কলকাতার জেলে পিকে হালদারের ওপর হামলা
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জেলে বন্দি প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারের ওপর হামলা হয়েছে বলে আদালতে একটি পিটিশন জমা পড়েছে। এছাড়া পিকে হালদারসহ তার ৬ সহযোগীকে আগামী ০৭ জুলাই আবরও আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী বিশ্বজিৎ মান্না।
মঙ্গলবার (১৬ মে) কলকাতার নগর দায়রা আদালতের সিবিআই স্পেশাল কক্ষ-৩-এর বিচারক শুভেন্দু সাহার এজলাশে তোলা হলে বিচারক এই আদেশ দেন।


আদালতে পিকে হালদারের আইনজীবী বলেন, জেল হেফাজতে থাকাকালীন পিকে হালদারের ওপর হামলা করা হচ্ছে। ফলে তার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এর আগে গত ২৮ মার্চ তাদের সবশেষ আদালতে তোলা হয়েছিল।
আদালতে হালদারের আইনজীবী মান্না বলেন, চলতি বছর ১৮ এপ্রিলের পর ২২ এপ্রিল দ্বিতীয়বার পিকে হালদারের ওপর হামলা করা হয়েছে। তাতে তার রক্তপাত হয়েছে। যদিও জেল কর্তৃপক্ষ এই মুহূর্তে হামলাকারী এবং পিকে হালদারকে আলাদা সেলে রেখেছে। তবে কেন এই হামলা তা নিয়ে জেল কর্তৃপক্ষ তদন্ত চালাচ্ছে বলে আদালতে জানিয়েছেন পিকে হালদারের আইনজীবী।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে, হামলাকারীর নাম হাফিজুল মোল্লা। গত বছরের ৫ জুলাই তাকে গ্রেপ্তার করেছিল কালীঘাট থানা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে আচমকা ঢুকে পড়ায় হাফিজুল মোল্লাকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। বর্তমানে প্রেসিডেন্সি কারাগারে তাকে রাখা হয়েছে। সেই হাফিজুল পিকে হালদারকে একাধিকবার হামরা করেছেন। হামলায় রক্তপাত হয় এবং পিকে হালদরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
মঙ্গলবার বিচারক পিকে হালদারকে সরাসরি জিজ্ঞেস করেন, আপনি ঠিক আছেন তো? আপনাকে কি আলাদা সেলে রাখা হয়েছে? পিকে মাথা নাড়িয়ে ‘হ্যাঁ’-সূচক উত্তর দেন। এর পরই আদালত পরবর্তী শুনানির তারিখ আগামী ০৭ জুন ধার্য করেন।
বাংলাদেশ থেকে কোটি-কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারসহ তার ৬ সহযোগীকে গত ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪পরগনার অশোকনগর থেকে গ্রেপ্তার করে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এরপর থেকে ভারতেই জেলে বন্দি রয়েছেন তারা।
পিকে হালদার ও তার পাঁচ পুরুষ সহযোগীকে রাখা হয়েছে কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে এবং তার নারী সহযোগী আমিনা সুলতানা রয়েছেন কলকাতার আলিপুর সংশোধনাগারে।
সারাদিন/১৬ মে/এমবি