আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৩, ২০২৩

গরম কমার লক্ষণ নেই, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়

চৈত্রের শেষে প্রচণ্ড গরম পড়েছে। শুধু রাজধানী ঢাকা নয়, এ গরম দেশের সর্বত্র। গরম কমার লক্ষণ নেই তাড়াতাড়ি। আজ বুধবার দেশের ৫৩ জেলায় তাপপ্রবাহ বইছে। এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। অন্তত আরও পাঁচ দিন এমন গরম থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা।চৈত্রের শেষে এমন তাপপ্রবাহ বইলেও মাসের শুরুটা কিন্তু আরামদায়ক ছিল। এর কারণ ছিল বৃষ্টি। চৈত্র মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে বৃষ্টি ঝরেছে। চলতি এপ্রিলের ২ তারিখে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কয়েক দিন ধরে চলা টানা বৃষ্টি শেষ হয়। এরপর অবশ্য দুয়েক জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি হয়েছে। তবে এক সপ্তাহ ধরে বৃষ্টির দেখা নেই প্রায় কোনো স্থানে। এর মধ্যে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই। আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায়, ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল নয়টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে—রাজশাহী, ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগ এবং নীলফামারীতে মৃদু থেকে মাঝারি আকারের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ ৫৩ জেলায় তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকতে পারে। সূত্র: প্রথম আলো

দারিদ্র্য কমেছে, ব্যয় বেড়ে দ্বিগুণ

করোনা মহামারি পরবর্তী সময় ও রাশিয়া-ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধের মধ্যেও দেশে দারিদ্র্যের হার কমেছে। দারিদ্র্যের বর্তমান হার ১৮.৭ শতাংশ, ছয় বছর আগে যা ছিল ২৪.৩ শতাংশ। এতে ৫.৬ শতাংশ দারিদ্র্য কমেছে। তবে ছয় বছর পর দেশে প্রতি পরিবারে খরচ বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। গতকাল বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) আয়োজিত ‘খানার আয় ব্যয় জরিপ ২০২২’-এর প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এসব তথ্য উঠে এসেছে।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ‘খানার আয় ব্যয় জরিপ ২০২২’-এর প্রকল্প পরিচালক মহিউদ্দিন আহমেদ।জরিপের মূল প্রবন্ধে বলা হয়, দেশে বর্তমানে দারিদ্র্যের হার ১৮.৭ শতাংশ। অতিদারিদ্র্যের হার ৫.৬ শতাংশ। এর আগে ২০১৬ সালে সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী দেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ২৪.৩ শতাংশ। ওই বছর দেশে হতদরিদ্র জনগোষ্ঠী ছিল ১২.৯ শতাংশ। তবে ছয় বছর পর দেশে প্রতি পরিবারে খরচ বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। ২০২২ সালে একটি পরিবারের মাসে গড় খরচ ছিল ৩১ হাজার ৫০০ টাকা, ২০১৬ সালে যা ছিল ১৫ হাজার ৭১৫ টাকা। সূত্র: কালের কণ্ঠ

সরকারের রাজস্ব ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলারের চাপ কমেনি
আট মাসে বাজেট বাস্তবায়নের হার ৩৮ শতাংশ ব্যালান্স অব পেমেন্টের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭৯৫ কোটি ডলারে

