আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর
‘অবিবাহিত’ সনদ পেতে কেন এত ভোগান্তি
বাংলাদেশের কোনো অবিবাহিত নাগরিক বিদেশি বিয়ে করতে চাইলে বা বিদেশে বসবাসের অনুমতির আবেদন করলে তাঁকে ‘অবিবাহিত’ সনদ দেখাতে হয়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে কেবিন ক্রু বা ফ্লাইট স্টুয়ার্ডেস নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে যোগ্যতার মধ্যে একটি থাকে ‘অবিবাহিত’ হতে হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন চাকরি ও নানা প্রয়োজনে এই সনদ লাগে। অথচ প্রয়োজনীয় এই সনদ সহজে মেলে না। এটি সংগ্রহ করতে নানা দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ভুক্তভোগীরা বলছেন, ‘অবিবাহিত’ সনদ পেতে তাঁদের ঘুষ দিতে হচ্ছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট সংস্থায় ঘুরতে হয় মাসের পর মাস। ‘খরচাপাতি’র কথা বলে অনেকটা প্রকাশ্যেই ঘুষ আদায় করা হয়। ঘুষ না দিলে সনদ পাওয়ার প্রক্রিয়া দীর্ঘ হয়। পুলিশের তদন্তের পর্যায়েও ভোগান্তি পোহাতে হয়। সনদ পাওয়ার চেয়ে বিয়ে করা সহজ-দীর্ঘ চার বছরের পরিচয়সূত্রে বাংলাদেশের মাজেদুল নয়ন ও থাইল্যান্ডের কানালাউই ওয়ায়েক্লেহং ওরফে ‘পে’ বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। হবু স্ত্রীর আবদার ছিল, বিয়ে নিবন্ধন হবে থাইল্যান্ডের রীতিতে। ব্যাংককে বসে হবু স্ত্রী বাংলাদেশি ছেলেকে বিয়ে করতে হলে কী কী কাগজপত্র লাগবে, তা জানতে ই-মেইল করেন ঢাকায় থাই দূতাবাসে। তালিকায় অন্যান্য কাগজপত্রের সঙ্গে ‘সিঙ্গেল সার্টিফিকেট’ বা অবিবাহিত সনদ লাগবে বলে জানানো হয়।মাজেদুল প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভেবেছিলাম, ডিজিটাল বাংলাদেশে আমি অবিবাহিত এটি প্রমাণ করা তো জটিল কোনো বিষয় নয়। তাই সনদ পাওয়ার আগে বিয়ের তারিখ ঠিক করি। কিন্তু এই সনদ পেতে আমার লেগেছে ৮০ দিন। তখন মনে হয়েছে, এ সনদ পাওয়ার চেয়ে বিয়ে করা অনেক সহজ।’ সূত্র: প্রথম আলো


হলে উঠেই আতঙ্কে নবীন শিক্ষার্থীরা
উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে উচ্চশিক্ষায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এখন নতুন জগৎ। আর অনেক শিক্ষার্থীর সেই নতুন জগৎ শুরু হয় বিভীষিকাময় হলজীবনের মধ্য দিয়ে।সম্প্রতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নির্যাতনের আলোচিত ঘটনায় আবারও সামনে এসেছে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নবীন শিক্ষার্থীদের র্যাগিং বা পরিচয় পর্বের নামে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের বিষয়টি। চলতি শিক্ষাবর্ষে ক্লাস শুরুর পর হলে উঠতে শুরু করেছেন নতুন ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা। আর একের পর এক সামনে আসছে র্যাগিংয়ের ঘটনা। কেউ কেউ সাহস করে অভিযোগ দিয়েছেন, অনেকে আরো ঝামেলায় পড়তে পারেন—এই শঙ্কায় মুখ বুজে সয়ে গেছেন।গত এক-দেড় মাসেই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের ঘটনায় ১০টি লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে। এমনকি দুই শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস ছেড়ে বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন। একজন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে আর পড়বেনই না—এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। সূত্র: কালের কণ্ঠ
বিধিনিষেধের পর বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরতা আরো বেড়েছে
২০২১-২২ অর্থবছরে মোট বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে মার্কিন অবদান ছিল প্রায় ১৯ শতাংশ
