আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৫৩ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৩, ২০২৩

যাতায়াত–নিষিদ্ধ ছেঁড়াদিয়া দ্বীপে পর্যটকের ঢল, ১৪ দফা বিধিনিষেধের বাস্তবায়ন নেই

কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিন দ্বীপের দক্ষিণে বিচ্ছিন্ন আরেকটি দ্বীপ ছেঁড়াদিয়া। জীববৈচিত্র্যে ভরপুর প্রায় আড়াই একর আয়তনের দ্বীপটির সংকটাপন্ন অবস্থা বিবেচনা করে পর্যটকের যাতায়াত নিষিদ্ধ করে পরিবেশ অধিদপ্তর। তিন বছর ধরে ছেঁড়াদিয়াসহ সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও দ্বীপের সুরক্ষায় ১৪ দফা বিধিনিষেধ আরোপ করে প্রচারণা চালিয়ে আসছে সরকারি এই দপ্তর। দ্বীপে লোকসমাগম সীমিত করে এক হাজারের নিচে নিয়ে আসার ঘোষণা দেওয়া হলেও বাস্তব চিত্র তার উল্টো।
এখন ছেঁড়াদিয়ায় পর্যটকে গিজগিজ অবস্থা। ৫০টির বেশি নৌযানে (স্পিডবোট ও কাঠের ট্রলার) সমুদ্র পাড়ি দিয়ে কিংবা সৈকতের বালুচর ডিঙিয়ে তিন শতাধিক ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে (টমটম) চড়ে শত শত পর্যটক ছেঁড়াদিয়াতে যাতায়াত করছেন। তাতে ধ্বংস হচ্ছে বালুচরে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির শামুক-ঝিনুক, প্রবাল-শৈবালসহ জীববৈচিত্র্য। সেন্ট মার্টিনের পরিবেশ রক্ষায় গণমাধ্যমে ১৪ দফা বিধিনিষেধ জারি করা ছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো অভিযান, সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড চোখে পড়ে না। দ্বীপের পরিবেশের অবস্থাও ভয়াবহ। সৈকত দখল করে স্থাপন করা হয়েছে শতাধিক দোকানপাট। প্লাস্টিক বর্জ্যসহ ময়লা–আবর্জনায় ভরপুর দ্বীপের সৈকত, হাটবাজার, রাস্তাঘাট। এসব বর্জ্য চলে যাচ্ছে সাগরে। সূত্র: প্রথম আলো

প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে আ. লীগ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ সহজ হবে না বলে মনে করছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়। বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা এবং পরাশক্তিগুলোর মধ্যে বিবাদ বড় আকার ধারণ করায় তার প্রভাব এ দেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পড়ার আশঙ্কা করছে তারা। ফলে আগামী নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে ধরে নিয়ে এতে কিভাবে ভোটে এগিয়ে থাকা যায়, সেই চেষ্টা শুরু করেছে আওয়ামী লীগ।এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের কেন্দ্রীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতির নির্দেশনা দিয়েছেন।কেন্দ্রীয় নেতারা দলের তৃণমূলকেও সেভাবে প্রস্তুত করার কাজ শুরু করেছেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন, তৃণমূলে দলের অভ্যন্তরীণ বিবাদ নিরসন, বিশেষ করে সংসদ সদস্যদের সঙ্গে দলের নেতাদের দ্বন্দ্ব কমিয়ে আনা সূত্র; কালের কণ্ঠ

মদপানে মৃত্যু বাড়ছে রাজশাহীতে
চোলাই ও অতিরিক্ত পানে আট বছরে ২৭ মৃত্যু

রাজশাহীতে চোলাই ও অতিরিক্ত মদপানে প্রতি বছরই মানুষ মারা যাচ্ছে। গত আট বছরে মদপানে মারা গেছে ২৭ জন। অতিরিক্ত মদপান এসব মৃত্যুর কারণ বলে ধারণা করা হলেও চিকিৎসকরা বলছেন, মূলত মিথাইল অ্যালকোহল পানের কারণে এসব মৃত্যু হচ্ছে। রাজশাহী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আলমগীর হোসেন জানান, অ্যালকোহল নেশাজাতীয় দ্রব্য। সহনীয় পরিমাণের বেশি সেবন করলে সমস্যা হওয়াটা স্বাভাবিক। জনস্বাস্থ্যবিদ ডা. চিন্ময় কান্তি বলেন, রাজশাহী অঞ্চলে যাদের মৃত্যু হয়েছে, তার অধিকাংশই মিথাইল অ্যালকোহল পান করে। এ ছাড়া দেশি মদে ‘টক্সিক মেটারিয়ালস’ ব্যবহার করা হয়। যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