চলতি অর্থবছরের (২০২২-২৩) জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছিল সরকার। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অর্থবছরের প্রথম আট মাসে এর বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে প্রায় ৩৮ শতাংশ। একই সময়ে রাজস্বও আহরণ হয়েছে লক্ষ্যের অনেক কম। অর্থবছরের প্রথম আট মাস শেষে দেশের ব্যালান্স অব পেমেন্টের (বিওপি) ঘাটতি দাঁড়িয়েছে রেকর্ড প্রায় ৭৯৫ কোটি ডলারে। ফলে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের প্রথম কিস্তির অর্থ হাতে পাওয়ার পরও রিজার্ভ নিয়ে চাপ কমেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের।অর্থ মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ মাসিক রাজস্ব প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রণালয় ও সরকারি বিভাগগুলো ২ লাখ ৫৫ হাজার ১০২ কোটি টাকা ব্যয় করেছে, যা বরাদ্দকৃত বাজেটের মাত্র ৩৭ দশমিক ৬২ শতাংশ। এর মধ্যে উন্নয়ন খাতে ব্যয় হয়েছে ৫২ হাজার ৩০৬ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের মাত্র ২০ দশমিক ১৫ শতাংশ। আর পরিচালন খাতে ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ৯২ হাজার ৯৪৫ কোটি টাকা, যা এ খাতে বরাদ্দের ৪৬ দশমিক ৯ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের বাজেটে উন্নয়ন খাতে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৬১৬ কোটি ও পরিচালন খাতে ৪ লাখ ১১ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত রয়েছে। সূত্র: বণিক বার্তা।

Nagad

ধরাছোঁয়ার বাইরে শীর্ষ ২০ ঋণখেলাপি

ধরাছোঁয়ার বাইরেই রয়েছেন দেশের শীর্ষ ২০ ঋণখেলাপি। এসব খেলাপের বেশির ভাগ ইচ্ছাকৃত এবং অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে। ঋণখেলাপি এসব রাঘববোয়াল এতই প্রভাবশালী যে, আইনি ব্যবস্থা নিয়েও তাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতে পারছে না ব্যাংকগুলো। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টাকা আদায়ে প্রয়োজনে এসব খেলাপির সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, সাধারণ মানুষ ব্যাংকে যে আমানত রাখছেন, তার একটা অংশ নিয়ে যাচ্ছেন প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা। তা ফেরতও দিচ্ছেন না। এতে খেলাপি ঋণ বাড়ছে, যা ব্যাংক খাতের জন্য একটা বড় সমস্যা। তারা বলছেন, খেলাপি ঋণ আদায়ে ব্যাংকগুলোকে আরও কঠোর হতে হবে। দু-এক জন ঋণখেলাপির শাস্তি নিশ্চিত করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ হিসাবে গত বছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে শীর্ষ ২০ গ্রহীতার খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১৬ হাজার ৫৮৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা। সরকারের হিসাবে শীর্ষ ঋণখেলাপির তালিকায় রয়েছে সিএলসি পাওয়ার কোম্পানি, খেলাপি ঋণ ১ হাজার ৬৪০ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের খেলাপি ঋণ ১ হাজার ৫২৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। রিমেক্স ফুটওয়্যারের খেলাপি ঋণ ১ হাজার ৭৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। রাইজিং স্টিল কোম্পানির খেলাপি ৯৯০ কোটি ২৮ লাখ টাকা। মোহাম্মদ ইলিয়াস ব্রাদার্সের খেলাপি ৯৬৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। রূপালী কম্পোজিট লেদারওয়্যারের খেলাপি ৮৭৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা। ক্রিসেন্ট লেদারসের খেলাপি ৮৫৫ কোটি ২২ লাখ টাকা। কোয়ান্টাম পাওয়ার সিস্টেমসের খেলাপি ঋণ ৮১১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। সাদ মুসা ফেব্রিকসের খেলাপি ঋণ ৭৭৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। বিআর স্পিনিং মিলসের খেলাপি ঋণ ৭২১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এস এ অয়েল রিফাইনারির খেলাপি ঋণ ৭০৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। মাইশা প্রোপ্রার্টি ডেভেলপমেন্টের খেলাপি ঋণ ৬৬৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

শহীদ মিনারে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন সর্বস্তরের মানুষ
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৫ মিনিটে তাঁর মরদেহ বারডেম হাসপাতালের হিমঘর থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে আনা হয়। সকাল ১০টা ২০ মিনিট থেকে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শুরু হয়েছে। সর্বস্তরের মানুষসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে কফিনে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে। সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয়ভাবেও তাঁকে শ্রদ্ধা জানানো হবে। দুপুর ১টা পর্যন্ত মরদেহ শহীদ মিনারে রাখা হবে।শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দুপুর আড়াইটায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ডা. জাফরুল্লাহর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
আগামীকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মরদেহ নেওয়া হবে সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে। জুমার নামাজ শেষে সেখানে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সূত্র: সমকাল

