আবারও ডেঙ্গু সংক্রমণের প্রভাব বাড়ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দেশে আবারও ডেঙ্গুর প্রভাব বাড়ছে। তাই, ডেঙ্গুর সংক্রমণ থেকে মুক্ত থাকতে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন। তিনি বলেন, দেশে আবারও ডেঙ্গুর প্রভাব বাড়ছে, ডেঙ্গু সংক্রমণ থেকে মুক্ত থাকতে হলে সবাইকে সজাগ হতে হবে।
রোববার (৭ মে) দুপুরে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে মশার কামড় থেকে মুক্ত থাকতে হবে। আশপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বাসা-বাড়ির ছাদ, আঙিনায় যেন পানি জমে না থাকে সেই ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে।
স্বাস্থ্য খাতের সফলতা উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশের ৯৫ শতাংশ শিশু টিকার আওতায় এসেছে। যা ২০০১ সালেও ছিল ৫২ শতাংশ। আর নারীদের মধ্যে টিকা গ্রহণের হার ৮০ শতাংশ। টিকায় আমাদের অনেক সফলতা রয়েছে। এসব সফলতার কারণে আমরা অনেক স্বীকৃতিও পেয়েছি। সবচেয়ে বড় স্বীকৃতি আমাদের প্রধানমন্ত্রী ‘ভ্যাকসিন হিরো’ সম্মাননা পেয়েছেন। টিকার কারণে শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার অনেকাংশে কমেছে। টিকার কারণে আমাদের গড় আয়ু ৭৩ বছর হয়েছে। যা ১৯৭১ সালেও ছিল ৫০ বছর।
করোনার সময়ের পরিসংখ্যান উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনায় বিশ্বে ৭০ লাখ মানুষ মারা গেছে। আর ৭০ কোটি লোক আক্রান্ত হয়েছে। আমরা ৩৬ কোটি করোনা টিকা দিতে সক্ষম হয়েছি। টিকা দেওয়ার কারণেই আমাদের দেশে মৃত্যুর হার অন্য অনেক দেশের চেয়ে কম ছিল।
সভায় বক্তারা বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ সরকারও দেশের সব শিশু (০-১ বছর) ও সন্তান ধারণক্ষম নারীদের (১৫-৪৯ বছর) টিকাদানে বদ্ধ পরিকর। এরই ধারাবাহিকতায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি তথা ইপিআই ১৯৭৯ সাল থেকে শুরু করে অদ্যাবধি সুনামের সঙ্গে দেশে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা করে চলেছে।
জাহিদ মালেক বলেন, দেশের মানুষ টিকার প্রতি আগ্রহী, তারা খুবই আনন্দের সঙ্গে টিকা নেয়। আমাদের মায়েরা শিশুদের টিকা দিতে আগ্রহী। তারাই আমাদের টিকাদানে সফলতার পেছনের বড় কারণ হিসেবে কাজ করে। এ ক্ষেত্রে সরকারের সদিচ্ছাও বড় কারণ।
টিকাদান সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মুহাম্মদ খুরশীদ আলম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ডা. বরদান জুং রানাসহ আরও অনেকে।