শেষ পর্যন্ত পারল না বাংলাদেশ
একবার বাংলাদেশের পক্ষে তো আরেকবার ইংল্যান্ডের দিকে-যেন পেন্ডুলামের মতো দুলছিল ম্যাচের ভাগ্য। শেষ পর্যন্ত পারল না বাংলাদেশ। ডেভিড মালানের হার না মানা শতরানের ইনিংসে সওয়ার হয়ে ৩ উইকেটের জয় তুলে নিল ইংল্যান্ড। তিন ম্যাচ সিরিজে সফরকারীরা এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে।
শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবাল। কিন্তু ইংলিশ বোলারদের বোলিং তোপে ৪৭ ওভার ১ বলে মাত্র ২০৯ রানেই অলআউট হয়ে যায় লাল-সবুজরা। ছোট পুঁজি নিয়েও ইংল্যান্ডকে প্রায় ধরাশায়ী করে ফেলছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এক ডেভিড মালান কাল হয়ে দাঁড়ায় টাইগারদের কাছে। তার দূর্দান্ত শতরানের ইনিংসে ভর করে ৩ উইকেটে জয় পায় জস বাটলারের দল।


দুই স্পিনারের পর উইকেট শিকারের উৎসবে যোগ দেন পেসার তাসকিন আহমেদও। তুলে নেন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইংলিশ অধিনায়কের উইকেটটি।
তাসকিন আহমেদের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে ব্যাট চালিয়ে উইকেট বিলিয়ে দেন জস বাটলার (৯)। প্রথম স্লিপে দারুণ এক ক্যাচ নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ১৭তম ওভারে ৬৫ রানে ৪ উইকেট হারায় সফরকারীরা।
এর আগে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৪৭.২ ওভারে ২০৯ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত করেন ৫৮ রান, মাহমুদউল্লাহ ৩১ আর তামিম ইকবাল ২৩ রান। বাকিরা কেউ বিশের ঘরও ছুঁতে পারেননি।
লিটন দাস ৭, মুশফিকুর রহিম ১৬, সাকিব ৮, আফিফ হোসেন ধ্রুব ৯ আর মেহেদি হাসান মিরাজ আউট হন মাত্র ৭ রান করে। শেষদিকে তাসকিন আহমেদের ১৪ আর তাইজুল ইসলামের ১০ রানে কোনোমতে দুইশ পার হয় টাইগাররা।
ইংল্যান্ডের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন জোফরা আর্চার, মার্ক উড, মঈন আলি আর আদিল রশিদ।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ব্যাটারদের স্ট্রাইকরেট:
তামিম ইকবাল ৭৭.৮৮, লিটন দাস ৪৬.৬৭, শান্ত ৭০.৭৩, মুশফিক ৫০.০০, সাকিব ৬৬.৬৭, মাহমুদউল্লাহ ৬৪.৫৮, আফিফ ৭৫.০০, মিরাজ ৩৬.৮৪, তাসকিন ৭৭.৭৮, তাইজুল ৭৬.৯২।