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে দেশের একটি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। নীতিনির্ধারণী মহল থেকে তখন পশ্চিমের ওপর অর্থনৈতিক নির্ভরতা কমানোর বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছিল। পূর্ব এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে অর্থনৈতিক যোগাযোগ এবং বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পরিধি বাড়াতে নানা ধরনের উদ্যোগের কথাও সামনে আসতে থাকে। যদিও ওই সময়ের পর যুক্তরাষ্ট্রের ওপর অর্থনৈতিক নির্ভরতা কমেনি। বরং এ মুহূর্তে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ওপরই নির্ভরশীলতা সবচেয়ে বেশি। মোটা দাগে বৈদেশিক মুদ্রার উৎস প্রধানত তিনটি রফতানি, রেমিট্যান্স ও প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশে এ তিন উৎস থেকে মোট বৈদেশিক মুদ্রা এসেছে ৭ হাজার ৭৭৫ কোটি ডলারের কিছু বেশি। এর মধ্যে রেমিট্যান্স হিসেবে এসেছে ২ হাজার ১০৩ কোটি, রফতানি খাত থেকে এসেছে ৫ হাজার ২০৮ কোটি ও এফডিআই এসেছে প্রায় ৪৬৪ কোটি। এ সময় খাত তিনটি মিলিয়ে মোট বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে মার্কিন অবদান ছিল প্রায় ১৯ শতাংশ, যার পরিমাণ ১ হাজার ৪৫৫ কোটি ডলারের বেশি। সূত্র: বণিক বার্তা।
গ্রামের মানুষ ঝক্কিমুক্ত ঋণের দিকে ঝোঁকায় বেড়েছে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ
মহামারির অভিঘাতে টানা দুই বছর বিপর্যস্ত থাকার পর বাংলাদেশের ছোট গ্রামীণ ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা শুরু করেন গত বছরের শেষদিক থেকে। এতে বাড়তে থাকে, পারিবারিকভাবে নিয়ন্ত্রিত ক্ষুদ্র ওয়ার্কশপ, কৃষি-ভিত্তিক উদ্যোগ, পশু খামার, মৎস চাষ ও থ্রি হুইলার যান ইত্যাদির জন্য ক্ষুদ্র ঋণের চাহিদা। এরপর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হলে, তার অভিঘাত পুরো বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতিকে চড়া করে। বাংলাদেশেও ছড়ায় যার আঘাত। এই মূল্যস্ফীতির চাপেও অনেকে জীবনধারণের জন্য ক্ষুদ্র ঋণ নিতে বাধ্য হচ্ছেন। ২০২১-২২ অর্থবছরে মাইক্রো ফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায় এক লাখ ৯২ হাজার কোটি টাকার ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ২৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির মতো লক্ষ্যণীয় অর্জন তাদের।
অন্যদিকে, গ্রাহকদের বাড়তি চাহিদা মেটাতে এ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা মাইক্রো ক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) গত ১৪ মাসে ২২২টি নতুন প্রতিষ্ঠানকে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন দিয়েছে। নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষটির তথ্যমতে, এমআরএ নিবন্ধনপ্রাপ্ত ক্ষুদ্রঋণ দাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ২০২১-২২ অর্থবছরে এক লাখ ৯১ হাজার কোটি টাকার বেশি বিতরণ করেছে – যা ২০২০-২১ অর্থবছরের এক লাখ ৫১ হাজার কোটি টাকা এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরের এক লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকার চেয়েও বেশি। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
বিদ্যুৎ খাত
ভর্তুকির সীমা বেঁধে দেবে আইএমএফ
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের শর্ত হিসেবে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি কমিয়ে আনতে কাজ শুরু করেছে সরকার। আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে এ খাতে চলতি বাজেটের চেয়ে কম ভর্তুকি বরাদ্দ রাখার পরামর্শ রয়েছে সংস্থাটির। আগামী বাজেটে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকির একটা সীমা বেঁধে দিতে পারে আইএমএফ। ভর্তুকি ও অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করতে আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দলের আগামী এপ্রিলে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। এদিকে