অটোরিকশার ওপরে উঠে গেল বাস, প্রাণ গেল ৪ জনের

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার রায়খালী এলাকায় বাসের চাপায় এক নারীসহ সিএনজিচালিত অটোরিকশার চার যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে উপজেলার আরকান সড়কের শাকপুরা রায়খালী ব্রিজের পাশে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম জানা যায়নি।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নারীসহ চারজন মারা গেছেন। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধারে কাজ করছি। নিহতদের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি। স্থানীয়রা জানান, অটোরিকশাটি সঠিক লেনেই যাচ্ছিল। এ সময় দ্রুতগতিতে বিপরীত দিক থেকে আসা গাউছে রহমান মাইজভাণ্ডারী পরিবহনের একটি বাস ওভারটেক করে ভুল পথে চলে এসে অটোরিকশাটির ওপর উঠে যায়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে গিয়ে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

ঈদে টিকিট ছাড়া রেল স্টেশনে ঢুকতে পারবেন না যাত্রীরা

ঈদে বিনা টিকিটে রেলযাত্রা বন্ধে কঠোর হচ্ছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এবার বিনা টিকিটে রেলওয়ের স্টেশনগুলোতে প্রবেশের সুযোগ বন্ধে কমলাপুর স্টেশন ও বিমানবন্দর স্টেশন চত্বরে বাঁশের বেড়া দিয়ে সরু প্রবেশপথ তৈরি হয়েছে। যাত্রীদেরকে লাইন ধরে টিকিট দেখিয়ে স্টেশনে প্রবেশ করতে হবে। বুধবার ((১২ এপ্রিল) কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, স্টেশনের গেটের সামনে বেড়া বসিয়ে প্রবেশ পথ সরু করার কাজ চলছে।এ বিষয়ে কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার টিবিএসকে কে বলেন, “যাত্রীদের স্বচ্ছন্দে ভ্রমণ এবং যেন শুধু টিকিটের যাত্রীরাই ট্রেনে যেতে পারেন, সেজন্য এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। স্টেশনে বিনা টিকিটের যাত্রীদের প্রবেশ ঠেকাতে বাঁশের বেড়া দেওয়া হয়েছে।” যাত্রীদেরকে টিকিট দেখিয়ে সারিবদ্ধভাবে স্টেশনে প্রবেশ করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে করে স্টেশনের সামগ্রিক শৃঙ্খলারও উন্নতি হবে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচন
‘ঘরের প্রতিদ্বন্দ্বী’ নিয়ে চিন্তা আ.লীগের
নৌকার জন্য মাঠে ৪১ নেতা, গাজীপুরেই ১৭ জন * দুই বা তিন সিটিতে বিদ্রোহী থাকার শঙ্কা

পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দাঁড়াচ্ছে আওয়ামী লীগ। বিশেষ করে গাজীপুর, বরিশাল ও সিলেট-এ তিন সিটিতে দলীয় প্রার্থীর চাপ রয়েছে।
গাজীপুরে সর্বোচ্চ ১৭ জন দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী মাঠে আছেন। সিলেটে আছেন ১০ জন। আর বরিশাল সিটি নির্বাচনে সাতজন আওয়ামী লীগের ফরম কিনেছেন।এছাড়া রাজশাহীতে তিনজন, খুলনায় চারজন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান। বিএনপি না আসার ঘোষণার মধ্যে সব মিলিয়ে এই পাঁচ সিটিতে ৪১ জন নৌকার জন্য মাঠে রয়েছেন। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শেষ পর্যন্ত দুই বা তিন সিটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী থাকার শঙ্কা রয়েছে। এছাড়া অভ্যন্তরীণ কোন্দলও ভাবাচ্ছে দলটিকে। ফলে ঘরের প্রতিদ্বন্দ্বী নিয়েই চিন্তায় আওয়ামী লীগ। ১৫ এপ্রিল শনিবার গণভবনে দলের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানেই দলীয় প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করবে আওয়ামী লীগ। দলটির নেতারা বলছেন-সক্ষমতা, জনপ্রিয়তা, দলের সঙ্গে যোগাযোগ এবং বিভিন্ন জরিপ দেখেই তারা প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন। তাদের মতে, বিএনপি সরাসরি ভোটে না এলেও ‘ঘোমটা পরে নির্বাচনের মাঠে থাকবে। ফলে জাতীয় নির্বাচনের আগে এ নির্বাচনকে বেশ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত দলের সিদ্ধান্ত মেনে সবাই দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবেন বলেও আশা ক্ষমতাসীনদের।’ সূত্র: যুগান্তর

