আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:১৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৪, ২০২৩

সেন্ট মার্টিনের বেশির ভাগ মানুষ হতদরিদ্র, তবে কেউ পাননি উপহারের ঘর

কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিন দ্বীপের একজন বাসিন্দাও এ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাননি। অথচ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের হিসাবে দ্বীপটিতে বসবাস করা প্রায় ৬০ শতাংশ পরিবার ভূমিহীন-হতদরিদ্র।প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিবেশ সংকটাপন্ন হওয়ায় দ্বীপটিতে স্থাপনা নির্মাণের ক্ষেত্রে সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর উপহারের পাকা ঘর নির্মাণ করা যাচ্ছে না। যদিও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দাবি, হতদরিদ্রদের জন্য ঘর নির্মাণে নিষেধাজ্ঞার দোহাই দেওয়া হলেও দ্বীপে বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের তথ্যমতে, বঙ্গোপসাগরের বুকে ৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের প্রবালসমৃদ্ধ দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে বসবাস করছে প্রায় ১০ হাজার মানুষ। দ্বীপে ১ হাজার ৯৬০টি ঘর রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১ হাজার ২০০ পরিবার হতদরিদ্র-ভূমিহীন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দ্বীপের ৯০ শতাংশ মানুষ মূলত মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। বছরের নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত দ্বীপটি পর্যটকে সরগরম থাকে। তখন বিকল্প আয়ের সুযোগ হয় তাঁদের। সূত্র: প্রথম আলো

দামের অস্বস্তি নিয়ে রোজা শুরু
রোজার শুরুতেই অস্থির হয়ে উঠেছে ভোগ্য পণ্যের বাজার। এ সময়ের বাড়তি চাহিদার প্রায় সব পণ্যের দামই এখন বেশ চড়া। পুরো মাস এই বেসামাল বাজার পরিস্থিতি কিভাবে সামলাবে, সে আশঙ্কায় অস্বস্তিতে ভোক্তারা। আজ শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান মাস। দেড়-দুই মাস আগ থেকে অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার। বিশেষ করে মুরগি, মাংস, ডিম, সবজি, চিনি এবং বিভিন্ন মসলার দাম চড়ে গেছে। বাজারের এই অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে সরকারের নানা উদ্যোগ ও তোড়জোড় থাকলেও বাস্তবতা ভিন্ন। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোগ্যপণ্যের বাজারে প্রায় সব কিছুর দাম ছিল আকাশ ছোঁয়া।রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, রমজানে বিশেষ চাহিদার পণ্যগুলোর মজুদে কোনো ঘাটতি না থাকলেও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। স্থানীয় উৎপাদন, আমদানি ও মজুদ পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে বাণিজ্যমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রী বলেছিলেন, রমজানে যেসব পণ্যের বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়, সেগুলোর মজুদ পরিস্থিতিতে কোনো সংকট নেই। সূত্র: কালের কণ্ঠ

চার মিউচুয়াল ফান্ডে ভয়াবহ জালিয়াতি
আত্মসাৎ ২৩৫ কোটি টাকা

সরাসরি তছরুফ ১৭০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, ৬৪ কোটি ৫২ লাখ টাকার সুবিধা গ্রহণ * যুগান্তরের প্রতিবেদনের সত্যতা মিলেছে
জালিয়াতির মাধ্যমে শেয়ারবাজারে ৪ মিউচুয়াল ফান্ড থেকে ২৩৫ কোটি ১২ লাখ টাকা সরিয়ে নিয়েছে সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি ইউনিভার্সাল ফাইন্যান্সিয়াল সলিউশন (ইউএফএস)। এরমধ্যে ইউএফএসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ হামজা আলমগীরের নেতৃত্বে ১৭০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা সরাসরি আত্মসাতের প্রমাণ মিলেছে। এই টাকা নিয়ে ১৩ অক্টোবর তিনি দুবাই পালিয়েছেন।এ বিষয়ে ১ জানুয়ারি যুগান্তরে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে নড়েচড়ে বসে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। স্বতপ্রণোদিত হয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) প্রতি রুল জারি করেন সর্বোচ্চ আদালত। সর্বশেষ বিএসইসির তদন্ত রিপোর্টে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার বেশকিছু পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এসব পদক্ষেপের মধ্যে ইউএফএসের লাইসেন্স বাতিল, কোম্পানির এমডিসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা, অডিট কোম্পানি নিষিদ্ধ করার বিষয়টি আছে। এছাড়া সরকারি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।ইউএফএস একটি সম্পদ ব্যবস্থাপনা (অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট) কোম্পানি। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির অনুমতি নিয়ে এই কোম্পানি বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করে। এই প্রক্রিয়াকে শেয়ারবাজারের পরিভাষায় মিউচুয়াল ফান্ড বলা হয়। নিয়ম অনুসারে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগে কোনো অনিয়ম হলে, ট্রাস্টি ও কাস্টডিয়ান প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে রিপোর্ট করতে হয়। কিন্তু ট্রাস্টি ও কাস্টডিয়ানের সামনেই এই জালিয়াতি করেছে ইউএফএস। ভুয়া সম্পদ এবং অস্তিত্বহীন ব্যাংক ব্যালেন্স দেখিয়েছে। সূত্র: যুগান্তর

