আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর
অস্ত্র মামলা
দুবাইয়ে পলাতক আরাভ খানের ১০ বছরের কারাদণ্ড
অস্ত্র মামলায় রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৪-এর বিচারক মুর্শিদ আহমেদ আজ মঙ্গলবার এই রায় দেন। ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী আবুল কাশেম প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আবুল কাশেম বলেন, পলাতক আসামি আরাভ খানের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত।রবিউলের বিরুদ্ধে এই মামলায় ১০ জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয় । রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) এ কে এম সালাহউদ্দিন।আরাভ খান আজ বৃহস্পতিবার ফেসবুকে এই পোস্টে আরাভ জুয়েলার্স চালুর ঘোষণা দিয়েছেন-আরাভ খান নাম নিয়ে ভারতীয় পাসপোর্টে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অবস্থান করছেন রবিউল ইসলাম-পাঁচ বছর আগে ঢাকায় এক পুলিশ পরিদর্শককে হত্যার আসামি রবিউল ইসলাম নাম পাল্টে আরাভ খান পরিচয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে আছেন। সম্প্রতি সেখানে একটি স্বর্ণালংকারের দোকান উদ্বোধন করে আলোচনায় আসেন তিনি। সূত্র: প্রথম আলো


গরমে নাকাল সারা দেশ থাকবে আরো দুই দিন
দেশে গত তিন দিন বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় তাপমাত্রা ক্রমে বাড়ছে। দেশের পাঁচ জেলায় তীব্র এবং অন্যান্য জায়গায় মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গরমে নাজেহাল হয়ে পড়ছে মানুষ।এদিকে গতকাল সোমবার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তত্সংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, লঘুচাপের কারণেও তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং তাপপ্রবাহের এলাকা বাড়ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ অবস্থা চলবে অন্তত আরো দুই দিন (মঙ্গল ও বুধবার)। এখন পর্যন্ত চলতি মাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে গতকাল চুয়াডাঙ্গায় ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিনের তুলনায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেড়েছে ১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেড়েছে ১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সূত্র: কালের কণ্ঠ
দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার সংকটে দেশে গরুর উৎপাদনশীলতা কম
সংখ্যাগত দিক থেকে গরু উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে ১২তম। তবে গড় উৎপাদনশীলতায় এখনো অনেক পিছিয়ে। প্রতিনিয়ত দেশের জনসংখ্যা বাড়লেও চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদনশীলতা না বাড়ায় বাজারে গরুর মাংসের দাম বেড়ে চলেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার সংকটে দেশে গরুর উৎপাদনশীলতা কম। এ বিষয়ে এখনই মনোযোগ না দিলে ভবিষ্যতে ভোক্তা চাহিদা পূরণে হিমশিম খেতে হবে। প্রাণিসম্পদ খাতসংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, দেশে কৃষি খাতের গবেষণায় যথেষ্ট কাজ হলেও প্রাণিসম্পদ খাত এখনো পিছিয়ে। প্রথাগত পদ্ধতিতে গরু উৎপাদন ও খামার পরিচালনা করে কাঙ্ক্ষিত উৎপাদনশীলতা বাড়ানো সম্ভব নয়। উন্নত দেশগুলোর ফার্মিং পদ্ধতি অনুসরণ করে বিজ্ঞানভিত্তিক খামার গড়ে তুলতে সংশ্লিষ্টদের পদক্ষেপ নিতে হবে। জাত উন্নয়ন ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে গবেষণাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো অবদান রাখতে হবে। সূত্র: বণিক বার্তা।
