আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১:০৮ অপরাহ্ণ, মে ২৬, ২০২৩

জাতীয় সংসদ নির্বাচন
ভোটকেন্দ্র নির্ধারণে যুক্ত হচ্ছে পুলিশ ও প্রশাসন

ভোটকেন্দ্র কোথায় কোথায় হবে—এত দিন ধরে তা নির্ধারণ করতেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র নির্ধারণের কাজে ইসির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন প্রশাসন ও পুলিশের কর্মকর্তারা। এ জন্য নতুন করে ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালা তৈরি করেছে ইসি। নতুন এই নীতিমালা নিয়ে ইসির কর্মকর্তাদের অনেকের মধ্যে অসন্তোষ আছে। তাঁরা মনে করছেন, এতে ভোটকেন্দ্র স্থাপনের কাজে কমিশনের কর্মকর্তাদের ক্ষমতা খর্ব হবে। বিশ্লেষকদের কেউ কেউ বলছেন, দেশে সবার অংশগ্রহণে সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ নিয়ে সংশয় রয়েছে। এমন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ভোটকেন্দ্র নির্ধারণের কাজে পুলিশ ও প্রশাসনকে যুক্ত করা হলে মানুষের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হতে পারে।গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র স্থাপন এবং ব্যবস্থাপনা নীতিমালা’ অনুমোদন করা হয়। নতুন নীতিমালায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যাও আগের তুলনায় কমতে পারে। শিগগিরই এই নীতিমালা পরিপত্র আকারে জারি করা হবে। পুলিশ ও প্রশাসনকে ভোটকেন্দ্র নির্ধারণের কাজে যুক্ত করলে এমন জায়গায় কেন্দ্র ঠিক হতে পারে, যাতে বিশেষ বিশেষ প্রার্থীর পক্ষে ফলাফল প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এটি যে বেড়া খেত খায়, তাকেই খেত রক্ষার দায়িত্ব দেওয়ার মতো। সূত্র: প্রথম আলো

মৃত্যু চিন্তায় ৭৭ কোটি টাকা দান, কর ফাঁকির অভিযোগ

মৃত্যুচিন্তা থেকে এবং পরিবারের সদস্যদের কল্যাণের কথা ভেবে গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিজের নামে প্রতিষ্ঠিত ট্রাস্ট ও সেন্টারে ৭৭ কোটি ৩৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকা দান করেছিলেন। এই দানের বিপরীতে ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি তিন কোটি ৬১ লাখ ৭০ হাজার টাকা আয়কর পরিশোধ করেন। কিন্তু জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) তাঁর কাছে মোট ১৬ কোটি আট লাখ ৪০ হাজার ৫৬ টাকা আয়কর দাবি করে। এই দাবির বিরুদ্ধে প্রথমে অ্যাপিলেট যুগ্ম কর কমিশনার এবং পরে ট্যাক্সেস অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালে আপিল করেন ড. ইউনূস।দুই আদালতেই তাঁর আপিল খারিজ হয়।
পরে ২০১৪ সালে ট্যাক্সেস অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে ড. ইউনূস হাইকোর্টে তিনটি আয়কর রেফারেন্স মামলা করেন।গত ২৩ মে বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি রাশেদ জাহাঙ্গীরের দ্বৈত বেঞ্চে এসব রেফারেন্স মামলার শুনানি শেষ হয়। আদালত আগামী ৩১ মে রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করেন। সূত্র; কালের কণ্ঠ