ফোন বন্ধ, খোঁজ মিলছে না আরাভের
দু’দিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাসে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছিলেন দুবাইয়ে থাকা বিতর্কিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান। এর পর থেকে তাঁর খোঁজ মিলছে না। আর কোনো স্ট্যাটাসও দেননি তিনি। তাঁর মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, আরাভ খানের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনও তাদের কাছে কোনো সহায়তা চায়নি। আরাভ নজরদারিতে আছেন। বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরিন বলেন, ‘আরাভের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে। এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যদি আমাদের কাছে কোনো সহায়তা চায় বা দূতাবাসের সহায়তা চায়, তাহলে অবশ্যই তথ্য দিয়ে সহায়তা করব। এ বিষয়ে দূতাবাস যোগাযোগ রাখছে’। আরাভ খানের সর্বশেষ অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা যত দূর জানি আরাভ খান এখন পর্যন্ত নজরদারিতে আছেন। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।’ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে আরাভ খান নাম ধারণ করে রবিউল দুবাইয়ে পৌঁছান।এ নিয়ে জানতে চাইলে সেহেলি সাবরিন বলেন, ভারতের পাসপোর্টের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় দেখবে। ভারতের পাসপোর্ট বাতিল করে তাঁকে দেশে ফেরত আনা হবে কিনা, সেটি নিয়ে ওই মন্ত্রণালয় কাজ করবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে তথ্য চাওয়া হলে সহায়তা করা হবে। সূত্র: সমকাল

Nagad

পোলট্রি খাতে কয়েকটি কোম্পানিই সর্বেসর্বা

মুরগির বাচ্চা ও পোলট্রি খাদ্যের (ফিড) সিংহভাগ উৎপাদন করছে কয়েকটি কোম্পানি। পাশাপাশি ডিম ও মাংসের বাজারেও বড় একটি অংশ তাদের দখলে। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে উৎপাদনের পাশাপাশি চুক্তির ভিত্তিতে কোম্পানির বাইরে অন্য অনেক খামারিকেও কাজে লাগাচ্ছে কোম্পানিগুলো। বাজারের আকৃতি, মুনাফাসহ ব্যবসায়িক বিভিন্ন তথ্য প্রকাশের বিষয়ে কোম্পানিগুলো বরাবরই এক ধরনের গোপনীয়তা বজায় রাখে। কোম্পানিগুলোর দাবি, ডিম ও মাংসের বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ন্ত্রণ ১০-১৫ শতাংশের বেশি হবে না। যদিও খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের পোলট্রি পণ্যের বাজারের সিংহভাগই কোম্পানিগুলোর দখলে। বলতে গেলে বাজারের গতিপ্রকৃতি তারাই নিয়ন্ত্রণ করছে। কয়েক মাস ধরেই অস্থিতিশীল মুরগি ও ডিমের বাজার। স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন মহল থেকে চেষ্টা করা হলেও সুফল পাচ্ছেন না ভোক্তারা। এর মধ্যে আবার প্রান্তিক খামারিরাও মুনাফা করতে পারছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। পোলট্রি বাজারে বর্তমানে যে কয়টি প্রতিষ্ঠানকে প্রভাবশালী হিসেবে দেখা হয় সেগুলোর মধ্যে হলো কাজী ফার্মস গ্রুপ, নারিশ, প্যারাগন, আফতাব, কোয়ালিটি, প্রোভিটা, সিপি, ডায়মন্ড এগ, রাশিক/জামান গ্রুপ ইত্যাদি।পোলট্রি খাতে মাংস ও ডিমের জন্য মুরগির একদিন বয়সী বাচ্চা ক্রয় করে থাকেন খামারিরা। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এসব বাচ্চা যেসব মোরগ-মুরগির মাধ্যমে উৎপাদন হয়; সেগুলোকে বলা হয় প্যারেন্ট স্টক (পিএস)। আর পিএস উৎপাদন হয় গ্র্যান্ড প্যারেন্ট স্টক (জিপি) থেকে। দেশে জিপি ও পিএসের বাজারের পুরোটাই করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রণে। সূত্র: বণিক বার্তা।

রমজানে ব্যয় বাড়ার জন্য কি শুধু যুদ্ধই দায়ী?

