আজকের দিনের আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:০৭ অপরাহ্ণ, মে ৯, ২০২৩

গভীর রাতে গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলা, নিহত ১২

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গতকাল সোমবার গভীর রাতে চালানো ওই হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হতাহতের এই সংখ্যা জানিয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, তারা ফিলিস্তিনের ইসলামিক জিহাদ আন্দোলনের (পিআইজে) আস্তানা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। পিআইজে বলেছে, ইসরায়েলি হামলায় তাদের তিন নেতা—জিহাদ আল-ঘান্নাম, খলিল আল-বাহতিনি ও তারিক উজ আল-দীন নিহত হয়েছেন। হামলায় নিহত হয়েছেন এসব নেতার স্ত্রী-সন্তানেরাও।এবারের হামলায় ইসরায়েলের ৪০টি যুদ্ধবিমান ও ড্রোন অংশ নিয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী বলেছে, হামলা চালানো হয়েছে গাজার অন্তত ১০টি স্থাপনায়। হামলার আগে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দুটি প্রবেশপথ বন্ধ করে দেয় ইসরায়েলি বাহিনী। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে ইসরায়েলি হামলার পর গাজার মধ্যাঞ্চলের আবাসিক ভবনে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। সূত্র: প্রথম আলো

আবারও ‘কিংমেকার’ হতে পারেন কুমারাস্বামী

ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনে দেশটির জাতীয় স্তরের দুই প্রধান দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এবং সর্বভারতীয় কংগ্রেস মুখোমুখি লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছে। আগামীকাল বুধবার ভোট শুরু হচ্ছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্ণাটকের এই নির্বাচন দুই দলের জন্যই অগ্নিপরীক্ষা। ২২৪ আসনের কর্ণাটক বিধানসভায় ক্ষমতা ধরে রাখতে বিজেপির প্রচারে নেমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ১০ দিনে ১৭টি সভা এবং পাঁচটি শোভাযাত্রা করেন। বিশ্লেষকদের মতে, রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে বহুদূরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘ প্রচারই প্রমাণ করে, এই নির্বাচনকে কতটা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে বিজেপি।অন্যদিকে কর্ণাটকের নির্বাচনকে বিজেপির মতোই সমান গুরুত্ব দিচ্ছে কংগ্রেস। ‘মোদি’ পদবি নিয়ে ‘বিতর্কিত’ মন্তব্যের কারণে লোকসভার সদস্য (এমপি) পদ খোয়ানো রাহুল গান্ধী এবং দলের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ধারাবাহিক প্রচারকাজ সেরেছেন। আসরে নামা বাদ রাখেননি কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি সোনিয়া গান্ধীও। অথচ ২০১৯ সালের পর তিনি স্বাস্থ্যগত কারণে দলের কোনো প্রকাশ্য সভায় আসেননি। সূত্র: কালের কণ্ঠ

কর্মক্ষেত্রে প্রাণচাঞ্চল্য ঘুরে দাঁড়াচ্ছে মার্কিন অর্থনীতি

কভিড-১৯ মহামারীর সময় কাজ হারিয়ে কর্মক্ষেত্র ছেড়ে যেতে বাধ্য হয় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রদেশের পেশাজীবী ও শ্রমজীবীরা। এতে দেশটির অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব পড়ে। বর্তমানে সেসব কর্মী আবার ফিরতে শুরু করায় দেশটির অর্থনীতি স্বাভাবিক গতিতে চলতে শুরু করেছে। পাশাপাশি মহামারী চলাকালীন যারা অবসর নিয়েছিলেন বা কাজ হারিয়েছিলেন, তারা আর কখনো ফিরবে না, এ ধরনের উদ্বেগও কমতে শুরু করেছে। খবর ওয়াশিংটন পোস্ট।শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়, ২৫-৫৪ বছর বয়সের মধ্যে ৮৩ দশমিক ৩ শতাংশ কর্মী শ্রমশক্তিতে ফিরে এসেছে। ২০০৭ সালের মহামন্দা-পরবর্তী যা সবচেয়ে বড় ইতিবাচক পরিবর্তন। এপ্রিলে ২ লাখ ৫৩ হাজার নতুন কর্মসংস্থানের কথা উল্লেখ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়োগদাতারা। ফলে মহামারী-পরবর্তী দেশটির বেকারত্বের হার কমে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ।আগাম অবসর, শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রের অভাব, কভিডজনিত অসুস্থতা ও মৃত্যু এবং অভিবাসন কঠোরতার ফলে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের চাকরির বাজার থেকে যে কর্মীরা ‘হারিয়ে গিয়েছিল’ তারা আবার ফিরতে শুরু করেছে। এ প্রত্যাবর্তন ৪০ লাখের বেশি কর্মীর অভাব পূরণ করতে সহায়তা করেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। সূত্র: বণিক বার্তা।

