‘ক্রিমিয়ায় বিস্ফোরণের জন্য দায়ী ইউক্রেন, প্রতিশোধ নিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা’
রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এতে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৯৭ জন। ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার সঙ্গে সংযোগকারী সেতুতে বিস্ফোরণের জন্য মস্কো ইউক্রেনকে দায়ী করেছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই ঘটনাকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড উল্লেখ করে প্রতিশোধ নিতে ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নির্দেশ দেন বলে জানান।
রোববার (১০ অক্টোবর) রাশিয়ার তদন্ত কমিটির প্রধান আলেকজান্ডার বাস্ট্রিকিনের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।


এ সময় আলেকজান্ডার বাস্ট্রিকিন বলেন, রাশিয়ার নাগরিক এবং কিছু বিদেশি রাষ্ট্র হামলার প্রস্তুতিতে সহায়তা করেছিল। যে ট্রাকটিতে বিস্ফোরণ হয়েছিল সেটি বুলগেরিয়া, জর্জিয়া, আর্মেনিয়া, উত্তর ওসেটিয়া এবং ক্রাসনোদার টেরিটরি দিয়ে ভ্রমণ করেছিল।
ক্রিমিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের এই সংযোগ সেতুটি কার্চ সেতু হিসেবেও পরিচিত। এটি দক্ষিণ ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ রুট।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুদ্ধের প্রথম সপ্তাহের পর থেকে এটি সবচেয়ে ব্যাপক হামলা। এই হামলার মাধ্যমে যুদ্ধ আরও দীর্ঘস্থায়ী হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ ঘটনার সমুচিত জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেন, বিশ্বের বুক থেকে ইউক্রেনকে মুছে ফেলার চেষ্টা করছে রাশিয়া।
সোমবার সকালে ব্যস্ত সময়ে কিয়েভের শহরের প্রাণকেন্দ্রে ব্যস্ত সড়ক, পার্ক এবং পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে হামলা চালানো হয়। কিয়েভের পাশাপাশি খারকিভ, লাভিভ, দনিপ্রো এবং জাপোরিসাসহ অন্যান্য ইউক্রেনীয় শহরেও মিসাইল আক্রমণ করা হয়েছে। এতে ধ্বংস হয় বহু অবকাঠামো। অনেক অঞ্চলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এছাড়া, হামলা হয়েছে কূটনৈতিক অঞ্চলগুলোতেও। সামরিক স্থাপনায়ও ছোড়া হচ্ছে মিসাইল।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রাশিয়ার এসব হামলার কড়া সমালোচনা করা হয়।