রমজান শুরু হয়েছে। এর সঙ্গে সঙ্গে প্রধান খাদ্যপণ্যগুলোর—আমদানিকৃত ও স্থানীয় উভয়ের—দামও আকাশছোঁয়া হয়ে গেছে। এই কঠিন পরিস্থিতিতে ভোক্তাদের যখন হাঁসফাঁস দশা, তখন ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ৩০ টাকা কমানোর ঘোষণা খানিকটা স্বস্তি হয়ে এসেছে।দেশের বাজারে চিনি, ভোজ্যতেল ও আটার মতো আমদানিকৃত পণ্যগুলোর মূল্যবৃদ্ধির দায় চাপানো হচ্ছে যুদ্ধের প্রভাবে ডলারের বিপরীতে টাকার মানের ব্যাপক পতনের ওপর। কিন্তু স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত মুরগি, ডিম, গরুর মাংস ও শসা-তরমুজও এই মূল্যবৃদ্ধির মিছিলে যোগ দিয়েছে।মুরগির মূল্যবৃদ্ধির দায় চাপানো হচ্ছে পোল্ট্রি ফিডের চড়া মূল্যের ওপর।কিন্তু এই মূল্যবৃদ্ধির পেছনে বহুদিনের পুরনো আরও কিছু কারণও রয়েছে। এই পুরনো কারণগুলোর একটি হলো, মহাসড়কে পণ্যবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজি। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

ভোটের রাজনীতিতে জমবে ইফতার
আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ সব দল ও সহযোগী সংগঠনে থাকছে মাসব্যাপী আয়োজন, সামাজিক সংগঠনগুলোও পিছিয়ে নেই

চলতি বছরের শেষে অথবা নতুন বছরের শুরুতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সে হিসেবে এটিই হচ্ছে সংসদ নির্বাচনের আগে শেষ রমজান মাস। এ মাসে মাঠের রাজনীতি ছেড়ে এখন ইফতার রাজনীতিতে মনোযোগ আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ ছোট-বড় রাজনৈতিক দলগুলোর। রাজধানী থেকে উপজেলা ভোটের রাজনীতিতে জমবে ইফতার। আওয়ামী লীগ এবার ঘটা করে কোনো ইফতার কর্মসূচি রাখছে না। তবে বিভিন্ন উপকমিটির আয়োজনে নানা শ্রেণি-পেশার ব্যক্তিদের নিয়ে ইফতার পার্টি করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। প্রতি বছর গণভবনে এতিম শিশু, বুদ্ধিজীবী, রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইফতারে অংশ নিলেও এবার আপাতত কোনো কর্মসূচি নেই বলে জানা গেছে। দেশের প্রধান দুই দলের পাশাপাশি তাদের সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম, অঙ্গসংগঠনগুলোও রমজানে মাসব্যাপী কর্মসূচি পালন করবে। শুধু দুই শীর্ষ দলই নয়, জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে অন্যান্য দলের পাশাপাশি ইসলামি ও বামপন্থি দলগুলোও ইফতার রাজনীতিতে সক্রিয় থাকবে। সবারই লক্ষ্য দলীয় ঐক্য বাড়ানো, নতুন মিত্রের সন্ধান আর নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেওয়া। দলগুলোর কেন্দ্রীয় থেকে শুরু করে সাবেক ও বর্তমান এমপি-মন্ত্রী, মনোনয়নপ্রত্যাশীরা ছুটে যাবেন নিজ নিজ এলাকায়। রমজানজুড়ে চলবে ইফতার রাজনীতি। ভোটের রাজনীতিতে জমবে ইফতার। দলগুলোর নীতিনির্ধারণী ফোরামের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন ।