Nagad

২০২১-২২ অর্থবছর

শীর্ষ দশে স্কয়ার ও রেডিয়েন্ট ছাড়া সব কোম্পানির বিক্রয় প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক

কভিডের সময় দেশের ওষুধের বাজারে প্রবৃদ্ধি হয় অস্বাভাবিক। ২০২০-২১ অর্থবছরে ওষুধের খুচরা বিক্রির অর্থমূল্য ছিল ২৭ হাজার ৬৫৯ কোটি টাকা। প্রবৃদ্ধি ছিল ১৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ। পরের অর্থবছর ২০২১-২২-এ গত এক দশকের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ওষুধের বাজার প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক। ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ কমে বাংলাদেশে ওষুধের খুচরা বিক্রির পরিমাণ দাঁড়ায় ২৬ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকায়। মোট ওষুধ বিক্রির ৭০ শতাংশের বেশি করেছে শীর্ষ ১০ কোম্পানি। তবে এর মধ্যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে শুধু স্কয়ার ও রেডিয়েন্টের। বাকি সব কোম্পানিরই বিক্রয় প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক। দেশে ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানির ওষুধ বিক্রি ও ধরন নিয়ে জরিপ চালায় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক স্বাস্থ্যসংক্রান্ত তথ্যপ্রযুক্তি ও ক্লিনিক্যাল গবেষণার বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান আইকিউভিআইএ। সংস্থাটির তথ্য বিশ্লেষণে ওষুধ বাজারের এ চিত্র পাওয়া গেছে। খাতসংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, গত এক দশকে কম হোক বা বেশি দেশের বাজারে ওষুধের খুচরা বিক্রয় প্রবৃদ্ধি ছিল ইতিবাচক। এ সময়ের মধ্যে গত অর্থবছরই প্রথমবারের মতো বিক্রি কমেছে বা নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তাদের দাবি কভিডকালে ওষুধ বিক্রি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। এরপর স্বাভাবিক ধারায় ফিরলেও অস্বাভাবিক সময়ের চেয়ে তা কমেছে। কভিডের টিকা কার্যক্রমে ওষুধ সেবনে মানুষের অভ্যাস ও চর্চা কমে যাওয়া অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।বিক্রীত ওষুধের অর্থমূল্য বিবেচনায় শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে প্রথমেই আছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস। ওষুধের মোট খুচরা বিক্রির ১৮ দশমিক ৭৪ শতাংশই স্কয়ারের। ২০২০-২১ অর্থবছরের তুলনায় ৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ বেড়ে গত ২০২১-২২ অর্থবছরে স্কয়ারের ওষুধ বিক্রি হয় ৪ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকার। সূত্র; বণিক বার্তা ।

ডিসেম্বরে রপ্তানি এ যাবতকালের সর্বোচ্চ

গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশকে রপ্তানি আয়ের নতুন রেকর্ড অর্জনে সহায়তা করেছে তৈরি পোশাক খাত। একইসঙ্গে, তা নভেম্বরে হওয়া রেকর্ডকেও ভেঙ্গেছে। আলোচ্য মাসে ৯ শতাংশের কিছু বেশি প্রবৃদ্ধি নিয়ে রপ্তানি হয়েছে ৫.৩৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য, যা একক মাসের হিসাবে- এ যাবতকালের সর্বোচ্চ।পোশাক খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কাঁচামালের বাড়তি মূল্য, আগের মাসগুলোর তুলনায় বাড়তি রপ্তানি আদেশ, উচ্চ মূল্যের পোশাক অপেক্ষাকৃত বেশি হারে রপ্তানি হওয়া, এবং চীনসহ প্রধান প্রতিযোগীদের তুলনায় বড় বাজারগুলো থেকে বেশি হারে রপ্তানি আদেশ পাওয়া ডিসেম্বরে রেকর্ড রপ্তানির পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে।
এর বাইরে প্রচলিত বাজার তথা ইউরোপ ও আমেরিকার বাইরে– নতুন বাজারগুলো থেকে বাড়তি অর্ডার আসাও সার্বিকভাবে রপ্তানি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

