আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:২৭ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২২, ২০২৩

বিশ্ব পানি দিবস
সুপেয় পানির জন্য বৃষ্টির অপেক্ষায় থাকেন উপকূলবাসী

খুলনার কয়রা উপজেলা সদর থেকে সাত কিলোমিটার দক্ষিণে পাথরখালী গ্রাম। নদীভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়ে বেড়িবাঁধের পাশে মানুষের বসতি। গ্রামের সব নলকূপের পানি লবণাক্ত। এলাকাবাসীকে প্রতিদিন দুই-তিন কিলোমিটার দূর থেকে খাওয়ার পানি সংগ্রহ করতে হয়। তবে বর্ষাকাল ছাড়া বছরের বাকি সময় তাঁদের পুকুরের পানি পান করতে হয়।ছয় সদস্যের পরিবারের জন্য প্রতিদিন এক কিলোমিটার দূরের একটি পুকুর থেকে খাওয়ার পানি সংগ্রহ করেন ওই গ্রামের সুমিত্রা দেবী। তিনি বলেন, বর্ষাকালের তিন-চার মাস ছাড়া বাকি সময় খাওয়ার পানির তীব্র সংকট থাকে তাঁদের। পুকুরের পানি খেতে হয়। এ বছর এখনো বৃষ্টির দেখা নেই। বৃষ্টির পানির জন্য আকাশের দিকে তাকিয়ে আছেন। নস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, খুলনার ২২ ও সাতক্ষীরার ১৩ শতাংশ মানুষ খাওয়ার পানির সংকটে ভুগছেন। তবে বাস্তবের চিত্র ভিন্ন। ২০২১ সালে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) জরিপের ফলাফল বলছে, খুলনার কয়রা, দাকোপ, পাইকগাছা এবং সাতক্ষীরার আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলায় বসবাসকারী ৭৩ শতাংশ মানুষ অনিরাপদ লবণাক্ত পানি পান করছেন। প্রতি লিটারে এক হাজার মিলিগ্রামের বেশি লবণাক্ততা থাকলে তা পানযোগ্য নয় হিসেবে বিবেচিত হয়। অথচ ওই উপজেলাগুলোর পানিতে প্রতি লিটারে ১ হাজার ৪২৭ মিলিগ্রাম থেকে ২ হাজার ৪০৬ মিলিগ্রাম পর্যন্ত লবণাক্ততা আছে। এসব এলাকার ৫২ শতাংশ পুকুর ও ৭৭ শতাংশ নলকূপের পানিতে বেশি মাত্রায় লবণাক্ততা পাওয়া গেছে। সূত্র: প্রথম আলো

বাজারে এখন ২০০ টাকা কেজির নিচে কোনো মাছ নেই

ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ায় স্বল্প আয়ের মানুষ মাংস বাদ দিয়ে মাছের দিকে ঝুঁকেছেন। এতে বাজারে সরবরাহের চেয়ে মাছের চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। বেড়ে গেছে দামও। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের চাষ করা মাছ কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে এখন ২০০ টাকা কেজির নিচে কোনো মাছ নেই। পাঙ্গাশ, তেলাপিয়া ও নলার দামও এখন প্রতি কেজি ২০০ টাকার ওপরে। মাছ ব্যবসায়ীরা বলছেন, দুই দিন পরই শুরু হচ্ছে রমজান মাস। এবার মাংসের দাম অতিরিক্ত বাড়তি থাকার কারণে বাজারে মাছের চাহিদা বেশি। আড়তেই এখন কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে গেছে। চাহিদা অনুযায়ী মাছ কিনতে না পারার কথা জানান খুচরা মাছ ব্যবসায়ীরা। সূত্র: কালের কণ্ঠ

একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
প্রকল্প পরিচালক অন্য কাজ করবেন না

উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালকরা অন্য কোনো দায়িত্ব পালন করবেন না। শুধু প্রকল্প পরিচালকের কাজই করবেন তাঁরা। উন্নয়ন প্রকল্প সময়মতো এবং মানসম্পন্ন বাস্তবায়নের স্বার্থে এই নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া আত্মনির্ভরশীলতা এবং আত্মমর্যাদার চেতনা থেকে বিদেশি গাড়ির পরিবর্তে দেশে উৎপাদিত গাড়ি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন তিনি। বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নির্দেশনা এবং একনেকের অন্যান্য সিদ্ধান্ত বিষয়ে বিস্তারিত জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়ার পেছনে অনেক ক্ষেত্রে প্রকল্প পরিচালকদের অন্য কাজের ব্যস্ততাকে দায়ী করা হয়ে থাকে। মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য দাপ্তরিক কাজ থাকায় প্রকল্পে প্রয়োজনীয় সময় এবং মনোযোগ দিতে পারেন না অনেক প্রকল্প পরিচালক। একই কারণে একজন কর্মকর্তাকে একই সঙ্গে একাধিক প্রকল্পের দায়িত্ব না দেওয়ার নির্দেশনা আগেই দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সূত্র: সমকাল

