আজকের দিনের আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর
বিভক্ত মার্কিন কংগ্রেসকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান বাইডেনের
রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত মার্কিন কংগ্রেসকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাঁর বার্ষিক স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণে এই আহ্বান জানান।ভাষণে বাইডেন তাঁর প্রশাসনের নানা অর্জন-সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। তিনি অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে কথা বলেন।বাইডেনের এই ভাষণকে ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাঁর সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বিতার নকশাপরিকল্পনা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে তিনি শিগগির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।বাইডেন তাঁর শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়েছেন। পাবলিক স্কুলে শিক্ষক বাড়াতে আহ্বান জানিয়েছেন।পুলিশ সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছেন বাইডেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে নির্বিচারে গুলি নিয়ে কথা বলেছেন বাইডেন। তাঁর দেশে অ্যাসল্ট অস্ত্র নিষিদ্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। সূত্র: প্রথম আলো


গোয়েন্দা বেলুনের ধ্বংসাবশেষের ছবি প্রকাশ করল যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী
যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী সন্দেহভাজন চীনা নজরদারি বেলুনের উদ্ধারকৃত ধ্বংসাবশেষের ছবি প্রকাশ করেছে। গত শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে ওই বেলুন ভূপাতিত করা হয়েছিল।ইউএস ফ্লিট ফোর্সেস কমান্ড তাদে ফেসবুক পেজে বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছে যাতে দেখা যাচ্ছে, নৌকায় বেলুনের বড় ধ্বংসাবশেষ তোলা হচ্ছে। ই পোস্টে বলা হয়েছে, গত রবিবারের (৫ ফেব্রুয়ারি) ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারে অংশগ্রহনকারীরা দেশটির নৌবাহিনীর বিস্ফোরক দলের বিশেষজ্ঞ।ধ্বংসাবশেষ পরীক্ষা করে দেখা হবে যে, বেলুনটিতে আসলেই গুপ্তচরবৃত্তির সরঞ্জাম ছিল কিনা।যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বেলুনটিকে প্রায় ২০০ ফুট লম্বা বলে বর্ণনা করেছেন, যার পেলোড অংশটি আকারে আঞ্চলিক বিমানের সমান এবং এর ওজন হাজার পাউন্ড।যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী জানিয়েছে যে, বেলুনটির ধ্বংসাবশেষ আটলান্টিক মহাসাগরের সাত মাইলজুড়ে বিস্তৃত ছিল এবং সেটি উদ্ধারে ভারী ক্রেনসহ দুটি নৌ জাহাজ ওই এলাকায় পাঠানো হয়। সূত্র: প্রতিদিনের বাংলাদেশ
ধ্বংসস্তূপে কমছে প্রাণের সাড়া
৭.৮ মাত্রার প্রথম ভূমিকম্পের পরদিন গতকাল মঙ্গলবারও বড় মাত্রার পরাঘাত অনুভূত হয়েছে তুরস্ক ও সিরিয়ায়। দুই দিনের টানা ভূকম্পনে ধসে পড়েছে প্রায় ছয় হাজার ভবন। তুরস্ক ও সিরিয়ার জরুরি বিভাগের কর্মীরা প্রাণপণে উদ্ধার অভিযানে ব্যস্ত। বিভিন্ন দেশ থেকেও তাঁদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন হাজার হাজার উদ্ধারকর্মী। তবে তুরস্কে তীব্র শীত ও তুষারে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার অভিযান। অন্যদিকে সিরিয়ায় যুদ্ধকবলিত অঞ্চলে উদ্ধারকাজ চলছে খুব ধীরগতিতে। তুরস্কের ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে তিন মাসের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। তুরস্ক ও সিরিয়ার ভূমিকম্প থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষজন এখন খাদ্য ও শীতের পোশাকের অভাবে ভুগছে। অনেকের বাড়িঘর ধসে পড়েছে। আবার বাড়ি অক্ষত থাকলেও অনেকে পরাঘাতের ভয়ে ঘরে ফিরতে পারছে না। এতে তীব্র শীতের মধ্যেও বাইরেই থাকতে হচ্ছে প্রায় সবাইকে। দুর্গত মানুষের আশ্রয়ের জন্য তুরস্কের বিভিন্ন স্থানে তিন লাখের বেশি তাঁবু সরবরাহ করা হয়েছে। সূত্র: কালের কণ্ঠ
উড়োজাহাজে আগুন, ইন্দোনেশিয়ায় জিম্মি নিউজিল্যান্ডের পাইলট
ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া অঞ্চলে জরুরি অবতরণের সময় একটি উড়োজাহাজে আগুন লেগে যায়। এসময় নিউজিল্যান্ডের এক পাইলটকে জিম্মি করে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। জিম্মি ওই পাইলটের নাম ফিলিপ মার্থেনস। বিচ্ছিন্নতাবাদীরা জানান, তাদের দাবি না মানলে ওই পাইলটকে হত্যা করা হবে। বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, ইন্দোনেশিয়ার পার্বত্য জেলা এনদুগায় অবতরণ করার সময় উড়োজাহাজে আগুন লেগে যায়। এসময় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা পাইলট ফিলিপ মার্থেনসকে আটক করে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, একটি শিশুসহ উড়োজাহাজের পাঁচ যাত্রীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পাইলটকে জিম্মি করার দায় স্বীকার করেছে ওয়েস্ট পাপুয়া ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি। এ সংগঠনটি ইন্দোনেশিয়া একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত। তারা জানান, ইন্দোনেশিয়াকে ওয়েস্ট পাপুয়া প্রদেশের স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিতে হবে। ওয়েস্ট পাপুয়া ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির মুখপাত্র সেব্বি সাম্বম বলেন, ইন্দোনেশিয়া যদি সিদ্ধান্তে অটল থাকে ও স্বাধীনতার স্বীকৃতি না দেয় তাহলে ওই পাইলটকে হত্যা করা হবে। সূত্র: সমকাল
মাইলের পর মাইল ধ্বংসস্তূপ
মৃতের সংখ্যা ৭ হাজার ২০০ ছাড়াল, ২০ হাজার হতে পারে : ডব্লিউএইচও * আটকা হাজার হাজার মানুষ, বৈরী আবহাওয়ায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত * ২২ ঘণ্টা পর জীবিত নারী উদ্ধার ধ্বংসস্তূপের নিচে শিশুর জন্ম-ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মাইলের পর মাইল ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। দুই দেশের বেশ কয়েকটি শহরে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে হাজার হাজার মানুষ আটকা পড়ে আছে।দুর্ঘটনার পর দুদিন পেরিয়ে গেলেও তুষারপাত ও তীব্র ঠান্ডায় উদ্ধারকাজ মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। যেখানেই প্রাণের সন্ধান পাচ্ছেন সেখানেই তারা ছুটে যাচ্ছেন। ২২ ঘণ্টা পর তুরস্কে এক নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং সিরিয়ায় ধ্বংসস্তূপের মধ্যে এক শিশুর জন্ম হয়েছে।সোমবার ভোরে সংঘটিত ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ৭ হাজার ২০০ ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে তুরস্কে ৫ হাজার ৪০০ এবং সিরিয়ায় ১ হাজার ৮০০ জন মারা গেছে।মঙ্গলবারও তুরস্কে ভূমিকম্প হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আশঙ্কা-দুই দেশে মৃতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। হতাহতের ঘটনায় দেশে সাত দিনের শোক এবং তিন মাসের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে তুরস্ক সরকার। সূত্র: যুগান্তর।
তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে নিহত প্রায় ৮ হাজার
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পের ২ দিন পার হলেও একের পর এক উদ্ধার হচ্ছে লাশ। সিএনএনের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী মৃতের সংখ্যা অন্তত ৭ হাজার ৯২৬ জন। ধ্বংসস্তুপের নিচে এখনও অনেকেই চাপা পড়ে থাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতায় জানিয়েছেন, তুরস্কে অন্তত ৫ হাজার ৮৯৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া আহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ৮১০।তুরস্কের দুর্যোগ সংস্থার মতে, অন্তত ৫ হাজার ৭৭৫টি ভবন বিপর্যস্ত হয়েছে। উদ্ধার অভিযানে দেশটির বিপর্যস্ত ১০টি প্রদেশে ৬০ হাজার ২১৭ জন উদ্ধারকর্মী নিয়োজিত আছেন বলেও জানায় সংস্থাটি।অন্যদিকে সিরিয়ান সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, দেশটির বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২ শ ২০ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আহতের সংখ্যা অন্তত ২৬০০। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, বাশার আল আসাদ সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকায় মৃতের সংখ্যা ৮১২। সূত্র: দৈনিক বাংলা।
চীনের পরিবর্তে ভারত থেকে সস্তায় কৃত্রিম তন্তু আমদানির দিকে ঝুঁকছে পোশাক খাত
প্রতিযোগী মূল্য, এবং দুটি স্থলবন্দর চালু হওয়ার মাধ্যমে সড়কপথে আমদানির পথ উন্মুক্ত হওয়ায় লিড টাইমের সুবিধা নিতে ম্যান-মেইড ফাইবার (কৃত্রিম তন্তু) ও ফেব্রিক আমদানিতে চীন নির্ভরতা কমিয়ে ভারতমুখী হওয়ার সম্ভাবনা দেখছে বাংলাদেশ। রপ্তানি সম্ভাবনাময় নন-কটন পোশাকের মূল এ কাঁচামালের বৈশ্বিক চাহিদাও বাড়ছে।
খাত সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের চীন-বিরোধী অবস্থানও বাংলাদেশের ভারতমুখী হওয়ার পেছনে ভূমিকা রাখছে। আগামী পাঁচ বছরে প্রতিবেশী দেশটি থেকে এই আমদানি বেড়ে দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, কাঁচামালের জন্য বিকল্প উৎসমুখী হওয়া বাংলাদেশের কৃত্রিম তন্তু শিল্পের বিকাশকে সমর্থন করবে এবং চীন-নির্ভরতা কমাবে।গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশ সরকার বেনাপোল ছাড়াও নতুন দুটি স্থলবন্দর – সাতক্ষীরার ভোমরা এবং চাপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে – কৃত্রিম সুতা ও ফেব্রিক আমদানির অনুমতি দিয়েছে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
এত ভয়াবহ হলো কেন?