বিদ্যমান ক্ষেত্রগুলো পুনর্বিন্যাসের প্রস্তাব
সঞ্চয়পত্রে আসছে বড় সংস্কার

সঞ্চয়পত্রে’ পুরুষ ক্রেতার বয়সসীমা ৬৫ থেকে ৫০ বছরে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে বেশিসংখ্যক পুরুষ পরিবার সঞ্চয়পত্র কেনার আওতায় আসতে পারবেন। এছাড়া ‘বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে’ যাতে বেশিসংখ্যক প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করতে পারে, এ লক্ষ্যে বিদ্যমান ক্ষেত্রগুলো পুনর্বিন্যাস করা হচ্ছে। সম্প্রতি এসব প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে পাঠিয়েছে জাতীয় সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তর। ওই প্রস্তাবে সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের তিন মাস অন্তর মুনাফা দেওয়ার বিধান তুলে দিয়ে এক মাস অন্তর কার্যকরের সুপারিশ করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে পাওয়া গেছে এসব তথ্য।এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জাতীয় সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মো. শাহ আলম যুগান্তরকে বলেন, পেনশন সঞ্চয়পত্র কেনার সিলিং এবং পরিবার সঞ্চয়পত্র কেনার (পুরুষ ক্রেতা) বয়স কমানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এখন মন্ত্রণালয় এবং সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। সেখান থেকে অনুমোদন করলে তা কার্যকর হবে। তিনি আরও বলেন, তিন মাস অন্তর যেসব সঞ্চয়পত্রের মুনাফা দেওয়া হচ্ছে, সেগুলো প্রতিমাসে দেওয়ার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। সূত্র: যুগান্তর ।

বাংলাদেশে কি নতুন সম্পর্ক তৈরিতে জনপ্রিয় হচ্ছে ডেটিং অ্যাপ?

চিঠিপত্র, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বাইরে বহুদিন ধরেই নতুন সম্পর্ক তৈরির জন্য বিশ্বের বহু দেশে ডেটিং অ্যাপগুলো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। গত কয়েক বছর ধরে সেই ঢেউ এসে লেগেছে বাংলাদেশের ছেলে-মেয়েদের মধ্যেও। এখন অনেকেই এসব ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে সঙ্গী খুঁজতে শুরু করেছেন।যেমন ঢাকার বাসিন্দা মিজান (ছদ্মনাম) কিছুদিন আগে টিন্ডার নামের একটি ডেটিং অ্যাপে নিবন্ধন করেছেন। ‘’আমার একটা সম্পর্ক ভেঙ্গে যাওয়ার পর খুব একা লাগছিল। ইচ্ছা করলেই তো আর নতুন প্রেম হয় না। তাই দুইটা ডেটিং অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করেছিলাম, যদি এখান থেকে কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়, যদি কারও সঙ্গে মিলে যায়।,’’ তিনি বলছিলেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

নতুন বছরে প্রতি সপ্তাহে শতাধিক কর্মী কোরিয়ায় যাবেন

নতুন বছরে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০০ থেকে ১২০ জন বাংলাদেশি কর্মী কোরিয়ায় যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। আর গত বছর ২০২২ সালে পাঁচ হাজার ৮৯১ জন বাংলাদেশি কর্মী কোরিয়ায় গেছেন। ঢাকার কোরিয়ার দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে। সোমবার (২ জানুয়ারি) রাতে এ বছরের বাংলাদেশি কর্মীদের প্রথম ব্যাচ একটি কোরিয়ান উড়োজাহাজ সংস্থার চার্টার্ড ফ্লাইটের মাধ্যমে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়েন। প্রথম ব্যাচে কোরিয়ায় যাওয়া ৯২ জন বাংলাদেশি কর্মীর মধ্যে ৬৯ জন নতুন ও ২৩ জন পুরোনো কর্মী রয়েছেন।কোভিড-১৯ মহামারির কারণে প্রায় দেড় বছর ইপিএস কর্মীদের যাওয়া স্থগিত করার পর কোরিয়ান সরকার ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ইএসপি কর্মী নেওয়া আবার শুরু করে। ২০০৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মোট ২৮ হাজার ৬৯৭ জন বাংলাদেশি কর্মী কোরিয়ায় গেছেন। সূত্র: বাংলানিউজ।