দেশে প্রথম প্রান্তিকে কোটিপতির সংখ্যা কমেছে
দেশে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ব্যাংকে মোট আমানতের পরিমাণ বাড়লেও কমেছে কোটি টাকা আমানতকারীর সংখ্যা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুন প্রান্তিক শেষে দেশের ব্যাংকগুলোতে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা ছিল এক লাখ ৮ হাজার ৪৫৭ জন। সেপ্টেম্বর শেষে কোটিপতির সংখ্যা কমে দাঁড়ায় এক লাখ ৬ হাজার ৫২০ জনে। সেই হিসেবে তিন মাসের ব্যবধানে দেশে কোটিপতি কমেছে ১ হাজার ৯৩৭ জন। এরমধ্যে ৩০ জুন শেষে ৫০ কোটি টাকার বেশি হিসাবধারী ছিল ১ হাজার ৮০৫ জন। ৩০ সেপ্টেম্বর তা কমে হয়েছে ১ হাজার ৬৬০ জন।


বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরভিত্তিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য ওঠে এসেছে।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কয়েকটি কারণে কোটি টাকার হিসাব কমেছে। এর মধ্যে জ্বালানি পণ্যের ব্যয় বৃদ্ধি, আগের মতো আমানত রাখতে না পারা, জমানো অর্থ খরচসহ ব্যাংকের টাকা তুলে ফ্ল্যাট, প্লট ও জমিজমা কেনা উল্লেখযোগ্য।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, কোটি টাকার হিসাব কমে যাওয়া মানে এসব অর্থ অন্য খাতে চলে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে ফ্ল্যাট, প্লট ও জমির দাম অনেক বেড়ে গেছে। বিত্তশালীরা ব্যাংক থেকে টাকা তুলে জমি বা ফ্ল্যাট কিনে রাখছেন। কারণ এসবের দাম সাধারণত কমে না, বাড়তেই থাকে। এ ছাড়া অনেকে ডলার কিনে রাখছেন।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এর তথ্য অনুযায়ী, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে দেশে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা ছিল ৫ জন। ১৯৭৫ সালে তা ৪৭ জনে উন্নীত হয়। ১৯৮০ সালে কোটিপতি হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল ৯৮টি। এরপর ১৯৯০ সালে ৯৪৩টি, ১৯৯৬ সালে ২ হাজার ৫৯৪টি, ২০০১ সালে ৫ হাজার ১৬২টি, ২০০৬ সালে ৮ হাজার ৮৮৭টি এবং ২০০৮ সালে ছিল ১৯ হাজার ১৬৩টি। ২০২০ সালে ডিসেম্বর শেষে দাঁড়ায় ৯৩ হাজার ৮৯০টিতে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে কোটিপতি হিসাবের সংখ্যা বেড়ে এক লাখ এক হাজার ৯৭৬টিতে পৌঁছায়।