রোজার পাত থেকে অনেক বাদ
রোজার মাসে খাবারের জন্য শরীফুল আলমের বাজেট ১২ হাজার টাকা। পাঁচ দিনের বাজার করতে গিয়ে তিনি দেখেন, মাছ কিনলে মুরগি কেনা যায় না, মুরগি কিনলে মাছ বাদ দিতে হয়। গরুর মাংস তো বিলাসী খাবার, তাই সে দোকানে নজরই দেননি তিনি। পাঁচ দিনের মধ্যে তিন দিনই তার পরিবারকে মাছ-মাংসের মতো প্রোটিন খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। আর ইফতারিতে উচ্চ মূল্যের বিদেশি ফল বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত তিনি আগেই নিয়েছেন। শুধু শরিফুলই নন, বাজার করতে আসা নিম্ন মধ্যবিত্ত কিংবা নিম্ন আয়ের সব ভোক্তারই একই গল্প। তারা বলছেন, এবারের রমজানে কম খেয়েই রোজা রাখতে হবে।গত এক বছরে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ৮০ শতাংশের বেশি। প্রায় একই হারে বেড়েছে পাকিস্তানি ককসহ অন্যান্য মুরগির দাম। সব ধরনের মাছের দাম গড়ে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।একটু সাধারণ হিসাব করা যাক। চারজনের একটি পরিবার যদি মাছ, মাংস বাদ দিয়ে সাহরিতে গড়ে ২০০ টাকা, সন্ধ্যা রাতের খাবারে যদি গড়ে ১৫০ টাকা আর ইফতারিতে ফল যোগ না করে গড়ে যদি ১০০ টাকা খরচ করেন তবে মাসে ব্যয় হবে প্রায় ১৩ হাজার ৫০০ টাকা। আর যদি মাছ-মাংস যোগ হয় তাহলে সাহরিতে ন্যূনতম ৩০০, রাতের খাবারে ৩০০ ও ইফতারিতে ফল যোগ করলে গড়ে ২০০ টাকা খরচ করলে মাসে খরচ হবে প্রায় ২৪ হাজার টাকা। এ হিসাব চারজনের একটি পরিবারের সর্বনিম্ন হিসাব। গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গত অক্টোবরের হিসাবে বলা হয়েছে, চারজনের একটি পরিবারে খাবার তালিকায় মাছ-মাংস যোগ করলে মাসে খরচ হবে ২২ হাজার ৪২১ টাকা। এটি শুধু খাবারের খরচ। যদি কোনো পরিবার মাছ-মাংস যোগ না করেন তাতে মাসিক খরচ দাঁড়ায় ৯ হাজার ৫৯ টাকা। সূত্র: দেশ রুপান্তর

রোজার বাজারে দামের ভারে চাহিদার চেয়ে কম পণ্য কিনছেন ক্রেতারা
রমজানের শেষ মুহূর্তের কেনাবেচা সারতে অন্যান্য বছর যেখানে ঢাকার কাঁচাবাজারগুলোয় ক্রেতাদের ভিড় জমে থাকতো সেখানে মহাখালী ও বনানী কাঁচাবাজারে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ক্রেতাদের তেমন আনাগোনা দেখা যায়নি। যারাও বা আসছেন তারাও পরিপূর্ণ বাজার করতে পারছেন না। ঢাকার ওই দুটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রমজানের প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। আগুন জ্বলছে মাংসের বাজারেও। ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ- টিসিবির হিসেবে গত বছরের রমজানের চেয়ে এবারের রমজানে প্রতিটি পণ্যের দাম ১০ থেকে ৫১ শতাংশ বেশি রাখা হচ্ছে।রমজানে ছোলার চাহিদা থাকায় কেজিতে দাম বেড়ে ৮৫ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মসুরের ডাল ৯৫ থেকে ১৩৫ টাকা, বিভিন্ন ধরণের বেগুন ৮০ থেকে ১২০ টাকায়, শসার কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, লেবুর হালি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, টমেটো কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বেসনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা, সয়াবিন তেল কেজি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা, চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১২- ১২০ টাকা কেজি দরে। সূত্র: বিবিসি বাংলা ।

তিন মাসেও মৌলভীবাজারের সব শিক্ষার্থী সরকারি বই পায়নি
বছরের তিন মাস শেষ হতে চললেও মৌলভীবাজারের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের বহু শিক্ষার্থী সরকারের বিনামূল্যের বই পায়নি।

ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে, পুরাতন বই সংগ্রহ করে, শিক্ষার্থীদের গ্রুপ করে দিয়ে কিংবা স্কুলের বোর্ডে লিখে দিয়ে পাঠদান অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষকরা। মৌলভীবাজার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সামসুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, জেলায় মোট চাহিদা ১১ লাখ বইয়ের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির বই দুই লাখ আশি হাজার।সরবরাহকারী ঠিকাদারের ‘গাফিলতির’ কারণে সব বই এসে পৌঁছায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “পাঠদান অব্যাহত রাখতে বিভিন্ন জেলা ও অনান্য বিভাগ থেকে প্রায় অর্ধেক বই ইতোমধ্যে সমন্বয় করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক সহসাই এ সংকট সমাধান হবে বলে আশা করছি।” তবে কত সংখ্যক বই এখনও আসেনি তার সঠিক পরিসংখ্যান জানাতে পারেননি এই কর্মকর্তা। সূত্র: বিডি নিউজ