কাজী নাবিল ও পরিবারের ৩৬২ একর জমি-বাড়ি-বিনিয়োগ জব্দের আদেশ
জেমকন গ্রুপের অন্যতম মালিক ও যশোর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ এবং তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা দেশের বিভিন্ন স্থানের ৩৬২ দশমিক ৪৩ একর জমি, ঢাকার সাতটি ফ্ল্যাট ও বাড়ি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠানে ভাই কাজী আনিস আহমেদের বিপুল অঙ্কের শেয়ার বিনিয়োগও অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন। আবেদনটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক রেজাউল করিম।


জব্দ করা সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে: পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায় ৩৪.৬৩ একর, বোদায় ২৫.৫৫ একর ও সদরে ১০.০৮ একর জমি, খুলনায় ২৪৬ একর এবং রূপসায় ২৬.৫১ একর জমি, ঢাকার ধানমণ্ডিতে ১১ শতক জমিসহ ছয়তলা ভবনের এক-তৃতীয়াংশ, মোহাম্মদপুরে দুটি প্লট এবং গুলশানে একটি ফ্ল্যাট
পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সম্পত্তি:
পিতা কাজী শাহেদ আহমেদ (মৃত): ধানমণ্ডিতে ১৬.৫০ শতাংশ জমিসহ ভবন, যশোরে জমিসহ বাড়ি। মাতা আমিনা আহমেদ: ধানমণ্ডিতে তিনটি ফ্ল্যাট, সেন্টমার্টিনে ১.৪৪ একর জমি, ভাই কাজী আনিস আহমেদ: ধানমণ্ডিতে ছয়তলা ভবনের এক-তৃতীয়াংশ, গুলশানে একটি ফ্ল্যাট, ভাই কাজী ইনাম আহমেদ: ধানমণ্ডি ও গুলশানে তিনটি ফ্ল্যাট ও একই ভবনের অংশ।
বিদেশে বিনিয়োগ:
যুক্তরাষ্ট্রের AGNETA LLC-তে ৬১ লাখ ৩৯ হাজার ৩১ মার্কিন ডলারের (প্রায় ৭৫ কোটি টাকা) বিনিয়োগ অবরুদ্ধ করা হয়েছে। এই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে দুদক জানিয়েছে।
এর আগে ১৩ মার্চ কাজী নাবিল ও তার পরিবারের নামে থাকা ৩৬টি কোম্পানির ৪ কোটি ২৬ লাখের বেশি শেয়ার এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি ৮৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেয় আদালত।
দুদকের তদন্ত চলমান থাকায় এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।