৩ বন্ধুর লাশ উদ্ধার: রোহিঙ্গা নারীর খোঁজে পুলিশ
টেকনাফে অপহৃত হওয়ার ২৬ দিন পর তিন বন্ধুর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় উপজেলার নোয়াখালী পাড়ায় বসবাসকারী রোহিঙ্গা নারী কোহিনুর আক্তারকে খুঁজছে পুলিশ। কোহিনুরের দাওয়াতেই গত ২৮ এপ্রিল কক্সবাজার শহরের উত্তর নুনিয়ারছড়া থেকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের লেঙ্গুর বিল যাওয়ার সময় অপহরণের শিকার হন তিন বন্ধু– জমির হোসেন রুবেল, শেখ ইমরান সরকার ও মোহাম্মদ ইউছুপ। বুধবার রাতে টেকনাফের দমদমিয়া এলাকার গহিন পাহাড় থেকে তিন বন্ধুর মরদেহ উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।পুলিশ ও লেঙ্গুর বিলের স্থানীয়রা জানান, অপহরণের ঘটনার পর থেকে কোহিনুর এবং তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক। কোহিনুরের খোঁজ পাওয়া গেলেই এ অপহরণের কারণ এবং হত্যাকাণ্ডে কারা জড়িত তা বেরিয়ে আসবে। নিহতদের মধ্যে অন্যতম কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফলদণ্ডী ইউনিয়নের উত্তর পাড়ার বাসিন্দা মৃত মোহাম্মদ আলমের ছেলে রুবেল। তাঁর ভাগ্নি রূপা আক্তার অভিযোগ করেন, রুবেল মামা এর আগে তিনটি বিয়ে করেছিলেন, তবে সব বিয়ে ভেঙে যায়। তাই বিয়ের জন্য তিনি নতুন পাত্রী খুঁজছিলেন। এর মধ্যে মামা কোহিনুর নামে এক রোহিঙ্গা নারীর ফাঁদে পড়েন। ওই নারীই কৌশলে মামা ও তাঁর বন্ধুদের টেকনাফ নিয়ে অপহরণকারীদের হাতে তুলে দেয়। সূত্র; সমকাল

মার্কিন নতুন ভিসানীতি : বিশ্লেষকদের অভিমত
প্রভাব পড়বে সবদিকে
পরিবর্তন আসবে প্রশাসন, ইসি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও রাজনৈতিক দলের আচরণে

Nagad

বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি রাজনৈতিক দলসহ সবার জন্য রয়েছে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বার্তা। এর সঙ্গে কূটনীতি, রাজনীতি এবং অর্থনীতিসহ অনেক বিষয় জড়িত। বাংলাদেশকে চাপে ফেলতেই এ ধরনের সিদ্ধান্ত। তবে এটি এককভাবে কোনো দল নয়-দেশের প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলের আচরণেও প্রভাব ফেলবে। তবে সামগ্রিকভাবেই যা দেশের জন্য ইতিবাচক নয়। কারণ নির্বাচন ইস্যুতে এই পদক্ষেপ বিশ্বে বিরল। এছাড়া এই ঘটনা বাণিজ্যিক সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেললে তা সামাল দেওয়ার মতো প্রস্তুতি আমাদের নেই। আর এই পরিস্থিতির জন্য আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যর্থতা দায়ী। যুগান্তরের সঙ্গে আলাপকালে দেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ, সুশীল সমাজ এবং অর্থনীতিবিদরা এসব মন্তব্য করেন। তাদের মতে, বিশ্বের অনেক দেশে গণতন্ত্রের লেশমাত্রও নেই। কিন্তু ওই দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ভালো সম্পর্ক। এছাড়া এবার একতরফা নির্বাচন হয়তো সম্ভব হবে না। কিন্তু কোনো দলের খুব বেশি খুশি হওয়ার কারণ নেই।প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিতের লক্ষ্যে নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই নীতির আওতায় বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িতদের ভিসা দেবে না দেশটি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বুধবার এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দিয়েছেন। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের কয়েকটি ধারায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা, সরকার সমর্থক এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। সূত্র: যুগান্তর

