আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর
গ্যাসের গন্ধ ছড়িয়েছে কেন, ব্যাখ্যা দিয়েছে মন্ত্রণালয়
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সোমবার রাতে গ্যাসের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ার কারণ জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। রাত ১২টার পর এক ফেসবুক পোস্টে মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘ঈদে শিল্পকারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনে গ্যাসের চাপ বেড়ে যাওয়ায় (ওভার-ফ্লো) গন্ধ বাইরে আসছে।’ এ নিয়ে নগরবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘তিতাসের জরুরি ও টেকনিক্যাল টিম বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।’ পোস্টে তিতাস গ্যাসের হটলাইন নম্বর ১৬৪৯৬ তুলে ধরা হয়েছে।মন্ত্রণালয়ের এই ফেসবুক পোস্ট নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনিও নগরবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। ওই ফেসবুক পোস্টে প্রতিমন্ত্রী লিখেছেন, ‘ঢাকার বেশ কয়েকটি জায়গায় গ্যাসের গন্ধ পাওয়ার খবরে নাগরিকদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। নগরবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। ঢাকার গ্যাস বিতরণ কোম্পানি তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’ সূত্র: প্রথম আলো


জমির মামলা নিয়ে ঝুলছে মানুষ
জমি নিয়ে বিরোধ মীমাংসায় আইন তৈরির ৭৩ বছর পরও ভূমি জরিপ আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়নি। এতে দেশের ৪২টি জেলায় চালু ভূমি জরিপ ট্রাইব্যুনালের রায়ে সংক্ষুব্ধ পক্ষরা আপিলের সুযোগ না পেয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এবার এই আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন না হওয়া পর্যন্ত জেলা জজদের মামলা নিষ্পত্তির ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে।
ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৪২ জেলায় ভূমি জরিপ ট্রাইব্যুনালে এ পর্যন্ত তিন লাখ ৯৩ হাজার ৪৬৯টি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে মাত্র ৮৫ হাজার ৪১০টি মামলা। তিন লাখ আট হাজার ৫৯টি বা ৭৮ শতাংশ মামলা নিষ্পত্তি হয়নি। সবচেয়ে বেশি মামলা আটকে আছে কিশোরগঞ্জ জেলায়। সেখানে ৪৫ হাজার ১৪৪টি মামলার মধ্যে ৪২ হাজার ৫৭৩টি নিষ্পত্তি হয়নি। সবচেয়ে কম মামলা হয়েছে সিরাজগঞ্জে, এক হাজার ২৯৬টি। নিষ্পত্তির বাকি ৩৫৫টি।১৯৫০ সালে রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনটি প্রবর্তিত হয়। ২০০৪ সালে আইনটি সংশোধন করা হয়। এর পরও ভূমি জরিপ আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়নি। এতে ভূমি জরিপ ট্রাইব্যুনালে রায়ের পর আপিলপ্রত্যাশীরা দিনের পর দিন দুর্ভোগ পোহাতে থাকেন। ২০২০ সালের অক্টোবরে হাইকোর্ট ৯০ দিনের মধ্যে ভূমি জরিপ আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠনের নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই ট্রাইব্যুনাল গঠন না হওয়া পর্যন্ত জেলা জজদের মামলা নিষ্পত্তির ক্ষমতা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এসংক্রান্ত খসড়া আইনটি ২০২২ সালের ১১ আগস্ট মন্ত্রিসভায় চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হয়। ভূমি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সংশোধিত আইনটি এখন জাতীয় সংসদে গেছে। আইনটি অনুমোদিত হলে সব আদালতেই এসব মামলার বিচারকাজ চালানো যাবে। জেলা জজরা আপিল মামলা নিষ্পত্তি করতে পারবেন।এ ব্যাপারে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খলিলুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি নতুন যোগ দিয়েছি। সাবেক সচিব এ ব্যাপারে ভালো বলতে পারবেন।’সূত্র: কালের কণ্ঠ
