের দাম বাড়বে। উচ্চমূল্যের কারণে ক্রেতা কমবে। এতে আবাসন খাত লোকসানে পড়বে। সূত্র্র: দেশ রুপান্তর।