আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর
প্রকল্পের ‘চুরি’ ধরতে আসছে ড্রোন
চলতি মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে কক্সবাজারে নির্মাণাধীন মাতারবাড়ী কয়লাবিদ্যুৎকেন্দ্র দেখতে যান পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) কর্মকর্তারা। যাওয়ার সময় তাঁরা নিয়ে গেছেন ড্রোন। এগুলো উড়িয়ে তাঁরা প্রকল্পের খুঁটিনাটি পর্যবেক্ষণ করেছেন। মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ৭৫ ফুট উঁচু চিমনি বানানো হয়েছে। আইএমইডির কর্মকর্তাদের পক্ষে এই চিমনির ওপরে উঠে কাজ ঠিকমতো হয়েছে কি না, তা দেখা সম্ভব নয়। সে জন্য তাঁরা প্রকল্প এলাকায় ড্রোন ওড়ান। চিমনির মুখে ড্রোন স্থির করে যাবতীয় নির্মাণকাজ দেখেন। এ ছাড়া চিমনির চারপাশ ঘুরে ঘুরে ড্রোনটি ছবিও তোলে।ঠিকাদারের কথা শুনে আইএমইডির কর্মকর্তারা থেমে না গিয়ে একটি ড্রোন ওড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। ড্রোনটি দেড় কিলোমিটার যাওয়ার পর দেখা গেল, বাঁধ আর নির্মাণই করা হয়নি।মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাঁচামাল রাখা হবে তিনটি শেডে। এর মধ্যে দুটি শেডের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। অন্যটি এখন নির্মাণাধীন আছে। আকাশে ড্রোন উড়িয়ে কাঁচামাল রাখার তিনটি শেডের নির্মাণকাজের অগ্রগতিও দেখেন আইএমইডির কর্মকর্তারা। এ ছাড়া মাতারবাড়ী প্রকল্প এলাকায় কতটুকু জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে, তার প্রকল্প দলিলের হিসাবের সঙ্গে মিল আছে কি না, সেটিও ড্রোন দিয়ে মাপজোখ করা হয়। এভাবে ড্রোনের সাহায্যে পুরো মাতারবাড়ী প্রকল্প পর্যবেক্ষণ করা হয়। সূত্র: প্রথম আলো


খাবারের অভ্যাস বদলেছে নিম্ন আয়ের ৯০% পরিবার
গ্রাম বা শহরের নিম্ন আয়ের মানুষের আয়ের ক্ষেত্রে তেমন কোনো পরিবর্তন না হলেও গত ছয় মাসের ব্যবধানে তাদের ব্যয় ও খাদ্যাভ্যাসের ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন হয়েছে। ছয় মাসে নিম্ন আয়ের পরিবারের খরচ ১৩-১৪ শতাংশ বেড়েছে। এ কারণে নিম্ন আয়ের ৯০ শতাংশের বেশি পরিবার তাদের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এনেছে। পরিবর্তনগুলো হচ্ছে নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো মাংস খাওয়া কমিয়েছে ৯৬ শতাংশ, মাছ খাওয়া কমিয়েছে ৮৮ শতাংশ, ডিম খাওয়া কমিয়েছে ৭৭ শতাংশ, তেল খাওয়া কমিয়েছে ৮১ শতাংশ, চাল খাওয়া কমিয়েছে ৩৭ শতাংশ এবং আটা খাওয়া কমিয়েছে ৫৭ শতাংশ। নিম্ন আয়ের অনেক পরিবার মাঝেমধ্যে এক বেলা কম খেয়ে থাকছে। অনেক নিম্ন আয়ের পরিবারকে সঞ্চয় ভেঙে ও ঋণ করে চলতে হচ্ছে। অনেকে বাধ্য হয়ে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে খরচ কমিয়েছে। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) দেশের আট বিভাগেই এক খানা জরিপ চালিয়ে এ তথ্য পেয়েছে। গত ৯ থেকে ১৮ মার্চ পর্যন্ত পরিচালিত এই জরিপে শহর ও গ্রামের নিম্ন আয়ের এক হাজার ৬০০ খানার কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সূত্র: কালের কণ্ঠ
রাজধানীর বেসরকারি স্কুলে ‘গলাকাটা’ ফি আরোপ
সরকারকে ফাঁকি দিতে বছরের শুরুতে কম নেওয়া হয় * আইডিয়াল স্কুলে জানুয়ারিতে ডায়েরি সিলেবাস ওয়াসা খাতে ৬শ টাকা নেওয়া হয়, এখন ফের দাবি ৯৫০ টাকা