রিজার্ভের ওপর আরও চাপ আসছে
বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি সাড়ে তিন গুণ
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর মে মাসের শুরুর দিকেই আরও চাপ আসছে। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দেনা বাবদ একসঙ্গে শত কোটি ডলারের বেশি পরিশোধ করতে হবে। এর সঙ্গে এলসির অন্যান্য দেনা ও স্বল্পমেয়াদি বৈদেশিক ঋণ তো আছেই। তখন রিজার্ভ আরও কমে যাবে। এই দফায় রিজার্ভ কমে ৩০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে আসতে পারে। গত মঙ্গলবার রিজার্ভ ছিল ৩১ বিলিয়ন ডলার বা ৩ হাজার ১১৮ কোটি ডলার। ঈদ উপলক্ষ্যে রেমিট্যান্স প্রবাহ কিছুটা বাড়লেও রিজার্ভ বাড়েনি। রপ্তানি আয়ও নিম্নমুখী ধারায় রয়েছে। এসব কারণে রিজার্ভের ওপর আরও চাপ বাড়বে।আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, আগামী জুনের শেষে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ ২ হাজার ৯৯৬ কোটি ডলারে নেমে আসে, যা দিয়ে সাড়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। একই সময়ে নিট রিজার্ভ নেমে দাঁড়াবে ২ হাজার ৪৪৬ কোটি ডলারে, যা দিয়ে ২ দশমিক ৯ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব হবে। গ্রস রিজার্ভ থেকে ৫৫০ কোটি ডলার বাদ দিয়ে আইএমএফ নিট রিজার্ভের হিসাব করেছে। জানা গেছে, আন্তর্জাতিক নিরাপদ মানদণ্ড অনুযাযী সাধারণ সময়ে কমপক্ষে তিন মাসের আমদানি ব্যয়ের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সংকটকালে থাকতে হয় চার মাসের আমদানি ব্যয়ের সমান। খাদ্য আমদানি করলে আরও বেশি থাকতে হয়। বাংলাদেশ খাদ্যও আমদানি করে। ২০২১ সালে বাংলাদেশের আট মাসের আমদানি ব্যয়ের সমান রিজার্ভ ছিল। -সুত্র; যুগান্তর
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারে ১০ খুন
বঙ্গোপসাগরে কক্সবাজারের নাজিরারটেক উপকূলে ট্রলারের হিমঘর থেকে উদ্ধার ১০ লাশ প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করেছেন স্বজনরা। স্বজনরা জানিয়েছেন, গত ৭ এপ্রিল সাগরে গিয়ে নিখোঁজরা কক্সবাজারের মহেশখালী ও চকরিয়া উপজেলার বাসিন্দা।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মহেশখালী ও চকরিয়া থেকে নিখোঁজের পরিবারের আত্মীয়স্বজনরা কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে এসে ১০ লাশের পরিচয় শনাক্ত করেছেন। তবে এ পরিচয় প্রাথমিক। নিশ্চিত হওয়ার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে ডিএনএ পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরপরই লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। স্বজনরা এসে এ পর্যন্ত যে ১০ জনের পরিচয় শনাক্তের কথা জানিয়েছেন, তারা হলেন- মহেশখালীর হোয়ানক ইউনিয়নের ছনখোলাপাড়ার রফিক মিয়ার ছেলে সামশুল আলম (২৩), শাপলাপুর ইউনিয়নের মিঠাছড়ি গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৮), জাফর আলমের ছেলে সওকত উল্লাহ (১৮), মুসা আলীর ছেলে ওসমান গণি (১৭), সাহাব মিয়ার ছেলে সাইফুল্লাহ (২৩), মোহাম্মদ আলীর ছেলে পারভেজ মোশাররফ (১৪), মোহাম্মদ হোসাইনের ছেলে নুরুল কবির (২৮) ও চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের কবির হোসাইনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৪), শাহ আলমের ছেলে মোহাম্মদ শাহজাহান (৩৫) এবং চিরিঙ্গা এলাকার জসিম উদ্দীনের ছেলে তারেক জিয়া (২৫)। সূত্র: বিডি প্র্রতিদিন।
