স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বাজুসের বৈঠক, হয়রানি বন্ধের দাবি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৭:৫৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৬, ২০২৪

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে বৈঠক করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চোরাচালানবিরোধী টাস্কফোর্সে বাজুসের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করাসহ বিভিন্ন প্রস্তাবনা তুলে ধরেন বাজুস নেতারা।

এ সময় স্বর্ণালংকার পরিবহনের সময় প্রতিষ্ঠানের চালানের কপি, বহনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র ও বাজুসের পরিচয়পত্র প্রদর্শন করার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন কোনো ধরনের হয়রানি না করে সেজন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবিও জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। একইসঙ্গে বাজুসের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ছয়টি প্রস্তাবনাও দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ভবিষ্যতে বাজুসের যেকোনো সমস্যা সমাধানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চান বাজুস নেতারা।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছেন। আমরা স্মার্ট জুয়েলারি ব্যবসায়ী হতে চাই। এ জন্য আমাদের প্রধানমন্ত্রী একটি নতুন নীতিমালা দিয়েছেন। সেই নীতিমালা অনুযায়ী আমরা স্বর্ণ রপ্তানি করতে পারব, আমদানি করতে পারব। এই আমাদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে কিছু আইনগত প্রতিবন্ধকতা আছে। যার কারণে আন্তর্জাতিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা স্বর্ণের মূল্যটা নির্ধারণ করতে পারি না।

ডা. দিলীপ কুমার আরও বলেন, বাজুস যেভাবে কাজ করছে তাতে আগামী দিনে ভ্যাট-ট্যাক্সসহ যে সমস্যাগুলো আছে, সেগুলো আমরা নিরসন করতে পারব। আমাদের মূল সমস্যা ছিল স্বর্ণ পরিবহনের ক্ষেত্রে অনেক জায়গায় পুলিশি হয়রানি হয়, তাঁতীবাজারে আমাদের একটি ছোট, বড়, মাঝারি শিল্প কারখানায় অর্নামেন্টস তৈরি হয়। সেখানে পুরাতন স্বর্ণ নিয়ে নতুন স্বর্ণ তৈরি হয়ে আসে, আসা-যাওয়ার সময় আমাদের কিছুটা হয়রানি হতে হয়। যে বিষয়ে আমরা মতবিনিময় করেছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় জুয়েলারি শিল্পের অনেক সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান হওয়ার বাজুসের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ভবিষ্যতেও বাজুসের যেকোনো সমস্যা সমাধানে তার আন্তরিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।

বাজুসের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চোরাচালানবিরোধী টাস্কফোর্সে বাজুসের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা, বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে চোরাচালানবিরোধী কার্যক্রমে বাজুসের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা, জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটিতে বাজুসের জেলা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব জানানো হয় বাজুসের পক্ষ থেকে। এ ছাড়া এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সোনা পরিবহনের ক্ষেত্রে জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক প্রায়ই হয়রানির শিকার হন। এ ক্ষেত্রে সোনার অলঙ্কার পরিবহনের সময় প্রতিষ্ঠানের চালানের কপি ও বহনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র ও বাজুসের পরিচয়পত্র প্রদর্শন করলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যাতে কোনো হয়রানি না করে, তার যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চিতের প্রস্তাব করা হয়।

Nagad

সারা দেশে জুয়েলারি দোকানে এযাবৎকাল অনেক চুরি-ডাকাতির ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।

এসব ঘটনায় বর্তমান আইন অনুযায়ী সাধারণ চুরির মামলা হিসেবে থানা গ্রহণ করে। সোনা একটি মূল্যবান ধাতু। তাই আইন পরিবর্তন করার জন্য প্রস্তাব জানিয়েছেন বাজুস নেতারা। পাশাপাশি অতীতে সংঘটিত অপরাধ তদন্তে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানায় বাজুস।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাজুসের সহসভাপতি গুলজার আহমেদ, রিপনুল হাসান, মাসুদুর রহমান, জয়নাল আবেদীন, সমিত ঘোষ, সাবেক সভাপতি ডা. দিলীপ কুমার রায়, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন, উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল, কার্যনির্বাহী সদস্য পবিত্র চন্দ্র ঘোষ ও ইকবাল উদ্দিন।