আজকের দিনের আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর
বিশ্বজুড়ে যেভাবে কর্মী ছাঁটাই করা হচ্ছে
সারা বিশ্বের শ্রমবাজার এখন অস্থিতিশীল। প্রায় সময় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিচ্ছে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে বিপুলসংখ্যক কর্মী ছাঁটাই করেছে। ২০২২ সালের শেষ দিকে গুগল, মেটা, টুইটারসহ বড় বড় প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান কর্মী ছাঁটাইয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্বে প্রথম একসঙ্গে বিপুলসংখ্যক কর্মী ছাঁটাইয়ের ঢল শুরু হয়। সেই ঢল এখনো অব্যাহত। প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান ছাড়াও অর্থ, গণমাধ্যম, অটোমোটিভসহ আরও নানা সেক্টর থেকে কর্মী ছাঁটাই চলছে।কর্মী ছাঁটাই নিয়ে বিশেষ প্রতিষ্ঠান লেঅফস ডট ফাইয়ের তথ্য অনুযায়ী, শুধু চলতি বছরের জানুয়ারিতেই সারা বিশ্বে প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান থেকে এক লাখের বেশি কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। ৩৫৯টি প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান থেকে এসব কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে। এক মাসে এ সংখ্যা অনেক বেশি, যেখানে ২০২২ সালে পুরো বছরে ১ লাখ ৬০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে। বৈশ্বিক অর্থনীতি এখনো অনিশ্চিত অবস্থায় আছে। অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও রাজস্বঘাটতির কারণে অনেক কোম্পানি আরও কর্মী ছাঁটাই করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এসব দেখে অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোও কারণ ছাড়া কর্মী ছাঁটাইয়ের পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারে, সে আশঙ্কাও আছে। এর অর্থ, হাজারো কর্মী চাকরি হারাবেন। কর্মীদের এ চাকরি হারানোর খবর জানানোর পদ্ধতি প্রতিষ্ঠানভেদে আলাদা আলাদা দেখা যাচ্ছে। সূত্র: প্রথম আলো


চীনের ‘হঠাৎ’ উদ্যোগের নেপথ্যে
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পরপরই পশ্চিমা নেতারা সংঘাত অবসানে রাশিয়ার পুরনো কৌশলগত মিত্র চীনকে পাশে চেয়েছিলেন। এক বছর পর বেইজিং এখন নিজ থেকেই শান্তি প্রস্তাব দিলেও তা আবার পছন্দ হচ্ছে না পশ্চিমাদের। চীনা উদ্যোগের পেছনে খোঁজা হচ্ছে ‘ভিন্ন উদ্দেশ্য’।সম্প্রতি কথিত শান্তির বার্তা নিয়ে ইউরোপ ঘুরেছেন চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই। তাঁর সফর শেষ হয়েছে রাশিয়ায় সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উষ্ণ অভ্যর্থনার মাধ্যমে। বেইজিং মোট দুটি ধারণাপত্র প্রকাশ করেছে। প্রথমটি যুদ্ধ বন্ধে চীনা সমাধান। আরেকটি বিশ্বশান্তির জন্য একটি পরিকল্পনার রূপরেখা। সেখানে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব রক্ষার আহ্বান যেমন আছে, তেমনি আছে রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থ রক্ষার তাগিদ। পশ্চিমারা দৃশ্যত চীনের এ তৎপরতায় খুব অভিভূত নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাউকে খুশি করার উদ্দেশ্যও সম্ভবত বেইজিংয়ের নেই। সূত্র: কালের কণ্ঠ
কম বিক্রি হওয়া খাদ্যপণ্য উৎপাদন বন্ধ করছে প্রতিষ্ঠানগুলো
