মেট্রোরেলে অনলাইন রিচার্জে বাধা: আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় ভোগান্তি

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৩৩ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ৫, ২০২৫

ঢাকায় মেট্রোরেল চালুর দুই বছর পরেও স্থায়ী পাস বা র‍্যাপিড পাস রিচার্জ করতে স্টেশনে গিয়ে লাইনে দাঁড়াতে হয়। অনলাইনে রিচার্জ সুবিধা চালু না হওয়ায় যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়ছেন। অথচ বিশ্বের অনেক দেশেই ঘরে বসে মেট্রোরেল কার্ডে টাকা রিচার্জ করা যায়।

অনলাইন রিচার্জ সুবিধা চালু করতে প্রধান বাধা সরকারি দপ্তরের আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এবং স্থায়ী পাস সরবরাহ ও রিচার্জের দায়িত্বে থাকা ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)—এই দুই সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের অভাবের কারণেই সমস্যা থেকে যাচ্ছে।

বর্তমানে মেট্রোরেলের ৫৫% যাত্রী র‍্যাপিড পাস ব্যবহার করেন এবং বাকি ৪৫% একক যাত্রার কার্ড ব্যবহার করেন। কিন্তু দুই ধরনের কার্ডেরই সংকট রয়েছে। প্রতিদিন মাত্র এক থেকে দেড় হাজার কার্ড বিক্রি করা হচ্ছে। এদিকে কাগজের টিকিট বা কিউআর কোড সম্বলিত টিকিট চালুর পরিকল্পনা থাকলেও তা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি।

ডিটিসিএর পক্ষ থেকে ‘ক্লিয়ারিং হাউস’ প্রকল্পের অধীনে ঘরে বসে র‍্যাপিড পাস রিচার্জ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পে জাইকার সহযোগিতা থাকলেও কবে নাগাদ এটি চালু হবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়।

ডিটিসিএর পরিকল্পনা অনুযায়ী, অনলাইন রিচার্জ চালু হলে বিকাশ, রকেট, নগদসহ বিভিন্ন ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে রিচার্জ করা যাবে। তবে এজন্য মুঠোফোনে নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন (এএফসি) সুবিধা থাকতে হবে।

ভারত ও হংকংসহ অনেক দেশে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডে মেট্রোরেলে যাতায়াত করা যায়। কিন্তু বাংলাদেশে এমন কোনো উদ্যোগ নেই। দ্রুত মেট্রোরেলের সংখ্যা ও টিকিট সরবরাহ বাড়িয়ে অনলাইন রিচার্জ ব্যবস্থা চালু না করা হলে যাত্রীরা আন্তর্জাতিক মানের সেবা থেকে বঞ্চিত থেকে যাবেন।

Nagad

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, অনলাইন রিচার্জ ব্যবস্থা চালু এবং টিকিট সরবরাহ বৃদ্ধি পেলে যাত্রীদের দুর্ভোগ কমবে এবং মেট্রোরেলের জনপ্রিয়তা আরও বাড়বে। এজন্য ডিএমটিসিএল ও ডিটিসিএর মধ্যে সমন্বয় এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সূত্র: আরটিভি