আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:১৬ অপরাহ্ণ, মে ২৩, ২০২৩

দেশের অর্ধেক রেললাইন ঝুঁকিতে
দেশের ৪৩ জেলার ৩৯টিতেই রেললাইনে সমস্যা। রেলের মান নষ্ট হওয়া, লাইনে পর্যাপ্ত পাথর না থাকা, মাটি সরে যাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে দেশের প্রায় অর্ধেক রেললাইন ঝুঁকিতে। সম্প্রতি রেলপথ মন্ত্রণালয়ের করা এক সমীক্ষায় এই চিত্র উঠে এসেছে।
গত ২৭ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দাড়িয়াপুর এলাকায় মালবাহী ট্রেনের সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে লাইন ৫০০ মিটার বেঁকে যায়। ২৮ এপ্রিল সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মালবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়। ২৯ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবারও রেললাইন বেঁকে যায়।এতে মেরামতের আগ পর্যন্ত ওই দিন ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মূলত রেললাইনে সমস্যার কারণে বেশি দুর্ঘটনা হয়। সঙ্গে অনেক সময় সাংকেতিক জটিলতা এবং মানুষের ভুলও দায়ী। দেশের বেশির ভাগ রেললাইনের অবস্থাই ভালো নয়। সূত্র: কালের কণ্ঠ

সরকারি চাকুরেদের বেতন বাড়তে পারে ৮-১০ শতাংশ
জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় মূল্যস্ফীতির চাপ সামাল দিতে সরকারি চাকরিজীবীদের ইনক্রিমেন্ট বা বেতন বৃদ্ধির হার বাড়ানো হতে পারে। বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৮ থেকে ১০ শতাংশ করা হতে পারে। এ বিষয়ে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট বক্তব্য অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ঘোষণা দিতে পারেন। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে ইনক্রিমেন্টের হার বাড়ানোর বিষয়ে অর্থ বিভাগ কাজ শুরু করেছে। বর্তমানে বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট মূল বেতনের ৫ শতাংশ। তবে পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। অন্যদিকে গড় মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের কিছুটা কম। মূল্যস্ফীতির এ চাপ বিবেচনা নিয়ে ইনক্রিমেন্টের হার বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার। সূত্র জানায়, বাজেট বক্তব্যে মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বর্তমান মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করা হবে– এমন ঘোষণা থাকবে। তবে কোন প্রক্রিয়ায় এবং কী হারে বেতন বাড়বে, তা নির্ধারণের কাজ শুরু হবে জুনে বাজেট ঘোষণার পর। পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আগস্ট-সেপ্টেম্বরে গেজেট জারি হতে পারে। তবে যখনই বেতন বৃদ্ধির গেজেট জারি হোক না কেন, তা জুলাই মাস থেকেই কার্যকর হবে। সূত্র: সমকাল

ডিসির সইয়ের অপেক্ষা
মন্ত্রীর পরিবারের পকেটে ঢুকবে শতকোটি টাকা
বেশি মূল্যে অধিগ্রহণের টাকা ধরার ফাঁদ * ইডিসিএল প্রকল্পের প্রস্তাবিত জমি নামে বেনামে কেনেন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আত্মীয়স্বজন * জমির শ্রেণি পরিবর্তন কারসাজিতে ডিও দেন মন্ত্রী, দাম বাড়ছে কয়েক গুণ

বেশি মূল্যে জমি অধিগ্রহণের অর্থ হাতিয়ে নিতে সব ধরনের কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়েছে একজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর পরিবার।নিজ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণ প্রস্তাব চূড়ান্ত হওয়ার পর প্রথমে তিনি প্রস্তাবিত প্রকল্প এলাকার জমি পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনের নামে কেনার ব্যবস্থা করেন।এ কাজে ব্যবহার করা হয় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও দলীয় ক্যাডারদের। দাম বাড়াতে নাল শ্রেণির জমি মাটি ভরাট করে উঁচু করা হয়।এরপর কাগজ-কলমে শ্রেণি পরিবর্তন করতে তিনি ডিও লেটার দেন আইন মন্ত্রণালয়ে। অতঃপর রাতারাতি নাল শ্রেণির জমি কাগজ-কলমে হয়ে যায় ভিটি শ্রেণি। এদিকে সবকিছু যখন ঠিকঠাক তখন প্রতারণামূলক এ উদ্যোগে বাগড়া দেন সাহসী জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ।তিনি বুঝতে পারেন এভাবে অধিগ্রহণের দর প্রস্তাবের নথিতে সই করলে সরকারের প্রায় একশ কোটি টাকার ক্ষতি হবে। সূত্র: যুগান্তর