Nagad

এরদোগানের ঐতিহাসিক সমাবেশ
নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পূর্বাভাস

তুরস্কের সাধারণ নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগানের জনসভায় ঢল নামল মানুষের। রোববার ইস্তাম্বুলে নির্বাচনি জনসভায় ১৭ লাখের বেশি মানুষ অংশ নেয় বলে দাবি একে পার্টির। গত ১০০ বছরে এত বড় সমাবেশ দেখেনি তুরস্ক।রীতিমতো জনসমুদ্র হয়ে উঠেছিল জনসভা। তপ্ত রোদ উপেক্ষা করে প্রিয় নেতার জনসভায় অংশ নেন লাখো মানুষ। জনসমাবেশে ৩৯টি প্রদেশ থেকে ১০ হাজার বাসে করে আসেন ভোটার-সমর্থকরা। এ সময় বিরোধীদের কঠোর সমালোচনা করেন এরদোগান। কামাল কিলিচদারোগ্লু ক্ষমতায় এলে দেশে মাদকের বিস্তার ঘটবে বলে মন্তব্য করেন। আরও বলেন, মি. কামাল আপনি যত খুশি তত মদ্যপ পান করুন। তবে আমার দেশের জনগণ কোনো মাতাল বা মাদকসেবনকারীকে ক্ষমতায় আসতে দেবে না। এরদোগান আরও বলেন, ১৪ মের নির্বাচন শুধু কোনো প্রার্থী বা দলের নির্বাচন নয়, এটি তুরস্কের অর্জনকে টিকিয়ে রাখার লড়াই। নির্বাচনে তাকে ভোট দেওয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, ইস্তাম্বুল যদি ‘হ্যাঁ’ বলে, তবে তাই হবে। বলেন, ‘আমরা ২১ বছরে তিনবার জাতীয় আয় বাড়িয়েছি। আমরা ১ কোটি ৫ লাখ বাড়ি তৈরি করেছি এবং আমাদের পরিবারের জন্য এসব বাড়ি দিয়েছি।’ ১৪ মে তুরস্কের সংসদ এবং প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি তুরস্কের জনপ্রিয় একজন প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর পদ মিলে ২১ বছর ধরে তুরস্কের ক্ষমতায়। ২০১৪ সালে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়ে দেশটির ক্ষমতায় আসেন। এরপর তার একঁগুয়ে ও বিতর্কিত মুদ্রানীতি প্রভাব ফেলে তুরস্কের অর্থনীতিতে। সূত্র: যুগান্তর

মধ্যপ্রাচ্যে ভারসাম্যের জয়

সৌদি আরব-ইরানের মধ্যে সম্পর্ক পুনস্থাপনের সবচেয়ে বড় ফলাফল এলো। দীর্ঘ এক দশকের বেশি সময়ের বিচ্ছিন্নতা দূর করে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র সিরিয়াকে কাছে টেনে নিল আরব লিগ। প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে গত রবিবার মিসরে আরব দেশগুলোর জোট আরব লিগের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে সিরিয়াকে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দেশটিকে আরব লিগের সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে সদস্য রাষ্ট্রগুলো সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জোটের মহাসচিবের মুখপাত্র জামাল রোশদি। এর আগে গত সপ্তাহে সিরিয়াকে আরব লিগে ফিরিয়ে নিতে জর্ডানের উদ্যোগে মিসর, ইরাক, সৌদি আরব ও সিরিয়ার কূটনীতিকদের মধ্যে বৈঠক হয়। ওই সময় আশ্বাস দেওয়া হয়, সংস্থার শীর্ষ বৈঠকের আগেই সিরিয়াকে আরব লিগে ফিরিয়ে আনা হবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র খবরে বলা হয়েছে, এই পদক্ষেপ ইঙ্গিত দিচ্ছে আরবের দেশগুলোর সঙ্গে দামেস্কর সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে যাচ্ছে। ইরানের সঙ্গে সৌদির সম্পর্ক স্থাপনের পর আরব দেশগুলোর জোটে সিরিয়ার ফিরে আসার পথ সুগম হয়। রয়টার্স জানিয়েছিল, সৌদি আরব ও সিরিয়া একে অপরের ভূ-খণ্ডে যখন ফের দূতাবাস খুলতে সম্মত হয় তখন থেকেই আশা করা হচ্ছিল আরব লিগেও ফিরতে যাচ্ছে সিরিয়া। উল্লেখ্য, রিয়াদ-তেহরান বৈরিতা মধ্যপ্রাচ্যে সিরিয়াসহ কয়েকটি সংঘাতে হাওয়া দিয়েছিল। তাই মূল দুই বিবাদমান শক্তির সাম্প্রতিক সম্পর্কোন্নয়ন মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির সুবাতাস বইয়ে দেবে বলে যে আশা করা হয়েছিল তা বাস্তব হতে দেখা যাচ্ছে। সূত্র: দেশ রুপান্তর

