আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর
যশোর সফটওয়্যার পার্ক
‘টিকে থাকতে’ বিয়ের অনুষ্ঠান
পার্কটির উদ্বোধন করা হয় ২০১৭ সালে। সেখান থেকে যথেষ্ট আয় হচ্ছে না বলে বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
যশোরের শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক উদ্বোধনের পর পাঁচ বছরে আট কোটি টাকার মতো আয় করেছে। এর মধ্যে সরকার পেয়েছে ২ কোটি ১২ লাখ টাকা।পার্কটি পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কোম্পানি টেকসিটি বাংলাদেশ লিমিটেড বলছে, তাদের লোকসান হচ্ছে। এ কারণে পার্কে এখন তারা বিয়েসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজন করছে। যাতে আয় বাড়ে। প্রতিষ্ঠানটির দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, গত আগস্ট পর্যন্ত আগের ছয় মাসে পার্কে ৫৫টি অনুষ্ঠান হয়েছে। এর মধ্যে বিয়ে ও বউভাতের মতো অনুষ্ঠান হয়েছে ২৩টি। বাকিগুলো চাকরি মেলাসহ অন্যান্য অনুষ্ঠান। টেকসিটির মহাব্যবস্থাপক মোসলেম উদ্দীন শিকদার সম্প্রতি প্রথম আলোকে বলেন, বিয়েশাদিজাতীয় অনুষ্ঠান না করলে টিকে থাকা যাচ্ছে না। যে কারণে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের ভিত্তিতে এসব অনুষ্ঠান করা হয়। তিনি আরও বলেন, ‘আয়ের চেয়ে আমাদের ব্যয় বেশি হচ্ছে। ভবিষ্যতে লাভের আশায় এখন লোকসান দিয়ে পার্কটি দেখভাল করতে হচ্ছে।’ যশোর সফটওয়্যার পার্কের উদ্বোধন হয় ২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর। যশোর শহরের নাজির শঙ্করপুর এলাকায় ১২ একরের বেশি জমিতে প্রতিষ্ঠিত পার্কটিতে তিনটি ভবন রয়েছে। বিনিয়োগকারীদের জন্য ইজারাযোগ্য জায়গা রয়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার বর্গফুট। আরও রয়েছে আবাসন, সম্মেলন, মেলা আয়োজনসহ নানা সুবিধা। পার্কটি নির্মাণে সরকারের ব্যয় হয়েছে ৩০৫ কোটি টাকা। সূত্র: প্রথম আলো


৩২ তরুণ এখনো নিরুদ্দেশ
‘আল-আমিনের মৃত্যুর কথা শুনে মনে হয়েছে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল। আমার ছেলের (নিহাল আব্দুল্লাহ) শেষ পরিণতি কী হয়েছে জানি না। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর লোকরাও এখন ছেলের সম্পর্কে কিছু বলতে পারছে না।’ গতকাল মঙ্গলবার কালের কণ্ঠ’র সঙ্গে কথা বলার সময় এভাবেই আক্ষেপ করছিলেন সাইফুল ইসলাম। তিনি কথিত হিজরতের নামে বাড়ি ছেড়ে নিরুদ্দেশ হওয়া কুমিল্লার নিহাল আব্দুল্লাহর বাবা। নিহালের মতো নিরুদ্দেশ হওয়া তরুণ আমিনুল ইসলাম ওরফে আল-আমিন।নিরুদ্দেশ হওয়ার পর র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া আরেক তরুণ ইমরান বিন রহমান ওরফে শিথিলের তথ্য মতে বান্দরবানের গহিন অরণ্যে কবর খুঁড়ে আমিনুল ইসলাম ওরফে আল-আমিনের লাশ পাওয়া যায়নি। শিথিল র্যাবকে জানিয়েছিলেন, তাঁরা পাঁচ সঙ্গী গহিন অরণ্যে কবর দেন। গত ১০ অক্টোবর ঘর ছেড়ে নিরুদ্দেশ হওয়া যে ৩৮ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে র্যাব, তার মধ্যে কুমিল্লার নিহাল ও মোহাম্মদ আস সামির নাম রয়েছে। তাঁরাসহ গত চার বছরে বাড়ি ছেড়ে নিরুদ্দেশ হওয়াদের মধ্যে বয়স্ক ব্যক্তি যেমন রয়েছেন, আছেন সদ্য কৈশোর উত্তীর্ণ কলেজ পড়ুয়া তরুণও। তাঁদের কেউ কেউ আগে গ্রেপ্তার হয়েছেন, এমন তথ্য রয়েছে র্যাবের কাছে। সূত্র: কালের কণ্ঠ
ফল আমদানিতে অর্থ পাচারের রেকর্ড
♦ ফল আমদানির দরকার নেই : এফবিসিসিআই ♦ বিদেশি ফলে ফরমালিন হুমকিতে জনস্বাস্থ্য ♦ আমদানি বন্ধ করে চাষিদের সুরক্ষা প্রদানের তাগিদ