চলতি বছরের শুরুতে রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও কলেজে ভর্তিকালে ইংরেজি ভার্সনের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা করে আদায় করা হয়।আইন ও পরামর্শ, নির্বাচন খরচ, গ্র্যাচুইটি, ওয়াসা-পৌরকর ও গ্যাস, পুরস্কার বিতরণী, ডায়েরি-সিলেবাস-ক্যালেন্ডারসহ ২৪ খাতে এ অর্থ নেওয়া হয়। কিন্তু একই ধরনের কয়েকটি খাতে এখন আবারও অর্থ জমা দেওয়ার জন্য অভিভাবকদের কাছে এসএমএস পাঠিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। শুধু তাই নয়, কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে টিউশন ফি।অনুসন্ধানে জানা গেছে, শুধু এই প্রতিষ্ঠানটি নয়, রাজধানীর আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ছাত্রছাত্রীদের টিউশন ফি বাড়িয়েছে। পাশাপাশি সরকারি তদারকি কমিটির তৎপরতার কারণে বছরের শুরুতে প্রতিষ্ঠানগুলো নির্ধারিত হারের বাইরে অভিভাবকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতে পারেনি। তাই দুই মাস না যেতেই এখন ফাঁদ পেতে বসেছে। নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতিতে এমনিতেই অভিভাবকদের নাভিশ্বাস উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে স্কুলে সন্তানের বিভিন্ন ফি বিশেষ করে একই খাতে দ্বিতীয়বার ফি আদায়ের পদক্ষেপে অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা স্কুলগুলোর এই পদক্ষেপকে ‘অনৈতিক এবং ভাঁওতাবাজি’ হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন।জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, কোনো স্কুলই সরকার নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত আদায় করতে পারবে না। এ নিয়ে সারা দেশের জন্যই মাউশির তদারকি দল আছে। ঢাকার কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্পর্কে তারা এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ পাননি। তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সূত্র: যুগান্তর
সরকারি হাসপাতালে বৈকালিক সেবায় আপত্তি ডাক্তারদের
১০ জেলায় চালু আজ
দেশের ১০টি জেলা ও ২০টি উপজেলায় সরকারি হাসপাতালে নির্ধারিত ফি নিয়ে বৈকালিক সেবা চালু হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। বিকেল ৩টায় এই কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এ সময় হাসপাতালের তালিকা প্রকাশ করা হবে। তারপর আনুষ্ঠানিকভাবে সেবা চালু হবে। তবে এ সেবা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে চিকিৎসকদের মধ্যে। অনেকে এ নিয়ে আপত্তি তুলেছেন।গত সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর সভাপতিত্বে বৈঠকে এ সেবা নিয়ে আপত্তি তোলেন চিকিৎসকরা। তবে আপত্তির বিষয়ে গুরুত্ব দেননি স্বাস্থ্যমন্ত্রী। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে এই সেবা পাইলট প্রকল্প হিসেবে চালু করা হচ্ছে। সফল হলে পর্যায়ক্রমে সারাদেশে চালু হবে। তবে মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাই জানেন না এই সেবার ক্ষেত্রে বিভিন্ন পরীক্ষার ফি কত হবে। কীভাবে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন হবে– এটাও পরিষ্কার নয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, চার বছর আগে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নির্দেশনা বাস্তবায়নে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এমন ঘোষণা দিয়েছেন। একটি ভালো উদ্যোগ যথাযথ পরিকল্পনার অভাবে মুখ থুবড়ে পড়তে পারে। এটার প্রভাব পড়তে পারে নতুন প্রকল্পগুলোতে। গত সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিবসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিএমএ, স্বাচিপের নেতাসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষরা। সূত্র: সমকাল
