চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত ৩, মৃত্যু নেই
চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসের ৩ জন নতুন বাহক শনাক্ত হয়েছেন। সংক্রমণ হার ৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
করোনা সংক্রান্ত জেলার হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত আজকের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর নয় ল্যাবরেটরিতে গতকাল ৯০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন আক্রান্ত ৩ জনই শহরের বাসিন্দা। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ২৮ হাজার ৭৭৫ জনে। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯৩ হাজার ৮৭৮ জন এবং গ্রামের ৩৪ হাজার ৮৯৭ জন। গতকাল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কেউ মারা যাননি। ফলে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৭ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭৩৭ জন ও গ্রামের ৬৩০ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ল্যাবে ১৭, বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৫ ও এপিক হেলথ কেয়ারে ৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ তিন ল্যাবরেটরিতে একজন করে পজিটিভ মিলে। এছাড়া, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৮, আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ৫, শেভরনে ১২, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৯, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ৫, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১১ এবং এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে একটি নমুনার পরীক্ষা হয়। সাত ল্যাবে ৫১ নমুনার সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও ল্যাব এইডে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। নমুনা সংগ্রহের কোনো কেন্দ্রে কারো এন্টিজেন টেস্ট হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, চমেকহা’য় ৫ দশমিক ৮৮, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৬ দশমিক ৬৬ ও এপিক হেলথ কেয়ার ১৪ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং বিআইটিআইডি, আরটিআরএল, শেভরন, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ও এভারকেয়ার হমপিটাল ল্যাবে ০ শতাংশ।
