পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল প্রশ্নে চূড়ান্ত রায় আজ
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীকে চ্যালেঞ্জ করে করা রিটের চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করা হবে আজ (মঙ্গলবার)। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আনা এই সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে জারি করা রুলের রায় ঘোষণা করবেন হাইকোর্ট।
গত ৫ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ দীর্ঘ ২৩ কার্যদিবস শুনানি শেষে রায়ের জন্য ১৭ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।


রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন। রিটকারী সংগঠন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ড. শরিফ ভূঁইয়া।
বিএনপির পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল এবং অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুল। জামায়াতের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির এবং ব্যারিস্টার এহসান সিদ্দিকী। অন্যদিকে চার আবেদনকারীর পক্ষে ব্যারিস্টার জুনায়েদ আহমেদ চৌধুরী এবং ইন্টারভেনর হিসেবে ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ শুনানি করেন।
পঞ্চদশ সংশোধনী ও বিতর্ক
২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাস হয়। এই সংশোধনীর মাধ্যমে:
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়। শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন সংখ্যা ৪৫ থেকে ৫০ করা হয়। পরে সংবিধানের এই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি হাইকোর্টে রিট করেন। অন্য চারজন হলেন তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজ উদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া এবং জাহরা রহমান।
প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১৯ আগস্ট রুল জারি করেন। পরে এটি বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে উপস্থাপন করা হয় এবং রুল শুনানির জন্য ৩০ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়েছিল।
এই রুলের শুনানিতে বিএনপি ও জামায়াতও মতামত দেয়। বিএনপির পক্ষে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জামায়াতের পক্ষে সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার যুক্ত হন।
পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে বহুল আলোচিত এই রুলের চূড়ান্ত রায় আজ ঘোষণা করা হবে, যা দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।