চলতি অর্থবছরের বাজেটে বিদ্যুতে ভর্তুকি বাবদ রাখা ১৭ হাজার কোটি টাকার প্রায় পুরোটাই শেষ হয়ে গেছে গত অর্থবছরের দেনা মেটাতে। চলতি অর্থবছরের জন্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) থেকে যে পরিমাণ ভর্তুকি দাবি আসছে তাতে বছর শেষে তা ৫০ হাজার কোটি টাকা কিংবা তারও বেশি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আগামী অর্থবছরে এ খাতে ভর্তুকি কমাতে হলে অধিক হারে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হবে। এতে করে মূল্যস্ম্ফীতির চাপ আরও বাড়তে পারে। সূত্র: সমকাল
নির্বাচনে আনতে হবে আসতে হবে
বিএনপিকে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আনতেই হবে সরকারকে এ অবস্থান নিয়েছে বিদেশিরা। কোন পথে বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে হবে তা নিয়ে সরকারকে বিদেশিরা সুনির্দিষ্ট কোনো গাইডলাইন দেয়নি। অন্যদিকে বিএনপির প্রতিও তাদের বার্তা নির্বাচনে আসতে হবে। বিএনপি নির্বাচনের ছয় মাস আগে সরকারকে নির্বাচনী রোডম্যাপ পরিষ্কার করতে বিদেশিদের কৌশল নিতে অনুরোধ করেছে। এমন প্রেক্ষাপটে সরকার যেমন বিএনপিকে বাইরে রেখে আগামী সংসদ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে পারবে না। তেমনি বিএনপিও নানা কারণে নির্বাচনের বাইরে থাকতে পারবে না। তাই সরকারকে যেমন নমনীয় অবস্থানে দেখা যাচ্ছে, তেমননি বিএনপির মধ্যেও ভাবনা-চিন্তার আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।আওয়ামী লীগ ও বিএনপিদলীয় একাধিক সূত্রে দুই দলের ওপর বিদেশিদের চাপ থাকার বিষয়টি জানা গেছে। সূত্র: দেশ রুপান্তর
কোটালীপাড়ায় জনসভায় শেখ হাসিনা
জঙ্গি-দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চলবে
♦ আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে কোনো তুলনা হতে পারে না ♦ সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিল জিয়া ♦ বাংলাদেশকে স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে চাই ♦ গোপালগঞ্জবাসীকে একগুচ্ছ উন্নয়ন উপহার
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ ব্যাপারে সবাই সতর্ক থাকবেন। আপনাদের সন্তানরা যেন মাদক, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হয়। গতকাল দুপুরে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার সাদুল্যাপুর ইউনিয়নের ভাঙ্গারহাট তালিমপুর-তেলিহাটি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে বিশাল জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। দীর্ঘ চার বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে জনসভায় অংশ নেন। বঙ্গবন্ধুকন্যার আগমন ঘিরে কোটালীপাড়াসহ পুরো জেলায় ছিল উৎসবের আমেজ। দলীয় সভানেত্রীকে একনজর দেখতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত হন। কয়েক দিন ধরে স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা জনসভা সফল করতে কাজ করেন। কোটালীপাড়া আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা বিকালে হলেও সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে হাজির হন। এতে দুপুরের আগেই জনসভাস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। পুরো এলাকা জনসমুদ্রে রূপ নেয়। নৌকার আদলে বানানো মঞ্চে উঠেই উপস্থিত জনতাকে দুই হাত তুলে অভিবাদন জানান গোপালগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হাসিনা। উপস্থিত লাখো মানুষও তাদের দুই হাত নেড়ে প্রিয় নেত্রীকে স্বাগত জানান। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
বান্দরবান থেকে প্রায় ৫০০ বাংলাদেশি পালিয়ে ভারতের আশ্রয়ে
বাংলাদেশের বান্দরবান থেকে পাঁচশোরও বেশি মানুষ ভারতের মিজোরামে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। তারা বলছেন কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যে অভিযান চালাচ্ছে, তার থেকে বাঁচতেই ভারতে পালিয়ে এসেছেন তারা।
