আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৩৮ পূর্বাহ্ণ, মে ৬, ২০২৩

আকাশপথে পরিবহনে অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের যৌথ ঘোষণা সই

এয়ারবাস থেকে যাত্রী ও পণ্যবাহী উড়োজাহাজ কেনাসহ বাংলাদেশের আকাশপথে পরিবহন খাতের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য ‘আকাশপথে পরিবহনে অংশীদারত্ব’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে একটি যৌথ ঘোষণা গতকাল শুক্রবার লন্ডনে সই হয়েছে। এটি সইয়ের ফলে বাংলাদেশ এয়ারবাস থেকে উড়োজাহাজ কেনার জন্য সহজ শর্তে যুক্তরাজ্যের সরকারি ঋণদান সংস্থা ইউকে এক্সপোর্ট ফাইন্যান্স স্কিম থেকে দীর্ঘমেয়াদি ঋণসুবিধা পেতে পারে।লন্ডনে যুক্তরাজ্য হাইকমিশন আজ শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং যুক্তরাজ্যের পক্ষে যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগবিষয়ক মন্ত্রী লর্ড ডমিনিক জনসন যৌথ ঘোষণায় সই করেন। এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্যদূত সংসদ সদস্য রুশনারা আলী উপস্থিত ছিলেন।যৌথ ঘোষণা সইয়ের পর যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগবিষয়ক মন্ত্রী লর্ড ডমিনিক জনসন বাংলাদেশের আকাশপথে পরিবহন খাতকে শক্তিশালী করার জন্য যুক্তরাজ্যের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। আকাশপথে পরিবহনের একটি কার্যকর অংশীদারত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশের এই খাতের শিল্পকে শক্তিশালী করা হবে এবং উভয় দেশে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।বাংলাদেশ হাইকমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের আকাশপথে পরিবহনশিল্পের বিকাশের পাশাপাশি যুক্তরাজ্য ও এয়ারবাসের অন্য ইউরোপীয় অংশীদারদের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদার হওয়ার কথা। বাংলাদেশ এয়ারবাস থেকে উড়োজাহাজ কেনার জন্য সহজ শর্তে ইউকে এক্সপোর্ট ফাইন্যান্স স্কিম থেকে দীর্ঘমেয়াদি ঋণসুবিধা পেতে পারে। সূত্র: প্রথম আলো

কমছে কৃষি শ্রমিক, বাড়ছে মজুরি

একসময় শুধু দু-তিন বেলা খাবারের বিনিময়ে অন্যের জমিতে কাজ করতেন কৃষি শ্রমিকরা। পরে যুক্ত হয় নামমাত্র মজুরি। সেই মজুরিই বর্তমান বোরো মৌসুমে এলাকাভেদে ৪০০ থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার ২০০ টাকা। তবু অনেক এলাকায় কৃষি শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। বিভিন্ন জেলা থেকে কালের কণ্ঠ’র প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে দেখা যায়, কৃষি শ্রমিকের সবচেয়ে বেশি মজুরি চট্টগ্রাম ও হাওরাঞ্চলের দুর্গম এলাকাগুলোয়। দৈনিক এক হাজার ২০০ টাকা। চাহিদাভেদে বাড়তি দুই বেলা খাবারও দিতে হয় কোথাও কোথাও।শ্রমিক খাটানো কৃষকের পাশাপাশি কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, সংকটের কারণে অন্য এলাকা থেকে শ্রমিক আনতে হয়। তাঁদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা লাগে। আবার দুর্গম এলাকা হওয়ায় হারভেস্টার মেশিন ব্যবহার করা যায় না। এ কারণে শ্রমিকনির্ভর হতে হয় কৃষকদের।প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, এই বছর চুয়াডাঙ্গায় কৃষি শ্রমিকের মজুরি সবচেয়ে কম। দৈনিক ৪০০ টাকা। এর কারণ হিসেবে কৃষক ও কৃষি কমকর্তারা বলছেন, এই জেলায় বোরোর পাশাপাশি ভুট্টা চাষও হয় ব্যাপক হারে। ভুট্টা কাটা শেষ হয়ে যাওয়ায় জেলায় শ্রমিক সংকট নেই। এ কারণে এখানে শ্রমিকদের দর-কষাকষির সুযোগ কিছুটা কম। সূত্র: কালের কণ্ঠ