থাইল্যান্ডের নির্বাচন: সাড়া জাগাচ্ছেন পেতংতার্ন

থাইল্যান্ডে আগামী সপ্তাহেই সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এতে তুলনামূলক তরুণ প্রার্থীরা ভোটারদের মধ্যে বেশ সাড়া জাগাচ্ছেন। তাদের মধ্যে ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।সিনাওয়াত্রা পরিবার থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন প্রভাব বিস্তার করেছে। ব্যাপক জনসমর্থন নিয়ে অতীতে তাদের দল পুয়ে থাই পার্টি একাধিকবার ক্ষমতায় এসেছে। পরিবার ও দলের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে আসন্ন নির্বাচনেও সাফল্য পেতে চান পেতংতার্ন। তার দল মূলত দেশটির শ্রমজীবী মানুষের ভোট টানতে চাইছে। পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার বয়স এখন ৩৬ বছর। কিছুদিন আগেই সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তাই নির্বাচনী প্রচারণার চূড়ান্ত পর্যায়ে তিনি জায়গায় জায়গায় ঘুরে জনসংযোগ ততটা করতে পারেননি। তবে লাল রঙের পোশাক পরে, যা তার দল পুয়ে থাই পার্টির ব্যবহৃত রং, তিনি রাজধানী ব্যাংককের একটি হাসপাতাল থেকে উত্তরাঞ্চলীয় চিয়াং মাই এলাকায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। পাশাপাশি তিনি ব্যক্তিগতভাবে ওই অনুষ্ঠানে হাজির না হতে পারায় দুঃখ প্রকাশ করেন। তবে দলটির স্থানীয় কর্মী-সমর্থকরা পেতংতার্নের এই ভার্চুয়াল উপস্থিতিকেই স্বাগত জানিয়ে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ৮ প্রতিশ্রুতি, এবার কি কার্যকর হবে?

গত সপ্তাহান্তে মিয়ানমারের মংডু শহরে সফর করেছেন রোহিঙ্গাদের একটি প্রতিনিধি দল। এর ফলে ছয় বছর আগে মিয়ানমারের সাথে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের আশা নতুন করে জেগেছে। তবে সফরকারী প্রতিনিধি দলের কিছু সদস্য বলেছেন, প্রত্যাবাসকারীদের জন্য সেখানকার কর্তৃপক্ষের দেওয়া শর্তগুলো খুবই কঠিন। বার্মিজ, ইংরেজি ও বাংলা ভাষায় একটি ১৪ পাতার লিখিত সচিত্র প্রতিবেদনও দেওয়া হয় রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের। যাতে মানবিক সহায়তা প্রদান, পুনর্বাসনের জন্য ঘর নির্মাণ, কর্মসংস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবার সুযোগ এবং কক্সবাজারের ক্যাম্প থেকে যাত্রা মাতৃভূমিতে ফিরবে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি রয়েছে। তবে বুকলেটে উল্লেখিত এসব সুবিধা পেতে হলে, নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে প্রত্যাবাসনকারীদের কাছে থাকতে হবে মিয়ানমারের ন্যাশনাল ভেরিফিকেশন কার্ড। গত শুক্রবার (৫ মে) রাখাইন রাজ্যের পরিবেশ-পরিস্থিতি সেখানে যাওয়া রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধি দলের সদস্য ও সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, মিয়ানমার সরকারের গৃহীত উদ্যোগ ও সুযোগ-সুবিধাসমূহ প্রত্যাবাসনের অনুকূল। কিন্তু, অধিকার গোষ্ঠীগুলোর নেতা এবং কূটনীতিকরা এবিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। কারণ, প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আসার সময় অনেক রোহিঙ্গার কাছেই নাগরিকত্ব প্রমাণ করার মতো যথাযথ কাগজপত্র ছিল না, আবার মৌসুমি বৃষ্টির মধ্যে কঠিন এই যাত্রাপথে অনেকের নথি হয় নষ্ট হয়েছে, অথবা হারিয়ে গেছে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

মজা করে স্কুলে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে হাসপাতালে ৬ শিক্ষার্থী

