ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের তথ্য দিতে নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের
ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের (উইলফুল ডিফল্টার) তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দেশের সব তফসিলি ব্যাংককে আগামীতে প্রতি তিন মাস অন্তর এসব তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোতে (সিআইবি) পাঠাতে হবে। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে বুধবার একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের চিহ্নিত ও চূড়ান্ত করার পর তাদের তথ্য সিআইবিতে পাঠাতে হবে এবং ‘উইলফুল ডিফল্টার’ হিসেবে উল্লেখ করতে হবে। এ ছাড়া তিন মাসের ভিত্তিতে ওইসব খেলাপিদের পুঞ্জিভূত তথ্য বিবরণী আকারে জমা দিতে হবে এবং সময়সীমা হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে—প্রতিটি ত্রৈমাসিক শেষ হওয়ার পরবর্তী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে তা দাখিল করতে হবে।


বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের তথ্য প্রদানের সময় সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শনাক্তকরণ ইউনিটে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের নাম, মোবাইল নম্বর এবং ই-মেইল ঠিকানাও জমা দিতে হবে। সেই সঙ্গে ওই খেলাপিদের সব দলিলপত্রও সংযুক্ত করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে একটি নির্দিষ্ট ফরমেট তৈরি করেছে, যাতে এসব তথ্য সুনির্দিষ্টভাবে দেওয়া যায়। সেখানে ব্যক্তিগত ঋণখেলাপির ক্ষেত্রে নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্মতারিখ, সংশ্লিষ্ট ব্যাংক শাখার নাম এবং কখন তাকে চূড়ান্তভাবে খেলাপি হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে—এই তথ্যগুলো উল্লেখ করতে হবে।
ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধানের নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্মতারিখ, ব্যাংক শাখার নাম এবং চূড়ান্ত খেলাপি ঘোষণার তারিখ জানাতে হবে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১২ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে প্রথম একটি সার্কুলার জারি করেছিল। সেখানে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তার তথ্য চাওয়া হয়েছিল। এবার সেই নির্দেশনার ভিত্তিতে আরও নির্দিষ্ট ও সময়ানুগ তথ্য দাখিলের জন্য সংশোধিত নির্দেশনা দেওয়া হলো।