ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ২০.৪১ শতাংশ
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব ধরনের মূল্য সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে টাকার অংকে লেনদেনও বেড়েছে। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ২০.৪১ শতাংশ।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।


গত সপ্তাহজুড়ে দেশের শেয়ারবাজারে যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে, বেড়েছে তার থেকে বেশি। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বাজার মূলধন দেড় হাজার কোটি টাকার ওপরে বেড়ে গেছে। একই সঙ্গে বেড়েছে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ।পাশাপাশি বেড়েছে সবকয়টি মূল্যসূচক।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৫ হাজার ৫২১ কোটি ৬৪ লাখ ১০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৪ হাজার ৫৮৫ কোটি ৮৬ লাখ ৬১ হাজার টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে ৯৩৫ কোটি ৭৭ লাখ ৪৮ হাজার ৭৩২ টাকার বা ২০.৪১ শতাংশ লেনদেন বেড়েছে।
ডিএসইতে প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স সপ্তাহের ব্যবধান দশমিক ৪৭ শতাংশ বা ২৯ দশমিক ৮২ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৩৫৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আলোচ্য সপ্তাহে বাজারমূলধনের শীর্ষ৩০ কোম্পানির মূল্যসূচক ডিএস৩০ আগের সপ্তাহের চেয়ে ২ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২০১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
অন্যদিকে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৮.৭৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৬৪ শতাংশ বেড়েছে।
ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৪০২টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১০৮টির, কমেছে ৮১টির। আর ২০৩টির দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনের শেয়ার। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৯৪ কোটি ৬৯ লাখ ৭৮ হাজার টাকা, যা মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা নাভানা ফার্মার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৬৮ কোটি ৯২ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। ১৬২ কোটি ৮৪ লাখ ৩৩ হাজার টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ।
এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ইউনিক হোটেল, বসুন্ধরা পেপার, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, জেমিনি সি ফুড, ইস্টার্ন হাউজিং এবং সি পার্ল বিচ রিসোর্ট।