আজকের দিনের আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর
ভেনেজুয়েলা দিয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসির লাতিন আমেরিকা সফর শুরু
লাতিন আমেরিকা সফরে গেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। বিরল এই কূটনৈতিক সফরের প্রথমে তিনি পা রেখেছেন ভেনেজুয়েলায়। গতকাল সোমবার দেশটির রাজধানী কারাকাসে পৌঁছে রাইসি বলেন, দুই ‘বন্ধু’ দেশের ‘শত্রুও অভিন্ন’।ইরানের প্রেসিডেন্ট তাঁর এ সফরে কিউবা ও নিকারাগুয়া যাবেন। ইরান ও ভেনেজুয়েলার মতো এ দুটি দেশও যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধের আওতায় রয়েছে।এর আগে ২০১৬ সালে ইরানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি কিউবা ও ভেনেজুয়েলা সফর করেছিলেন। আর ২০০৭ সালে নিকারাগুয়া সফর করেছিলেন সেই সময়ের ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ। রাকাসে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোকে পাশে নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমাদের স্বার্থ অভিন্ন, লক্ষ্য অভিন্ন এবং শত্রুও অভিন্ন।’ প্রেসিডেন্ট রাইসি আরও বলেন, ‘ইরান ও ভেনেজুয়েলা সাধারণ কূটনৈতিক নয় বরং কৌশলগত সম্পর্কে আবদ্ধ।’ সূত্র: প্রথম আলো


চার গ্রাম উদ্ধারের দাবি কিয়েভের
রাশিয়ার সেনাদের কাছ থেকে ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় চারটি গ্রাম নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করেছে কিয়েভ। রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শুরু করে কিছু সাফল্য পাওয়ার এক দিন পর রবিবার নতুন এই দাবি করল ইউক্রেন। তবে রাশিয়া দাবি করেছে, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রামে ইউক্রেনের সেনাদের আক্রমণ প্রতিহত করা হয়েছে।এদিকে রাশিয়াকে শক্তি প্রদর্শন করতে গতকাল ইউরোপে নজিরবিহীন বিমান মহড়া চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো।চার গ্রাম উদ্ধারের দাবি কিয়েভেরইউক্রেন বলছে, গত রবিবার তাদের বাহিনী জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের পার্শ্ববর্তী দোনেত্স্ক অঞ্চলের প্রান্তে অবস্থিত ব্লাহোদাতনে, নেস্কুচনে ও মাকারিভকা গ্রাম নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। গতকাল সোমবার স্তরোজেভ নামের চতুর্থ গ্রামটি নিয়ন্ত্রণে নেয় ইউক্রেনীয় বাহিনী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ইউক্রেনের দোনেত্স্ক অঞ্চলের ব্লাহোদাতনে ও নেস্কুচনে এলাকায় জয় উদযাপন করছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। সূত্র: কালের কণ্ঠ
চীন-আরব ব্যবসায়িক সম্মেলন
মধ্যপ্রাচ্যে চীনের বিপুল বিনিয়োগ
আরব দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত হচ্ছে বেইজিংয়ের
চীনের সঙ্গে ১০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ চুক্তি করল আরব বিশ্ব। রোববার রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত চীন-আরব ব্যবসায়িক সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয় সৌদি আরব। চীন ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক ক্রমশ জোরদারের মাঝে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হলো। এ ছাড়া এটি বিবাদে জড়িত মধ্যপ্রাচ্যের শক্তিশালী দেশ ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্প্রতি চীনের মধ্যস্থতায় আঞ্চলিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনেরও ফল। খবর এএফপির। সৌদি আরবের বিনিয়োগ মন্ত্রণালয় জানায়, দু’দিনের এই গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন চীন ও আরব দেশগুলোর সাড়ে ৩ হাজারের বেশি সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যবসায়িক নেতা। এটি দশম চীন-আরব সম্মেলন হলেও প্রথমবারের মতো আয়োজন করছে তেলসমৃদ্ধ সৌদি আরব।মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্মেলনের প্রথম দিন ১০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ চুক্তি সই হয়েছে। এর অধিকাংশই সৌদি আরবের বিভিন্ন খাত ও সরকারি সংস্থার প্রকল্পে ব্যয় করা হবে। এ ছাড়া সৌদি বিনিয়োগ মন্ত্রণালয় এবং বৈদ্যুতিক ও চালকবিহীন গাড়ির চীনা নির্মাতা হিউম্যান হরাইজনসের মধ্যে ৫.৬ বিলিয়ন ডলারের সমঝোতা স্মারক রয়েছে। বিবৃতি অনুসারে, ১০ বিলিয়নের মধ্যে অর্ধেকের বেশি সমঝোতা স্মারক, একটি পৃথক ‘সহযোগিতা চুক্তি’ এবং একটি ‘ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি’ বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে করা হয়েছে। প্রযুক্তি, কৃষি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, আবাসন খাত, প্রাকৃতিক সম্পদ, পর্যটনসহ বিভিন্ন খাতেও চুক্তি করেছে সৌদি আরব। সূত্র: সমকাল
৮৬ বছর বয়সে মারা গেছেন আধুনিক ইতালির রূপকার বারলুসকোনি
ইতালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বারলুসকোনি ৮৬ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। সোমবার (১২ জুন) দেশটির মিলানে সান রাফায়েল হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন কিংবদন্তিতুল্য এ রাজনীতিবিদ। লিউকেমিয়া ও ফুসফুসের সংক্রমণের জন্য বেশ কিছুদিন ধরেই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন বারলুসকোনি। গত শুক্রবার পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। বারলুসকোনির মৃত্যুর সংবাদে টুইটারে শোক প্রকাশ করেছেন ইতালির প্রতিরক্ষামন্ত্রী গুইডো ক্রসেটো। তিনি লেখেন, “বারলুসকোনির মৃত্যু একটি ‘বিশাল শূন্যতা’ তৈরি করেছে। একটি যুগের অবসান ঘটল। বিদায় সিলভিও।” বারলুসকোনি মূলত মধ্য-ডান ফোরজা ইতালিয়া পার্টির নেতা। দক্ষ এ রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী তিন দশক ধরে ইতালীর রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করেছেন। ১৯৯৪ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত তিনদফায় তিনি দেশটির সরকারের নেতৃত্বে ছিলেন। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
পাল্টা হামলায় প্রথম সাফল্যের দাবি ইউক্রেনের
রাশিয়ার বিরুদ্ধে শুরু করা পাল্টা হামলায় প্রথম সাফল্যের দাবি করে কিছু এলাকা পুনরুদ্ধার করার কথা জানিয়েছে ইউক্রেন। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে তাদের সেনারা তিনটি গ্রামে অগ্রগতি অর্জন করে সেগুলো মুক্ত করেছে বলে রবিবার জানিয়েছে তারা। রবিবারের প্রকাশিত ফুটেজে দেখা গেছে, ডনেস্কের ব্লাহোদাতেœ ও নেসকুচনে জয় উদযাপন করছে ইউক্রেনীয় সেনারা। কিন্তু বিষয়টি অস্বীকার করেছে মস্কো। যুদ্ধের আগে ব্লাহোদাতেœ-তে ১ হাজার মানুষ বসবাস করতেন। জায়গাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়া বন্দরনগরী মারিউপোলে প্রবেশের পথ এটি। বিশ্লেষকদের মতে, যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে আগামী কয়েক মাসে শহরটি পুনরুদ্ধার করতে পারে ইউক্রেন। দেশটির টেলিভিশনে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর ‘তাভরিয়া’ সেক্টরের মুখপাত্র ভ্যালেরি শারশেন বলেছেন, ‘পাল্টা আক্রমণের পদক্ষেপের প্রথম ফল দেখতে পাচ্ছি আমরা, স্থানীয় ফলাফল।’ যুদ্ধক্ষেত্রের এসব প্রতিবেদনের সত্যাসত্য রয়টার্স যাচাই করতে পারেনি বলে জানিয়েছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।
