‘ঢেলে সাজানোর আগে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ অনুমোদন গ্রহণযোগ্য নয়’

তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিবেদক:তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৩:৫৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩১, ২০২৪

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। ফাইল ছবি

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) জানিয়েছে, ঢেলে সাজানোর আগে ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪’ উপদেষ্টা পরিষদ কর্তৃক অনুমোদন গ্রহণযোগ্য নয়। সংস্থাটি মনে করে, এই অধ্যাদেশ মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং বাক স্বাধীনতাকে খর্ব করার হাতিয়ার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) ঢাকার ধানমন্ডিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “বর্তমানে যে অবস্থায় সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৪ অনুমোদিত হয়েছে, সেটি জনস্বার্থের প্রতিফলন করবে না। বরং এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সীমিত করার জন্য ব্যবহৃত হতে পারে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা মনে করি, এই অধ্যাদেশ ঢেলে সাজানো প্রয়োজন। একদিকে অংশীজনদের সম্পৃক্ত করতে হবে এবং অন্যদিকে আইনটির মধ্যে এমন সেফটি থাকতে হবে যাতে এটি সংবিধানিক ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ঘোষণা অনুযায়ী হয়।”

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের পর সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছিল। তবে, এই অধ্যাদেশের খসড়ায় অনেক জটিল বাক্য ও শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে, যা আইনের শাসনের বিরোধী। তিনি দাবি করেন, আইনটি সহজ ও বোধগম্য হওয়া উচিত এবং সাইবার সুরক্ষা নয়, এটি কম্পিউটার বা সাইবার অপরাধ অধ্যাদেশ হওয়া উচিত।

এছাড়া, টিআইবি আরও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে, আইনটিতে কিছু শব্দের সংজ্ঞা যেমন ‘সাইবার হামলা’ এবং ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’ স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা হয়নি। আইনের মহাপরিচালকের ক্ষমতা এবং যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। কিছু অপরাধের অসম্পূর্ণ সংজ্ঞাও রয়েছে, যেমন জুয়ার সংজ্ঞা। এছাড়া, বিনাবিচারে আটক ও তল্লাশির বিধান নিয়ে টিআইবি উদ্বিগ্ন।

টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইনটি সম্পূর্ণভাবে অংশীজনদের বিশ্লেষণ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পর্যালোচনার মাধ্যমে ঢেলে সাজানো প্রয়োজন।

Nagad