বাংলাদেশ পুলিশ অবশ্য বলছে তারা দেশ থেকে পালিয়ে যায়নি, নিরাপত্তা জনিত কারণে কিছু লোকজন চলে গেছে। গত বছরের নভেম্বর থেকে আশ্রয়প্রার্থীরা ভারতে আসতে শুরু করেছেন বলে মিজোরামের এক মন্ত্রী বিবিসিকে জানিয়েছেন।
আশ্রয়প্রার্থীদের বেশিরভাগই বম জনগোষ্ঠীর মানুষ, তবে তাদের সঙ্গে কিছু টংটঙ্গিয়া গোষ্ঠীর মানুষও এসেছেন ভারতে। বম জনগোষ্ঠীটি খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী।দক্ষিণ মিজোরামের লংৎলাই জেলার পাঁচটি গ্রামে আশ্রয় নিয়েছেন ওই বাংলাদেশি নারী-পুরুষরা। মিজোরাম সরকার এবং সেখানকার খ্রিস্টানদের শক্তিশালী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইয়াং মিজো অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসা নারী পুরুষদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করেছে বলে জানিয়েছে। নিয়মিত খাবারও দিচ্ছে তারা। সূত্র: বিবিসি বাংলা ।
আসল চ্যালেঞ্জ নিতে এক বছরে কতটা তৈরি হল ইসি
“মানুষের জীবনটাও চ্যালেঞ্জ, নির্বাচনও একটা চ্যালেঞ্জ। কিন্তু কোনো চ্যালেঞ্জকে ভয় পেলে হবে না, মোকাবেলা করতে হবে”- এক বছর আগে সিইসির দায়িত্ব নেওয়ার পর এমনটাই বলেছিলেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। তারপর গত এক বছরে স্থানীয় সরকার আর সংসদের কয়েকটি আসনে উপ-নির্বাচন করে এখন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন আয়োজনের দিকে এগোচ্ছে হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশন।
আর সেই নির্বাচনটি সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠুভাবে করাটাই যে এই ইসির আসল কাজ, তা মনে করিয়ে দিলেন নির্বাচন বিশ্লেষক আব্দুল আলীম।এই বছরের শেষে কিংবা আগামী বছরের শুরুতে সংসদ নির্বাচন হতে পারে। তবে নির্বাচনকালীন সরকার প্রশ্নে রাজনৈতিক ঐকমত্য না থাকায় সেই ভোটে সবার অংশগ্রহণের ইঙ্গিত এখনও মেলেনি। সূত্র: বিডি নিউজ
অবহেলিত জমিতে সূর্যমুখী চাষে নারীরা
রংপুরে তেলবীজ ফসল সূর্যমুখী চাষের অপার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কৃষি বিভাগ বলছে, জেলায় পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও সূর্যমুখী চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। নামমাত্র শ্রম ও স্বল্প ব্যয়ে বাড়তি আয়ের আশায় এবার জেলাজুড়ে সূর্যমুখীর চাষ করেছেন তারা। এখানের বিশাল মাঠজুড়ে এখন শোভা পাচ্ছে সূর্যমুখীর হলুদ ফুল। আর দৃষ্টিনন্দন এমন দৃশ্য দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করেন দর্শনার্থীরা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ জেলার মাটি ও আবহাওয়া সূর্যমুখী চাষাবাদের জন্য বেশ উপযোগী। গত কয়েক বছর ধরে এখানে ধারাবাহিকভাবে সূর্যমুখীর চাষ বেড়েছে। গত বছর রংপুরের ১৪০ হেক্টর জমি প্রণোদনার মাধ্যমে সূর্যমুখী চাষের আওতায় আনা হয়। এ বছর জেলার পীরগঞ্জ, তারাগঞ্জ ও মিঠাপুকুর উপজেলায় ৫০০ কৃষককে সূর্যমুখী চাষে কৃষি প্রণোদনা দেয়া হয়। এর মধ্যে ১৫০ জন নারীও রয়েছেন। এর ফলে তারাও এখন অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ২০২১-২২ অর্থবছরের ‘তেল ফসল’ প্রকল্পের আওতায় এবার জেলার ১৮০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু বীজস্বল্পতার কারণে কৃষি বিভাগের সহায়তায় মাত্র ৬৭ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করেছেন কৃষকরা। প্রতি বিঘা জমিতে ৭-৮ হাজার টাকা খরচ করে ৯-১০ মণ ফলন পাওয়া যায়, যা বিক্রি করে আয় হয় প্রায় ৩০ হাজার টাকা। তিন মাসমেয়াদি এ ফসলে লাভ বেশি হলেও বীজের সরবরাহ কম থাকায় সূর্যমুখীর আবাদ ব্যাপক হারে বাড়ছে না বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। সূত্র: দৈনিক বাংলা।