সিলেটে রায়হান হত্যা: মামলা স্থগিতের আবেদন হাইকোর্টে খারিজ
সিলেটে পুলিশের হেফাজতে রায়হান আহমদ হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ এবং মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (২৯ আগস্ট) বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।


এদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী। আর আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম।
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান চৌধুরী আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পুলিশ ফাঁড়িতে ধরে নিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে রায়হানকে হত্যা করেন অভিযুক্ত আসামিরা। আসামিদের একজন মামলার অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন। এর ফলে এই মামলার বিচার কাজ সম্পন্ন হতে আইনগত কোন বাধা থাকল না।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১০ অক্টোবর রাতে সিলেট নগরের আখালিয়ার এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমেদকে ধরে এনে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে আটকে রাখেন এস আই আকবর হোসেন ভুইয়ার নেতৃত্বে কয়েকজন পুলিশ সদস্য। পরে ১১ অক্টোবর পুলিশ ফাঁড়িতেই রাতে মারা যান রায়হান। এই ঘটনায় পরদিন রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি মামলা করেন।
এই ঘটনায় ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। এরপর পুলিশি হেফাজত থেকে কনস্টেবল হারুনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। প্রধান অভিযুক্ত আকবরকে ৯ নভেম্বর সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ২০২১ সালের ৫ মে এ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় পিবিআই।
এতে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে(৩২) প্রধান আসামি করা হয়। অন্যরা হলেন- সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আশেক এলাহী (৪৩), কনস্টেবল মো: হারুন অর রশিদ (৩২), টিটু চন্দ্র দাস (৩৮), এসআই মো: হাসান উদ্দিন (৩২) ও এসআই আকবরের আত্মীয় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সংবাদকর্মী আবদুল্লাহ আল নোমান (৩২)। নোমান এখনও পলাতক।
সারাদিন/৩০ আগস্ট/এমবি