সালমান এফ রহমানসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে ৮০০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৭:৩৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৬, ২০২৫

বিনিয়োগকারীদের প্রায় ৮০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, মর্টগেজ সম্পত্তিকে অতিমূল্যায়ন করে বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়। এর মধ্যে ৮০০ কোটি টাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হিসাবে স্থানান্তর করে আত্মসাত করা হয়। বাকি ২০০ কোটি টাকার এফডিআর করা হয়।

আসামিদের মধ্যে রয়েছেন— সালমান এফ রহমানের ছেলে আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান, ব্যাংকটির সাবেক এমডি মো. শাহ আলম সারোয়ার, ব্যাংকটির সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক সুধাংশু শেখর বিশ্বাস, এ আর এম নাজমুস সাকিব, কামরুন নাহার আহমেদ, সাবেক পরিচালক রাবেয়া জামালী, গোলাম মোস্তফা, মো. জাফর ইকবাল, আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ ক্রেডিট অফিসার সৈয়দ মনসুর মোস্তফা, হেড অব লোন পারফর্মেন্স ম্যানেজমেন্ট শাহ মো. মঈনউদ্দিন, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, গীতাঙ্ক দেবদীপ দত্ত, মো. নুরুল হাসনাত ও মনিতুর রহমান। ব্যাংকটির হেড অব ট্রেজারি মোহাম্মদ শাহিন উদ্দিন, ধানমন্ডি শাখার সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক ও এফভিপি নাজিমুল হক, সাবেক ব্যবস্থাপক হোসাইন শাহ আলী, রিলেশনশিপ ম্যানেজার সরদার মো. মমিনুল ইসলাম, এসপিও আয়েশা সিদ্দিকা এবং এফএডিপি সিলভিয়া চৌধুরী।

এছাড়া আসামি করা হয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক কমিশনার রুমানা ইসলাম, মিজানুর রহমান, শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ ও মো. আবদুল হালিম।

এছাড়া সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিমাই কুমার সাহা, কোম্পানি সেক্রেটারি মো. মিজানুর রহমান, শ্রীপুর টাউনশিপ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মশিউজ্জামান ও প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক তিলাত শাহরিনকে আসামি করা হয়েছে।

Nagad

দুদকের এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রতারণার মাধ্যমে সিআইবি প্রতিবেদন সংগ্রহ ও সম্পত্তি যাচাই ছাড়াই ৮৭ কোটি টাকার জমির মূল্য ১,০২০ কোটি টাকা দেখিয়ে বন্ড অনুমোদন নেয়। পরে অনভিজ্ঞ একটি কোম্পানির নামে বন্ড ইস্যু করে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অর্থ তুলে তা বেক্সিমকো গ্রুপসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হিসাবে হস্তান্তর করা হয়।

আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪৭৭/১০৯, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪ ধারা অনুযায়ী অভিযোগ আনা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে গত মার্চেও সালমান এফ রহমানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলায় অভিযোগ আনে দুদক।