এবার বিএনপি ছাড়লেন আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৯:২৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩১, ২০২২

বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছেন দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সাবেক প্রতিমন্ত্রী আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া। গত বৃহস্পতিবার রাতে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে তিনি লিখিত পদত্যাপত্র জমা দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে মাঈনুল হাসান তুষার।

পদত্যাগ প্রসঙ্গে আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘বয়স হয়েছে। আগের মতো দলের জন্য সময় দিতে পারি না। দলও মনে করে না, আমাদের আর প্রয়োজন আছে। দলের জেলা ও উপজেলা কমিটিও কোনো কিছু করার ক্ষেত্রে পরামর্শ নেয় না, জিজ্ঞেসও করে না। এতে খারাপ লাগে। এখন মনে হচ্ছে হয়তো দলে আর আমাদের প্রয়োজন নেই। এ অবস্থায় পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

বিএনপির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দলটির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তিনি পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একবার টেকনোক্র্যাট প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন।

আব্দুস সাত্তার সর্বশেষ ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে বিএনপির টিকেটে এমপি নির্বাচিত হন। দলীয় সিদ্ধান্তে গত ১১ ডিসেম্বর তিনি জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। ফলে এই আসনটি শূন্য ঘোষণা করেন স্পিকার। এই আসনে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি উপনির্বাচন। উপনির্বাচনকে সামনে রেখে দল থেকে তার পদত্যাগ নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন।

পারিবারিক সূত্র জানায়, ১৯৭৯ সালে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে বিএনপির টিকেটে দুইবার এমপি নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে জোটকে আসনটি ছেড়ে দিলে টেকনোক্রেট কোটায় তিন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন। জীবনের বেশির ভাগ সময় রাজনীতির সাথে জড়িয়ে থাকা উকিল আব্দুস সাত্তার এখন বয়সের ভারে ন্যূব্জ।

Nagad

এ ব্যাপারে তার ছেলে মাঈনুল হাসান ভূঁইয়া তুষার বলেন, দল বর্তমানে উনাকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না। দলীয় গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত নিতে উনাকে ডাকছেন না। কিছু জিজ্ঞেস করছেন না। দলের কর্মকাণ্ডে মনে হচ্ছে তাঁকে আর প্রয়োজন নেই। তাই তিনি নিরিবিলি থাকাটাই শ্রেয় মনে করেছেন। তিনি পরিবারসহ সকল আত্মীয় স্বজনের সাথে পরামর্শ করেই দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তুষার বলেন, বাবা আসন্ন উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন কিনা এই বিষয়ে আমরা ভাবছি না।