‘শুধু বাঙালি জাতি নয়, বিশ্বের বাঙালি জাতির জাতীয়তাবাদী নেতা বঙ্গবন্ধু’
জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের বিষয়ে মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, শুধু বাঙালি জাতি নয়, সারা বিশ্বের বাঙালি জাতির জাতীয়তাবাদী নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাকে সমাহিত করার স্থানটি আজ তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছে।
দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেওয়ার পর বুধবার (২৬ এপ্রিল) জাতির পিতার সমাধি সৌধে প্রথমবারের মতো শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মো. সাহাবুদ্দিন। তখন তিনি এ কথা বলেন।


রাষ্ট্রপতি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিস্থল টুঙ্গিপাড়া আজ তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছে। শুধু বাঙালি জাতি নয়, সারা বিশ্বের বাঙালি জাতির জাতীয়তাবাদী নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁকে সমাহিত করার স্থানটি আজ তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পরে আমি আত্মগোপনে থাকার সময় একদিন কলকাতা আকাশবাণীর একটি অনুষ্ঠান শুনেছিলাম। যেখানে ভাষ্যকার দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলছিলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যারা হত্যা করলো এবং যারা নিদারুণ করুণভাবে নির্মম অবহেলায় সুদূর টঙ্গীপাড়ায় তাঁকে সমাহিত করলো। সেই অযত্ন ও অবহেলায় সমাহিত করার জায়গাটি একদিন সারা বিশ্বের বাঙালি জাতির তীর্থ স্থানে পরিণত হবে।
তিনি বলেন, দেবদুলাল যথার্থ বলেছিলেন যে শুধু বাঙালি জাতি নয়; সারা বিশ্বের বাঙালি জাতির জাতীয়তাবাদী নেতার সমাহিত স্থানটি আজ তীর্থস্থানেই পরিণত হয়েছে।
পদ্মাসেতু বাঙালি জাতির আত্মনির্ভরতার প্রতীক রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন সড়ক পথে পদ্মা সেতু হয়ে টঙ্গীপাড়া থেকে ঢাকা ফেরার পথে তিনি বলেন, টুঙ্গিপাড়া থেকে ঢাকার পথে আজকের এই পদ্মা সেতুতে দাঁড়িয়ে অতি অল্প সময়ে জন্য পদ্মার এ মোহনীয় রূপে অবগাহন করছি আর ভাবছি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অবদানের কথা। নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত এই পদ্মা সেতুর কারণে আজ বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতি আত্মনির্ভর ও মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে সমগ্র বিশ্বের কাছে পরিচিতি পেয়েছে। এটা একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তা ও সততার কারণেই সম্ভব হয়েছে।তাই মনে করলাম-একটু দাঁড়াই, একটু দেখি। এই অর্জন, এই আত্মনির্ভরতার প্রতীক, এই অহংকার কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে না দেখলে উপলব্ধি করা মুশকিল।
তিনি এই নির্মাণে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। তিনি শেখ হাসিনাকে ও আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
এরপর পুনরায় ঢাকায় ফেরেন তি