সিটি নির্বাচনে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা
মাঠ ছাড়তে নারাজ বিএনপির তৃণমূল
সিটি নির্বাচন : পাঁচ সিটিতে কাউন্সিলর পদে প্রায় দুইশ নেতাকর্মী মাঠে * চূড়ান্ত তালিকা তৈরির পর সাংগঠনিক ব্যবস্থা
বর্তমান সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাঠের বিরোধী দল বিএনপি। আসন্ন পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনও বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন দলটির নেতারা। তবে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত আমলে না নিয়ে পুরোদমে নির্বাচনি প্রস্তুতি শুরু করেছেন দলের সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীরা। এ পদে দলীয় প্রতীকে ভোট হচ্ছে না-এমন অজুহাতে নির্বাচনি মাঠ ছাড়তে নারাজ তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে তারা ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে যারা নির্বাচনে অংশ নেবেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। তবে কেউ মেয়র কিংবা কাউন্সিলর প্রার্থী হতে চাইলে প্রথমে তাকে দল থেকে বোঝানো হবে। বিএনপি সরকারবিরোধী আন্দোলনে আছে। আন্দোলনের মাঝপথে নির্বাচনে প্রার্থী হলে দলের কী ক্ষতি হতে পারে, আগে কে কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তা সম্ভাব্য প্রার্থীদের বোঝানো হবে। এরপরও দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে দলের একটি অংশ মনে করে, স্থানীয় রাজনীতি, পারিবারিক প্রভাবসহ নানা কারণে অনেকে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করতে বাধ্য হচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে বহিষ্কারের মতো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আগে পুরো বিষয়টি ভালো করে পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন। যেসব নেতার জয়ের সম্ভাবনা আছে, তাদের ক্ষেত্রে হাইকমান্ডের কিছুটা নমনীয় হওয়া উচিত। তবে যারা ক্ষমতাসীন দলের ইন্ধনে প্রার্থী হয়েছেন, তাদের কোনো ছাড় দেওয়া উচিত হবে না। সূত্র: যুগান্তর
ভুটানে শতাধিক নদী-হ্রদ পানিশূন্য, বাড়ছে খরা
চারদিকে শুধু প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের খবর। এবার আরও মন-খারাপ করা খবর দিল ভুটান। হিমালয়ের পাদদেশের দেশ ভুটান। দেশটির সরকারি রিপোর্ট বলছে, ভুটান জুড়ে শুকিয়ে যাচ্ছে শতাধিক নদী, হ্রদ, খালবিল, সেচ ক্যানাল। এজন্য ভুটানের বিভিন্ন প্রান্তে পানীয় জলের সংকটও দেখা দিচ্ছে। শুধু ছোট নদী নয়, পানি কমছে বড় নদীগুলোতেও। তাই ধীরে ধীরে বড় মাপের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের দিকে এগিয়ে চলেছে ভুটান। সম্প্রতি ভুটানের ওয়াটারশেড ম্যানেজমেন্ট ডিভিশনের গোপন এক রিপোর্টের কিছু অংশ প্রকাশিত হয়েছে। ওই রিপোর্ট বলছে, ভুটানের ডাগানা জেলায় অস্তিত্ব-সংকটে ২৮৪টি জলের উৎস। যার মধ্যে রয়েছে ১৫০ টিরও বেশি ছোট-বড় নদী। এ ছাড়া রয়েছে হ্রদ, ঝোরা, সেচখাল। ১৬টি নদী পুরোপুরি শুকিয়ে গিয়েছে। যেটা সব থেকে ভয়ের, তা হলো, গত কয়েক বছরে বর্ষার মৌসুমেও সেগুলো থেকে তেমন জল পাওয়া যাচ্ছে না! ডাগানা জেলার তাশিডিংয়ে সব থেকে বেশি নদী শুকিয়ে যাওয়ার মুখে- ৭৬টি! এ ছাড়া গোজি এলাকায় ৩৭টি, কানা এলাকায় ৫টি এবং লারজাব এলাকায় ৪টি নদী কার্যত শুকিয়ে গিয়েছে। ডাগানার চিচিবি ও জোরপোখরিতে ৪টি বড় হ্রদ শুকিয়ে গিয়েছে। ভুটানের সরকারি রিপোর্ট বলছে, ভুটানে মোট ৭৩৯৯টি নদী, ঝোরা ও হ্রদ রয়েছে। এর মধ্যে ৬৯টি পুরোপুরি শুকিয়ে গিয়েছে এবং ১৮৫৬টি ক্রমশই শুকিয়ে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, শুধু ডাগানা জেলাতেই নদী, ঝোরা ও হ্রদ মিলিয়ে জলের উৎস রয়েছে মোট ৭১৯টি। এর পিছনে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন একটা বড় কারণ। তবে রিপোর্টে এমনও স্বীকার করা হয়েছে, পাশাপাশি বনভূমি ধ্বংস, বনভূমিতে আগুন ও অতিরিক্ত হারে জলাভূমি দূষণের কারণে ভুটানে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আর এর ফলে প্রমাদ গুনছে পশ্চিমবঙ্গও। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গ। কেননা ভুটানে জলের উৎসে সংকট দেখা দিলে সরাসরি বিপদে পড়বে উত্তরবঙ্গ ও আসাম। কারণ তোর্সা, রায়ডাক, সঙ্কোশ, মানসসহ অসংখ্য নদী ভুটান থেকে উত্তরবঙ্গ ও আসামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।
ফিরতে চায় সাধারণ রোহিঙ্গারা
দেশে ফিরতে চায় কক্সবাজারে ক্যাম্পে থাকা সাধারণ রোহিঙ্গারা। যে কোনো মূল্যে দেশের মাটিতে নিজ ঘরে যেতে চায় তারা। প্রত্যাবাসনের সুযোগ কাজে লাগাতে চায় রোহিঙ্গাদের বড় একটি অংশ। শুধু রোহিঙ্গাদের বিশেষ একটি গোষ্ঠী যারা বিভিন্ন অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে ও ক্যাম্পে অবস্থানের অপব্যবহারকারীরাই ফিরতে চায় না। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থার মদদপুষ্ট রোহিঙ্গাদের একটি অংশ। জানা যায়, উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোয় প্রত্যাবাসন ইস্যুতে পক্ষে বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন রোহিঙ্গারা। ৫ মে ২০ সদস্যের রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দল মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জন্য প্রস্তুতকৃত অবকাঠামো পরিদর্শন শেষে ফিরে সাংবাদিকদের প্রত্যাবাসন বিষয়ে নেতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেন। তবে তাদের সেই মনোভাবের প্রতি সমর্থন দিতে নারাজ ক্যাম্পের অন্য রোহিঙ্গারা। রোহিঙ্গাদের সচেতন একটি অংশ বাংলাদেশে আশ্রিত হিসেবে থাকতে অনাগ্রহ প্রকাশ করছে। তারা মিয়ানমারে ফেরার ব্যাপারে ক্যাম্পেইন করে ক্যাম্পের অন্য রোহিঙ্গাদের মধ্যে আগ্রহ জাগ্রত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রোহিঙ্গা নেতা বলেন, ভাসমান জীবনে আর কতদিন থাকব, এখন নিজ দেশে ফিরতে চাই। এ দেশে থেকে দাবি আদায় সম্ভব নয় উল্লেখ করে ওই রোহিঙ্গা নেতা আরও বলেন, দেশ ছেড়ে বিদেশের মাটিতে বসে হাজারো দাবি দিতে পারি, কিন্তু তাতে কোনো কাজ হবে না। আগে আমাদের নিজেদের দেশে যেতে হবে, সেখানে থাকতে হবে, মাতৃভূমির ওপর দাঁড়িয়ে তারপর যত দাবি বিশ্ববাসীকে দিতে পারি। ফিরতে অনাগ্রহী রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বয়োবৃদ্ধ আজমত আলী বলেন, যারা যেতে অনীহা দেখাচ্ছে তারা সেখানে নিরাপত্তার অজুহাত দিচ্ছে, নাগরিকত্ব দাবি করছে। আমাদের ধারণা, আমরা মিয়ানমার ফিরে গেলে আমাদের নিরাপত্তায় কোনো ধরনের ব্যাঘাত হবে না। মিয়ানমার আমাদের পূর্ণ নিরাপত্তা দেবে, কারণ আমাদের ওপর পুরো দুনিয়ার মানুষের নজর থাকবে। প্রত্যাবাসিত রোহিঙ্গাদের ওপর নতুন করে নির্যাতন হলে সেটি বিশ্ব সম্প্রদায়ের নজরে আসবে, তাই মিয়ানমার সহজে এমনটি করতে চাইবে না। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।
নিয়োগ ঝুলে থাকে বছরের পর বছর