রেড নোটিসেও অধরা অপরাধী
♦ আইনের ফাঁকফোকরে ৬৩ জন ধরাছোঁয়ার বাইরে ♦ ১৮ বছরে দেশে ফেরানো হয়েছে মাত্র ১৭ জনকে
লিবিয়ায় পাচার হওয়া ২৬ বাংলাদেশিকে ২০২০ সালের ২৮ মে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থার (ইন্টারপোল) রেড নোটিসে ছয়জনের নাম প্রকাশ পায়। তাদেরই একজন কিশোরগঞ্জের জাফর ইকবালকে ইতালিতে গ্রেফতার করে সে দেশের পুলিশ। ২০২১ সালের ১০ জানুয়ারি পুলিশ সদর দফতরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোকে (এনসিবি, ঢাকা) চিঠি দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করে এনসিবি, রোম। পুলিশের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়, জাফরকে ফিরিয়ে আনতে সর্বোচ্চ ৪০ দিন লাগতে পারে। তবে সেই আসামিকে আজও ফিরিয়ে দেয়নি ইতালি সরকার। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশের মানব পাচার আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ- হওয়ার কারণেই এমনটা হয়েছে। বাংলাদেশের একসময়ের ভয়ংকর সেভেন স্টার গ্রুপের অন্যতম সদস্য তানভীর ইসলাম জয়। ২০০৭ সালে কলকাতার বাগুইআটির চিনার পার্কের একটি বাসা থেকে জয়কে গ্রেফতার করে পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি। এর মাত্র দুই বছর আগে ২০০৫ সালে কয়েক ডজন খুন, চাঁদাবাজি, অপহরণ মামলায় অভিযুক্ত ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর একজন এই জয়ের বিরুদ্ধে রেড নোটিস জারি করে ইন্টারপোল। জয়কে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ সরকার চিঠিও দেয় ভারত সরকারকে। উল্টো ভারতীয় আদালতে নিজেকে তারেক রানা দাবি করে জামিন নিয়ে কানাডায় চলে যান জয়। ২০১৪ সালে কানাডায় ১০ বছরের ভিসা পেয়ে টরন্টোর আয়াক্স শহরে বসবাসও করছিলেন তিনি। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।
মিউচুয়াল ফান্ড
বড় ভূমিকা নেয়ার আগেই কেলেঙ্কারিতে চুপসে যাচ্ছে
দেশে মিউচুয়াল ফান্ড খাতের যাত্রা শুরু চার দশকেরও বেশি আগে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বিনিয়োগকারীদের সন্তুষ্ট করতে পারছে না খাতটির পারফরম্যান্স। প্রশ্নবিদ্ধ বিনিয়োগ ও হতাশাজনক রিটার্নের কারণে মিউচুয়াল ফান্ডে দিন দিন আগ্রহ হারিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ফান্ডের অর্থ আত্মসাৎ ও বিদেশে পাচারের মতো গুরুতর অভিযোগও। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পারফরম্যান্সের দিক দিয়ে পিছিয়ে থাকলেও অনিয়মে এগিয়ে দেশের মিউচুয়াল ফান্ড খাত। সামনের দিনগুলোয় মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগকারীদের আস্থা সংকট আরো তীব্র হয়ে ওঠার আশঙ্কা করছেন তারা।সাধারণ ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম মিউচুয়াল ফান্ড। বৈশ্বিক পুঁজিবাজারে বিভিন্ন ধরনের মিউচুয়াল ফান্ডের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এসব ফান্ডের অধীনে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ থাকে, যা পুঁজিবাজারসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করেন সম্পদ ব্যবস্থাপকরা। পুঁজিবাজারের সংকটকালে বাজার স্থিতিশীলতায়ও ফান্ডগুলো ভূমিকা রেখে থাকে। যদিও বৈশ্বিক এ চিত্রের বিপরীত অবস্থা বাংলাদেশে। আকারে ছোট হওয়ায় দেশের পুঁজিবাজারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেই মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর। এমনকি বাজারের সংকটকালেও ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে এসব ফান্ড। চার দশকেও বিনিয়োগকারীদের আস্থার জায়গায় পৌঁছতে পারেনি মিউচুয়াল ফান্ড। তহবিলের অর্থ বিভিন্ন তালিকাবহির্ভূত কোম্পানিতে বিনিয়োগের বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। যদিও এর বিপরীতে তেমন কোনো রিটার্ন আসছে না। