মার্কিন ভিসানীতির কারণে অপমানিত হয়েছে বাংলাদেশ: আইনমন্ত্রী
মার্কিন ভিসানীতি বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, মার্কিন ভিসানীতির কারণে অপমানিত হয়েছে বাংলাদেশ। সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগ করলে আপত্তি নেই, কিন্তু শুধু একটা দলের জন্য ব্যবহার করলে আপত্তি আছে।
রোববার (১১ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত মিট দ্যা রিপোর্টাস অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এই কথা বলেন।


এ সময় তিনি জামায়াতে ইসলামীর বিষয়েও কথা বলেন, তিতিন বলেন, যুদ্ধাপরাধী সংগঠন হিসেবে বিচার না হওয়া পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীকে সরকার নিষিদ্ধ করতে পারে না। জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে বিচার শুরুর জন্য যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ আছে। এ বিষয়ে আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া চলছে। শিগগিরই তা মন্ত্রিসভায় উঠবে।
প্রায় দশ বছর পর গতকাল শনিবার (১০ জুন) জামায়াতে ইসলামী রাজধানীতে সমাবেশের অনুমতি পায়। এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, সমাবেশের অনুমতি দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কেন তারা অনুমতি দিল সেটার উত্তর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেবে।
নির্বাচনকালীন সরকার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, সংসদে প্রতিনিধিত্ব আছে এমন রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে নির্বাচনকালীন ছোট সরকার গঠন করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের কাছে যে অঙ্গীকার করেছিল, সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সে প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে।
অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, তিনি খালেদা জিয়া অসুস্থ, তাই তাকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। যেহেতু তিনি একজন দণ্ডপ্রাপ্ত তাই তার দেশের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আর যদি তিনি সুস্থ হয়ে থাকেন তাহলে তাকে বাকি সাজা খাটতে হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী খালেদা জিয়ার নির্বাচন করার কোন সুযোগ নেই। পাশাপাশি পলাতক তারেক রহমান একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি, তিনিও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সর্বোচ্চ আদালত অসাংবিধানিক ও অবৈধ ঘোষণা করায় সংবিধান থেকে কেয়ারটেকার সরকার বাতিল হয়ে গেছে। এটা আর পুনরুজ্জীবিত হবে না।