নভেল করোনাভাইরাসজনিত মহামারীর প্রকোপ কমতে না কমতেই মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়ায় ইউক্রেন-রাশিয়া। অর্থাৎ মহামারীর কারণে বিশ্বের যে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছিল, তা কাটিয়ে ওঠার আগেই নতুন করে সংকট সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় বিশ্বজুড়ে খাদ্য ও অন্যান্য জরুরি পণ্য সরবরাহে বিঘ্ন দেখা দেয়, জ্বালানির দাম বেড়ে যায় বহুগুণ, মূল্যস্ফীতির পাশাপাশি দেখা দেয় মন্দার ঝুঁকি। জীবনযাপনের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সাধারণ মানুষকে ব্যয় কমাতে হয়েছে। আবার ভোক্তাদের চাহিদা কমে যাওয়ায় এবং অব্যাহতভাবে খরচ বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদক কোম্পানিগুলোও কমিয়ে দিচ্ছে বিভিন্ন ধরনের পণ্য উৎপাদন। খবর রয়টার্স।
মূলত মহামারীর শুরু থেকেই পণ্যে বিশেষ ছাড় বা সুযোগ দেয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিতে শুরু করে বিভিন্ন কোম্পানি। আবার যেসব পণ্য কম প্রচলিত বা কম জনপ্রিয়, সেসব পণ্য উৎপাদনও কমিয়ে দেয়া শুরু হয়। সেই সময় থেকেই কোম্পানিগুলো, বিশেষ করে খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এমন সব পণ্যে বেশি নজর দিতে শুরু করে যেগুলো অতি জরুরি এবং প্রয়োজন হলে যেগুলোর দাম বাড়িয়ে দেয়া যাবে। সূত্র: বণিক বার্তা।
যে বিলিয়নিয়ার আমেরিকাকে পুরোদস্তুর বদলে দিয়েছিলেন!
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম বিলিয়নিয়ার ছিলেন জন ডি. রাফেলার। আজকের দিনের মূল্যে হিসেব করলে তার সম্পদের পরিমাণ ছিল ৪০০ বিলিয়ন ডলার। তার জীবনী তুলে ধরেছে অর্থনীতি বিষয়ক ওয়েবসাইট লাভমানি। যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে সম্পদশালী পরিবারগুলোকে নিয়ে ফোর্বস-এর করা তালিকায় এখনো রকফেলার পরিবারের নাম আছে। তবে রকফেলারের জীবনের শুরুটা ছিল নিতান্তই সাদামাটা।১৮৩৯ সালে নিউ ইয়র্কের সাধারণ এক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন জন ডি. রকফেলার। সেলসম্যান ও লোক ঠকানোর কাজের সূত্রে তার বাবা বিল বেশিরভাগ সময় বাড়ির বাইরেই থাকতেন।ছোটবেলায় মায়ের কাছে উদ্যোক্তা হওয়ার প্রাথমিক পাঠটুকু পান রকফেলার। তার প্রথমদিকের কাজের মধ্যে ছিল টার্কি পালা, চকোলেট বিক্রি, প্রতিবেশীদের হয়ে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া ইত্যাদি। ১৮৫৯ সালে মরিস বি. ক্লার্কের সঙ্গে একত্রে একটি কোম্পানি শুরু করেন রকফেলার। তার কোম্পানি বিচালি, মাংস, ও শস্যদানা বিক্রি করত। পরে তেলের ব্যবসায় নামেন রকফেলার।১৮৫৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় প্রথমবারের মতো মাটি খুঁড়ে তেল উত্তোলন করা হয়। ওই ঐতিহাসিক ঘটনায় অনুপ্রাণিত হয়ে তেলশিল্পে প্রবেশের সিদ্ধান্ত নেন রকফেলার। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
যুক্তরাষ্ট্রে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ৫
যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য নেভাডায় একটি মেডিকেল বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় পাইলটসহ বিমানে থাকা পাঁচ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন।বিমানটির পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের বরাত দিয়ে আজ রোববার বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এক বিবৃতিতে বিমানটির পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান রেমসা হেলথ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে ক্যালিফোর্নিয়া ও নেভাডার সীমান্তবর্তী এলাকায় বিমানটি রাডার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সেন্ট্রাল লিয়ন কাউন্টি ফায়ার ডিপার্টমেন্ট আমাদের নিশ্চিত করেছে যে, বিমানে থাকা পাঁচ আরোহীর কেউই বেঁচে নেই।’ বিমানটিতে পাইলট ছাড়াও একজন নার্স, একজন প্যারামেডিক, একজন রোগী ও রোগীর এক স্বজন ছিলেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। সূত্র: সমকাল