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) তদন্তেও তালিকাবহির্ভূত কোম্পানিতে আইন লঙ্ঘন করে মিউচুয়াল ফান্ডের অর্থ বিনিয়োগের বিষয়টি উঠে এসেছে। এছাড়া মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের বিপরীতে আকর্ষণীয় রিটার্নও পাননি বিনিয়োগকারীরা। সর্বশেষ প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে, মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর মধ্যে দুটি বাদে বাকি ৩৪টি এখন ফেসভ্যালুর নিচে লেনদেন হচ্ছে। এছাড়া ১৪টি ফান্ডের বাজারমূল্যে নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) এখন ১০ টাকার নিচে রয়েছে। সূত্র: বণিক বার্তা।
বেকারের আকার কমেছে
যদি কোনো নারী কমপক্ষে দুটি মুরগি পালন করেন অথবা কোনো ব্যক্তি যদি সপ্তাহে এক ঘণ্টা কাজ করেন তাকে শ্রমশক্তির আওতায় এনেছে সরকার। অথচ সপ্তাহে এক ঘণ্টা কাজ করে কর্মের আওতায় এসেছেন এমন পরিসংখ্যানের হিসাবই দেওয়া হয়নি। গতকাল বুধবার শ্রমশক্তি জরিপ ২০২২ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো-বিবিএস। ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে প্রকাশের কথা থাকলে শ্রমশক্তি জরিপটি ছয় বছর পর প্রকাশ করল বিবিএস। এতে বর্তমানে দেশে বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ ৩০ হাজার বলে উল্লেখ করা হযেছে। যা ২০১৭ সালের জরিপে ছিল ২৭ লাখ। অর্থাৎ ছয় বছরের ব্যবধানে দেশে বেকার কমেছে ৭০ হাজার। শ্রমশক্তি জরিপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। সরকারের বেকারত্বের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি ৩০ দিনে বেতন বা নিজস্ব পণ্য উৎপাদনের নিমিত্তে কোনো না কোনো কাজ খুঁজে থাকেন এবং গত সাত দিনে কাজ করার জন্য প্রস্তুত থাকেন তবে তাকে বেকার হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।বিবিএস বলছে, করোনার সময় দেশে বেকারের সংখ্যা বাড়েনি বরং কমেছে। কারণ ওই সময় সরকার বিশেষ অনেক পদক্ষেপ নেওয়ায় এসব বেকারের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। তাছাড়া কৃষি খাতে অংশগ্রহণ বাড়ায় বেকারের সংখ্যা কমেছে।জরিপে বলা হয়েছে, দেশে এখন ২৬ লাখ ৩০ হাজার বেকার আছে। এর আগে ২০১৭ সালের জরিপে বেকারের সংখ্যা ছিল ২৭ লাখ। ছয় বছরের ব্যবধানে বেকার কমেছে ৭০ হাজার।জরিপে দেখা গেছে, ছয় বছর আগের তুলনায় বেকারত্বের হারও কমেছে। ২০১৭ সালে বেকারত্ব ছিল ৪ দশমিক ২ শতাংশ। সর্বশেষ জরিপ বলছে, এখন বেকারত্ব কমে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ হয়েছে। সপ্তাহে এক ঘণ্টা মজুরির বিনিময়ে কাজ করার সুযোগ না পেলে তাকে বেকার হিসেবে ধরা হয়। সূত্র: দেশ রুপান্তর
শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ায় বেকারত্ব কমে ৩.৬ শতাংশ হয়েছে
