তিন বছর পর করোনার বৈশ্বিক জরুরি অবস্থার অবসান ঘোষণা
করোনাভাইরাসের মহামারি সংক্রান্ত বৈশ্বিক জরুরি অবস্থার অবসান ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। মহামারি শুরুর তিন বছর পর এই জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়া হলো।
শুক্রবার (৫ মে) সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় সংস্থার মূল কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন হু মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস।


সংবাদ সম্মেলনে ড. তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস বলেন, ‘বড় আশা নিয়ে আজ আমি করোনা মহামারি সংক্রান্ত বৈশ্বিক স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থার অবসান ঘোষণা করছি। প্রত্যাশা করছি, আমাদের সামনের দিনগুলো সুন্দর ও নিরাপদ হবে।’
কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে ডব্লিউএইচওর বৈশ্বিক জরুরি অবস্থার প্রত্যাহার সংক্রান্ত এই ঘোষণার আলাদা তাৎপর্য আছে। যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শীর্ষ সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘গত তিন বছরে নভেল করোনাভাইরাসের সঙ্গে মানুষের যে সম্পর্ক গড়ে উঠেছে, তার একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁক ডব্লিউএইচওর এই ঘোষণা।’
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে।
তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস আরও বলেন, মহামারিতে অন্তত ৭০ লাখ মানুষ মারা গেছে। তবে প্রকৃত চিত্রটি প্রায় দুই কোটির কাছাকাছি। যা সরকারি অনুমানের প্রায় তিনগুণ।
তিনি আরও বলেন, গতকাল জরুরি কমিটি ১৫তম বারের মতো বৈঠকে বসেছে। তারা আমাকে সুপারিশ করেছে যেন, আমি জরুরি অবস্থার অবসান ঘোষণা করি। আমি তাদের পরামর্শ গ্রহণ করে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে জারি করা জরুরি অবস্থার অবসান ঘোষণা করছি। সূত্র : বিবিসি