আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:০৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১২, ২০২৩

বরিশাল সিটি নির্বাচন
আওয়ামী লীগে আলোচনায় চাচা-ভাতিজা
এই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে মাঠে নেমেছেন বর্তমান মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর ছোট চাচা আবুল খায়ের আবদুল্লাহ।

বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগে এত দিন প্রকাশ্যে কোনো দ্বন্দ্ব ও বিভেদ দেখা যায়নি। মহানগর আওয়ামী লীগ ও নগরের ৩০টি ওয়ার্ডের কমিটিগুলো বর্তমান মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ নিজের মতো গুছিয়ে নিয়েছিলেন। সে জন্য অন্য কেউ মনোনয়ন চাইবেন, এমনটা ভাবার সুযোগ ছিল না। ফলে এত দিন ধরে নেওয়া হয়েছিল, আগামী সিটি নির্বাচনে সাদিক আবদুল্লাহই এখানে একক প্রার্থী। কিন্তু তফসিল ঘোষণার আগেই এই সিটি করপোরেশনে মনোনয়ন পেতে মাঠে নামেন সাদিক আবদুল্লাহর ছোট চাচা আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত। এর আগে অনেক দিন ধরেই মাঠে আছেন মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হক খান ওরফে মামুন। তবে হালে যোগ হয়েছেন আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন। মাহমুদুল হক ও জসিম উদ্দিন দুজনই বরিশাল সদর আসনের সংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের অনুসারী। গত রোববার প্রথম দিনেই এই তিনজন মনোনয়ন পাওয়ার জন্য দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। ফলে মনোনয়ন দৌড়ে এখন সাদিক আবদুল্লাহ অনেকটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন বলে মনে করছেন ভোটার ও সচেতন নাগরিকেরা।মনোনয়নপ্রত্যাশী নগর যুবলীগ নেতা মাহমুদুল হক খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘মনোনয়ন ফরম কিনেছি। বুধবারের মধ্যে জমা দেব। আমি স্কুলজীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এরপর দীর্ঘ দুই যুগের বেশি নগরের মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে থেকে কাজ করছি।’ সূত্র: প্রথম আলো

সবাক জীবন ছেড়ে নির্বাক জগতে

তিনি স্বার্থহীন এক দেশপ্রেমিক ছিলেন। তিনি সত্য বলেছেন নির্ভয়ে, নির্দ্বিধায়, নিঃসংকোচে। দেশের জন্য, সমাজের জন্য, মানুষের জন্য যা ভালো মনে করেন তা বলে গেছেন ডানে-বাঁয়ে না তাকিয়ে। তিনি বীর মুক্তিযাদ্ধা, তিনি চিকিৎসক, তিনি সমাজচিন্তক ও সংস্কারক ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। গত রাত ১১টার দিকে তিনি চলে গেলেন চিরবিদায় নিয়ে। সব জরা ছিন্ন করে এক নির্বাক জগতে।সততা, নির্লোভ, সাদামাটা জীবন ও সাহসিকতায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন অনন্য। গরিব, অসহায় ও দুস্থদের পরম আত্মার আত্মীয়। পিতৃসুলভ ভালোবাসায় গণমানুষের সেবা করে গেছেন মৃত্যু অবধি। এই অর্থেই তিনি ক্ষণজন্মা, একজন স্বপ্নবাজ সফল মানুষ। ৮১ বছরের জীবনে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন পর্বতচূড়ায়। মহান মুক্তিযুদ্ধের কিংবদন্তি যোদ্ধা ছিলেন, রণাঙ্গনে ফিল্ড হাসপাতাল তৈরি করে প্রাণ বাঁচিয়েছেন অসংখ্য আহত মুক্তিযোদ্ধার। তাঁর প্রচেষ্টায় চিকিৎসাসেবা হতদরিদ্র মানুষের হাতের নাগালে ছিল। সক্রিয় রাজনীতিতেও যুক্ত ছিলেন তিনি। তবে রাজনীতির মোহ তাঁকে আকৃষ্ট করতে পারেনি। সূত্র: কালের কণ্ঠ

চ্যালেঞ্জে আওয়ামী লীগ, চাপে বিএনপি
চোখ ৫ সিটি নির্বাচনে
পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়নপত্র বিক্রিও শুরু করেছে। তবে মাঠে বিএনপি নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে নেই। হাইকমান্ড থেকে নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, দলটি সিটি নির্বাচন নিয়ে কৌশলী অবস্থানে। অনেক সিটিতে নেতারা তলে তলে তৎপর রয়েছেন। প্রতীকে না হলে স্বতন্ত্রভাবে ভোটেরও প্রস্তুতি নিচ্ছেন কেউ কেউ। তৃণমূলের সূত্রমতে, সিটি ভোটে অংশ নিতে কেন্দ্রের ওপর স্থানীয় নেতাদের চাপ রয়েছে। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন।

বিদায় বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার প্রবাদপুরুষ!