এসআইপিআরআই’র প্রতিবেদন
পারমাণবিক অস্ত্র বাড়াচ্ছে পরাশক্তিরা
ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই পারমাণবিক অস্ত্র বাড়াচ্ছে বিশ্বের পরাশক্তিধর দেশগুলো। সবচেয়ে বেশি বাড়াচ্ছে চীন। অস্ত্রাগারগুলোকে আধুনিকীকরণ এবং প্রসারিত করছে। সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই)। আলজাজিরা।থিংক ট্যাংকটি বলছে, ২০২২ সালে চীনের পরমাণু ওয়্যারহেডের সংখ্যা ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের ধারণা, চীনের পরমাণু অস্ত্র ৩৫০ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৪১০-এ দাঁড়িয়েছে। এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চলতি দশকের শেষ নাগাদ বেইজিংয়ের হাতে ‘সম্ভাব্যভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা রাশিয়ার সমান সংখ্যক আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র থাকতে পারে’। সংস্থাটি তাদের রিপোর্টে আরও বলেছে, ২০৩০ সালে যুক্তরাষ্ট্র কিংবা রাশিয়ার যতগুলো ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল (আইসিবিএম) থাকবে, চীনের হাতেও একই সংখ্যক আইসিবিএম থাকবে। থিংক ট্যাংকটির সহযোগী সিনিয়র ফেলো হ্যান্স এম ক্রিস্টেনসেন বলেন, চীন তাদের পরমাণু অস্ত্র উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় বৃদ্ধি করছে। যদিও অতীতে চীন বলেছে, জাতীয় নিরাপত্তা বজায় রাখতে যে সংখ্যক পরমাণু অস্ত্র প্রয়োজন, তারা শুধু তেমন সংখ্যক পরমাণু অস্ত্র রাখবে। সূত্র: যুগান্তর
মামলায় হাজিরা দিতে ফ্লোরিডায় ট্রাম্প, আজ শুনানি
ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে আজ মঙ্গলবার (১৩ জুন)। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, আদালতে হাজিরা দিতে ফ্লোরিডায় গিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আজ স্থানীয় সময় দুপুর ৩টায় শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। শুনানি ঘিরে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। ফৌজদারি মামলায় এ বছরই দ্বিতীয়বারের মতো আদালতের মুখোমুখি হবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ নথি সরানোসহ ৩৭টি অভিযোগে মামলা চলছে তার বিরুদ্ধে। তবে শুরু থেকেই সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন ট্রাম্প। তার দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিচারব্যবস্থাকে হাতিয়ার বানিয়েছে জো বাইডেন প্রশাসন। সূত্র: বণিক বার্তা।
‘এবার ফেরাও মোরে’
শহরের ঝাঁচকচকে দালানকোঠা, রেস্টুরেন্ট, বার, ছিমছাম জীবন-কোনো কিছুই ধরে রাখতে পারেনি তাকে। সাধারণ মানুষ যখন শহরে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে খেয়ে না-খেয়ে প্রতিদিন ইঁদুর দৌড়ে শামিল হচ্ছে, ঠিক সে সময় রবার্ট ব্রেটন (৩৫) কিনা চাকরিবাকরি ছেড়ে দিয়ে সোজা জঙ্গলে গিয়ে আশ্রয় নিলেন।
শুধু কি তাই? ২০২০ সাল থেকে হাওয়াইয়ে গাছের ওপর ঘর বানিয়ে থাকার পাশাপাশি তিনি বৃষ্টির পানি ব্যবহার করে জীবন ধারণ করছেন। সেই সঙ্গে নিজের প্রয়োজনীয় খাবার-দাবার নিজেই উৎপাদন করছেন।