জ্বালানি আমদানিতে ৫ শতাংশ আগাম কর প্রত্যাহার করবে সরকার

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো জানিয়েছে, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে আগামী বাজেটে ১৩ ধরনের তেল ও পেট্রোলিয়াম পণ্যের ওপর বিদ্যমান ৫ শতাংশ আগাম কর প্রত্যাহারের পরিকল্পনা করছে সরকার। এই কর প্রত্যাহারের ফলে অপরিশোধিত তেল, ডিজেল, জেট ফুয়েল, কেরোসিন ও বেস অয়েলসহ জ্বালানি পণ্যের দাম কমবে বলে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে নিশ্চিত করেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। বর্তমানে প্রধান প্রধান জ্বালানি তেল যেমন ফার্নেস অয়েল, জেট ফুয়েল ডিজেল এবং অকটেনের মূল্যের মধ্যে ৩৪ শতাংশ সরকারি কর ও শুল্ক আছে। এরমধ্যে কাস্টমস শুল্ক ১০ শতাংশ, ভ্যাট ১৫ শতাংশ, অগ্রিম আয়কর ২ শতাংশ, আগাম কর ৫ শতাংশ। আগাম কর উঠে গেলে সার্বিক কর হার ২৯ শতাংশে নেমে আসবে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট আগামী ১ জুন জাতীয় সংসদে উত্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বর্তমানে মূল্যস্ফীতির হার ৯ শতাংশের বেশি হলেও, বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৬ শতাংশ। সূত্র; বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

Nagad

উন্নয়ন প্রকল্পে আরো আট এলাকায় গাছ কাটবে ডিএসসিসি
নগরীর সৌন্দর্য বাড়াতে একটি উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এর আওতায় ধানমন্ডির সাতমসজিদ সড়কে বিভাজক ভেঙে নতুন করে নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। কেটে ফেলা হয় সড়ক বিভাজকে থাকা ৫৬৩টি গাছ। এ নিয়ে চলতি মাসের শুরু থেকেই আন্দোলনে নেমেছেন ধানমন্ডিবাসী ও পরিবেশ আন্দোলনকর্মীরা। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ডিএসসিসি সূত্রে জানা গেছে, উন্নয়ন প্রকল্পের প্রয়োজনে অন্তত আরো আট এলাকায় কাটা পড়বে ছোট-বড় নানা প্রজাতির গাছ। যদিও সেখানে নতুন করে গাছ লাগানোর আশ্বাস দিয়েছে সংস্থাটি। জানা গেছে, বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে ডিএসসিসি। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা সিটি নেইবারহুড আপগ্রেডিং প্রজেক্টের (ডিসিএনইউপি) অধীনে সদরঘাটের লালকুঠি, নারিন্দা, খিলগাঁও ও ধোলাইখাল এলাকায় উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলমান। প্রকল্পটির মাধ্যমে দুটি খেলার মাঠ, দুটি কমিউনিটি সেন্টার ও একটি পুকুর আধুনিকায়নে কাজ করা হচ্ছে, যেখানে নির্মাণ হবে বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো। এজন্য ওইসব এলাকায় থাকা বড় অনেক গাছ কাটা পড়বে বলে জানিয়েছে ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ। ডিএসসিসির ৮৯৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে আরেকটি প্রকল্পের মাধ্যমে কালুনগর, জিরানী, মান্দা ও শ্যামপুর খাল উন্নয়নের কাজও এগোচ্ছে। খালগুলোর মোট দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার। এর মধ্যে কালুনগর খাল ২ দশমিক ৪ কিলোমিটার, জিরানী খাল ৩ দশমিক ৯, মান্দা খাল ৮ দশমিক ৭ ও শ্যামপুর খাল ৪ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার। প্রকল্পের আওতায় ৩৮ দশমিক শূন্য ৬ কিলোমিটার সীমানাপ্রাচীর, ৩৬টি পথচারী সেতু, যানবাহন চলাচলের জন্য ১৯টি সেতু, ১০টি পাবলিক টয়লেট, ৩২ দশমিক ৪৪ কিলোমিটার হাঁটার পথ, চারটি প্লাজা, সাইকেল লেন ও ৭৭১টি লাইট স্থাপন করা হবে। চার খালের এ সংস্কারকাজ করতে গিয়েও আশপাশের গাছ কাটতে হবে। সূত্র: বণিক বার্তা ।

