‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো’ নিয়ে বিস্তারিত জানালো আইসিটি বিভাগ
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (আইসিটি) বিভাগ। সংস্থাটি বলছে, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো চিহ্নিতকরণ দেশের নাগরিকদের তথ্য প্রাপ্তির অধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। এর সঙ্গে জনগণের তথ্য প্রাপ্তি সংক্রান্ত অধিকারের ব্যাঘাত ঘটার কোনো সম্পর্ক নেই।
রোববার (৯ অক্টোবর) আইসিটি বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা শহিদুল আলম মজুমদার স্বাক্ষরিত ব্যাখ্যায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো নিয়ে জনসাধারণের মন থেকে ‘বিভ্রান্তি দূর করা’র কথা বলা হয়।


এতে বলা হয়, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কতিপয় রাজনৈতিক দল ও প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ঘোষিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোগুলো থেকে কোনোরূপ তথ্য পাওয়া যাবে না মর্মে বানোয়াট ও মনগড়া বক্তব্য দিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হচ্ছে সরকার ঘোষিত এমন কোনো বাহ্যিক বা ভার্চুয়াল তথ্য পরিকাঠামো, যা কোনো তথ্য-উপাত্ত বা কোনো ইলেকট্রনিক তথ্য নিয়ন্ত্রণ, প্রক্রিয়াকরণ, সঞ্চারণ বা সংরক্ষণ করে এবং যা ক্ষতিগ্রস্ত বা সংকটাপন্ন হলে জননিরাপত্তা বা অর্থনৈতিক নিরাপত্তা বা জনস্বাস্থ্য, জাতীয় নিরাপত্তা বা রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা বা সার্বভৌমত্বের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে।
আইসিটি বিভাগ বলছে, রাষ্ট্র ও জনগণের স্বার্থে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে জনগণের তথ্য প্রাপ্তি সংক্রান্ত অধিকার ব্যাঘাত ঘটার কোনো সম্পর্ক নেই বা তথ্য প্রাপ্তির অধিকারের সঙ্গে এটি সাংঘর্ষিক নয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এসব বিষয় বিবেচনা করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর ১৫ ধারার বিধান অনুসারে সরকার প্রজ্ঞাপন দিয়ে ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরকার ও জনগণের গুরুত্বপূর্ণ এবং আর্থিক তথ্যাবলি সংরক্ষিত থাকায় তাদের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অপরিহার্য।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোগুলোর আইটি অডিট সম্পন্ন, যথাযথ অবকাঠামো নির্মাণ, সঠিক মানসম্পন্ন নেটওয়ার্ক রক্ষণাবেক্ষণ, যথাযথ স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার ব্যবহার, দক্ষ ও যোগ্যতাসম্পন্ন মানবসম্পদ নিয়োগ ইত্যাদি কার্যক্রমের দ্বারা পরিকাঠামোগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে জনসাধারণকে নিরাপদ এবং নিরবচ্ছিন্নভাবে সেবাগুলো পৌঁছে দেওয়াই এ ঘোষণার প্রধান উদ্দেশ্য।