রিখটার স্কেলে কোনো ভূমিকম্পের প্রাবল্যকে সংখ্যা দিয়ে প্রকাশ করে। এটি একটি ১০-ভিত্তির লগারিদমীয় পরিমাপ। অর্থাৎ এ পরিমাপে যে কোনো সংখ্যার ভূমিকম্প পূর্ববর্তী সংখ্যার চাইতে ১০ গুণ শক্তিশালী। যেমন, ৩ মাত্রার ভূমিকম্পের চেয়ে ৪ মাত্রার ভূমিকম্প ১০ গুণ বেশি শক্তিশালী। এটি ভূমিকম্পমাপক যন্ত্র বা সিসমোমিটারের সাহায্যে পরিমাপ করা হয়। রিখটার স্কেলে মাত্রা যদি ৫ হয়, তাহলে এটি রিখটার মাপনীতে ৪-এর চেয়ে ১০ গুণ বেশি পরিমাপ দেয় এবং এটি ৪ মাত্রার ভূমিকম্পের চেয়ে ৩১.৬ গুণ বেশি শক্তি বহন করে। তুরস্ক ও সিরিয়ায় গত পরশু যে ভূমিকম্প হয় তা খুবই শক্তিশালী। যার মাত্রা ছিল ৭.৮, যেটি ‘উল্লেখযোগ্য’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
তবে এখন রিখটার স্কেলের পরিবর্তে মোমেন্ট ম্যাগনিটিউড স্কেল নামে ভূমিকম্প পরিমাপ করার একটি স্কেল আছে। এটি এর আগে ভূমিকম্প মাপার যন্ত্র হিসেবে পরিচিত রিখটার স্কেলকে প্রতিস্থাপন করেছে। রিখটার স্কেলকে এখন পুরনো এবং তেমন নির্ভুল নয় বলে বিবেচনা করা হয়। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ইনস্টিটিউট ফর রিস্ক অ্যান্ড ডিজাস্টার রিডাকশনের প্রধান অধ্যাপক জোয়ানা ফাউর ওয়াকার বলেছেন, ‘যে কোনো বছরের তুলনায় সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।
ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবেন কি আদানি
দুই সপ্তাহ আগেও আদানি গ্রুপের সাতটি বাণিজ্যিক কোম্পানির মিলিত সম্পদের পরিমাণ ছিল ২২ হাজার কোটি ডলার। সেটা অর্ধেকে নেমেছে হিনডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিবেদন প্রকাশের পর। ব্যক্তিগত সম্পদ হারিয়েছেন প্রতিষ্ঠাতা গৌতম আদানি। ছিটকে পড়েছেন শীর্ষ ২০ ধনকুবের তালিকার বাইরে। গভীর এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আদানি ও তার প্রতিষ্ঠানকে ভালো মাশুল গুনতে হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। খবর বিবিসি। যদিও আদানি গ্রুপের পক্ষ থেকে অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও দুরভিসন্ধিমূলক বলে দাবি করা হয়েছে। তাতে ভরসা আসেনি বিনিয়োগকারীদের মনে। সম্প্রতি গ্রুপের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শেয়ারকে কোলাটেরাল হিসেবে ব্যবহার করে ১ হাজার ১০০ কোটি ডলার আগাম পরিশোধ করা হবে। চলমান অস্থিরতা মোকাবেলা ও বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতেই এ সিদ্ধান্ত। তবে শেয়ারদরের বড় ধরনের পতন আদানি গ্রুপের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কারণ শেয়ারদরের পতন কোম্পানির প্রতি বিনিয়োগকারীর আস্থাহীনতাকেই নির্দেশ করে, যা প্রভাব ফেলবে কোম্পানির পরিচালনায়ও। সূত্র: বণিক বার্তা।
তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ৮০০০ ছাড়ালো, আড়াই কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
দক্ষিণ তুরস্ক এবং উত্তর সিরিয়ায় বিধ্বংসী এক ভূমিকম্পে আট হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যুর পর সেখানে আন্তর্জাতিক সাহায্য প্রচেষ্টা জোরদার করা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডাব্লিউএইচও অনুমান করছে, তুরস্ক এবং সিরিয়া জুড়ে আড়াই কোটিরও বেশি মানুষ এই ভূমিকম্পের শিকার হয়েছেন।দুটি দেশেই হাজার হাজার ভবন ধসে পড়েছে এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া মানুষদের বাঁচাতে উদ্ধারকর্মীরা প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।উত্তর সিরিয়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া লোকজন সাহায্যের জন্য ডাকাডাকি করছেন কিন্তু তাদের ডাকে সাড়া দেওয়ার মতো প্রায় কেউ নেই।ইস্তাম্বুলের একজন তুর্কি সাংবাদিক ইব্রাহিম হাসকোলোলু বলেছেন, “লোকেরা এখনও [ধসে পড়া] ভবনের নিচে রয়েছে, তাদের সাহায্যের প্রয়োজন।” সূত্র: বিবিসি বাংলা।