কভিড-১৯ মোকাবেলা
বাংলাদেশকে ২৫ হাজার কোটি টাকার টিকা বিনামূল্যে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
বিশ্বের ১১৭ দেশে এখন পর্যন্ত বিনামূল্যে ৬৯ কোটির কাছাকাছি সংখ্যক ডোজ কভিড-১৯-এর টিকা সরবরাহ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পেয়েছে বাংলাদেশ। ২১ এপ্রিল পর্যন্ত হালনাগাদকৃত তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশকে মোট ১১ কোটি ৪৫ লাখ ৭০ হাজার ৮২০ ডোজ টিকা বিনামূল্যে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ টিকা অনুদানের পুরোটাই এসেছে কোভ্যাক্সের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশকে বিনামূল্যে দেয়া মার্কিন টিকার অধিকাংশই ফাইজারের—১০ কোটি ৮৩ লাখ ৯১ হাজার ডোজ। মডার্নার টিকা এসেছে ৫৫ লাখ ডোজের কিছু বেশি। জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা এসেছে ৬ লাখ ৭৯ হাজার ৭৫০ ডোজ। উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে চুক্তির ভিত্তিতে এসব টিকা ক্রয় করছে মার্কিন সরকার। এর মধ্যে ফাইজার ও মডার্নার কাছ থেকে কেনা টিকার ভারযুক্ত গড় মূল্য ডোজপ্রতি ২০ ডলার ৬৯ সেন্ট। নিউইয়র্কভিত্তিক স্বাস্থ্য তথ্যসেবা প্রতিষ্ঠান মেডপেজ টুডে প্রকাশিত এ তথ্য বিবেচনায় নিলে দেশটি থেকে পাওয়া ফাইজার ও মডার্নার টিকার মোট মূল্য দাঁড়ায় ২৩৫ কোটি ৬৪ লাখ ডলারের কিছু বেশিতে। আরেক হিসাব অনুযায়ী, জনসন অ্যান্ড জনসনের বাজারজাতকৃত জেনসেন ভ্যাকসিনের প্রতি ডোজের গড় মূল্য ১০ ডলারের কাছাকাছি। এ হিসাবে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা এসেছে ৬৫ লাখ ডলারের কাছাকাছি মূল্যের। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত অন্তত ২৩৬ কোটি ডলার মূল্যের কভিড-১৯ টিকা অনুদান হিসেবে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশী মুদ্রায় এ অংক দাঁড়ায় ২৫ হাজার কোটি টাকারও বেশিতে। সূত্র: বণিক বার্তা।
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৩২ জনের
ঈদের ছুটিতে বিভিন্ন স্থানে নিহত আরও ১২
টানা তাপদাহের পর বৃষ্টিমাখা ঈদের ছুটিতে ঘরে ঘরে আনন্দের বন্যা বইছিল। প্রকৃতিতে বিরাজ করছিল অনাবিল শান্তি। অনেকটা স্বস্তিদায়ক ছিল এবারের ঈদযাত্রাও। ঘরমুখো মানুষ অন্যান্যবারের চেয়ে কিছুটা আরামে স্বজনের কাছে ফিরতে পারলেও সড়কে ঝরে গেছে অনেক প্রাণ। এর মধ্যে অন্তত ৩২টি মৃত্যুর ঘটনার পেছনে আছে মোটরসাইকেল। তাঁদের কেউ ছিলেন দুই চাকার এই যানের আরোহী, কেউ চালক। আবার কেউ নিহত হয়েছেন এর চাকায় পিষ্ট হয়ে। এর বাইরে দুই গাড়ির সংঘর্ষে, বাস ও ট্রাকচাপায় এবং নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিহত হয়েছেন আরও ১২ জন। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় রাজধানীর রামপুরায় স্কুলছাত্র মেহেদী হাসান ও মতিঝিলে তরুণী নওসিন আক্তার নিহত হয়েছে। গত শনিবার সকালে রামপুরায় বিটিভি ভবনের সামনে বাসের ধাক্কায় বাইক থেকে ছিটকে পড়ে মেহেদী ও তার বন্ধু শাকিল। উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে মেহেদীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। অন্যজন চিকিৎসাধীন। এর আগের দিন শুক্রবার রাতে মতিঝিল এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় নিহত হয়েছে মোটরসাইকেল আরোহী নওসিন। আহত হয়েছেন এর চালক রাহাত হোসেন আসিফ।