তুরস্কে ভূমিকম্প, ৬১২ জনের বিরুদ্ধে তদন্তে সরকার
তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ভবনধস ও ক্ষতিগ্রস্তের ঘটনায় ছয়শোর বেশি ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দেশটির সরকার। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানায় দেশটির আইনমন্ত্রী বেকির বোজদাগ। মন্ত্রী জানান, ৬১২ সন্দেহভাজনের মধ্যে ১৮৪ জনকে আটক করা হয়েছে। বিচারের জন্য তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের দিয়ারবাকিরের একটি সমন্বয় কেন্দ্র থেকে টেলিভিশনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘কারাগারে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে নির্মাণ ঠিকাদার, ভবন মালিকও আছেন। তদন্তের জন্য ভবনগুলোর তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে’। এদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের প্রশাসনের বিরুদ্ধে ভবন নিরাপত্তা বাস্তবায়নে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছে বিরোধী দলগুলো।গেলো ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্কে ৭ দশমিক ৮ এবং ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে শুধুমাত্র তুরস্কেই নিহত হয়েছে ৪৪ হাজারের বেশি মানুষ। আর প্রতিবেশী দেশ সিরিয়ায় নিহত হয়েছে সাড়ে ৫ হাজার। ভূমিকম্পে তুরস্কে প্রায় ১ লাখ ৭৩ হাজার ভবন ধসে পড়ে ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সূত্র: দেশ রুপান্তর
রাশিয়াকে চীনের সামরিক সহায়তা দেওয়ার প্রমাণ নেই : বাইডেন
রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সমর্থন দিয়ে আসছে চীন, এমন অভিযোগ আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলোর। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, বেইজিং মস্কোকে সামরিক দিক দিয়ে সমর্থন করছে কি না, এখনো প্রমাণ নেই। শুক্রবার সতর্ক করে বলেন, মস্কোর প্রতি সমর্থন বেইজিংয়ের অর্থনৈতিক অবস্থায় প্রভাব ফেলবে।
চীন রাশিয়াকে সহায়তা করতে পারে। এমন প্রশ্নের উত্তরে হোয়াইট হাউসের বাইরে সাংবাদিকদের বাইডেন জানান, আমি চীনের নেতা শি জিন পিংয়ের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করেছি। আগামী গ্রীষ্মে দেশটির অর্থনৈতিক পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করেছি। মার্কিন গোয়েন্দাদের তিনটি সূত্র সিএনএনকে জানিয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য সামরিক ড্রোন, গোলাবারুদ এবং অস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি বিবেচনা করছে। তবে বেইজিং এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে স্পষ্ট না। সামরিক সরঞ্জাম নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। এর পরিণতি নিয়ে চীনের শি জিন পিং সরকারকে সতর্ক করে আসছে ওয়াশিংটন। যদিও চীন বরাবরই দাবি করছে, মস্কোকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ দেওয়ার ইচ্ছে নেই বেইজিংয়ের। তবে উল্টো ইউক্রেনে অস্ত্র না পাঠানোর বিষয়ে পশ্চিমাদের সতর্ক করেছে দেশটি। সিএনএন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন ।
শি জিনপিংএর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চান জেলেনস্কি