নভেম্বরে ভোটের তফসিল

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি আট মাস। ২০২৪ সালের জানুয়ারির শুরুতে এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। চলতি বছরের নভেম্বরে তফসিল ঘোষণা হতে পারে। এ জন্য সেপ্টেম্বরে শুরু হবে ভোটের মূল তোড়জোড়। সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কবে হবে ভোট গ্রহণ। তবে সব রাজনৈতিক দলকে ভোটে আনতে একাধিক ভোটের তারিখ ও তফসিল প্রস্তুত রাখবে কমিশন। এ ক্ষেত্রে নভেম্বরের শুরুতে তফসিল দিয়ে ভোট গ্রহণের তারিখ পরিবর্তনের সুযোগ রাখা হতে পারে। সবশেষ একাদশ সংসদ নির্বাচনের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর থেকে এক সপ্তাহ পেছানো হয়; পরে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর ভোট হয়। অন্যদিকে ইসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংসদের ৩০০ আসনে ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণের। সে অনুযায়ী কাগজ সংগ্রহসহ অন্যান্য নির্বাচনী মালামাল কেনাকাটার কার্যক্রম চলছে। এ ছাড়া নির্বাচনকালীন মাঠপ্রশাসন ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। এ ক্ষেত্রে নির্বাচনের আগেই ডিসি-এসপি ও ওসিদের রদবদল করা হতে পারে। ডিসিরা সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে থাকলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে থাকে ভোটের পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়েছে। তা ধরে সব ধরনের কাজ এগিয়ে চলছে। নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরুর পর সার্বিক বিষয় নিয়ে কমিশন সভা হবে। আমরা কমিশন সভা করেই ভোটের তারিখ জানাব। যথা সময়ে তফসিল ঘোষণা করা হবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

Nagad

তিন সিটিতে চাপে আওয়ামী লীগ
পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলেও নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি আওয়ামী লীগ। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সব সিটিতেই জয় নিশ্চিত করতে ব্যাপক তৎপরতাও শুরু করেছে ক্ষমতাসীন দলটি। নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার পাশাপাশি বেশি ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করাও দলের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ দলীয় কোন্দল নিরসন, বিদ্রোহী প্রার্থী মোকাবিলা এবং মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের মাঠে নামানো। বিশেষ করে বরিশাল, গাজীপুর ও সিলেট– এই তিন সিটি নির্বাচনে দলীয় কোন্দল বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গাজীপুর ও সিলেটে ‘বিদ্রোহী প্রার্থী’ সংকট তৈরি করেছে দলের জন্য। বরিশালে এই সংকট না থাকলেও মনোনয়নবঞ্চিত বিদায়ী মেয়রের অনুসারীদের নির্বাচনের মাঠে নামানো সম্ভব হয়নি এখন পর্যন্ত। আওয়ামী লীগ স্বস্তিদায়ক অবস্থানে রয়েছে রাজশাহী ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে। আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। খুলনা ও বরিশালে নির্বাচন হবে আগামী ১২ জুন। আর ২১ জুন রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট হবে। সূত্র: সমকাল

অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব
আয় কমায় সঞ্চয়ে ভাটা

দীর্ঘ সময় ধরে দেশে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। এতে একদিকে স্বল্প ও মধ্য আয়ের মানুষের উপার্জন কমে গেছে। পাশাপাশি লাগামহীনভাবে বেড়েছে নিত্যপণ্য ও সেবার মূল্য। ফলে সব শ্রেণির মানুষের ব্যয় বেড়েছে। আয় কমে যাওয়া ও ব্যয় বৃদ্ধির কারণে বিশেষ করে স্বল্প ও মধ্য আয়ের মানুষের হাতে উদ্বৃত্ত অর্থ থাকছে কম। যে কারণে অনেকেই সঞ্চয় করতে পারছেন না। সব মিলে ব্যাংকে যেমন আমানত কমেছে, তেমনি অন্যান্য সঞ্চয়ী উপকরণে বিনিয়োগের প্রবণতা কমে গেছে। সার্বিকভাবে অর্থনৈতিক মন্দায় মানুষের আয় কমায় ভাটা পড়েছে সঞ্চয়ে।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, মোট সঞ্চয়ের প্রায় ৮২ শতাংশই হচ্ছে ব্যাংক খাতে। বাকি ১৮ শতাংশের মধ্যে জাতীয় সঞ্চয় প্রকল্পে ১৪ শতাংশ ও ৪ শতাংশ অন্যান্য খাতে। সঞ্চয়ের প্রধান দুটি উপকরণ ব্যাংক আমানত ও জাতীয় সঞ্চয় প্রকল্প খাতে বিনিয়োগ বেশ কমে গেছে। নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও প্রাইজবন্ডসহ অন্যান্য খাতেও সঞ্চয় কমেছে।এর কারণ হিসাবে সংশ্লিষ্টরা জানান, মূলত পাঁচ কারণে সঞ্চয় কমেছে। এর মধ্যে ১. দীর্ঘ সময় ধরে চলা অর্থনৈতিক মন্দা, ২. রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে আন্তর্জাতিক ও দেশীয় বাজারে সব ধরনের পণ্য ও সেবার মূল্য বেড়ে যাওয়া, ৩. ডলারের বিপরীতে টাকার মান লাগামহীনভাবে কমে যাওয়া, ৪. মানুষের আয় হ্রাস এবং ৫. জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়া। সূত্র: যুগান্তর