যেখানে ডলার সংকটে ঋণপত্র বা এলসি খুলতে হিমশিম খাচ্ছেন শিল্প মালিকরা, সেখানে ফল আমদানির আড়ালে চলছে অর্থ পাচার। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর সূত্র বলছে, বিদেশি ফল আমদানির আড়ালে অর্থ পাচারের রেকর্ড তৈরি করেছেন একশ্রেণি অসাধু ব্যবসায়ীরা। কড়া সতর্কতার মধ্যেও গত বছর রেকর্ড পরিমাণ ফল আমদানির তথ্য মিলেছে। দেশে ২০২২ সালে ৫ হাজার ১৭ কোটি টাকার ফল আমদানি হয়েছে। যা আগের বছরের চেয়ে প্রায় ৯৭ শতাংশ বেশি। এনবিআর সূত্র বলছে- ফল আমদানিতে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে অর্থ পাচার হচ্ছে। ফল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে আমদানি শুল্ক বাড়ানোর জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নিলেও এখনো কার্যকর হয়নি। এ পরিস্থিতিতে ফল আমদানি বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ব্যবসায়ী আর অর্থনীতিবিদরা। এনবিআরের তথ্য বলছে- ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে ফল আমদানি বেড়েছে প্রায় ৯৭ শতাংশ। ২০২২ সালে ৫ হাজার ১৭ কোটি টাকার ফল আমদানি হয়েছে। যা ২০২১ সালে ছিল ছিল ২ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা। গণভবনে দেশের সার্বিক আর্থিক পরিস্থিতি ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি পর্যালোচনা করতে সংশ্লিষ্ট দফতর ও মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সঙ্গে ৬ নভেম্বরের বৈঠকে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই বৈঠক সূত্র জানায়, ডলারের মজুদ ধরে রাখতে বিলাসী পণ্য আমদানি নিরুৎসাহী করতে কর বাড়ানোর প্রস্তাব দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ফল আমদানির বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। কারণ, দেশে অনেক ফল উৎপাদন হয়। বিদেশি ফলে আরও শুল্ক আরোপ করা হলে, আমদানি কমবে। দেশি ফলের চাহিদা বাড়বে। কিছুদিন আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৩৪০টি পণ্যের ডিউটি বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিল, সেটা কার্যকর করার বিষয়টি বিবেচনা করতে বলেছেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।
বিশ্রাম পান না চালক, দুর্ঘটনা কাড়ে জীবন
সড়ক পরিবহন আইনের বিধিমালার ৩২(৫) ধারায় গণপরিবহনের চালকের কর্মঘণ্টা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত ২৭ ডিসেম্বর কার্যকর হওয়া এই বিধিমালায় বলা হয়, একজন চালককে দিয়ে একটানা পাঁচ ঘণ্টার বেশি গাড়ি চালানো যাবে না। এর পর কমপক্ষে আধা ঘণ্টা বিশ্রাম দিয়ে আবার তিন ঘণ্টা গাড়ি চালানো যাবে। তবে দিনে আট ঘণ্টা এবং সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টার বেশি একজন চালককে দিয়ে গাড়ি চালানো যাবে না। এ নিয়ম মানতে হবে মালিককে। কিন্তু তা মানা হয় না। বিশ্রামহীন ড্রাইভিংয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে শরীয়তপুরে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজার আগে ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কায় যে অ্যাম্বুলেন্সের (ঢাকা মেট্রো-ছ-৭১-৩৪৮২) ছয় জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে, তার চালক ২৬ ঘণ্টা ধরে গাড়ি চালাচ্ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। যদিও অ্যাম্বুলেন্সের মালিক মো. নূর আলমের দাবি, অভিযোগটি সঠিক নয়। তিনি সমকালকে জানিয়েছেন, সোমবার রাত ১২টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সটি বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করে। এর ঘণ্টা চারেক পর দুর্ঘটনা ঘটে। সূত্র: সমকাল
৩৭ হাজার দখলদারের তথ্য মুছে দিয়েছে নদী রক্ষা কমিশন
দেশের নদ-নদী দখলদারদের তালিকা তৈরিতে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছিল জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন (এনআরসিসি)। এর কাজ শেষ হয় গত ডিসেম্বরে। প্রকল্পটির মাধ্যমে ৩৭ হাজার ৩৯৬ নদ-নদী দখলদারকে চিহ্নিত করা হয়, যা এনআরসিসির ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু ডিসেম্বরেই এক সভায় নেয়া সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে সে তালিকা ওয়েবসাইট থেকে মুছে দিয়েছে এনআরসিসি নিজেই। এমনকি প্রকল্পের প্রতিবেদনও গ্রহণ করেনি কমিশন। এ বিষয়ে কমিশনের সদস্যদের বক্তব্য হলো, হাইকোর্টের এক রায়ে সিএস রেকর্ডের ভিত্তিতে অবৈধ দখলদারদের চিহ্নিত করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু প্রকল্পে তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে পানি আইন ২০১৩-এর ভিত্তিতে। এ কারণে প্রকল্পে চিহ্নিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম ও তালিকা কমিশনে দেয়া প্রতিবেদনে এবং ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না এবং তা প্রকাশ করা যাবে না। সূত্র: বণিক বার্তা।
