নেইমারের ফেরার দিনে উড়ন্ত ব্রাজিল, সাঁইত্রিশ মিনিটেই ৪ গোল
নেইমার জুনিয়র চলতি কাতার বিশ্বকাপে সার্বিয়ার বিপক্ষে গোড়ালির চোটে পড়েছিলেন । ফলে বিশ্বকাপ থেকেই বিদায়ের শঙ্কা জেগেছিল তাকে নিয়ে। তবে নিজেকে পুরোপুরি ফিট করে আবারও ব্রাজিলের জার্সি গায়ে মাঠে নেমেছেন সেলেসাও দলের এই প্রাণভোমরা। তার ফেরার দিনে ব্রাজিলও খেলেছে স্বাচ্ছন্দে। কাতার বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর এই ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়েকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছে ব্রাজিল। দোহার স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ প্রথমার্ধে ৪ গোল করে এগিয়ে যায় ব্রাজিল, পরে দ্বিতীয়ার্ধে একটি গোল অবশ্য শোধ করে এশিয়ান জায়ান্টরা। কিন্তু তাতে বিশেষ কাজ হয়নি।
এশিয়ার দেশ দক্ষিণ কোরিয়াকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। যার সুবাদে বিশ্বকাপের ২২তম আসরের কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করল তিতের দল।


ম্যাচের সপ্তম মিনিটে মাঝ মাঠ থেকে ডান প্রান্ত ধরে দুর্দান্ত গতিতে বল নিয়ে এগিয়ে যান রাফিনহা। ডি-বক্সের কাছাকাছি গিয়ে বল ঠেলে দেন ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা ভিনিসিয়ুসের কাছে। একটু সময় নিয়ে কোরিয়ার গোলকিপার ও কয়েকজন ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে বিশ্বকাপে নিজের প্রথম গোল আদায় করেন ভিনি। এর পাঁচ মিনিট পর গোলের দেখা পান নেইমার। যা নেইমারের এবারের আসরের প্রথম ও বিশ্বকাপে ৭ নম্বর গোল এটি। ম্যাচেড় ২৯তম মিনিটে সম্মিলিতভাবে আক্রমণ করে গোল আদায় করে ব্রাজিল। এবার অসাধারণ এক গোল আদায় করেন প্রথম ম্যাচে সার্বিয়ার বিপক্ষে জোড়া গোল করা রিচার্লিসন। এটি তার বিশ্বকাপের তৃতীয় গোল। ৩৬ মিনিটে ভিনিসিয়াসের ক্রস থেকে ডি-বক্সের সামান্য বাইরে থেকে ডানপায়ে জোড়ালে শটে রক্ষণ ভাঙেন পাকেতা।
বিরতি থেকে ফিরে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গোলের সুবর্ণ সুযোগ পায় দক্ষিণ কোরিয়া। ৪৭তম মিনিটে সন হিউ মিন গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি। তার শটটি অসাধারণ দক্ষতায় কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন অ্যালিসন। এরপর ব্রাজিল বারবার আক্রমণ করলেও কোরিয়ার জালে গোল করতে পারেননি।
যার কারণে উল্টো ৭৭ মিনিটে একটি গোল শোধ করে দক্ষিণ কোরিয়া। বিরতির পর ব্রাজিল আর কোনো গোল পায়নি। একটি গোল পরিশোধ করে কোরিয়া।
১৯৫৪ সালের পর এই প্রথম বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচের প্রথমার্ধে ৪ গোল করল ব্রাজিল। ২০১৪ বিশ্বকাপের পর এমন নজির আর কোনো দলেরই নেই। সেবার ব্রাজিলের মাটিতে তাদের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ৪ গোল করেছিল আসরের চ্যাম্পিয়ন জার্মানি।