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পরিচালিত সাম্প্রতিক শ্রমশক্তি জরিপের তথ্যানুসারে, নারী ও তরুণদের কর্মসংস্থান বাড়ার কারণে ২০২২ সালে দেশে বেকারত্বের হার কমে ৩.৬ শতাংশে পৌঁছেছে। এর আগের প্রতিবেদনে ২০১৬-১৭ সালে দেশের বেকারত্বের হার ছিল ৪.২ শতাংশ। ত পাঁচ বছরে দেশে বেকারের সংখ্যা ৭০,০০০ কমেছে। বর্তমানে দেশে মোট বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ ৩০ হাজার।বাংলাদেশে কর্মসংস্থান বলতে এমন অবস্থাকে বোঝায় যেখানে মানুষ মজুরি, বেতন, কমিশন, টিপস বা অন্য কোনো পারিশ্রমিকের বিনিময়ে কাজ করে। এমনকি কেউ আগের সপ্তাহে এক ঘণ্টা কাজ করলেও তিনি বেকার নন। বিবিএসের সংজ্ঞানুসারে, কেউ যদি সপ্তাহে এক ঘণ্টা মজুরির বিনিময়ে কাজ করার সুযোগ না পান, তাহলে তাকে বেকার হিসেবে ধরা হয়।জরিপে কর্মসংস্থানের ধারায় একটি পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। সেটি হলো, কৃষি ও সেবাখাতে নিয়োজিত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে এবং শিল্পখাতে নিয়োজিত মানুষের সংখ্যা কমেছে।কর্মশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ ২০২২ সালে বেড়েছে, যার প্রতিফলন দেখা গেছে জাতীয় পর্যায়ে।এছাড়া যুব শ্রমশক্তিও বেড়েছে, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও প্রতিযোগিতা-সক্ষমতা বাড়াতে পারে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যন্ডার্ড।
সংশোধিত ব্যাংক আইন কতটা কমাতে পারবে এ খাতের অনিয়ম?
বাংলাদেশে কোন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে একই পরিবারের তিন জনের বেশি পরিচালক থাকতে পারবে না বলে ব্যাংক কোম্পানি আইনের এক নতুন খসড়ায় বলা হয়েছে। নতুন এ খসড়াটি মঙ্গলবার মন্ত্রীসভায় পাস হয়। তবে অর্থনীতিবিদসহ সংশ্লিষ্টরা একে ইতিবাচকভাবে দেখলেও তারা মনে করছেন যে, ব্যাংকিং খাতে সুশাসনের যে অভাব রয়েছে তা কাটাতে এই নতুন খসড়া খুব বেশি কাজে আসবে না।বরং তারা বলছেন, দেশের ব্যাংক খাতে এরই মধ্যে যে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে সেগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা না হলে এ খাতে আস্থাহীনতা দেখা দিতে পারে।মঙ্গলবার মন্ত্রীসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ব্যাংক কোম্পানি আইন ২০২৩ এর যে খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে সেখানে উল্লেখযোগ্য বেশ কিছু সংশোধন রয়েছে।“ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সাথে লেনদেন এবং ব্যাংক কোম্পানীর পরিচালক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ঋণ প্রদান ও জামানত গ্রহণের বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।”সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন জানান, এই আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী কার্যকর হলে পরিচালনা পর্ষদে ‘পরিবার-ভিত্তিক আধিপত্য’ কমবে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।
চট্টগ্রামে এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক যুগান্তরের এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। বুধবার ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সাবেক নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর যুগান্তরের প্রতিবেদক মাহবুব আলম লাবলুর বিরুদ্ধে এ মামলা করেন বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী।সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জহিরুল কবীরের আদালত মামলাটি গ্রহণ করে তা তদন্তের পর প্রতিবেদন দিতে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে নির্দেশ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।ঢাকায় প্রথম আলোর সাভার প্রতিনিধি শামসুজ্জামান শামসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার খবর নিয়ে আলোচনার মধ্যে চট্টগ্রামে আরেক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলার এ খবর এল। সূত্র: বিডি নিউজ