ফেব্রুয়ারির না গরম না ঠান্ডা আবহাওয়ায়ও তারা দরদর করে ঘামছিলেন। স্লোগান দিতে দিতে বেকারত্বের চাদরে মোড়ানো মুখগুলো ফ্যাকাশে হয়ে উঠেছিল। বাকশক্তিহীন মানুষগুলোর আলটিমেটাম, মার্চের মধ্যে নিয়োগ না হলে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করবেন তারা! বলছি, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি খাদ্য অধিদপ্তরের সামনে মানববন্ধন করা অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদে নিয়োগপ্রত্যাশীদের কথা। মার্চ পেরিয়ে এপ্রিল গেল। মে মাসও গড়িয়ে যাচ্ছে। তাদের আলটিমেটাম আর মানা হয়নি। পাঁচ বছর ধরে তারা চাকরির স্বপ্ন দেখছেন। অংশ নিয়েছেন লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায়। কিন্তু চূড়ান্ত ফল আজ নয়তো কাল করে করেই পাঁচ বছর পার হয়েছে।এই চাকরির জন্য তারা ধরনা দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সচিব ইসমাইল হোসেন, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাখাওয়াত হোসেনের কাছে। তারা আশ্বাস দিয়েছেন। ব্যস, ওইটুকুতেই শেষ। এরপর আর অগ্রগতি নেই। চাকরির ফাইল আর নড়েনি। খাদ্য অধিদপ্তরের সামনের আবদুল গণি রোডটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সব সময় ভিআইপিদের মুভমেন্ট থাকে। ওই পথ ব্যবহার করেই মন্ত্রী-সচিবরা হরদম সচিবালয়ে যাওয়া-আসা করেন। তারা এই বিক্ষোভ দেখলে অধিদপ্তরের ডিজি, মন্ত্রণালয়ের সচিবের কি আর ইজ্জত থাকে? মন্ত্রীর মাথাও কি নিচু হয় না মন্ত্রিসভায় কলিগদের সামনে? কাজেই অধিদপ্তরে নিজের শীতাতপনিয়ন্ত্রিত রুমে বসে যারা ভ্রু কুঁচকে বিক্ষোভকারীদের তাচ্ছিল্য ভরে দেখছিলেন, তারা এবার তৎপর হয়ে উঠলেন মন্ত্রণালয়ের ফোন পেয়ে। সূত্র: দেশ রুপান্তর
বাংলাদেশ রেলওয়ে
মহাপরিকল্পনা নয়, ‘অপচয়ে’ জোর
রেলের মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশের সব রেললাইনকে মিটারগেজ থেকে ব্রডগেজে রূপান্তর করা হবে। তবে সে মহাপরিকল্পনা বাদ দিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে এখন রেললাইন মেরামত প্রকল্পে জোর দিয়েছে, যার প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার বেশি। দুই ভাগে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এক ভাগ শেষ করার কথা ২০২৫ সালের ৩০ জুনের মধ্যে, আরেকটির মেয়াদ ২০২৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত।বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০৩৫ সালের মধ্যে রেলের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে বর্তমানে যে মেরামত প্রকল্পের তোড়জোড় চলছে, তার সিংহভাগ কাজ অপচয়ের খাতায় পড়ে যাবে। কারণ মিটারগেজ লাইনগুলো মেরামতের পর পরই সেগুলো আবার ব্রডগেজে রূপান্তর করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, দেশের রেল ব্যবস্থাপনা দুই অঞ্চলে বিভক্ত। একটি পূর্বাঞ্চল, অন্যটি পশ্চিমাঞ্চল নামে পরিচিত। দুই অঞ্চলে ৪৩ জেলায় মোট রেললাইন আছে প্রায় ৩ হাজার ৯৩ কিলোমিটার। এসব রেললাইনের যেসব সেকশনের অবস্থা খারাপ, সেই অংশে রক্ষণাবেক্ষণ বা পুনর্বাসন করতে ওই মেরামত প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে দুই অঞ্চলের রেললাইনের কোথায় কী অবস্থা, তার সমীক্ষাও হয়েছে। তাতে রেললাইন পুনর্বাসন প্রকল্পে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার বেশি। সূত্র: দৈনিক বাংলা।
২ কোটি টাকা ব্যয়ে কংক্রিটের সৌন্দর্য বর্ধনে সাত মসজিদ রোডের কয়েকশো গাছ কেটেছে দক্ষিণ সিটি!
