আবারও বাড়ল এলপিজির দাম
মে মাসে রান্নায় ব্যবহৃত তরল প্রাকৃতিক গ্যাস-এলপিজির দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। ভোক্তা পর্যায়ে এলপিজি দাম ১ হাজার ১৭৮ টাকা থেকে ৫৭ টাকা বাড়িয়ে ১২৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ মে) দুপুর আড়াইটায় নতুন দর ঘোষণা করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। সংস্থাটি আমদানিকৃত পণ্যটির মূল্য নির্ধারণের কাজ করে থাকে। নতুন মূল্য আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।


বিইআরসির ঘোষণায় বলা হয়েছে, রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে তরল অবস্থায় সরবরাহকৃত বেসরকারি এলপিজি’র ভোক্তাপর্যায়ে মুসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ৯৯.৬৮ টাকায় বা রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে গ্যাসীয় অবস্থায় সরবরাহকৃত বেসরকারি এলপিজি’র ভোক্তাপর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি লিটার ০.২২১৫ টাকায় সমন্বয় করা হলো। ভোক্তাপর্যায়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ মূল্য প্রতি লিটার ৫৭.৫২ টাকায় সমন্বয় করা হলো।
এছাড়া সরকারি এলপিজি’র ইআরএল/আরপিজিসিএল পর্যায়ের মূল্য অপরিবর্তিত থাকায় এবং সরকারি এলপিজি’র মূল্য সমন্বয়ের সাথে সৌদি সিপিআর’র সংশ্লিষ্টতা না থাকায় সরকারি এলপিজি’র মূল্য অপরিবর্তিত থাকবে।
২০২১ সালের ১২ এপ্রিলের আগ পর্যন্ত এলপিজির দর ছিল কোম্পানিগুলোর ইচ্ছাধীন। তবে ১২ এপ্রিল প্রথমবারের মতো দর ঘোষণা করে বিইআরসি।
তখন বলা হয়, আমদানিনির্ভর এই জ্বালানির দাম নির্ধারণে সৌদি রাষ্ট্রীয় কোম্পানি আরামকো ঘোষিত দরকে ভিত্তি হিসেবে ধরা হবে। ফলে সৌদির ঠানামা করলে ভিত্তিমূল্যও ওঠানামা করবে। তবে এ ক্ষেত্রে অন্যান্য কমিশন অপরিবর্তিত থাকবে। সেই ঘোষণার পর থেকে প্রতি মাসে এলপিজির দর ঘোষণা করে আসছে বিইআরসি।
এর আগে এপ্রিল মাসে ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১৪২২ টাকা থেকে ২৪৪ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ১৭৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বিইআরসি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিন, সদস্য ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, ড. মো. হেলাল উদ্দিন, মো. কামরুজ্জামান, আবুল খায়ের মো. আমিনুর রহমান, সচিব ব্যারিস্টার মো. খলিলুর রহমান খান প্রমুখ।