আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৩৮ পূর্বাহ্ণ, মে ১৪, ২০২৩

৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি জানুয়ারিতে, বয়সে ছাড় পাবেন প্রার্থীরা

আগামী বছরের শুরুতেই একটি নতুন বিসিএস শুরুর কথা জানিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এটি হবে ৪৬তম সাধারণ বিসিএস। এ বিসিএসে আবেদনের ক্ষেত্রে চাকরিপ্রার্থীদের বয়স বিবেচনার কথাও জানিয়েছে পিএসসি। জানুয়ারিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলেও বয়স হিসাব করা হবে নভেম্বর থেকে। অর্থাৎ, যাঁদের বয়স নভেম্বর মাসে শেষ হবে, তাঁরাও ৪৬তম বিসিএসে আবেদন করতে পারবেন। বয়সের ক্ষেত্রে দুই মাস ছাড় পাবেন আবেদনকারীরা। এ বিষয়ে পিএসসি জানিয়েছে, যেহেতু পিএসসি আগেই ঘোষণা করেছিল, নভেম্বর মাসে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে, তাই নভেম্বর মাস ধরেই তাঁরা ৪৬তম বিসিএসের হিসাব করছেন। ফলে জানুয়ারিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও প্রার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে পিএসসি নভেম্বর থেকে বয়স হিসাব করবে। অর্থাৎ, নভেম্বরে যাঁদের বয়স ৩০ বছর হবে, জানুয়ারি মাসে গিয়েও তাঁরা আবেদন করতে পারবেন।পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবছরের নভেম্বরে একটি করে নতুন বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের যে ধারাবাহিকতা, সেটি থেকে সরে এসেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এখন থেকে বছরের প্রথম দিনে নতুন বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া এক বছরেই প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভা শেষ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পিএসসির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, ‘নভেম্বরে যে নতুন বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কথা ছিল, সেটি জানুয়ারিতে করা হবে। জানুয়ারিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও বয়স হিসাব করা হবে নভেম্বর থেকে। ফলে আবেদনকারীরা বয়সের হিসাব নিয়ে ঝামেলায় পড়বেন না। এক বছরে একটি বিসিএস শেষ করার জন্যই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি শুরুর দিন থেকেই প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার তারিখ নির্ধারণ করার চেষ্টা করবে পিএসসি। এটি অনুসরণ করা গেলে এক বছরে বিসিএস শেষ করা যেতে পারে।’ সূত্র: প্রথম আলো

কক্সবাজারে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত
উপকূলে উৎকণ্ঠা, যেকোনো সময় আঘাত

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা ক্রমেই এগিয়ে আসছে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে। আজ রবিবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যার মধ্যে যেকোনো সময় কক্সবাজার ও মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে এটি। কক্সবাজার এবং এর আশপাশের দ্বীপ ও চরগুলোকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং এর আশপাশের দ্বীপ ও চর স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে আট থেকে ১২ ফুট জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। উপকূলীয় আরো ১০ জেলা স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পাঁচ থেকে ১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। এই ১০ জেলাসহ চট্টগ্রাম জেলায় ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। গতকাল শনিবার মধ্যরাত নাগাদ চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে বলে জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর। উপকূলে উৎকণ্ঠা, যেকোনো সময় আঘাতএদিকে মোখা মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমরা ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রগুলোকে প্রস্তুত রেখেছি এবং ঝড়টি মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি।’ ঘূর্ণিঝড়ের সময় পানি জমে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সুতরাং সেই সময়ে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হবে। এতে সাময়িক দুর্ভোগ সৃষ্টি হলেও মানুষের জীবন রক্ষা পাবে।’ সূত্র: কালের কণ্ঠ

প্রাকৃতিক দুর্যোগে ব্যাহত এলএনজির ভাসমান সরবরাহ ব্যবস্থা

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে ১২ মে রাত থেকে বন্ধ রয়েছে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সাগরে ভাসমান দুটি এলএনজি টার্মিনাল (এফএসআরইউ) সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এলএনজি সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটায় গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোয় উৎপাদন কমেছে। লোডশেডিং হচ্ছে ঘন ঘন। গ্যাসের পর্যাপ্ত চাপ নেই শিল্প-কারখানায়। আবাসিকে গ্যাসের সংকট তীব্র। সিএনজি স্টেশনগুলোয়ও ছিল গ্যাস নিতে আসা যানবাহনের ভিড়। পরিস্থিতি বিবেচনা করে টার্মিনাল দুটি পুনঃস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদও গতকাল তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে লিখেছেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে মহেশখালীর দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে স্বাভাবিকভাবেই বেশ কয়েকটি গ্যাসচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন আংশিক চালু বা বন্ধ থাকছে। ফলে ঢাকাসহ দেশের অনেক জায়গায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। অনাকাঙ্ক্ষিত এ অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া কেটে যাওয়া মাত্রই ভাসমান টার্মিনালগুলো পুনরায় স্থাপন করে গ্যাস সরবরাহ এবং গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো পূর্ণ সক্ষমতায় চালু করা হবে।’ সূত্র: বণিক বার্তা।