Nagad

তিন রোগের ব্যয়ে যত উৎকণ্ঠা

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অফিস সহকারী পদে কর্মরত তাইফুল ইসলাম (৩৫)। তার স্ত্রীর দুটি কিডনি দুই বছর ধরে বিকল। তিনি বলেন, ‘সপ্তাহে দুই দিন সরকারি হাসপাতালে ডায়ালাইসিস করাতে খরচ হয় ১ হাজার ১২০ টাকা। মাসে কিডনি ডায়ালাইসিসে খরচ হয় ৬ হাজার ৭২০ টাকা। এর সঙ্গে ওষুধ, চিকিৎসক, যাতায়াত মিলিয়ে মাসে ২০ হাজার টাকার বেশি খরচ হয় চিকিৎসার পেছনে। স্বল্প বেতনে চালাতে না পেরে দেনায় জড়িয়ে গেছি। বেসরকারি হাসপাতালে এ খরচ দ্বিগুণেরও বেশি। কতদিন চালাতে পারব জানি না।’
দেশে প্রতিনিয়ত বাড়ছে দুরারোগ্য ব্যাধি কিডনি, ক্যান্সার ও হৃদরোগে আক্রান্ত রোগী। এই তিন রাজরোগের চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে উৎকণ্ঠা বাড়ছে রোগী ও স্বজনদের। প্রায় ২ কোটি মানুষ কিডনি রোগে ভুগছেন। প্রতি বছর দেড় লাখ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন ক্যান্সারে এবং ৪০ হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে হৃদরোগে। খাদ্যাভ্যাস, ফসলে অতিরিক্ত কীটনাশকের ব্যবহার, খাদ্যে ভেজাল, অতিরিক্ত ওষুধ সেবনকে দায়ী করছেন চিকিৎসকরা। ডায়াবেটিস ও হাইপার টেনশনে থাকা মানুষের কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। কিডনি, ক্যান্সার, হৃদরোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল হওয়ায় খরচ বহনে হিমশিম খান রোগীর স্বজনরা। ওষুধের দাম বাড়ায় চিকিৎসা ব্যয় আরও বেড়েছে। নানা ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত বাড়ছে। কিন্তু দেশে আক্রান্তের সঠিক পরিসংখ্যান না থাকায় কাজে আসছে না কোনো উদ্যোগ। চিকিৎসা কেন্দ্র, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংকটে ক্যান্সার চিকিৎসা। সংকট কাটাতে দেশের আটটি বিভাগীয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্যমতে, সাধারণত ফুসফুস, স্তন, জরায়ুমুখ, মুখগহ্বরের ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী বেশি। এ ছাড়া খাদ্যনালি, পাকস্থলী, লিভার, বাকযন্ত্র, পায়ুপথ, ডিম্বাশয়, বৃহদান্ত, সারভাইকাল, লিউকেমিয়া বা ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় মানুষ। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