স্কুল চলছিল। তারমধ্যেই ছাত্রছাত্রীদের নাকে আসে তীব্র দুর্গন্ধ, যা কিনা অবিকল মলমূত্র বা বমির মতো। আর এতে অসুস্থ হয়ে পড়তে শুরু করে শিক্ষার্থীরা। অবস্থা এমন যে ছয় শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। এমনকি কয়েক দিনের জন্য বন্ধই রাখতে হয় স্কুলটি। পরে জানা গেছে, স্কুলে মজা করে দুর্গন্ধযুক্ত রাসায়নিক স্প্রে করেছিল এক শিক্ষার্থী। খবর এনডিটিভির -টনার শুরু গত বুধবার। টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ক্যানে ক্রিক হাইস্কুলে সেদিন প্রথম দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। ফলে স্কুল থেকে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে নেওয়া হয়। দুর্গন্ধ কোথা থেকে ছড়িয়েছে, তা বের করতে পুরো স্কুল ভবনে খোঁজ চালান ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। তবে দুর্গন্ধের কোনো উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি।পরদিনও দুর্গন্ধ ছিল। তারপরও খোলা হয় স্কুল। এর পরপরই দেখা দেয় আসল বিপত্তি। দুর্গন্ধের কারণে প্রচণ্ড মাথাব্যথার শিকার হয় ছয় শিক্ষার্থী। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। অসুস্থ হয়ে পড়ে অন্তত আটজন। ফলে বাধ্য হয়ে পরবর্তী কয়েক দিনের জন্য স্কুলটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। যদিও স্কুলের বাতাসের মান ঠিক ছিল বলে নিশ্চিত করেছিলেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। সূত্র: সমকাল

মিয়ানমারে ফিরে যেতে রোহিঙ্গারা চান ভিটেমাটির অধিকার

রোহিঙ্গা ক্যাম্পজুড়েই এখন মিয়ানমারে যাওয়া না যাওয়া নিয়ে এখন সবচেয়ে বেশি আলোচনা চলছে। কিন্তু দুই বারের ব্যর্থতার পরে এবারও প্রত্যাবাসন সফল হবে কিনা, তা নিয়ে রোহিঙ্গাদের মধ্যে রয়েছে শঙ্কা। টেকনাফের নেসার পার্ক এলাকার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আবু শামার বাসাটি আর দশটি ঘরের মতোই বাঁশের বেড়া আর ছাদে মোটা ক্যানভাস কাপড় দিয়ে তৈরি। ১০ ফুট বাই ১০ ফুট সেই ঘরের দরজার সামনে বসে সাথে কথা বলার সময় একটু পর পর আসা বাতাসে ঘরের ছাদ নড়াচড়া করছিল।
“এখানে এভাবে থাকতে কষ্ট হয়, বাড়ির কথা মনে পড়ে” – বলছিলেন আবু শামা। কিন্তু মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ যেসব কথা বলে তাদের নিয়ে যেতে চাইছে, তাতে তিনি যাবেন না।আঞ্চলিক রোহিঙ্গা ভাষায় আবু শামা বলেন, ‘’তারা আমাদের নিয়ে ক্যাম্পে রাখবে। সেখানে তারা এই রকম ছোট ছোট ঘর বানিয়েছে। আমাদের নাগরিকত্ব দেবে না, অতিথির মতো একটা কার্ড দেবে। সেখানে গেলে তো আমাদের সেই ক্যাম্পেই আটকে রাখা হবে।””এখানে অন্য দেশে ক্যাম্পে আছি, কিন্তু নিজের দেশে গিয়েও কেন ক্যাম্পে থাকবো? তারা কোনদিন আমাদের ঘরবাড়িতে যেতে দেবে, সেই বিশ্বাস হয় না।‘’ সূত্র: বিবিসি বাংলা।

ভারতের মণিপুর রাজ্যে অস্থিরতার নেপথ্যে কী?

হঠাৎই অস্থির হয়ে উঠল ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুর। সেখানে জাতিগত দাঙ্গায় এক সপ্তাহে মারা গেছে অর্ধ শতাধিক মানুষ। বহু ঘরবাড়ি ও যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়েছে, কয়েক হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সামরিক বাহিনীও মোতায়েন করতে হয়েছে।গত ৩ মে মণিপুরজুড়ে সহিংসতার পর প্রায় ৩৬ লাখ বাসিন্দার ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সব গোষ্ঠীকে শান্তি বজায় রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে।মণিপুর রাজ্যের সাধারণ নাগরিকেরা জানাচ্ছেন, সেখানে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।রাজ্যে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সরকার গত সপ্তাহে দাঙ্গার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ‘উপায়ান্তর’ না পেলে ‘দেখামাত্র গুলি করার’ নির্দেশ জারি করে।রোববার সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা রাজ্যজুড়ে নজরদারি ‘উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় বাড়িয়েছে’। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার দাবি করা হলেও মণিপুরে অস্থিতিশীলতা দ্বিতীয় সপ্তাহে গড়িয়েছে এবং পরিস্থিতি জটিলই রয়ে গেছে। সূত্র: বিডি নিউজ