Nagad

খুচরা মূল্যের ব্যবধান দূর করে সিগারেট থেকে আরও ৫,০০০ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের পরিকল্পনা

অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেছেন, সিগারেটের প্যাকেটে মুদ্রিত দামের চেয়ে ক্রেতাদের থেকে বেশি দাম নেন বিক্রেতারা। এই পার্থক্য দূর করতে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণের পরিকল্পনা করছে সরকার। এতে রাজস্ব আহরণও বাড়বে। বর্তমানে খুচরা মূল্য প্যাকেটের গায়ে ছাপা থাকলেও, ক্রেতাদের ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি দাম দিতে হয়। অথচ প্যাকেটে উল্লেখিত দরেই কর হিসাব করা হচ্ছে। এতে বড় অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। যেমন (বেনসন বা মার্লবোরোর মতো) প্রিমিয়াম মানের সিগারেটের দশ শলাকার প্যাকেটের নির্ধারিত খুচরা মূল্য ১৪২ টাকা; অর্থাৎ প্রতি শলাকার দাম ১৪ টাকা ২০ পয়সা। অথচ, বিক্রেতারা প্রতি শলাকা খুচরা বিক্রিতে ১৬ টাকা করে নিচ্ছেন, সে অনুসারে এক প্যাকেটের দাম নিচ্ছেন ১৬০ টাকা। ফলে প্যাকেটপ্রতি অতিরিক্ত এ ১৮ টাকার কর-বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।একইভাবে, বিক্রি বেশি এমন সিগারেটের (গোল্ডলিফ) প্রতি শলাকা বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকায়, যদিও নির্ধারিত খুচরা মূল্য হলো ১১ টাকা ১০ পয়সা। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

তলিয়ে যেতে পারে সেন্টমার্টিন!

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিন দ্বীপসহ উপকূল থেকে দূরে চরগুলোর নিম্নাঞ্চলে ১২ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে বড় ধরনের ঝুঁকিতে রয়েছে সেন্টমার্টিন। কক্সবাজারের আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদু রহমান বলেছেন, মোখার প্রভাবে ১০-১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এতে সেন্টমার্টিন তলিয়ে যেতে পারে। গুঁড়িয়ে যেতে পারে অনেক স্থাপনা। তিনি বলেন, যেহেতু সেন্টমার্টিন সবদিক থেকে খোলা জায়গা, বাঁধ নেই, এতে একটা সুবিধাও রয়েছে। সেটা হচ্ছে, একদিক থেকে পানি উঠলে অন্যদিক দিয়ে বের হয়ে সাগরে চলে যাবে। বেশিক্ষণ পানি জমা থাকার সুযোগ পাবে না। এ কারণে আগামী ৩৬ ঘণ্টা দ্বীপের বাসিন্দাদের কোনো ঘরবাড়ি বা আশ্রয়কেন্দ্রের নিচতলায় না থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ আবদু রহমান।এদিকে সেন্টমার্টিন ছেড়ে নিরাপদে টেকনাফ যাওয়ার চেষ্টা করেও সাগর উত্তাল থাকায় ব্যর্থ হয়েছেন দ্বীপের হাজারও বাসিন্দা। এতে দ্বীপজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। নিরুপায় হয়ে যে যার মতো ছুটছেন আশ্রয়কেন্দ্রে। দ্বীপের পর্যটন ব্যবসায়ী তকি উসমানি বলেন, শুক্রবার পর্যন্ত ২ হাজার থেকে ২২শ লোক টেকনাফে চলে গেছেন ট্রলারে। শনিবার সকালে যাওয়ার জন্য আমিও বের হয়েছিলাম, কিন্তু কোনো নৌযান না থাকায় যেতে পারিনি। এখানে এখন সাড়ে ৭ হাজারের মতো মানুষ আছেন। কারও পক্ষে এখন আর টেকনাফে যাওয়া সম্ভব নয়। এ কারণে অনেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। সূত্র: যুগান্তর

চূর্ণ করার ঘূর্ণি
আজ সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৬টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করবে আঘাত হানতে পারে ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটার বেগে ১০-১২ ফুট জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা

বঙ্গোপসাগরের আন্দামান এলাকায় লঘুচাপের প্রভাবে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখা প্রবল শক্তি নিয়ে এগিয়ে আসছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্ক কেন্দ্রের সূত্রমতে, আজ রবিবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে এটি উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এ সময় ১০ থেকে ১২ ফুট জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে। সাগরে অবস্থানের সময় গতকাল শনিবার মধ্যরাতের পর ঘূর্ণিঝড় মোখায় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গতকাল সন্ধ্যায় ৬টায় দেওয়া ১৬ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় থাকা অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর-উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আরও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর-উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে রবিবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। সূত্র: দেশ রুপান্তর

গতি বাড়িয়ে উপকূলে মোখা
♦ জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা ♦ ১০ নম্বর বিপৎসংকেত ♦ দুই বিমানবন্দরে ফ্লাইট বন্ধ ♦ এসএসসি পরীক্ষা স্থগিত ♦ আশ্রয়কেন্দ্রে বহু মানুষ ♦ অনেককে সরানো যায়নি

মহাবিপদ নিয়ে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। মোখা গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় উপকূল থেকে ৫৬৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল। বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার। মোখার গতিবেগ বাড়তে থাকায় কক্সবাজারে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করে আবহাওয়া অধিদফতর। এ ছাড়া চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিনের স্থানীয় জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের সব পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার বাতাসের তীব্রতা নিয়ে আজ দুপুরনাগাদ ঝড়টি উপকূলে আঘাত হানবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আবহাওয়া অফিসের সন্ধ্যার বুলেটিনে বলা হয়েছে, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আজ সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার ও মিয়ানমারের উত্তর উপকূল অতিক্রম করতে পারে। কক্সবাজার ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় গতকাল সন্ধ্যা থেকেই অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব দেখা গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলে আঘাত হানার আগে আরও শক্তি সঞ্চয় করবে। তবে যখন উপকূল অতিক্রম করবে, তখন এর শক্তি কিছুটা কমে আসবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন ।

আশ্রয়কেন্দ্রই যখন ঝুঁকিপূর্ণ

দেশের সর্বদক্ষিণের একটি দ্বীপ শাহপরীর দ্বীপ। এটি কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের একটি গ্রাম। ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবের আশঙ্কায় কক্সবাজার, টেকনাফ, সেন্ট মার্টিনসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন যখন প্রাণ বাঁচাতে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ছুটছে, তখন এখানকার মানুষের ঠাঁই নেয়ার কোনো জায়গাই নেই।জালিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টারটি যাওবা আশ্রয় দিতে পারত, সেটি নিজেই এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। নাফ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে এর একাংশ। উপজেলা প্রশাসনের তালিকায় এ ঝুঁকিপূর্ণ আশ্রয়কেন্দ্রের নাম থাকলেও এটি মেরামত বা সরিয়ে নেয়া কিংবা নতুন করে তৈরির কোনো ব্যবস্থাই নেয়া হয়নি। ফলে বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে এলাকাবাসী। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

কক্সবাজারে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত, চট্টগ্রামে কমেছে, বেড়েছে বাতাসের গতিবেগ

বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড় মোখা ক্রমশ উপকুলের দিকে এগিয়ে আসতে থাকায় কক্সবাজারে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত বহাল রাখলেও চট্টগ্রামে কমিয়ে আট নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।ঝড়টির কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ সর্বোচ্চ ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। শনিবার রাত ৮টার পরে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোখা আরও ঘণীভূত হয়েছে এবং রবিবার সকাল ৯টা থেকে ৬টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মায়ানমার উপকূূল অতিক্রম করতে পারে।চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে আট নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং মোংলা সমুদ্র বন্দরে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

বৃষ্টি বেড়েছে, সঙ্গে তুমুল বাতাস
সেন্ট মার্টিনে বাতাস ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৫৫ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ।

বঙ্গোপসাগরের বক্ষের প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এর প্রভাবে সকাল থেকে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে, সঙ্গে বইছে প্রচণ্ড বাতাস বইছে। কক্সবাজার জেলা শহর ও টেকনাফের উপকূলেও বৃষ্টির পরিমাণ ও বাতাসের বেগ বেড়েছে।কক্সবাজার আঞ্চলিক আবহাওয়া কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান রোববার সকাল ১০টায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সকাল ৯টা থেকে ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগ সেন্ট মার্টিন দ্বীপ এবং টেকনাফের উপকূলে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। সেন্ট মার্টিনে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৫৫ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হচ্ছে।বৃষ্টি বেড়েছে, সঙ্গে তুমুল বাতাস -“রোববার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সেন্ট মার্টিনে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আর টেকনাফসহ কক্সবাজারে একই সময়ে সাত মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সূত্র: বিডি নিউজ