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন তিনি চীনা নেতা শি জিনপিংএর সঙ্গে দেখা করতে চান এবং ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের জন্য বেইজিংএর দেয়া প্রস্তাব নিয়ে তার সঙ্গে আলোচনা করতে চান। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের প্রথম বার্ষিকীতে শুক্রবার তিনি বলেন চীনের প্রস্তাব থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে তারা শান্তির প্রক্রিয়ায় জড়িত হয়েছে। “আমি সত্যিই আশা করব চীন রাশিয়াকে কোন অস্ত্র সরবরাহ করবে না,” তিনি বলেন।চীনা প্রস্তাবে শান্তি আলোচনার এবং জাতীয় সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে চীনা এই নথিতে যে ১২ দফা প্রস্তাব দেয়া হয়েছে তাতে সুনির্দিষ্টভাবে বলা হয়নি যে রাশিয়াকে ইউক্রেন থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করতে হবে। এছাড়াও এতে “একতরফা নিষেধাজ্ঞা” আরোপের নিন্দা করা হয়েছে। কার্যত পশ্চিমে ইউক্রেনের মিত্রদের সমালোচনা হিসাবেই এটাকে দেখা হচ্ছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।
দূরপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির দাবি ইরানের, ট্রাম্পকে হত্যার হুমকি
ইরান ১ হাজার ৬৫০ কিলোমিটার পাল্লার একটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির রেভল্যুশনারি গার্ডের শীর্ষ কমান্ডার আমিরালি হাজিজাদেহ।
শুক্রবার একথা বলেন তিনি। আলাদাভাবে বরাবরের মতোই ইরানি কমান্ডার সোলেমানি হত্যার বদলা নেওয়ার হুঁশিয়ারির পুনরাবৃত্তি করে হাজিজাদেহ বলেছেন, “আমরা ট্রাম্পকে (সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট) হত্যার পরিকল্পনা করছি।”হাজিজাদেহ ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের মহাকাশ বাহিনীর প্রধান। রাষ্ট্রীয় টিভিতে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ভান্ডারে ১ হাজার ৬৫০ কিলোমিটার পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র যোগ হয়েছে।”রাষ্ট্রীয় টিভি নতুন পাভেহ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম ফুটেজও সম্প্রচার করেছে। সূত্র: বিডি নিউজ
যুদ্ধের অবসানে চীন এখন মধ্যস্থতায় কেন আগ্রহী
ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে গত এক বছরে পশ্চিমা দেশগুলো চীনের সাহায্য পাওয়ার চেষ্টা করেছে। রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র চীনের পক্ষ থেকে যুদ্ধ থামাতে বলিষ্ঠভাবে কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। তবে এবার চীন ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে ১২ দফার একটি শান্তি প্রস্তাব দিয়েছে। চীনের এমন প্রস্তাব ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্রদের খুশি করতে পারেনি।সাম্প্রতিক দিনগুলোতে চীনা কূটনীতিক ওয়াং ইর ইউরোপ সফরের মধ্য দিয়ে চীন সবার মন জয় করার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, অবশ্য যেটি শেষ হয়েছে মস্কোতে ওয়াং ইয়ের রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উষ্ণ অভ্যর্থনার মধ্য দিয়ে। ইউক্রেন প্রশ্নে চীন মূলত একটি নয় বরং দুটি অবস্থানের কথা ঘোষণা করেছে। প্রথমটি, যুদ্ধের অবসানে চীনা সমাধানের প্রস্তাব এবং অন্যটি বিশ্ব শান্তির লক্ষ্যে এক পরিকল্পনার রূপরেখা। এগুলো মূলত চীনা বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি। গত এক বছর ধরে চীনা নেতারা যা বলে আসছেন। এতে রয়েছে (ইউক্রেনের জন্য) সার্বভৌমত্ব রক্ষার আহ্বান এবং (রাশিয়ার) জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থ রক্ষা করে (যুক্তরাষ্ট্রের) একতরফা নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করা। এসব বিষয় পশ্চিমা দেশগুলোকে হয়তো খুশি করবে না, কিন্তু তাদের খুশি করা কখনই চীনের প্রধান লক্ষ্য ছিল না। সূত্র: দৈনিক বাংলা।