কোম্যান’র গোলে বায়ার্নের কাছে হেরেই গেলো পিএসজি
পিএসজির মাঠ পার্ক দেস প্রিন্সেসে এসে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষেলোর প্রথম লেগে ১-০ গোলের জয় তুলে নিয়েছে জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখ। বায়ার্নের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন কিংসলে কোমেন। এই জয়ের ফলে কোয়ার্টার ফাইনালের পথে এগিয়ে গেল ইউলিয়ান নাগেলসমানের দল।
নিজেদের মাঠে মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে বায়ার্ন। ম্যাচের প্রথমার্ধে কোনো গোল না হলেও ৫৩টি মিনিটে পিএসজির জালে বল পাঠান কোম্যান। বদলি খেলোয়াড় আলফান্সো ডেভিসের ক্রস থেকে ডি-বক্সে ফাঁকায় শট নেন কোম্যান। বল গোলরক্ষক বরাবর থাকলেও ঠেকাতে পারেননি দোনারুমা। হাতে লেগে বল জালে জড়ায়। তাতেই বাজিমাত।


এদিকে পিএসজির ম্যাচের আগে ইনজুরিতে ছিলেন লিওনেল মেসি ও কিলিয়ান এমবাপ্পে। শুরুর একাদশে মেসি থাকলেও ছিলেন না এমবাপ্পে। তবে মেসি-নেইমারের জুটি জমছিল না। প্রথমার্ধে নির্বিষ ছিল ওই জুটি। মাঝমাঠে ছিল না ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ। বায়ার্ন মিউনিখ বেশ কিছু আক্রমণ তুললেও প্রথমার্ধ শেষ হয় গোল শূন্য সমতায়।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৩ মিনিটে গোল করেন কিংসলি কোম্যান। প্যারিসের ছেলে তিনি। পিএসজিতে বেড়ে ওঠা। গোল করে তাই উদযাপন করেননি কোম্যান।
ম্যাচের ৭৩তম মিনিটে বায়ার্ন গোলরক্ষক ইয়ান সোমারকে একা পেয়ে গিয়েছিলেন এমবাপ্পে। কিন্তু তার শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক। আলগা বলে সুযোগ ছিল নেইমারেরও। তার শট গোললাইন থেকে ঠেকান। সমতা ফেরাতে বায়ার্নকে চেপে ধরে তারা। ৭৭তম মিনিটে কর্নার থেকে হেড নিয়েছিলেন মার্কুইনহোস। তবে জোর না থাকায় সহজেই ধরে ফেলেন গোলরক্ষক সোমের। ৮২তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে বদলি খেলোয়াড় টমাস মুলার ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু উড়িয়ে মারেন তিনি।
পরের মিনিটে ফের বল জালে জড়িয়েছিলেন এমবাপ্পে। কিন্তু এবার নুনো মেন্ডিস অফসাইডে থাকায় গোল মিলেনি তাদের। ৮৪তম মিনিটে মেসির শট গোললাইন থেকে ঠেকান পাভার্ড। এর দুই মিনিট পর ভিতিনহার শট দারুণ দক্ষতায় লুফে নেন সোমের। এরপরও বেশ কিছু সুযোগ ছিল তাদের। কিন্তু গোল মিলেনি। শেষ পর্যন্ত হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় স্বাগতিকদের।
ফিরতি লীগে আগামী ৮ মার্চ বায়ানের মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। ওই ম্যাচে পিএসজি ২-০ গোল দিতে পারলেই শেষ আট যাওয়ার সম্ভবনা থাকবে।