বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন:
‘যত বেশি নতুন বাজার পাব, তত বেশি পণ্য রপ্তানি করতে পারব’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা রপ্তানিযোগ্য কিছু পণ্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছি। সেটাকে বহুমুখী করার কথা, আমি বার বার এ কথা বলে যাচ্ছি, এখনও বলছি, যত বেশি পণ্য বহুমুখী করতে পারব; যত বেশি নতুন নতুন বাজার পাব, তত বেশি পণ্য রপ্তানি করতে পারব। মানুষের যাতে কর্মক্ষমতা বাড়ে সেদিকেও দৃষ্টি দিতে হবে।
রোববার (১ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে মেলা উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি।


তিনি বলেন, প্রথমবার যখন এখানে বাণিজ্য মেলা হয় করোনার কারণে আসতে পারিনি। ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেছিলাম। তবে ডিজাইন থেকে শুরু করে সবকিছুতেই আমি ছিলাম। এজন্য এখানে আসার আগ্রহ বেশি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখনকার ডিপ্লোমেসি পলিটিক্যাল নয়, ইকোনোমিক হবে অর্থাৎ প্রতিটা দূতাবাস ব্যবসা-বাণিজ্য, রপ্তানি, কোন দেশে কিসের চাহিদা, কী আমরা রপ্তানি করতে পারি বা কোথা থেকে আমরা বিনিয়োগ আনতে পারি; সেদিকে দৃষ্টি দেওয়ার জন্য বিদেশে আমাদের প্রতিটা দূতাবাসকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
বাংলাদেশ ইতোমধ্যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই মর্যাদা কার্যকর করার জন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন কমিটি করে কোন খাতে কী কী করণীয় সেগুলো সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। তবে কোভিডের কারণে আমাদের দুই বছর সময় নিতে হয়েছে। ২০২৬ সালের মধ্যে আমরা উন্নয়নশীল দেশ কার্যকর করব, ২০২৪ এ করার কথা ছিল।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘করোনা মহামারী, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, স্যাংশন-পাল্টা স্যাংশন; এসবের ফলে সারা বিশ্বব্যাপী আজ অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। উন্নত দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে। নিজেদের মন্দার দেশ হিসেবে ঘোষণা করছে। আমরা কিন্তু এখনো সে পর্যায়ে যাইনি। আমরা আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছি।’
এদিকে এবার মেলার প্রবেশদ্বারে মেট্রোরেলের আদলে দুটি গেট তৈরি করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর মেলায় স্টলের সংখ্যাও বেড়েছে। দেশি-বিদেশি মিলে মেলায় ৩৫১টি স্টল রয়েছে। মেলায় ১০টি বিদেশি রাষ্ট্রের ১৭টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলার কার্যক্রম চলবে। মেলায় ৩১৯টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুুলিশ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন- বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক), বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, এফবিসিসিআই সভাপতি জসীম উদ্দিন এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে দেশের ব্যবসায়ী নেতা, রপ্তানিকারক, মেলায় অংশগ্রহণকারী দেশি-বিদেশি প্রতিনিধি এবং স্থানীয় জনসাধারণও উপস্থিত রয়েছেন।