জাফরুল্লাহ চৌধুরীর যে উদ্যোগ ওষুধের দাম মানুষের নাগালের মধ্যে আনে

বাংলাদেশের প্রতিটি শ্রেণী-পেশার মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় স্বল্পমূল্যে মানসম্মত ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ১৯৮২ সালে প্রথমবারের মতো জাতীয় ওষুধ নীতি প্রণয়ন হয়, যার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।এই নীতির কারণে বাংলাদেশে ওষুধের দাম শুধু সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যেই আসেনি, বরং বিশ্বের ১৫০টির মতো দেশে এখন ওষুধ রপ্তানি করছে বাংলাদেশ।জাতীয় ওষুধ নীতি ১৯৮২ সালের ১২ই জুন অধ্যাদেশ আকারে জারি হয়, যা ১৯৪০ সালের মান্ধাতার আমলের ওষুধ আইন এবং ১৯৪৬ সালের বেঙ্গল ওষুধ রুলকে প্রতিস্থাপন করে।এর আগে সদ্য স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশে চাহিদার শতকরা ৭০% এর বেশি ওষুধ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করতে হতো।এ কারণে সাধারণ রোগের ওষুধ থেকে থেকে শুরু করে জীবন রক্ষাকারী ওষুধের দাম ছিল সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। ওষুধ কেনা ছিল খুব কষ্টসাধ্য। ওষুধ নীতির কারণে বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে ওষুধ উৎপাদন শুরু হয়, যার কারণে আমদানি নির্ভরতা কমে আসে। ফলে বাংলাদেশ ক্রমেই ওষুধের ক্ষেত্রে স্বনির্ভর হতে শুরু করে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

ব্যস্ত জামদানি পল্লী, তবে ‘বিক্রি কম’
তপ্ত গরমে উদোম গায়ে তাঁত চালাচ্ছেন কারিগররা। হাতের সুনিপুন দক্ষতায় সুতো চালিয়ে জামদানি কাপড়ে ফুটিয়ে তুলছেন নানা নকশা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে এই কর্মযজ্ঞ।
তবে ঈদকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জের জামদানি পল্লীর তাঁত ঘরগুলোতে কারিগরদের ব্যস্ততা দেখা গেলেও জামদানি শাড়ি বিক্রেতারা বলছেন ভিন্ন কথা।তাদের দাবি, ঈদের মৌসুমে এবার আশানুরূপ ক্রেতার দেখা মিলছে না। উৎসব ছাড়াও জামদানি পল্লীতে ভালো বিক্রি হয়। কিন্তু এবার পহেলা বৈশাখ ও ঈদের মতো উৎসব সামনে থাকলেও ক্রেতাদের তেমন সাড়া মিলছে না এখনও। রাজধানী ঢাকা থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে শীতলক্ষ্যার তীর ঘেঁষে রূপগঞ্জ উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামে অবস্থান এই জামদানি পল্লীর। ঢাকাই মসলিনের হাত ধরে জামদানির আগমন ঘটে এই অঞ্চলে। জামদানি শিল্পকে অগ্রসর করার জন্য বিংশ শতাব্দীর শুরুতে ২০ একর জমির উপর বিসিকের জামদানি শিল্পনগর কার্যক্রম শুরু হয়। যার উদ্যোগ নেওয়া হয় নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকেই। সূত্র: বিডি নিউজ