রাজনৈতিক দলের কূটনৈতিক তৎপরতা
চীন গেছে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল যাবে ভারতেও, বিদেশি দূতাবাস ও বিভিন্ন দেশে সক্রিয় বিএনপিও

জোরের সঙ্গে চলছে রাজনৈতিক দলগুলোর কূটনৈতিক তৎপরতা। সরকারি দল আওয়ামী লীগ করতে যাচ্ছে সফর বিনিময়। এরই মধ্যে চীন সফরে আছে আওয়ামী লীগের একটি দল। খুব শিগগিরই ভারত সফরে যাবেন আওয়ামী লীগের আরেকটি প্রতিনিধি দলের নেতারা। বিপরীতে বিভিন্ন দূতাবাস ও দেশে সক্রিয় রয়েছে দীর্ঘ সময় ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। দলটির পক্ষ থেকে বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে আলোচনা বৈঠক চলছে হরহামেশাই। জানা গেছে, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে রবিবার দিবাগত রাতে বেইজিং গেছে আওয়ামী লীগের ১৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। চীন সফরে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহম্মদ ফারুক খান। আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করাসহ চীনের সহায়তার প্রশ্ন গুরুত্ব পাবে তাঁদের প্রতিনিধি দলের এই চীন সফরে। এ ছাড়া রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। দলটির নেতারা বলছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে তাঁদের দলের পক্ষ থেকে ভারত ও চীন সফরকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। চীনে যাওয়া প্রতিনিধি দলে রয়েছেন- আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, উপ-দফতর বিষয়ক সম্পাদক সায়েম খান, সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, কেন্দ্রের কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট সুফরা বেগম রুমি, গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা, পারভীন জামান কল্পনা, আনোয়ার হোসেন, শাহাবুদ্দিন ফরাজী, আজিজুস সামাদ আজাদ ডন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য তরুণ কান্তি দাস ও এ কে ফাইজুল হক রাজু। অন্যদিকে, খুব শিগগিরই ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) আমন্ত্রণে ভারত সফরে যাবে আওয়ামী লীগের আরেকটি দল। আর ভারতে প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে দেবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। গতকাল কাতার সফরে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরলেই ভারত সফরের প্রতিনিধি দলের নামের তালিকা চূড়ান্ত হবে। এটিকে ‘পার্টি টু পার্টি’ সফর বলা হচ্ছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

‘যুক্তরাষ্ট্র বলে কয়ে কিছু করে না’

যুক্তরাষ্ট্র বলে কয়ে কিছু করে না – পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেনের এই মন্তব্যকে শিরোনাম করেছে দৈনিক কালের কণ্ঠ। বাংলাদেশের ওপর আরো মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে সোমবার এই মন্তব্য করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।খবরে বলা হচ্ছে, একটি দৈনিক পত্রিকায় যুক্তরাষ্ট্রের আরো নিষেধাজ্ঞা দেয়ার সম্ভাবনা নিয়ে যে খবর প্রকাশ করা হয়েছে, সংবাদ সম্মেলনে সেটিকে ‘ডাহা মিথ্যা কথা’ হিসেবে উড়িয়ে দিয়েছেন মি. মোমেন।যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আরো নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে কিনা, তা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যকে ঘিরে খবর প্রকাশ করেছে প্রথম আলো। খবরটির শিরোনাম, আমেরিকার শুভবুদ্ধির উদয় হবে, আশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। ররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য উদ্ধৃত করে এই খবরে বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে থাকা তাদের নাগরিকদের সতর্কতার সাথে চলাফেরা করতে বলাটা ‘অদ্ভূত’ এবং নির্বাচনের আগে এমন সতর্কতা দেয়া দু:খজনক। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

গাজীপুর সিটি নির্বাচন: ভোটকেন্দ্রের তথ্য বিনিময় হবে ‘হোয়াটসঅ্যাপে’