যশোরে বাইক কেড়ে নিয়েছে পাঁচজনের প্রাণ। তাঁদের মধ্যে শনিবার যশোর-নড়াইল মহাসড়কের চাড়াভিটা এলাকায় ইজিবাইকের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন কলেজ শিক্ষার্থী আল আমিন। তাঁর বাড়ি দোহাকুলা বীরডাঙ্গাপাড়ায়। ইমরান হোসেন নামে আরেক কলেজ শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কে ঝিকরগাছার বেনীয়ালীতে শনিবার মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে। তাঁর বাড়ি ফতেহপুর গ্রামে। একই দিন যশোর-খুলনা মহাসড়কের বকচর এলাকায় প্রাইভেটকারের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন গৃহবধূ ঐশী, আহত হয়েছেন তাঁর স্বামী ইসমাইল ও দেবর তানজিম। ঈদের পর দিন রোববার যশোরের শার্শার গোড়পাড়ায় অটোরিকশার সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন মোটরসাইকেল চালক ইকবাল হোসেন, আহত হয়েছেন তাঁর বড় ভাই মনিরুজ্জামান। একই দিন যশোর-বেনাপোল মহাসড়কে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নিহত হয়েছেন আইনজীবী মাহবুব হাসান। সূত্র; সমকাল
ক্রিটিক্যাল ক্যানসার চিকিৎসাসেবায় আগ্রহী হচ্ছে বেসরকারি খাত
বাংলাদেশে প্রতিবছর ক্যানসার রোগীর সংখ্যা বাড়লেও এসব রোগীর বেশিরভাগই মানসম্মত চিকিৎসা পান না। এমন পরিস্থিতিতে দেশে উচ্চমানের ক্যানসার চিকিৎসায় আরও বিনিয়োগ করতে যাচ্ছেন বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা।বেসরকারি এসব উদ্যোগের অনেকগুলোই ক্যানসার চিকিৎসার ক্রিটিক্যাল খাতগুলোতে সেবার মান বাড়ানোয় নজর দিচ্ছে। ৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত সরকারি মালিকানাধীন দেশের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ ক্যানসার হাসপাতাল জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা সীমিত।অপর্যাপ্ত চিকিৎসাসুবিধা ও হাসপাতালগুলো নিয়ে রোগীদের আস্থার অভাবের কারণে ক্যানসার চিকিৎসায় বিদেশ যাওয়ার প্রবণতাও ক্রমবর্ধমান। তবে এ অবস্থার পরিবর্তনের জন্য দেশের ভেতরেই ক্যানসার চিকিৎসার একটি পূর্ণাঙ্গ অবকাঠামো গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসছেন। সূত্র; বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
রেমিট্যান্সে ফের ধীরগতি, রিজার্ভ নামছে ৩০ বিলিয়নে
বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে অর্থনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর সূচক বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভের অন্যতম প্রধান উৎস রেমিট্যান্সপ্রবাহে ফের ধীরগতি দেখা দিয়েছে। রমজান মাস ও ঈদের আগে পরিবারের বাড়তি খরচ, দান, সদকা, ফিতরা দেয়ার জন্য সাধারণত বেশি অর্থ দেশে পাঠান প্রবাসীরা। যে কারণে বরাবরই দুই ঈদের আগে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স বাড়ে।তবে এবার ঈদের আগে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স না বেড়ে উল্টো হোঁচট খেয়েছে। ২২ এপ্রিল দেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। এর আগে ২১ দিনে অর্থাৎ ১ থেকে ২১ এপ্রিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী সোয়া কোটি প্রবাসী ১২৭ কোটি ১৭ লাখ (১.২৭ বিলিয়ন) ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। প্রতিদিন গড়ে এসেছে ৬ কোটি ডলার। আগের মাস মার্চে গড়ে প্রতিদিন এসেছিল পৌনে ৭ কোটি ডলার। গত বছরের এপ্রিলেও প্রতিদিন পৌনে ৭ কোটি ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। সব সময়ই ঈদের পর রেমিট্যান্সপ্রবাহ কমে যায়। চলতি মাসের বাকি ৯ দিনে যদি ঈদের আগের গতিতেও রেমিট্যান্স আসে, তাহলেও গত মার্চ মাস এবং গত বছরের এপ্রিলের চেয়ে কম রেমিট্যান্স দেশে আসবে। গত মার্চে ২০১ কোটি ৭৭ লাখ (২.