তাপমাত্রা আরো বাড়লে রেল ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে?

সারা দেশে গত মাসের মাঝামাঝি বয়ে যায় তীব্র তাপপ্রবাহ। ঈশ্বরদীতে গত ১৭ এপ্রিল তাপমাত্রা পৌঁছে প্রায় এক দশকের সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। প্রতি বছরই গ্রীষ্মের শুরুতে এমন তীব্র দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে সারা দেশের ওপর। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সামনের বছরগুলোয় তাপমাত্রা আরো বাড়বে বলে দেশী-বিদেশী সংস্থার পূর্বাভাস রয়েছে। বিশেষ করে ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোয় এ ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রকোপ তুলনামূলক বেশি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্য অনেক খাতের মতো দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এরই মধ্যে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে তাপপ্রবাহ। এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একই স্থানে পরপর দুদিন রেললাইন বেঁকে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। এর জন্য প্রধানত তাপমাত্রাকেই দায়ী করেছেন রেলওয়ের কর্মকর্তারা। দেশের সড়ক যোগাযোগ খাতেও তাপমাত্রা বৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাবের বড় আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে তা ভেঙে পড়ার আশঙ্কাকেও উড়িয়ে দিতে পারছেন না তারা। সূত্র: বণিক বার্তা।

দীর্ঘ বিরতির পর অফশোর ব্লকে অনুসন্ধানে আগ্রহী হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানিগুলো

সাম্প্রতিক কয়েক মাসে বাংলাদেশে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানে আন্তর্জাতিক তেল উৎপাদন প্রতিষ্ঠানগুলোর আগ্রহ বেড়েছে। বিশেষ করে আমেরিকা, রাশিয়া, চীন ও ভারতের মতো আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সুপারপাওয়ার দেশগুলোর প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখাচ্ছে বেশি। দক্ষিণ কোরিয়ার পসকো ইন্টারন্যাশনাল, অস্ট্রেলিয়ার স্যান্টোস ও আজারবাইজানের সকারসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানি এখানে কার্যক্রম বন্ধ করার বেশ কয়েক বছর পর ফের এসব প্রস্তাব পাচ্ছে বাংলাদেশ।বর্তমানে বাংলাদেশে ২৬টি ওপেন অফশোর ও ২২টি অনশোর ব্লক রয়েছে। এর মধ্যে ১১টি অফশোর ব্লক অগভীর সমুদ্রে ও ১৫টি গভীর সমুদ্রে।সরকার ওএনজিসি ভিদেশ ও অয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেডের সঙ্গে দুটি অগভীর সমুদ্র ব্লকের জন্য (এসএস-০৪ ও এসএস-০৯) উৎপাদন বণ্টন চুক্তি (পিএসসি) অনুমোদন করেছে। কোম্পানি দুটি যৌথভাবে এলাকাগুলোতে অনুসন্ধান চালাচ্ছে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

রাজারহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
অস্ত্রোপচারে মালি-রাঁধুনি-ঝাড়ুদার

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। উপজেলার প্রায় দুই লাখ বাসিন্দার চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতাল এই একটিই। অথচ সেই হাসপাতালেই অপারেশন তথা অস্ত্রোপচারের কাজ করে চলেছেন মালি, রাঁধুনি আর পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল, কিন্তু জনবলের সংকটকে কারণ হিসেবে দেখিয়ে তারা দায় এড়াচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অপারেশন থিয়েটারে চিকিৎসকের সঙ্গে সার্জারিতে অংশ নিয়েছেন অবসর নেয়া পরিচ্ছন্নতাকর্মী রবি দাস। হাসপাতালের জরুরি বিভাগেও তিনি সার্জারির কাজ করে আসছেন নিয়মিত। তার মতোই জরুরি বিভাগসহ অপারেশন থিয়েটারে সার্জারির কাজে অংশ নেন রাঁধুনি, মালি ও অন্য পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। রোগীদের কাছ থেকে নগদ অর্থ নেয়ার অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