ঢাকার তাপমাত্রা কমাতে উত্তর সিটি মেয়র দুই লাখ গাছ রোপণের ঘোষণা দিয়েছেন, অপরদিকে দক্ষিণ সিটি রাস্তার ডিভাইডারের কয়েকশ গাছ কেটে সেখানে কংক্রিটের সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ এগিয়ে নিচ্ছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) বলছে, সড়কটিতে যেসব গাছ ছিল সেগুলো মিডিয়ানের গাছের উপযোগী নয়। গাছগুলো রাস্তায় চলাচলকারী বাসসহ অন্যান্য যানবাহনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতো। বিভিন্ন সময় ঝড়ে গাছ ও গাছের ডাল ভেঙ্গে পড়ে দুর্ঘটনা ও মানুষ আহতেরও ঘটনা ঘটেছে। এজন্য মিডিয়ান তৈরী করে ছোট ও মাঝারি আকারের ফুলের গাছ লাগাবে দক্ষিণ সিটি।পরিবেশবাদী ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাস্তার ডিভাইডারে গাছ রেখেও সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করা যেত। একসাথে একটি রাস্তার সব গাছ কেটে ফেলার মতো এমন নৃশংসতা আগে দেখেননি তারা। দ্রুত গাছ কাটা বন্ধ এবং কাটা গাছের স্থানে দেশি গাছ রোপণের দাবি তাদের।একটি উন্নয়নমূলক কাজের প্রকল্পের অধীনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি এ বছরের জানুয়ারিতে ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোডের সড়কদ্বীপের গাছ কাটা শুরু করে। ৩০ জানুয়ারি বেশ কয়েকটি গাঠ কেটে ফেলার পরে এর প্রতিবাদ জানায় স্থানীয় লোকজন ও পরিবেশবাদীরা। পরে ৩১ জানুয়ারি এর প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করে এ এলাকার শিশু, শিক্ষার্থী, পরিবেশবাদী, সমাজকর্মী, গবেষক, শিক্ষক, শিল্পীরা। তখন তারা সড়কে গাছ কাটা বন্ধ করে কাটা গাছের স্থানে ৭ দিনের ভেতর গাছের চারা লাগানোর দাবি জানায়। এর পরে রাস্তার ডিভাইডারের গাছ কাটা স্থগিত রাখে দক্ষিণ সিটি। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
চার মাসে চিনির দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকা, গরমে পুড়ছে ঢাকা ও রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে
‘ভোগ্যপণ্যের বাজারে কারসাজি, অস্থিরতা’ শিরোনামে বাজারে পণ্যের দাম বাড়ানো নিয়ে প্রতিবেদন রয়েছে সমকালে। আমদানি, পাইকারি ও খুচরা – তিন ধাপেই কীভাবে তেল, চিনির মত নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে, তা খোঁজার চেষ্টা করেছেন প্রতিবেদক। পাশাপাশি বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে বাংলাদেশে দামের তুলনাও তুলে ধরা হয়েছে। যেমন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, চিনির দাম গত চার মাসে বিশ্ববাজারে কেজিতে ৬টাকা বাড়লেও দেশে বেড়েছে ৪০ টাকা।ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কয়েকজন কর্মকর্তা ‘ফ্লাডলাইটের মেরামত শিখতে নেদারল্যান্ডস যাচ্ছেন’ বলে খবর উঠে এসেছে সমকালে। আর যারা এই সফরে যাচ্ছেন তাদের অধিকাংশ এই কাজের সাথে সংশ্লিষ্টই নন জানা যাচ্ছে খবরটি থেকে।
ক্রমাগত তাপমাত্রা বাড়তে থাকার বিষয়টি নিয়েও প্রথম পাতায় খবর প্রকাশ করেছে বেশ কয়েকটি পত্রিকা। এ নিয়ে প্রথম আলোর শিরোনাম ‘ঢাকায় ৩৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।’ সূত্র: বিবিসি বাংলা।