কুমিল্লায় প্রবাসীর বোনকে নির্যাতনের অভিযোগ
কুমিল্লা সদরে এক প্রবাসীর বোনকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, তাকে ছুরি মেরে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতবিক্ষত করা হয়। এ সময় ভুক্তভোগী চিৎকার করলে তার মুখে এলোপাতাড়ি থাপ্পড় ও মুখে কাপড় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।
একপর্যায়ে পিপাসায় কাতর হয়ে পড়েন তিনি। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) প্রবাসীর মা বাদী হয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় চার জনকে আসামি করে করে মামলা দায়ের করেছেন।


মামলার আসামিরা হলেন- হানিফ মিয়া (৩০), হাসান (১৯), সালমা আক্তারসহ (২৫) আরও চার জন।
সদর দক্ষিণ মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন গণমাধ্যমকে এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বাদী প্রবাসীর মা বলেন, “হানিফ মিয়া আমার ছেলেকে ওমান নিয়ে ভালো চাকরি দেবে বলে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা নেন। কিন্তু তিনি চাকরিও দেন নাই, টাকাও ফেরত দেন নাই। এ বিষয় নিয়েই মূলত ঘটনা ঘটেছে।” তিনি আরও বলেন, “মামলার ১ নম্বর আসামি বিদেশ থাকাকালে আমার ছেলেকে বিদেশ নেওয়ার বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে গত সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় আসামি ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ছেলেকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুসি ও লাঠি দিয়ে মারধর করে। ছেলের চিৎকারে আমার মেয়ে ঘর থেকে বের হয়ে আসলে আসামিরা তাকে বিবস্ত্র করে ফেলে নির্যাতন করতে শুরু করে।”
প্রবাসীর মা আরও বলেন, “তাকে হত্যার উদ্দেশ্য পেটের ডান পাশে এবং বুকে ও বুকের বাম পাশে একাধিক ছুরিকাঘাত করে। মেয়ের চিৎকারে অন্যরা ছুটে আসলে নির্যাতনকারীরা চলে যায়। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।”
সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, এই ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আমরা এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। মামলাটি তদন্ত করছেন এসআই আলমগীর হোসেন।
সারাদিন/০১ মার্চ/এমবি