ইন্টারপোলের রেড নোটিশে ৬২ বাংলাদেশি, নাম নেই আরাভের
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে ইন্টারপোল ‘রেড নোটিশ’ জারি করেছে বলে জানিয়েছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তবে, বুধবার (২২ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টার পর্যন্ত সংস্থাটির ওয়েবসাইটে চেক করে দেখা যায় সেখানে আরাভ খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির কোনো তথ্য নেই। য়েবসাইটে দেখা গেছে, ইন্টারপোলের রেড নোটিশের তালিকায় ৬২ বাংলাদেশির নাম রয়েছে। তালিকায় যাদের নাম আছে তাদের প্রত্যেকের অপরাধের ধরণ, ঠিকানা, বয়স ও ছবি দেয়া আছে। তবে সেখানে সম্প্রতি আলোচনায় আসা পুলিশ পরিদর্শক খুনের আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের নাম নেই।এদিকে পুলিশ সদর দফতরের সূত্র বলছে, আরাভ খান ভারতীয় পাসপোর্ট ব্যবহার করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে গেছেন। তবে তিনি ভারতীয় নন, অবৈধ প্রক্রিয়ায় তিনি সেটি করেছেন। বাংলাদেশ প্রথমে বিষয়টি প্রমাণ করবে। এতে করে দুবাই যাওয়ার ক্ষেত্রেও তিনি জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন, সেটি প্রমাণিত হবে। একজন যদি জালিয়াতির মাধ্যমে অন্য দেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করে দুবাই যান, তবে তিনি সেখানেও বড় ধরনের অপরাধে যুক্ত হতে পারেন। এ বিষয়েই কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে বার্তা দেওয়া হবে। তারপর সমঝোতার ভিত্তিতে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে। সূত্র: দেশ রুপান্তর

বিশ্ববাজারে তেল-গ্যাসের দাম কমার সুবিধা পাবে না দেশের ভোক্তারা

আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম গত নয় মাসে ৪০ শতাংশের বেশি কমেছে। পণ্যটির মূল্য এখন ১৫ মাসের মধ্যে সবচেয়ে সাশ্রয়ী। পাশাপাশি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) দামও কমেছে ৮১ শতাংশ। যদিও দেশের বাজারে এখনই জ্বালানি পণ্যের এ মূল্যপতনের সুফল পাচ্ছেন না ভোক্তারা। দেশে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সময় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, বিশ্ববাজারে দাম কমলে দেশেও জ্বালানি পণ্যের দাম সমন্বয় করা হবে। যদিও সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো এখন বলছে, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি পণ্যের দাম কমলেও তা স্থিতিশীল নয়। তাই দেশের বাজারে এখনই পণ্যের দাম কমানো বা সমন্বয় করা হচ্ছে না।এ বিষয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের তিনজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশের বাজারে এখনই জ্বালানি তেল কিংবা গ্যাসের দাম কমানোর পরিকল্পনা নেই সরকারের। সরকার মূলত ভর্তুকি থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বেশকিছু শর্তও রয়েছে। তাই কমানোর পরিবর্তে বরং আরো কয়েক দফা গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হতে পারে। অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মার্কিন বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) ব্যারেলপ্রতি দাম গত বছরের ৯ জুন ছিল ১২১ ডলার ৫১ সেন্ট। গতকাল তা ছিল ৬৮ ডলার ২০ সেন্ট। সে হিসেবে গত নয় মাসে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে ৪৪ শতাংশ। আর আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম গত বছরের জুনে ছিল ১২২ ডলার ১ সেন্ট। বর্তমানে তা মূল্য কমে দাঁড়িয়েছে ৭৬ ডলার ২৬ সেন্টে। এ সময়ের মধ্যে ব্রেন্টের দাম কমেছে ৩৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এছাড়া স্পট মার্কেটে এলএনজির দাম প্রতি এমএমবিটিইউ (মিলিয়ন মেট্রিক ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট) রেকর্ড সর্বোচ্চ ৬৯ ডলার ৬১ সেন্টে গিয়ে উঠেছিল। বতর্মানে তা কমে নেমেছে ১৩ ডলার ১৫ সেন্টে। অর্থাৎ গত সাড়ে ছয় মাসেরও বেশি সময়ে এলএনজির দাম কমেছে ৮১ শতাংশ। সূত্র: বণিক বার্তা।

চলতি বছরে ১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের অনুমতি চেয়েছে ৫৭ বহুজাতিক কোম্পানি

