আমরা চেষ্টা করি ভোক্তাদের যেন কষ্ট না হয়: বাণিজ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ২:৩৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৩, ২০২৩

আমরা চেষ্টা করি ভোক্তাদের যেন কষ্ট না হয়-বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী। তিনি বলেন, ‘ব্রয়লারের দাম বেড়েছে সেটা মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। আমরা চেষ্টা করি ভোক্তাদের যেন কষ্ট না হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে যেসব পণ্য সেগুলোর দাম আমরা ঠিক করে দেই। আমরা প্রত্যক্ষভাবে সেই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করি। এখন যদি বলেন, ধান উৎপাদনের সমস্যার উত্তর দিতে হবে সেটি তো আমি দিতে পারবো না। চালের দাম বাড়লেও বলা হয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কি করে।’

সোমবার (৩ এপ্রিল) রাজধানীর উত্তরায় পবিত্র রমজান মাসের দ্বিতীয় পর্বে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম ও অস্থায়ী আপদকালীন পণ্য মজুদগার উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

পণ্যের সমস্যা নেই, তাহলে বাজারে দাম কমছে না কেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয়ের অধীনে সবকিছু নয়। আপনারা যেমন ভাবছেন মুরগীর দাম, এটা কিন্তু বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কন্ট্রোল করে না। সবার ধারণা হয়েছে যাই বাড়বে সব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।’

এসময় অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আগের চারটি রমজান মাসের তুলনায় এবারের রমজান মাসটি ভালোভাবে যাচ্ছে। বিশ্ববাজারে গভীর সংকট চলমান থাকলেও আমরা আমাদের নিত্যপণ্যের বাজার স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেছি।’

টিপু মুনশি আরও বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে টিসিবির মাধ্যমে প্রতি মাসে আমরা এক কোটি পরিবারকে সাশ্রয়ী মূল্যে ডাল, তেল, চিনি এবং রমজান উপলক্ষে ছোলা ও ঢাকা শহরে খেঁজুর দিচ্ছি। প্রতি মাসে একবার দেই। কিন্তু রমজান মাসের কথা চিন্তা করে আমরা দুই বার একই ধরনের পণ্য দিচ্ছি। আমাদের দেশের দরিদ্রসীমায় আছে তিন কোটি থেকে সাড়ে তিন কোটি। আমরা কিন্তু তার চেয়েও বেশি সংখ্যক মানুষকে এই সুবিধা দিয়েছি।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকায় ১৩ লাখ পরিবারকে আমরা সহায়তা দিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী এটা চালিয়ে যেতে বলেছেন। করোনা মহামারি গেছে, মহামারি-অতিমারি, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ সবকিছুর প্রভাব মানুষের ওপর পড়েছে। আমরা শুরু করেছি, আশা করি সুন্দরভাবে শেষ করতে পারবো এই কার্যক্রম।’

Nagad

এক কোটির বাইরেও বেশি সংখ্যক মানুষকে সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে কি না জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এক কোটিকে আমরা ধরেছি। কোথাও কোথাও দেখা যায় কিছু বাদ পড়ে গেছে সেক্ষেত্রে আমরা ১-২ হাজার বাড়াই।’