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রের তথ্য এবার মেসেজিং অ্যাপ ‘হোয়াটসঅ্যাপে’র মাধ্যমে বিনিময় করা হবে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করতে এবার ‘হোয়াটসঅ্যাপ’ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে রিটার্নিং অফিস থেকে নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন নির্দেশনা ও নোটিশসহ যাবতীয় তথ্য এবং কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের বিভিন্ন তথ্য বিনিময় করা হবে।কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারদের মধ্যে যাদের মোবাইল ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ নেই, তাদের অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিতে বলা হয়েছে এবং রিটার্নিং কার্যালয়ের মোবাইল ফোন নম্বরে থাকা হোয়াটসঅ্যাপের সঙ্গে নিজেদের নম্বর যুক্ত করে নিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য তাদের মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ সবসময় সচল রাখার অনুরোধ করা হয়েছে। যাতে তাদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ রক্ষা করা যায়। সূত্র: বিডি নিউজ

পাহাড় কেটে সরকারি প্রকল্প

পাহাড় কাটার সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছর কারাদন্ড। দেশের পরিবেশ আইনে এ কথা বলা আছে। বাস্তবে শাস্তি সর্বনিম্ন জরিমানাতে সীমাবদ্ধ। পাহাড় কেটে আবাসন বা বিভিন্ন স্থাপনা তৈরির জন্য কিছু সাধারণ মানুষ জরিমানা গুনেছে। পাহাড় কাটা নিষিদ্ধ। বিষয়টা শুধু নথিতেই আছে। বাস্তবে সরকারিই উদ্যোগী হয়েছে পাহাড় কাটতে। পাহাড় কেটে আবাসিক প্লট তৈরির প্রকল্প নিয়েছে সরকার। সরকার নিজেই যখন আইন ভাঙছে, তখন কার কী বলার আছে!দীর্ঘদিন পরিবেশ অধিদপ্তর প্রকল্পের ছাড়পত্র দেয়নি। সম্প্রতি ‘বিশেষ ইশারায়’ কৌশলী ছাড়পত্র দিয়েছে। পরিবেশবাদীরা বলছেন, পাহাড় কেটে এমন প্রকল্প হলে ইকোসিস্টেম ধ্বংস হবে। তবে উদ্যোগী মন্ত্রণালয় বলছে, পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন নিয়েই তারা প্রকল্প বাস্তবায়নে মনোযোগী হয়েছে। চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার পাহাড়ি এলাকায় এ আবাসন প্রকল্প নিয়েছে সরকার। জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের অধীনে বাস্তবায়নাধীন ‘চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় সাইট অ্যান্ড সার্ভিসেস আবাসিক প্লট উন্নয়ন প্রকল্প’ প্রকল্পটি অনুমোদিত হয় ২০২০ সালের মার্চে। সূত্র: দেশ রুপান্তর।

রাইড শেয়ারিং: চালকদের পোশাকের আওতায় আনতে চায় বিআরটিএ

বিশ্বের বহু দেশে ইন্টারনেটভিত্তিক সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে রাইড শেয়ারিং সেবায় যুক্ত থেকে অনেক ব্যক্তিগত মোটরযান ভাড়ায় যাত্রী বহনের কাজে নিয়োজিত আছে। অ্যাপসভিত্তিক এই সেবা বাংলাদেশে এসেছে ২০১৬ সালের শেষ দিকে। তবে সে সময় কোনো নীতিমালার আওতায় ছিল না এই সেবা। রাইড শেয়ারিং নীতিমালা করার পর ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে সরকারের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক বৈধতা পায় রাইড শেয়ারিং। বর্তমানে ১৫টি প্রতিষ্ঠান এর সঙ্গে যুক্ত আছে।সাম্প্রতিক সময়ে এই সেবা নিয়ে নতুন করে ভাবছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। অবৈধ রাইড শেয়ারিং বন্ধ করতে চালকদের ইউনিফর্মের (পোশাক) আওতায় আনতে চায় বিআরটিএ। তবে প্রথম দফায় চালকদের একই ধরনের হেলমেট ব্যবহার করানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত বছরের অক্টোবরে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির একটি বৈঠকে অবৈধ রাইড শেয়ারিং বন্ধে চালকদের নির্ধারিত পোশাকের ব্যবস্থা চালুসহ কয়েক দফা সুপারিশ করা হয়। সে সময় কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, অবৈধ রাইড শেয়ারিং বন্ধ হলে ঢাকা শহরের যানজট অনেকটা নিরসন হবে। সূত্র: দৈনিক বাংলা।