সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে র‍্যাবের বিরাট ভূমিকা রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৯:০৬ পূর্বাহ্ণ, মে ২, ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে র‍্যাবের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু, হঠাৎ করে র‍্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে জঙ্গিরা আবার উৎসাহিত হয়ে গেল বলে মনে হয়। এটাই হলো বাস্তবতা।

যুক্তরাষ্ট্র সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকারে বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি, র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে নানা প্রশ্ন করেন সাংবাদিক শতরূপা বড়ুয়া।

র‍্যাবের ওপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সরকার কী কী সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে? ভয়েস অব আমেরিকার এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গিবাদ নির্মূলসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে আমেরিকার পরামর্শেই কিন্তু এই র‍্যাবের সৃষ্টি হয়েছে। র‍্যাবের প্রশিক্ষণ থেকে সবকিছুই আমেরিকার করা। যখন একটি গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসল, আমরা সবকিছু ঠিকমতোই চালাচ্ছি। তখন আমেরিকা কী কারণে র‍্যাবের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল, তা আমার কাছে বোধগম্য নয়। র‍্যাবের কোনো সদস্য অপরাধ করলে তার বিচার হয়। র‍্যাবের কেউ অপরাধে জড়িয়ে পড়লে সঙ্গেসঙ্গে আমরা তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসি। যেটা অন্য কোনো দেশে নেই, এমনকি আমেরিকাতেও নেই। এই আইনের শাসনটা আমাদের দেশে আছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের একজন প্রতিমন্ত্রীর মেয়ের জামাই র‍্যাবের সদস্য থাকা অবস্থায় একটি অপরাধে জড়িয়ে পড়েছিল। তাকেও সঙ্গেসঙ্গেই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, সে শাস্তিও পেয়েছে। বিষয়টিকে আমরা এভাবেই দেখছি।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে, এই দাবি নিয়ে বিএনপির সঙ্গে আলোচনা হবে কিনা জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির সঙ্গে আর আলোচনার টেবিলে বসতে ইচ্ছে করে না। বিএনপির সঙ্গে বসলে পোড়া মানুষের গন্ধ পাওয়া যায়।

পদ্মা সেতুর কথিত দুর্নীতি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যকার সম্পর্কের টানাপড়েন ও তা অতিক্রম করে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে পঞ্চাশ বছরের অংশীদারিত্বের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়েও কথা বলেন তিনি।

Nagad

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সংবাদিকদের হয়রানির প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে এ আইন করা হয়নি, বরং যিনি অপরাধ করেন, তাকেই এর আওতায় আনা হয়।

সাক্ষাৎকারে রোহিঙ্গা ইস্যুর প্রসঙ্গও উঠে আসে।