মেট্রোর সুফল সমন্বিত ব্যবস্থায়
রাজধানী ও আশপাশের এলাকাকে সংযুক্ত করে ছয়টি মেট্রোরেল রুট হয়ে গেলে দৈনিক ট্রিপের ১০ শতাংশের মতো শেয়ার করবে দ্রুতগতির এ গণপরিবহন। বাকি ৯০ শতাংশ ভাগাভাগি করবে ব্যক্তিগত গাড়ি ও অন্যান্য গণপরিবহন। সেই কারণে অন্য গণপরিবহনের সমন্বিত ব্যবস্থাপনাও জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঢাকায় মেট্রোরেল নির্মাণের উদ্দেশ্য পরিবহনের গতি বাড়ানো, পরিবেশ দূষণ হ্রাস এবং যানজট নিরসন করে মূল্যবান কর্মঘণ্টা কাজে লাগানো। এজন্য এখন মেট্রোরেলে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করা হচ্ছে। কিন্তু অন্যান্য পরিবহন খাতের ব্যবস্থাপনায় তেমন কোনো গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি কর্মসংস্থান ও নাগরিক সুবিধা বেশি হওয়ায় জনঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে প্রায় ৫০ হাজারে দাঁড়িয়েছে। এজন্য জনসংখ্যা ধারণক্ষমতার মধ্যে রাখতে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে দরকারি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। এসব কাজ না হলে আড়াই লাখ কোটি টাকার বেশি টাকা খরচ করে ছয়টি মেট্রোরেল করলেও ঢাকার যানজট নিরসনে তেমন কোনো সুফল মিলবে না। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. সামছুল হক দেশ রূপান্তরকে বলেন, ঢাকার যানজট নিরসনে যে সমন্বিত বহুমুখী যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থাপনা করা দরকার, সে ধরনের কোনো কাজ হচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেল হওয়ায় সড়কের কিছু গাড়ির যাত্রীদের ওপরে নিয়ে যাওয়া হবে। এটা যেমন সত্য, ঠিক তেমনি নিচের যে জায়গা হালকা হয়ে যানজট হ্রাস করে কর্মঘণ্টা বাড়াবে এবং পরিবেশের মান উন্নয়ন করবে, তার জন্য কোনো নীতি-কৌশল লক্ষ করা যাচ্ছে না। এটা না হলে, যখন সড়ক ফাঁকা থাকবে তখন ছোট ছোট গাড়ি যদি দখল করে ফেলে, তাহলে যেই তিমিরে ছিলাম, সেখানেই থেকে যাব। হিতে-বিপরীতও হতে পারে। মেট্রো স্টেশনগুলোয় যানজটে স্থবির হয়ে পড়ার শঙ্কা আছে।’ সূত্র: দেশ রুপান্তর

রাজশাহীর ‘ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার’ ১০ দিন এগিয়ে আনা নিয়ে বিতর্ক কেন?
বাংলাদেশে রাজশাহী জেলায় ঘোষিত ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার দশ দিন আগে থেকেই আম পাড়ার তারিখ নির্ধারণ করার পর এনিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ১০ দিন আগে আম পাড়ার তারিখ ঘোষণা করা নিয়ে নানা আলোচনা হচ্ছে। অনেকে একে “ভুল” হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আবার অনেক আম চাষী এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। গত বছর মে মাসের ১৩ তারিখ থেকে গুটি আম পাড়া শুরু হয়েছিল। তবে এবার ৪ঠা মে থেকেই এই আম পাড়া যাবে বলে এ বছরের ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডারে উল্লেখ করা হয়েছে।সমালোচনাকারীরা বলছেন, এমন সিদ্ধান্তের কারণে আম চাষীরা ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। কারণ ৪ঠা মে থেকে গুটি আম পাড়া শুরুর কথা বলা হলেও এখনো অনেক আম পরিপক্ক হয়নি।তবে জেলা প্রশাসন অবশ্য বলছে যে, বাজারে মানসম্মত আম নিশ্চিত করতেই চাষীদের স্বার্থের দিক বিবেচনা করে এই ক্যালেন্ডার তৈরি করা হয়েছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।