০১ বিলিয়ন) ডলার এবং গত বছরের এপ্রিলে ব্যাংকিং চ্যানেলে ২০১ কোটি ৮ লাখ (২.০১ বিলিয়ন) ডলার প্রবাসী আয় দেশে এসেছিল। গত বছরের ৩ মে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছিল। সে কারণে এপ্রিল মাসে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছিল বলে জানিয়েছেন জনশক্তি রপ্তানিকারক ও ব্যাংকাররা। ব্যাংকের চেয়ে খোলাবাজার বা কার্ব মার্কেটে ডলারের দাম বেশ বেশি হওয়ায় প্রবাসীরা অনেকেই ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে টাকা না পাঠিয়ে অবৈধ হুন্ডির মাধ্যমে পাঠানোয় ব্যাংকে রেমিট্যান্স কমতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। পরের মাস আগস্টে আসে কিছু কম, ২ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন ডলার। এর পরের ছয় মাসের কোনো মাসেই প্রবাসী আয় ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়নি। তিন মাস দেড় বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি এসেছে। মার্চ মাসে সেই রেমিট্যান্স ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। সব মিলিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) ১৬ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আসে দেশে, যা ছিল গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেশি। রেমিট্যান্সে প্রতি ডলারের জন্য এখন ১০৭ টাকা দিচ্ছে ব্যাংকগুলো। তবে কার্ব মার্কেটে ডলারের দর ১১৩ থেকে ১১৪ টাকা। ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠালে আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দেয় সরকার। এর পরও অবৈধ হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠালে প্রতি ডলারে ৪-৫ টাকা বেশি পাওয়া যায়। সে কারণেই হুন্ডির মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠান প্রবাসীরা।জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজের (বায়রা) সভাপতি আবুল বাশার দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘গত বছর (২০২২ সাল) আমরা ১১ লাখ লোককে বিদেশে পাঠিয়েছি, এটি একটি বিশাল বড় ঘটনা; রেকর্ড। সূত্র: দৈনিক বাংলা।
ডুবন্ত ট্রলার থেকে উদ্ধার হওয়া ৬ জনের মরদেহ হস্তান্তর
কক্সবাজারের কুতুবদিয়া সমুদ্র উপকূলে টেনে আনা ট্রলার থেকে অর্ধগলিত অবস্থায় যে লাশগুলো উদ্ধার হয়েছে, তাদের মধ্যে ছয়জনের পরিচয় শনাক্তের পর স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে বাকিদের পরিচয় শনাক্ত করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।রোববার দুপুরের দিকে কক্সবাজার পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস লাশগুলো উদ্ধার করলেও তাৎক্ষণিকভাবে কারও পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। কারণ মরদেহগুলো পচে গলে, অর্ধ কঙ্কালে রূপ নিয়েছিল।লাশগুলো উদ্ধারের পর সেগুলো কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়। সেখানেই ময়নাতদন্ত করা হয়।সোমবার সন্ধ্যায় পরিচয় শনাক্তের পর ছয়জনের মরদেহ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এরা সবাই কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার বাসিন্দা ছিলেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা।