ডিজিটাল থেকে এবার টার্গেট ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’: প্রধানমন্ত্রী
ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে এবার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে ২০৪১ সালে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশে চলে যাব। এটাই এখন আমাদের টার্গেট।’ এ সময় স্মার্ট বাংলাদেশ কেমন হবে-সেই ধারণাও দিয়েছেন সরকারপ্রধান।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।


শেখ হাসিনা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ করা হয়েছে বলেই করোনাকালে কোনো কাজ থেমে থাকেনি। আমার অফিস থেকে শুরু করে আদালত, বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি অফিসসহ সবকিছু ভার্চুয়ালি চলমান ছিল।
প্রযুক্তি ব্যবহারের সুফল তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এখন ১৮ কোটি মোবাইল সিম ব্যবহার হয়। পৃথিবীর বোধহয় আর কোনো দেশে এত সিম ব্যবহার হয় না। শ্রমিকদের বেতন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপবৃত্তি বাচ্চাদের মায়েদের মোবাইল ফোনে চলে যায়। এই বৃত্তি দেওয়ার সময় ২০ লাখ মায়ের মোবাইল ফোন ছিল না। তাদের মোবাইল ফোন কিনে দিয়ে আমরা সেটা চালু করেছি।
ফ্রিল্যান্সারদের স্বীকৃতি ও তাদের উপার্জনের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বিয়ের সময় বলতো জামাই কী চাকরি করে? যদি বলা হতো ফ্রিল্যান্সিং; মাসে ২/৩ লাখ টাকা উপার্জন করে। এরপর যতই বুঝানো হোক। তারপরও তো ফ্রিল্যান্সিং। কেউ বুঝতে চাইতো না। তখন আমরা এটার স্বীকৃতিও দিয়েছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে বলে এটা (ফ্রিল্যান্সারদের আয় দেশে আনা) সহজ করে দিয়েছি। তাদের আর এখন টাকা পেতে অসুবিধা হয় না।
নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী আওয়ামী লীগ সরকার ২০২১ সালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলবো। সেই বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। এজন্য ৪টি বিষয়কে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি। এক. আমাদের জনগণ প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হবে। দুই. স্মার্ট অর্থনীতি অর্থাৎ সব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আমরা প্রযুক্তি ব্যবহার করে করবো। তিন. স্মার্ট সরকার, ইতিমধ্যে আমরা অনেকটা করে ফেলেছি। বাকিটাও করে ফেলবো। চার.আমাদের পুরো সমাজই হবে স্মার্ট সোসাইটি।
সরকার নেদারল্যান্ডস থেকে দশ হাজার কম্পিউটার আমদানির চুক্তি বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে বাতিল করে দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তার বোন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপের নামে নেদারল্যান্ডের একটি কোম্পানির শুধু নাম মিলে যাওয়ায় সেই চুক্তি বাতিল করে খালেদা জিয়া। এতে দেশের প্রায় ৬২ কোটি টাকা গচ্চা যায়।
বাংলাদেশে প্রযুক্তিতে যে বিপ্লব এবং ব্যাপক ব্যবহার হয়েছে, সেজন্য নিজের ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরিকল্পনা ও ভূমিকার কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, জয়ের পরামর্শ অনুযায়ী আমরা কম্পিটারের আমদানির ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করার কারণে ব্যাপক ব্যবহার শুরু হয়। জয়ের পরামর্শে জিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা করি এবং বাস্তবায়ন করি।
নিজেও ছেলের কাছ থেকে কম্পিউটারে জ্ঞান আহরন এবং শিখেছেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আজকে সারাদেশে ব্রডব্যান্ড সেবা পৌঁছে গেছে। জয় পরামর্শ না দিলে এটা করা সম্ভব হতো না। ডিজিটাল বাংলাদেশে আজ প্রত্যন্ত অঞ্চলেও কানেক্টেভিটি আছে। ডিজটাল বাংলাদেশ গড়ার কারণে করোনাকালীন সবকিছু চলেছে। মানুষ কাজ করতে পেরেছে।