পেহেলগাম হামলার সন্দেহভাজনদের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল ভারতীয় সেনারা
কাশ্মীরে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর প্রায় দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার ঘটনায় দুই ব্যক্তির বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনারা। খবর আল জাজিরার।
ভারতীয় পুলিশ বলছে, হামলাকারীরা পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়বার (এলইটি) একটি অংশ ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)-এর সদস্য। তবে পাকিস্তান এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।


গত মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে ২৬ জনকে হত্যার ঘটনায় দোষীদের ধরতে ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে তিন সন্দেহভাজনের স্কেচ সম্বলিত ওয়ান্টেড পোস্টার প্রকাশ করেছে। এদের মধ্যে রয়েছেন আদিল হুসেন থোকার, এক সন্দেহভাজন কাশ্মীরি বিদ্রোহী, এবং দুই পাকিস্তানি নাগরিক—আলী ভাই ও হাশিম মুসা। এছাড়া আরেক সন্দেহভাজন বিদ্রোহী আশিফ শেখকেও খুঁজছে নিরাপত্তা বাহিনী।
হামলার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই সন্দেহভাজনের পরিবারের সদস্যদেরও আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ও তাদের স্বজনরা।
আশিফ শেখের বোন ইয়াসমিনা জানান, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দক্ষিণ কাশ্মীরের ত্রাল এলাকায় সেনারা তাদের বাড়ি ঘিরে ফেলে। একজন সৈন্য বাড়ির মাটির দেয়াল টপকে ভেতরে ঢুকে কেবল একজনের নাম চিৎকার করছিলেন। কিছুক্ষণ পর একটি ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে পুরো বাড়িটি ধসে পড়ে। তবে সে সময় বাড়ির ভেতরে কেউ ছিল না।
একইভাবে, শুক্রবার ভোরে পার্শ্ববর্তী বিজবেহারা এলাকায় সন্দেহভাজন আদিল হুসেন থোকারের পারিবারিক বাড়িও ধ্বংস করে দেয় ভারতীয় সেনারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, ‘দুজনেই বিগত তিন-চার বছর ধরে সক্রিয় এবং টিআরএফের সদস্য, যা লস্কর-ই-তৈয়বার একটি শাখা। তারা পূর্ববর্তী নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলার সঙ্গেও যুক্ত ছিল।’
পুলিশ প্রত্যেক সন্দেহভাজনের গ্রেপ্তারে তথ্য প্রদানের জন্য ২০ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করেছে।