Nagad

৮১ বছর বয়সে পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে থাকা অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার আগের দিন তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার দুপুরেও তার চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, ওষুধে ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছেন জাফরুল্লাহ। সবার মনে আশার সঞ্চার হয়েছিল, সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সবাইকে কাঁদিয়ে চিরবিদায় নিলেন তিনি।বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবায় একজন প্রবাদপুরুষ হয়ে থাকবেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। রাজনীতির ময়দানেও ছিলেন সরব — হয়েছেন অনেক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীনও। দেশের মানুষের তরে অনেক কিছুই সয়েছেন তিনি। বাংলার মানুষের জন্য জাফরুল্লাহর সেবার ব্রত শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের জন্মক্ষণেই। ১৯৭১ সালে জাফরুল্লাহ চৌধুরী ৩০ বছরের যুবক। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার সময় তিনি ইংল্যান্ডে এফআরসিএস পড়ছিলেন। জাহানারা ইমাম তার একাত্তরের দিনগুলিতে লিখেছেন, যুদ্ধ শুরু হলে জাফরুল্লাহ চৌধুরী এফআরসিএস পরীক্ষা বাদ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করতে দিল্লিগামী বিমানে চড়ে বসেন। সঙ্গে ছিলেন ডা. এম এ মোবিন। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

তাপদাহে অস্থির জনজীবন, গরম বাড়তে পারে আরও
বৈশাখের আগেই ভয়াবহ তাপদাহে অস্থির হয়ে উঠেছে জনজীবন। কয়েক দিন ধরে হাঁসফাঁস অবস্থা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাথার ওপর গনগনে সূর্য এমন দাপট দেখাচ্ছে যে, মানুষ তো বটেই, ভুগছে প্রাণপ্রকৃতিও। বৈরী আবহাওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বয়স্ক ব্যক্তি ও শিশুরা। এক সপ্তাহ আগে দেশের পাঁচ জেলা দিয়ে শুরু হওয়া তাপপ্রবাহ এখন দেশের প্রায় সব এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার এ বছরের সবচেয়ে উত্তপ্ত দিন কেটেছে। এ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৩৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শিগগিরই স্বস্তির সুখবর তো নেই-ই, উল্টো এমন দশা চলতে পারে আরও বেশ কয়েক দিন। আবহাওয়াবিদরাও বলছেন, গরমের তেজ আগামী কয়েক দিনে ৪০ থেকে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসও ছুঁতে পারে। মঙ্গলবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম বিভাগসহ দিনাজপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম এবং নেত্রকোনা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে; যা আরও সাত দিন অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনে তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতে তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে। তবে রাজশাহী, খুলনা ও ঢাকা বিভাগের দু-এক জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে বয়ে যেতে পারে তীব্র আকারে তাপপ্রবাহ-সূত্র: সমকাল

 

থাকবে মোবাইল কোর্ট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
ঈদযাত্রায় ৪৬ স্পটে যানজটের শঙ্কা
উত্তরাঞ্চল রুটে ভোগান্তির কারণ হতে পারে গাজীপুর, এলেঙ্গা-সিরাজগঞ্জ-বগুড়া সড়ক * চট্টগ্রাম ও দক্ষিণাঞ্চলের টোলপ্লাজায় একই পরিস্থিতির আশঙ্কা