ক্যালিফোর্নিয়ার এই বাসিন্দা একসময় এক সুপার মার্কেটে ক্যাশিয়ারের কাজ করতেন। কিন্তু প্রকৃতি তাকে ডাকত। শহুরে জীবনের একঘেয়েমিতে ক্লান্ত হয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন প্রকৃতির কাছাকাছি থাকার। তাই তো টিকটক থেকে যে অর্থ উপার্জন করতেন, সেই টাকা জমিয়ে হাওয়াইয়ের নির্জন এক স্থানে একটা জমি কিনে ফেলেন। এরপর শুরু তার নতুন জীবন। এখন তিনি টিকটকে তার নতুন জীবনের গল্প আর ছবি পোস্ট করেন। কীভাবে তিনি চাষবাস করে দিন কাটান, তা শেয়ার করেন এক লাখ ফলোয়ারের সঙ্গে। সূত্র: দৈনিক বাংলা।
চীন-আরব সম্পর্কে আরও অগ্রগতি
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দশম চীন-আরব বাণিজ্য সম্মেলন। গত রবিবার থেকে শুরু হওয়া এ সম্মেলনে ইতিমধ্যে কয়েক হাজার কোটি ডলারের অন্তত ৩০টি বিনিয়োগ চুক্তির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। প্রযুক্তি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, কৃষি, আবাসন, খনিজ, পর্যটন, স্বাস্থ্যসেবা খাতে এ চুক্তিগুলো হতে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, সৌদি আরবের জ্বালানিমন্ত্রী বলেছেন, এই সম্মেলনের বাইরেও আরও কয়েকটি চুক্তি হতে পারে, যা দেখে সবারই চোখ কপালে উঠতে পারে। বিশ্লেষকরা বলছেন, আরব বিশ্ব যে যুক্তরাষ্ট্রকে পাশ কাটিয়ে এশিয়াকেন্দ্রিক সম্পর্ক সম্প্রসারণে আগের চেয়ে বেশি মনোযোগ দিয়েছে নতুন চুক্তির ঘোষণা সেটাও প্রমাণ করে। সৌদি আরবসহ পশ্চিম এশিয়ার অনেক দেশ চীনের দিকে ঝুঁকতে থাকায় যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিমা দেশগুলো সমালোচনামুখর হয়েছে ইতিমধ্যে। তবে সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, আমি পশ্চিমা দুনিয়ার সমালোচনা উপেক্ষা করেছি। আমরা যেখানে সুবিধা পাব, যেখানে সুবিধাজনক ডিল পাব, সেখানেই যাব। তিনি বলেছেন, চীনে তেলের চাহিদা অনেক বেড়েছে। তার কিছুটা সৌদি আরব পূরণ করছে। চীন আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, চীন আমাদের সহযোগী দেশ। আমরা সহযোগিতার ভিত্তিতে এগোচ্ছি। সূত্র; দেশ রুপান্তর
ভারতের এক চাল-ভোজী হাতির বাড়ি ফেরার করুণ কাহিনী
এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ভারতের একটি বন্য হাতিকে দুই দুইবার আটক করা হয়েছে, একাধিকবার তার ওপর ঘুম পাড়ানি ওষুধ ব্যবহার করা হয়েছে এবং খাবারের সন্ধানে সে যাতে মানুষের বসতির কাছে না যায় সে জন্য ২৮০ কিলোমিটার দূরের অরণ্যে তাকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। কিন্তু এরপরও সে ফিরে আসতে চাইছে নিজ আবাসভূমে। মালয়ালম ভাষায় হাতিটির নাম আরিকোমবান, যার অর্থ “চালের গজদন্ত।” চাল খাওয়ার জন্য স্থানীয় দোকানগুলিতে সে হানা দিতো বলে তার এই নাম দেয়া হয়েছে। তার জন্য একটি স্থায়ী আবাস খুঁজতে ভারতের বন কর্তৃপক্ষ এখন দৌড়ঝাঁপ করছে। দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালা এবং তামিলনাড়ু থেকে আরিকোমবানকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা হয়েছে। ঐ দুটি রাজ্যে আইনি লড়াই এবং প্রাণী অধিকার নিয়ে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতেও পরিণত হয়েছে এই হাতি। কেরালায় আরিকোমবান হয়ে উঠেছে “অবিচারের মুখে প্রতিরোধের মূর্ত প্রতীক,” বলছেন বন্য প্রাণী অধিকার কর্মী শ্রীদেবী এস. কার্থা। “তাকে ঘিরে ঘটনাগুলি প্রমাণ করেছে যে একটি হাতিকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া কতখানি নৃশংস হতে পারে,” বিবিসিকে বলছিলেন তিনি, “রাজ্যের মানুষের বিবেকবুদ্ধিকেও জাগিয়ে তুলেছে এই হাতি।” সূত্র: বিবিসি বাংলা।