‘বিদ্যুৎ বিভ্রাটে পানির উৎপাদন কমেছে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ কোটি লিটার’
প্রতিদিন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে পানির উৎপাদন কমেছে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ কোটি লিটার-বলে জানিয়েছেন, ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিম আহমেদ খান। তিনি বলেন, ঢাকা ওয়াসার ২৪ ঘণ্টার পানি উৎপাদনের সক্ষমতা ২৯৫ কোটি লিটার। চাহিদা ২৬৫ কোটি লিটার। বর্তমানে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে ২৪০ কোটি লিটার পর্যন্ত উৎপাদন করা যাচ্ছে।বাকি পানি উৎপাদন করা যাচ্ছে না। পানির উৎপাদন কমেছে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ কোটি লিটার।
বৃহস্পতিবার (৮জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ওয়াসা ভবনে আয়োজিত ‘তীব্র গরম ও অনাবৃষ্টিতে পানি সরবরাহ চ্যালেঞ্জ’ নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান তিনি।


এ সময় তিনি বলেন, লোডশেডিংয়ের কারণে রাজধানী ঢাকায় ওয়াসার ১০টি মডস জোনের মধ্যে ৫টি জোনেই পানি সরবরাহের সংকট হচ্ছে। পানি সরবরাহে সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখপ্রকাশও করেন তিনি।
পানির ব্যবহার কমিয়ে অপচয় রোধের আহ্বান জানিয়ে ওয়াসার এমডি বলেন, সাধারণত আমরা এই গরমে পানির পাইপের পানি হিট (গরম) থাকার কারণে আমরা সেই পানি ফেলে দিই। আমরা যেই পানিটা ফেলে দিই সেই পানিটা অন্যের জন্য অনেক প্রয়োজনীয় হতে পারে। আবার দিনে দুই থেকে তিনবার গোসল করি এতে প্রচুর পানির অপচয় হয়। তাই পানির অপচয়ে সবাইকে একটু সতর্ক হতে হবে।
ঢাকা ওয়াসার ১০টি জোনের মধ্যে ৪টি জোনে পানির সমস্যা চলছে বলে জানান তিনি। বলেন, আমাদের ১০টি জোনের মধ্যে ৬টিতে পানি সরবরাহ ঠিক আছে। আর বাকি ৪টি জোনে সমস্যা হচ্ছে।
এ সময় রাজধানীর ঢাকা ওয়াসার ১০টি জোনের মধ্যে ৪টি জোনে পানির সমস্যা চলছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, যে সকল এলাকায় পানির সমস্যা হচ্ছে, সেখানে ওয়াসার পানির গাড়ির মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
এ কাজে ঢাকা ওয়াসার ৪৮টি পানির গাড়ি কাজ করছে। ছোট রাস্তার জন্য ১৭টি ট্রলি গাড়ির মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য পানির গাড়িতেও পানি ভরতে সমস্যা হচ্ছে।