আইএমএফ’র ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ
বহুমুখী শর্তে বাড়বে মূল্যস্ফীতির চাপ
অর্থনৈতিক ভারসাম্যে সাময়িক স্বস্তি মিলবে * সরকার সেকেন্ডারি বন্ড মার্কেট থেকে ঋণ নেবে * সংস্কারের গতি কমলে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় সুফল মিলবে না
আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশকে ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণ দিতে বহুমুখী শর্ত আরোপ করেছে। এর মধ্যে প্রধান শর্ত হচ্ছে ভর্তুকি কমানো। ভর্তুকি কমালে বিভিন্ন পণ্য ও সেবার দাম বাড়াতে হবে। এতে সরকারের আয়-ব্যয়ে ভারসাম্য ফিরবে। কিন্তু এর বিপরীতে পণ্য ও সেবার দাম বৃদ্ধিতে মূল্যস্ফীতির হারে বাড়তি চাপ পড়বে। এতে ভোক্তার কষ্ট বাড়বে। তাদের শর্তে দ্রুত সংস্কার বাস্তবায়ন হলে অর্থনীতিতে সুফল মিলবে। কিন্তু সংস্থাটি ভর্তুকি কমাতে যে চাপ দিচ্ছে, সেভাবে সংস্কার বাস্তবায়নে চাপ দিচ্ছে না। ফলে অর্থনীতিতে আইএমএফ’র সংস্কারের সুফলও দ্রুত মিলবে না। সংস্থাটির অন্যান্য শর্তের মধ্যে আছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের নিট হিসাব প্রকাশ, কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ কমানো, ডলারের বিপরীতে টাকার মান পুরোপুরি বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া ইত্যাদি। সূত্র জানায়, অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলায় সরকার আইএমএফ থেকে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ নিচ্ছে। এ ঋণের ব্যাপারে ইতোমধ্যে দুপক্ষের সমঝোতা হয়েছে। এর আওতায় অচিরেই একটি চুক্তি হবে। এরপরই ঋণ প্রস্তাবটি ৩০ জানুয়ারি আইএমএফ’র নির্বাহী বোর্ডের সভায় উপস্থাপন করা হবে। সূত্র: যুগান্তর
প্রসাধন কিনতেই পকেট সাফ
সাবান, টুথপেস্ট, কাপড় ধোয়ার ডিটারজেন্টসহ প্রাত্যহিক জীবনে ব্যবহার্য প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম চলে গেছে নিম্নবিত্তের নাগালের বাইরে। মধ্যবিত্ত পড়েছে বিপাকে। মাসের খরচে যুক্ত হয়েছে বাড়তি ব্যয়। বাড়েনি আয়। গত এক বছরে প্রায় সব ধরনের প্রসাধন পণ্যের মূল্য ১০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়িয়েছে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। বছর, মাস এমনকি সপ্তাহের ব্যবধানেও এসব পণ্যের দাম বেড়েছে ক্ষেত্রবিশেষে ১০০ শতাংশেরও বেশি। বহুজাতিক কোম্পানির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশীয় কোম্পানিগুলোও পিছিয়ে নেই দাম বাড়ানোর এই প্রতিযোগিতায়। আর এ ক্ষেত্রে অজুহাত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। নিরুপায় হয়েই এসব পণ্য কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। সূত্র: দৈনিক বাংলা।
নভেম্বরে দেশে বেকারত্বের হার সর্বোচ্চ ৬.৯১ শতাংশে পৌঁছেছে
বাংলাদেশের বেকারত্বের হার সর্বকালের সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছেছে। গত নভেম্বর মাসে দেশের বেকারত্বের হার ৬.৯১ শতাংশে পৌঁছায়। অর্থাৎ, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি উচ্চ হলেও– তা তরুণ জনগোষ্ঠীর জন্য চাকরি তৈরি করার মতো যথেষ্ট হয়নি। ২০২১-২২ অর্থবছরের শেষ মাস জুলাইয়ে দেশের বেকারত্বের হার ছিল ৬.৪৭ শতাংশ। এরপর তা নভেম্বরে বেড়ে এ নতুন উচ্চতায় দাঁড়ায়।এর আগের দুই দশকে ৪.২ শতাংশ থেকে ৪.৫ শতাংশ বেকারত্বের হারের তুলনামূলক মৃদু পরিস্থিতির পর এমন বৃদ্ধি দেখা গেল।বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)-এর তথ্য-উপাত্তের বরাত দিয়ে ‘ইকোনমিক সিচুয়েশন রিভিউ অ্যান্ড পসিবল স্ট্র্যাটেজিস’ শীর্ষক প্রেজেন্টেশনে বেকারত্বের নতুন এ হারের তথ্য প্রকাশ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