ভারতের অন্যতম শীর্ষ একটি কেমিকেল কোম্পানি ইন্দোকেম বাংলাদেশে ১,৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)-র থেকে বিনিয়োগের অনুমোদন পেয়ে ঢাকায় একটি ক্যাম্প অফিস-ও খুলেছে। এখন কোম্পানিটি বাংলাদেশে শাখা খোলার জন্য যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর (আরজেএসসি)-তে আবেদন করেছে। তারা কারাখানা স্থাপনের জন্য একটি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমিও বরাদ্দ চেয়েছে।ইন্দোকেম ছাড়াও আরো ৫৬টি ছোট, বড় আরো ৫৬টি বহুজাতিক কোম্পানি (এমএনসি) বাংলাদেশে বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী আমদানি, স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন করে স্থানীয় বাজারে বিপণন এবং রপ্তানির জন্য শাখা খোলার অনুমোদন চেয়ে আরজেএসসি-তে আবেদন করেছে। এই আবেদনগুলো প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে আরজেএসসি-র একটি সুত্র।আরজেএসসি এবং বিডার সূত্র জানিয়েছে, এসব প্রতিষ্ঠান প্রায় ১৫,০০০ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করবে। তাদের স্থানীয় কার্যক্রম শুরু হলে প্রায় ৩০ হাজার নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে।চলতি বছরেই এসব প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় অনুমোদন সম্পন্ন হলে, আগামী বছর নাগাদ কোম্পানিগুলো ব্যবসা পরিচালনা এবং উৎপাদন কাজ পরিচলনা করতে পারবে বলে জানিয়েছে বিডা।যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের নিবন্ধক (অতিরিক্ত সচিব) শেখ শোয়েবুল আলম এনডিসি- সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে সরকারের প্রতিক্রিয়া
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তাতে বলা হয়েছে ২০১৮ সালের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। এছাড়া বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, স্বাধীন মতপ্রকাশে বাধা, মিডিয়া সেন্সরশিপসহ বিভিন্ন বিষয়ে পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। তবে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন এই প্রতিবেদনকে “অযৌক্তিক” বলে উল্লেখ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ‘২০১৮ সালের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি’-যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক প্রকাশিত নতুন এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী সংসদীয় পদ্ধতির যে সরকার ব্যবস্থা রয়েছে তার বেশিরভাগ ক্ষমতাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে।একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি বলে মত দিয়েছেন পর্যবেক্ষকরা। কারণ সেই নির্বাচনে ভোট গ্রহণের আগেই ব্যালট বাক্স ভরে যাওয়া, বিরোধী দলীয় এজেন্ট ও ভোটারদের ভয়-ভীতি প্রদর্শনসহ নানা অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে।ফলে পর্যবেক্ষকদের কাছে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন বলে বিবেচিত হয়নি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২২ সালে বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুমের ঘটনাও ঘটেছে। স্বাধীন মতপ্রকাশে বাধা, সভা-সমাবেশে বলপ্রয়োগ, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানকে বাধা প্রভৃতি অন্যান্য সময়ের মতো অব্যাহত ছিল বলে উল্লেখ করা হয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে। সূত্র: বিবিসি বাংলা ।

পুঁজিবাজার: ‘মেয়াদ’ ফুরাচ্ছে বিদ্যুৎকেন্দ্রের; এরপর কী সেই প্রশ্নে বেকায়দায় বিনিয়োগকারীরা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানির কেন্দ্রের ‘মেয়াদ’ শেষ হলে কী হবে, বিনিয়োগকারীদের সেই সংশয়ের সুরাহা এখনও বাকি; এরমধ্যে আরও কিছু কেন্দ্রের সময় যত ফুরাচ্ছে বাজারের বর্তমান অবস্থায় বিনিয়োগ নিয়ে দুশ্চিন্তাও বাড়ছে তত। নতুন করে এসব কেন্দ্র থেকে সরকার বিদ্যুৎ কেনার মেয়াদ না বাড়ালে কোম্পানিগুলো কী করবে সেই পরিকল্পনা সুস্পষ্ট না হওয়ায় এগুলোর শেয়ারে সাধারণ ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিপুল বিনিয়োগ অনিশ্চয়তার মুখে পড়ার বিষয়টি সামনে আসতে শুরু করেছে।নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সরকার বিদ্যুৎ কিনবে এমন ‘মেয়াদি’ কেন্দ্র পরিচালনাকারী সাতটি কোম্পানির মধ্যে বছর দুয়েক আগে খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (কেপিসিএল) দুটি কেন্দ্রের চুক্তি ফুরালে বিদ্যুৎ কেনা বন্ধ রাখে সরকার; তখনই আলোচনায় আসে বিষয়টি। সেসময় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির তোড়জোড়ে আরও কিছুদিন বিদ্যুৎ কিনতে সম্মতি দেয় সরকার; হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন বিনিয়োগকারীরা।তবে বিদ্যুৎ কেনার নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষ হলে তালিকাভুক্ত এমন সব কোম্পানির ভবিষ্যৎ প্রশ্ন এখনও অমীমাংসিতই রয়ে গেছে। সূত্র: বিডি নিউজ