আইবিএ
ষাটের দশকে গড়ে ওঠা পশ্চিমা ধাঁচের এক অগ্রগামী প্রতিষ্ঠান

দেশে আনুষ্ঠানিক একাডেমিক কার্যক্রম হিসেবে ব্যবসা প্রশাসন অধ্যয়নের সূচনা প্রায় ছয় দশক আগে। ১৯৬৬ সালে মার্কিন প্রতিষ্ঠান ফোর্ড ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এবং ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি ব্লুমিংটনের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে তোলা হয় ব্যবসা প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ)।মার্কিন সহযোগিতা ও অংশীদারত্বে গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠানটি শুরু থেকেই পাঠ্যসূচি ও শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে উত্তর আমেরিকান বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আদলে। বর্তমানে দেশের অর্থনীতির বড় একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করছেন আইবিএর প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। বিশেষজ্ঞদের অনেকেই আইবিএকে দেখছেন বাংলাদেশে পশ্চিমা ধাঁচে গড়ে তোলা এক শক্তিশালী ও অগ্রগামী প্রতিষ্ঠান হিসেবে। ব্যবসা পরিচালনা নিয়ে পাশ্চাত্যের একাডেমিক জগতের নিত্যনতুন পরিবর্তনগুলো খুব দ্রুতই আত্তীকরণ হচ্ছে আইবিএর শিক্ষাক্রমে। কঠোর নিয়মানুবর্তিতার মধ্য দিয়ে পাশ্চাত্যের আদলে প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসা পরিচালনা শিখছেন এখানকার শিক্ষার্থীরা। ছড়িয়ে পড়ছেন সরকারি-বেসরকারি ও বহুজাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। বেসরকারি ও বহুজাতিক করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর শীর্ষ নির্বাহীদের বড় একটি অংশ আইবিএর প্রাক্তন শিক্ষার্থী। স্বনামধন্য উদ্যোক্তাদের মধ্যেও অনেকেই পড়াশোনা করেছেন এখানে। এমনকি সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যেও কেউ কেউ আছেন আইবিএর প্রাক্তন শিক্ষার্থী। শীর্ষ পর্যায়ের কূটনীতিক থেকে শুরু করে আর্থিক খাতের নীতিনির্ধারকদের অনেকেই এখানকার শিক্ষার্থী ছিলেন। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম আইবিএর প্রাক্তন শিক্ষার্থী। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার পড়াশোনা করেছেন আইবিএ থেকে। দেশের জ্বালানি খাতের জায়ান্ট ও অন্যতম শীর্ষ কনগ্লোমারেট সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খানও এখানকার শিক্ষার্থী ছিলেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চেয়ারম্যান এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের সিইও নাজমুল হক পাপন এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন আইবিএ থেকে। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাংলাদেশের বর্তমান সিইও নাসের এজাজ বিজয় পড়াশোনা করেছেন আইবিএ থেকে। তার পূর্বসূরি আবরার এ আনোয়ার এখন স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক মালয়েশিয়ার শীর্ষ নির্বাহীর পদে নিয়োজিত রয়েছেন। তিনিও আইবিএর প্রাক্তন শিক্ষার্থী। সূত্র; বণিক বার্তা।

বকেয়া ভর্তুকির পাহাড়; জ্বালানি, কৃষির ভবিষ্যৎ মেঘে ঢাকা

চলতি অর্থবছরে বিদ্যুৎ খাতে বকেয়া ভর্তুকি পদ্মা সেতু ও কর্ণফুলী টানেলের মিলিত নির্মাণ ব্যয়ের প্রায় সমান। আর সার ও বিদ্যুৎ খাতে সম্মিলিত বকেয়া ভর্তুকি দুটি পদ্মা সেতু নির্মাণ ব্যয়ের প্রায় সমান। কৃষি ও বিদ্যুৎ খাতে বকেয়া ভর্তুকির এক অন্তহীন চক্রে আটকা পড়েছে সরকার। কারণ এ দুই খাতে চলতি অর্থবছরের জন্য বরাদ্দ ভর্তুকি দিয়ে আগের অর্থবছরের বকেয়া বরাদ্দ ভর্তুকি নিষ্পত্তি করতে হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে বিদ্যুৎ খাতে বকেয়া ভর্তুকি পদ্মা সেতু ও কর্ণফুলী টানেলের মিলিত নির্মাণ ব্যয়ের প্রায় সমান। আর সার ও বিদ্যুৎ খাতে সম্মিলিত বকেয়া ভর্তুকি দুটি পদ্মা সেতু নির্মাণ ব্যয়ের প্রায় সমান।অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কয়েক দফা দাম বাড়ানোর পরও সার ও বিদ্যুতের ভর্তুকি মেটাতে চলতি অর্থবছরের বাজেটে বরাদ্দ করা টাকার পুরোটা চলে যাচ্ছে গত অর্থবছরের বকেয়া ভর্তুকির দায় মেটাতে। ফলে চলতি অর্থবছরে এ দুটি খাতে সৃষ্ট প্রায় ৮৬ হাজার কোটি টাকার ভর্তুকির প্রায় ৭২ শতাংশই বকেয়া রয়ে যাচ্ছে, যার পুরোটা আগামী অর্থবছরের বাজেটের বরাদ্দ দিয়েও সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসায় তিন দল
♦ সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের অঙ্গীকার তুলে ধরল আওয়ামী লীগ ♦ যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি ও জাতীয় পার্টি ♦ গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে সহায়তা করতে এ নীতি : হাস

আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করতে বাধা দিলে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার ঘোষণার পরদিন গতকাল মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বাসায় বৈঠক করেছে দেশের বড় তিন রাজনৈতিক দল। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ, বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির নেতারা গতকাল দুপুরে রাষ্ট্রদূতের বাসায় এ বৈঠক করেন। বৈঠকে নতুন ভিসানীতি নিয়ে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের জানান রাষ্ট্রদূত। দলগুলোর পক্ষ থেকে তাদের অবস্থান রাষ্ট্রদূতকে জানান অংশ নেওয়া নেতারা। এর মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের অঙ্গীকার তুলে ধরেছে আওয়ামী লীগ এবং যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি ও জাতীয় পার্টি। দুপুর পৌনে ১২টায় শুরু হওয়া বৈঠক দুই ঘণ্টার বেশি স্থায়ী হয়। ২টার দিকে একে একে রাষ্ট্রদূতের বাসা থেকে বেরিয়ে আসেন রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা। তিন দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের তথ্য জানিয়ে মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে দেওয়া বার্তায় বলা হয়, আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে এমন ব্যক্তিদের ভিসা সীমিত করার এ নতুন ভিসানীতি সবার জন্যই প্রযোজ্য। বৈঠকে আওয়ামী লীগের পক্ষে ছিলেন দলটির তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ ও কেন্দ্রীয় সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত; বিএনপির পক্ষে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ; জাতীয় পার্টির পক্ষে ছিলেন মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু ও প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর (অব.) রানা মো. সোহেল। বৈঠক থেকে বেরিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত যান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

সব বিভাগে বজ্রবৃষ্টির আভাস

দেশের সব বিভাগেই বজ্রবৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ কথা জানায় রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সংস্থাটি জানায়, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ও কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া গত বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল খুলনায় ৩৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের ৪৪ মিলিমিটার। এদিকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টির আভাস দিয়ে দেশের ১৯ অঞ্চলের নদীবন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

হজ, ওমরাহ পালনে গিয়ে নিখোঁজ হওয়াসহ যেসব সমস্যায় পড়েন হাজিরা 

সৌদি আরবে ওমরাহ পালন করতে গিয়ে গত ১০ইমে মক্কার মসজিদ আল হারাম থেকে হারিয়ে যান ৫৭-বছর বয়সী জাহানারা বেগম। মেয়ের সাথে নামাজ পড়তে গিয়ে ভীড়ের মধ্যে দলছুট হয়ে যান ফেনীর চাডিপুর এলাকার এই বাসিন্দা। টানা তিন দিন মসজিদ প্রাঙ্গণ, হজ ক্যাম্পে ব্যাপক খোঁজাখুজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকেই তিনি উদ্ধার হন। সৌদি আরবে অবস্থানরত নিখোঁজের জামাতার ফেসবুক মেসেঞ্জারে একটি অপরিচিত আইডি থেকে কল আসে। সেখানে জাহানারা বেগমের খোঁজ জানানো হয়। নিখোঁজের আরেক জামাতা মোহাম্মদ হারুণ বিবিসি বাংলাকে বলেন, হারিয়ে যাওয়ার সময় তার সাথে মোবাইল, পরিচয়পত্র কিছুই ছিল না। কারও ফোন নম্বরও মুখস্ত রাখেননি।জাহানারা বেগম মসজিদের ভেতরে দায়িত্বরত বাংলাদেশি কর্মীদের সাহায্য নিয়ে মেয়েকে খোঁজার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু এতো বড় প্রাঙ্গণে কারও খোঁজ করা অনেকটা খড়ের গাদায় সুঁই খোঁজার মতো।পরে বাংলাদেশি এক ব্যক্তি তার মেয়ের জামাইয়ের নাম ফেসবুকে সার্চ দিয়ে খোঁজ বের করে। জাহানারা বেগমের হারিয়ে যাওয়ার এই বিজ্ঞপ্তি ফেসবুকের কয়েকটি গ্রুপে দেখা গিয়েছে। প্রতিনিয়ত এ ধরণের অসংখ্য নিখোঁজ সংবাদ পোস্ট হতে দেখা যায়। সূত্র: বিবিসি বাংলা।