বিবিএস-এর কর্মকর্তারা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানিয়েছেন, বিবিএস সর্বশেষ ২০১৬-১৭ সালে শ্রমশক্তি জরিপ পরিচালনা করেছিল। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
ইভিএমে ভোট অনিশ্চিত, আশা ছাড়েনি ইসি
কনেকে প্রকল্প না ওঠায় আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এর আগে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলেছিল, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রকল্পটি পাস না হলে ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ সম্ভব হবে না। কারণ ইভিএম কেনার প্রক্রিয়া শেষ করে ব্যবহারের পর্যায়ে নিতে প্রায় এক বছর লাগবে।জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি একনেকে মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) প্রকল্পটি ওঠার আলোচনা ছিল। কিন্তু ওঠেনি দুই হাজার ইভিএম কেনার প্রকল্পটি। তা ছাড়া ইসির সংগ্রহে থাকা দেড় লাখ ইভিএমের মধ্যে ৫০ হাজার ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এগুলো পুনরায় ঠিক করে ব্যবহারের উপযোগী করতে হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ইভিএম কেনার এই প্রকল্প পাস না হলে কীভাবে নির্বাচন হবে এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া আছে। প্রয়োজনে ব্যালটে ভোট করব। আমাদের ব্যালট বাক্স আছে।’ এখনও কি দেড়শ আসনে ইভিএমে ভোট নেওয়ার সুযোগ আছে- এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এই মাসের মধ্যে প্রকল্প পাস না হলে ইভিএম কেনা জটিল হয়ে যাবে।’ সূত্র: প্রতিদিনের বাংলাদেশ
মোবাইল ফোনে বিজয় কী-বোর্ড ব্যবহারে নির্দেশনার পেছনে যে যুক্তি দিচ্ছে সরকার
স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত এবং আমদানি করা সব ধরনের স্মার্ট ফোনে বিজয় বাংলা কী-বোর্ড সংযুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি। বিজয় কী-বোর্ডের মালিক এবং বাংলাদেশের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বিজয় কী-বোর্ড “বাংলা লেখার জাতীয় মান” হওয়ার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগ থেকে ১৩ই জানুয়ারি দেয়া এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেয়া হয়। এতে বলা হয়, সব ধরনের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে বিজয় অ্যান্ড্রয়েড প্যাকেজ কিট বা এপিকে ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।এই ফাইল ইনস্টল করা না থাকলে কোন মোবাইল উৎপাদনকারী বা আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান তাদের মোবাইল ফোন বাজারজাত করতে পারবে না।বাংলাদেশে মোবাইল ফোন আমদানি বা প্রস্তুত করার জন্য বিটিআরসির অনুমোদন লাগে। বিটিআরসি থেকে জানানো হয়, এই চিঠি জারি হওয়ার তারিখ অর্থাৎ ১৩ই জানুয়ারি থেকেই এই নির্দেশ কার্যকর হবে। আর চিঠি জারির তিন কার্যদিবস পর থেকে বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগ থেকে বিনামূল্যে এপিকে ফাইল পাওয়া যাবে। ‘ব্যক্তিমালিকানার’ কী বোর্ড -সব ধরনের স্মার্টফোনে যে বিজয় কী-বোর্ডের ফাইল এপিকে ইন্সটল করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে তার মালিকানা বর্তমান ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের।তিনি বলেন, ২০১৭ সালে বিজয় বাংলা কী-বোর্ডকে বাংলা লেখার একটি মান হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার।বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, বিডিএস ১৭৩৮ নামে বিজয়ের এই কী-বোর্ড সরকারি কী-বোর্ড এবং এই কী-বোর্ডকে সরকার জাতীয় মান হিসেবে ঘোষণা করেছে।