আসন্ন ঈদযাত্রায় ঢাকা থেকে বাড়িমুখী যাত্রীদের ৪৬টি স্পটে যানজটে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে ২০টি হচ্ছে ঢাকার ভেতর এবং প্রবেশ বা বের হওয়ার পথ। পাশাপাশি পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু সেতু ও মেঘনা-ঘোমতী সেতুর টোলপ্লাজায় একই অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া ঢাকার আশপাশের জেলা গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জেও কয়েকটি যানজটপ্রবণ স্পট রয়েছে। বাকি স্পটগুলো অন্যান্য জেলায়।বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) এক পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে উল্লিখিত ৪৬টি স্পট। এসব স্থানে যানজট নিয়ন্ত্রণে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ। এছাড়া ঈদযাত্রায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আজ বৈঠক ডেকেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। জানতে চাইলে বিআরটিএ-এর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার মঙ্গলবার যুগান্তরকে বলেন, ঈদযাত্রায় অনেক কারণে যানজট তৈরি হতে পারে। উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, চার লেনের গাড়ি কোথাও দুই লেনে প্রবেশ করলে সেখানে যানজট হয়। সেতু ও সড়কে টোল আদায়ের সময় গাড়ি থেমে যাওয়ায় সেখানে যানজট হয়। রাস্তায় গাড়ি নষ্ট হয়ে গেলে সেটির কারণেও যানজট হয়। রাস্তার ওপর বাজার বসলে এর কারণেও যানজট হয়। সব মিলিয়ে আমরা কিছু স্থান চিহ্নিত করেছি, যেখানে যানজট হতে পারে। সূত্র: যুগান্তর

বিএনপির প্রবীণে আ.লীগের চোখ

আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করার কথা বলে আসছে সরকার। তাতে বিএনপির অবস্থানে এখন পর্যন্ত দৃশ্যত কোনো পরিবর্তন আসেনি। তারা শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে রাজি নয়। সংবিধানের মধ্য থেকে নির্বাচন করার পক্ষে অবস্থান নিয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ধরে রাখতে অন্তত চার ধরনের কৌশল নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে।এসব কৌশলের অংশ হিসেবে নির্বাচনের আগে দলবদলের খেলায় নামতে যাচ্ছে দলটি। এই খেলা নির্ভর করবে মাঠের বিরোধী দল বিএনপির নির্বাচনে অংশ নেওয়া না নেওয়ার ওপর। বিএনপি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত অংশ না নিলে দলবদলে ইন্ধন দেবে সরকারি দল আওয়ামী লীগ। আর বিএনপি অংশ নিলেও ভিন্ন ফর্মুলায় দল ছেড়ে কেউ সংসদ সদস্য হতে চাইলে তাদের উৎসাহ জোগাবে। সরকারি দলের নিশানায় রয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা, যাদের বয়স ৬৫ বছরের বেশি এবং পরে সংসদ সদস্য হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে দলটির এমন কৌশলের কথা জানা গেছে। বিএনপি ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন করছে। গত বছরের আগস্ট থেকে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করা দলটি গত ডিসেম্বরে ঢাকায় সমাবেশ করে ১০ দফা তুলে ধরে। ওইদিন সংসদে থাকা তাদের সাত সদস্য পদত্যাগ করেন। এসব দাবির মধ্যে অন্যতম হলো বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন করবে না। সূত্র: দেশ রুপান্তর

ঈদ সামনে রেখে রাজশাহীর সিল্কপাড়ায় ব্যস্ততা

রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী সিল্কের কাপড়ের কদর রয়েছে দেশজুড়ে। ঈদে সেই কদর বহুগুণে বেড়ে যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ফলে ঈদ সামনে রেখে রাজশাহীর সিল্কপাড়ায় কারখানা ও শো-রুমগুলোতে ব্যস্ততা বেড়েছে।এদিকে, গতবারের চেয়ে এবার সিল্ক পণ্যের দাম ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক ক্রেতা। তবে আমদানি করা সুতা ও রঙের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় পোশাকের দাম কিছুটা বেড়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে এবার নতুন নতুন নকশায় ও বাহারি রঙে সিল্কের কাপড় তৈরি করা হচ্ছে বলেও জানান তারা।দেশের সিংহভাগ রেশম পণ্য বা সিল্কসুতা রাজশাহীতেই উৎপাদিত হয়। বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের সদর দপ্তরও রাজশাহীতেই। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে রাজশাহী রেশম কারখানাটি খুঁড়িয়ে চলছে। তবে বেসরকারি উদ্যোগে বিকশিত হয়ে চলেছে রাজশাহীর সিল্ক। এককালে রেশম সুতা থেকে শুধু শাড়ি তৈরি হলেও এখন পণ্যের বৈচিত্র্য ও নকশার বিস্তৃতি ঘটেছে। এখন সব বয়সী ও শ্রেণির মানুষের পরিধান উপযোগী নানা ধরনের রেশম বস্ত্র তৈরি হচ্ছে রাজশাহীর বিভিন্ন কারখানায়। কারখানাগুলো রাজশাহীর বিসিক সপুরা এলাকায় গড়ে ওঠায় এই এলাকাকে বলা হয় সিল্কপাড়া। এখানে সপুরা সিল্ক, ঊষা সিল্ক, আমেনা সিল্ক, রাজশাহী সিল্কসহ বেশ কিছু শো-রুম রয়েছে। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

প্রথম আলো পত্রিকাকে ‘শত্রু’ কেন মনে করছে সরকার?

বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রধান দৈনিক সংবাদপত্র প্রথম আলোর বিরুদ্ধে সরকারের বিরাগের বিষয়টি প্রকাশ্য হয়ে উঠেছে। সোমবার বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘’প্রথম আলো আওয়ামী লীগের শত্রু, প্রথম আলো গণতন্ত্রের শত্রু, প্রথম আলো দেশের মানুষের শত্রু। আমি এটা অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলি যে, এরা এই দেশে কখনোই স্থিতিশীলতা থাকতে দিতে চায় না।‘’প্রথম আলোর বিরুদ্ধে বর্তমান ক্ষমতাসীনদের বিরাগ বা বিরোধিতার বিষয়টি অবশ্য এই প্রথম নয়। এর আগেও দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা এই মনোভাব প্রকাশ করেছেন।কিন্তু কেন বাংলাদেশের একটি দৈনিক পত্রিকাকে ‘শত্রু’ বিবেচনা করছে দেশের সরকার?ক্ষোভের সূচনা দেড় দশক আগে-বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাদের বড় একটি অভিযোগ, ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার থেকে দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্বে পরিবর্তন আনার যে চেষ্টা করা হয়েছিল, তাতে প্রথম আলোসহ কয়েকটি দৈনিকের ভূমিকা রয়েছে।সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে সেই কথাও বলেছেন, ‘’২০০৭ সালে যখন ইমার্জেন্সি হয়, তখন তারা উৎফুল্ল। দুটি পত্রিকা আদাজল খেয়ে নেমে গেল।‘’২০০৭ সালের ১১ই জুন প্রথম আলো পত্রিকায় ‘দুই নেত্রীকে সরে দাঁড়াতে হবে’ শিরোনামে একটি মন্তব্য প্রতিবেদন লিখেছিলেন সম্পাদক মতিউর রহমান। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

বঙ্গের আগুনে যেভাবে ‘পুড়ছে’ নারায়ণগঞ্জের ঈদ বাজার

আশা ছিল, ঈদকে ঘিরে পাইকারি পোশাকের ব্যবসা চাঙ্গা হবে। কিন্তু অর্থনৈতিক মন্দা আর বঙ্গবাজারের আগুনের প্রভাবে তাদের সে আশায় গুড়েবালি বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের তৈরি পোশাকের (হোসিয়ারি) পাইকারি ব্যবসায়ীরা।তারা বলছেন, একদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও সেবাখাতের খরচ বেড়ে যাওয়াতে সারাদেশের খুচরা বাজারে পোশাক বিক্রি কমে গেছে; অন্যদিকে বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের কাছে থাকা প্রায় শত কোটি টাকার বকেয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা। সব মিলিয়ে ‘মন্দা’ দেখা দিয়েছে জেলার পাইকারি পোশাকের বাজারে।সারাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের বড় একটি বাজার দখল করে রেখেছে নারায়ণগঞ্জ। হাত বাড়ালেই সুতা থেকে থানকাপড় সবই মেলে এই শহরে। ব্যবসায়ীদের ভাষায়, ‘মফস্বল’ ও ‘ফ্যান্টাসি’ উভয় ধরনের পোশাক তৈরি হয় এখানে। তার মধ্যে জেলার সবচেয়ে বড় তৈরি পোশাকের (হোসিয়ারি) পাইকারি বাজার শহরের দেওভোগ ও নয়ামাটি এলাকায়। এর বাইরেও শহরের টানবাজার, বন্দর উপজেলা ও সদরের কয়েকটি স্থান মিলিয়ে নারায়ণগঞ্জে রয়েছে পাইকারি পোশাক শিল্পের কয়েক হাজার কোটি টাকার ব্যবসা। সূত্র: বিডি নিউজ